কোরান সূরা হুজরাত আয়াত 10 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Hujurat ayat 10 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হুজরাত আয়াত 10 আরবি পাঠে(Hujurat).
  
   

﴿إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ فَأَصْلِحُوا بَيْنَ أَخَوَيْكُمْ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ﴾
[ الحجرات: 10]

মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে-যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও। [সূরা হুজরাত: 10]

Surah Al-Hujuraat in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hujurat ayat 10


নিঃসন্দেহ মুমিনরা ভাই-ভাই, সুতরাং তোমাদের ভাইদের মধ্যে তোমরা শান্তিস্থাপন করবে, আর তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করবে যেন তোমাদের অনুগ্রহ করা হয়।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১০. মু’মিনরা তো কেবল ইসলামের ভাই মাত্র। হে মু’মিনরা! ইসলামের এই ভ্রাতৃত্ব দাবি রাখে যে, তোমরা উভয় ঝগড়াকারীর মাঝে মীমাংসা করবে। আর তোমরা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্য করার মাধ্যমে তাঁকে ভয় করো। আশা করা যায়, তিনি তোমাদেরকে দয়া করবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সকল বিশ্বাসীরা তো পরস্পর ভাই ভাই, সুতরাং তোমরা তোমাদের দুই ভাই-এর মধ্যে সন্ধি স্থাপন কর[১] এবং আল্লাহকে ভয় কর; যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও। [২] [১] এটি পূর্বের নির্দেশেরই তাকীদ স্বরূপ। অর্থাৎ, মু'মিনরা যখন পরস্পর ভাই ভাই, তখন তাদের সবার মূল বস্তু হল ঈমান। অতএব, এই মূল বস্তুর দাবী হল, একই ধর্মের উপর বিশ্বাস স্থাপনকারীরা যেন আপোসে লড়ালড়ি না করে। বরং পরস্পর এক সাথে মিলে-জুলে, একে অপরের দুঃখে-সুখে শরীক হয়ে, পরস্পরকে ভালবেসে এবং একে অপরের হিতাকাঙ্ক্ষী ও কল্যাণকামী হয়ে থাকে। আর যদি কখনও ভুল বুঝাবুঝির ফলে তাদের মধ্যে দূরত্ব ও ঘৃণা সৃষ্টি হয়ে যায়, তবে তা দূর করে তাদের আপোসে পুনরায় সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব কায়েম করতে হবে। ( যেহেতু এক মু'মিন অপর মুমিনের জন্য আয়না স্বরূপ। ) ( আরো দেখুন, সূরা তাওবার ৯:৭১ নং আয়াতের টীকা ) [২] অর্থাৎ, সমস্ত বিষয়ে আল্লাহকে ভয় কর। সম্ভবতঃ এর ফলে তোমরা আল্লাহর রহমতের অধিকারী হয়ে যাবে। সম্ভাবনা ও আশাব্যঞ্জক কথা সম্বোধিত ( মানুষের ) দিকে লক্ষ্য করে এ রকম বলা হয়েছে। কেননা, আল্লাহর রহমত ও করুণা তো ঈমানদার ও আল্লাহভীরুদের জন্য নিশ্চিত। পরবর্তী আয়াতগুলিতে মুসলিমদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চারিত্রিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


মুমিনগণ তো পরস্পর ভাই ভাই [] ; কাজেই তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করে দাও। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও। [] এ আয়াতটি দুনিয়ার সমস্ত মুসলিমকে এক বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে। দুনিয়ার অন্য কোন আদর্শ বা মত ও পথের অনুসারীদের মধ্যে এমন কোন ভ্রাতৃত্ব বন্ধন পাওয়া যায় না যা মুসলিমদের মধ্যে পাওয়া যায়। এটাও এ আয়াতের বরকতে সাধিত হয়েছে। এ নির্দেশের দাবী ও গুরুত্বসমূহ কি, বহুসংখ্যক হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা বর্ণনা করেছেন। ঐ সব হাদীসের আলোকে এ আয়াতের আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বোধগম্য হতে পারে। জারীর ইবন আবদুল্লাহ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার থেকে তিনটি বিষয়ে “ বাই’আত” নিয়েছেন ।এক, সালাত কায়েম করবো। দুই, যাকাত আদায় করতে থাকবো। তিন, প্রত্যেক মুসলমানের কল্যাণ কামনা করবো।” [ বুখারী: ৫৫ ] অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মুসলিমকে গালি দেয়া ফাসেকী এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরী।” [ বুখারী: ৬০৪৪, মুসলিম: ৬৩ ] অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপর মুসলমানের জান, মাল ও ইজ্জত হারাম।” [ মুসলিম: ২৫৬৪, কিতাবুল বিরর ওয়াসসিলাহ, তিরমিয়ী: ১৯২৭ ] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেনঃ এক মুসলিম আরেক মুসলমানের ভাই। সে তার ওপরে জুলুম করে না, তাকে সহযোগিতা করা পরিত্যাগ করে না এবং তাকে লাঞ্ছিত ও হেয় করে না। কোন ব্যক্তির জন্য তার কোন মুসলিম ভাইকে হেয় ও ক্ষুদ্র জ্ঞান করার মত অপকৰ্ম আর নাই। [ মুসনাদে আহমাদ: ১৬/২৯৭, ৭৭৫৬ ] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, ঈমানদারদের সাথে একজন ঈমানদারের সম্পর্ক ঠিক তেমন যেমন দেহের সাথে মাথার সম্পর্ক। সে ঈমানদারদের প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট ঠিক অনুভব করে যেমন মাথা দেহের প্রতিটি অংশের ব্যথা অনুভব করে। [ মুসনাদে আহমাদ: ৫/৩৪০ ] অপর একটি হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পারস্পরিক ভালবাসা, সুসম্পর্ক এবং একে অপরের দয়ামায়া ও স্নেহের ব্যাপারে মুমিনগণ একটি দেহের মত। দেহের যে অংগেই কষ্ট হোক না কেন তাতে গোটা দেহ জ্বর ও অনিদ্রায় ভুগতে থাকে। [ বুখারীঃ ৬০১১, মুসলিম: ২৫৮৬ ] আরো একটি হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মুমিনগণ পরস্পরের জন্য একই প্রাচীরের ইটের মত একে অপরের থেকে শক্তিলাভ করে থাকে ৷ [ বুখারী: ২৬৪৬, মুসলিম: ২৫৮৫ ] অন্য হাদীসে এসেছে, একজন মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই, সে তার উপর অত্যাচার করতে পারে না। আবার তাকে ধ্বংসের মুখেও ঠেলে দিতে পারে না। [ বুখারী:২৪৪২, মুসলিম:২৫৮০ ] অন্য হাদীসে এসেছে, আল্লাহ বান্দার সহযোগিতায় থাকেন যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সহযোগিতায় থাকে। [ মুসলিম:২৬৯৯ ] হাদীসে আরো এসেছে, কোন মুসলিম যখন তার ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দোআ করে তখন ফেরেশতা বলে, আমীন। ( কবুল কর ) আর তোমার জন্যও তদ্রুপ হোক। [ মুসলিম: ২৭৩২ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৯-১০ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে আল্লাহ তা'আলা নির্দেশ দিচ্ছেন যে, যদি মুসলমানদের দুই দল পরস্পর দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে পড়ে তবে অন্যান্য মুসলমানদের উচিত তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়া। পরস্পর বিবাদমান দু’টি দলকে মুমিনই বলা হয়েছে। ইমাম বুখারী ( রঃ ) প্রমুখ গুরুজন এটাকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে বলেন যে, কোন মুসলমান যত বড়ই নাফরমান হোক না কেন সে ঈমান হতে বের হয়ে যাবে না, যদিও খারেজী, মু'তাযিলা ইত্যাদি সম্প্রদায় এর বিপরীত মত পোষণ করে। নিম্নের হাদীসটিও এ আয়াতের পৃষ্ঠপোষকতা করেঃহযরত আবু বকর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) মিম্বরের উপর ভাষণ দিচ্ছিলেন এবং তাঁর সাথে হযরত হাসান ইবনে আলী ( রাঃ )-ও মিম্বরের উপর ছিলেন। কখনো তিনি হযরত হাসান ( রাঃ )-এর দিকে তাকাচ্ছিলেন এবং কখনো জনগণের দিকে দেখছিলেন। আর বলছিলেনঃ “ আমার এ ছেলে ( নাতী ) নেতা এবং আল্লাহ তা'আলা এর মাধ্যমে মুসলমানদের বিরাট দু’টি দলের মধ্যে সন্ধি করিয়ে দেবেন ।( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর এই ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে। সিরিয়াবাসী ও ইরাকবাসীদের মধ্যে বড় বড় ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের পর তাঁরই মাধ্যমে তাদের মধ্যে সন্ধি হয়। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যদি একদল অন্য দলের উপর বাড়াবাড়ি করে এবং তাদেরকে আক্রমণ করে বসে তবে তোমরা আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ তুমি তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে অত্যাচারী হোক অথবা অত্যাচারিত হোক ।” বর্ণনাকারী হযরত আনাস ( রাঃ ) বললেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমি সাহায্য করতে পারি অত্যাচারিতকে, কিন্তু আমি অত্যাচারীকে কিরূপে সাহায্য করতে পারি?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ “অত্যাচারীকে তুমি অত্যাচার করা হতে বাধা দিবে ও বিরত রাখবে, এটাই হবে তোমার তাকে সাহায্য করা ।”হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা নবী ( সঃ )-কে বলা হয়ঃ “ যদি আপনি আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর নিকট একবার যেতেন!” অতঃপর নবী ( সঃ ) গাধার উপর সওয়ার হয়ে চললেন এবং মুসলমানরাও তাঁর সাথে চলতে লাগলেন । যখন তারা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর নিকট পৌঁছেন তখন সে নবী ( সঃ )-কে বলেঃ “ আপনি আমা হতে দূরে থাকুন । আল্লাহর কসম! আপনার গাধার গন্ধ আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। তার একথা শুনে আনসারদের একজন লোক তাকে বললেনঃ আল্লাহর শপথ! তোমার গন্ধের চেয়ে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর গাধার গন্ধ বহুগুণে উত্তম ও পবিত্র ।” তাঁর একথা শুনে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর কতক লোকে ভীষণ রেগে গেল এবং এরপর উভয় দলের প্রত্যেক লোকই রাগান্বিত হলো। অতঃপর অবস্থা এতদূর গরালো যে, তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও জুতা মারামারি শুরু হয়ে গেল। তাদের ব্যাপারে এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। সহীহ বুখারীতেও এটা বর্ণিত হয়েছে)হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের ( রাঃ ) বলেন যে, আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের মধ্যে কিছু ঝগড়া-বিবাদ হয়েছিল। তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়ার হুকুম এই আয়াতে রয়েছে।হযরত সুদ্দী ( রঃ ) বলেন যে, ইমরান নামক একজন আনসারী ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম ছিল উম্মে যায়েদ। তিনি ( তাঁর স্ত্রী ) তার পিত্রালয়ে যেতে চান। কিন্তু তার স্বামী বাধা দেন এবং বলে দেন যে, তাঁর স্ত্রীর পিত্রালয়ের কোন লোক যেন তার বাড়ীতে না আসে। স্ত্রী তখন তাঁর পিত্রালয়ে এ খবর পাঠিয়ে দেন। খবর পেয়ে সেখান হতে লোক এসে উম্মে যায়েদকে বাড়ী হতে বের করে এবং সাথে করে নিয়ে যাবার ইচ্ছা করে। ঐ সময় তাঁর স্বামী বাড়ীতে ছিলেন না। তাঁর লোকে তার চাচাতো ভাইদেরকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তারা দৌড়িয়ে আসে এবং স্ত্রীর লোক ও স্বামীর লোকদের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায় এবং মারামারি ও জুতা ছুঁড়াছুঁড়িও হয়। তাদের ব্যাপারে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) উভয়পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তাদের মধ্যে সন্ধি করিয়ে দেন। মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা দুই দলের মধ্যে ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ দুনিয়ায় ন্যায়-বিচারকারীরা পরম দয়ালু, মহিমান্বিত আল্লাহর সামনে মণি-মুক্তার আসনে উপবিষ্ট থাকবে, এটা হবে তাদের দুনিয়ায় ন্যায়-বিচার করার প্রতিদান ।( এ হাদীসটি ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) ও ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ ন্যায়-বিচারকারীরা কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ডান দিকে নূরের আসনে উপবিষ্ট থাকবে । তারা তাদের হুকুমে, পরিবার পরিজনের মধ্যে এবং যা কিছু তাদের অধিকারে ছিল সবারই মধ্যে ন্যায়ের সাথে বিচার করতো।” ( এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)এরপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ “ মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই ।' অর্থাৎ মুমিনরা সবাই পরস্পর দ্বীনী ভাই। সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ আল্লাহ ততক্ষণ বান্দাকে সাহায্য করতে থাকেন যতক্ষণ বান্দা তার ( মুমিন ) ভাইকে সাহায্য করতে থাকে ।” সহীহ হাদীসে আরো রয়েছেঃ যখন কোন মুসলমান তার ( মুসলমান ) ভাই এর অনুপস্থিতিতে তার জন্যে দুআ করে তখন ফেরেশতা তার দুআয় আমীন বলেন এবং বলেনঃ আল্লাহ তোমাকেও অনুরূপই প্রদান করুন।" এই ব্যাপারে আরো বহু সহীহ হাদীস রয়েছে। আরো সহীহ হাদীসে রয়েছেঃ “ মুসলমানের পরিস্পরিক প্রেম-প্রীতি, দয়া-সহানুভূতি ও মিলামিশার দৃষ্টান্ত একটি দেহের মত । যখন কোন অঙ্গে ব্যথা হয় তখন গোটা দেহ ঐ ব্যথা অনুভব করে, সারা দেহে জ্বর এসে যায় এবং সারা দেহ জেগে থাকার ( অর্থাৎ ঘুম না আসার ) কষ্ট পায়।" অন্য সহীহ হাদীসে আছেঃ “ এক মুমিন অপর মুমিনের জন্যে একটি দেয়ালের মত, যার একটি অংশ অপর অংশকে শক্ত ও দৃঢ় করে ।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তার এক হাতের অঙ্গুলিগুলোকে অপর হাতের অঙ্গুলিগুলোর মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেখিয়ে দেন।হযরত সাহল ইবনে সা'দ সায়েদী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ মুমিনের ঈমানদারের সাথে ঐ সম্পর্ক রয়েছে, যে সম্পর্ক মাথার দেহের সাথে রয়েছে । মুমিন ঈমানদারের জন্যে ঐ ব্যথা অনুভব করে যে ব্যথা অনুভব করে দেহ মাথার জন্যে ( অর্থাৎ মাথায় ব্যথা হলে যেমন দেহ তা অনুভব করে, অনুরূপভাবে এক মুমিন ব্যথা পেলে অন্য মুমিনও তার ব্যথায় ব্যথিত হয় )।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)অতঃপর আল্লাহ পাক বলেনঃ ‘সুতরাং তোমরা তোমাদের ভ্রাতৃদ্বয়ের মধ্যে সন্ধি স্থাপন কর।' অর্থাৎ বিবাদমান দুই ভাইয়ের মধ্যে সন্ধি করিয়ে দাও। আর সমস্ত কাজ-কর্মের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে চল। আর এটা এমন বিশেষণ যার কারণে তোমাদের উপর আল্লাহর করুণা বর্ষিত হবে। যারা আল্লাহকে ভয় করে চলে তাদের সাথেই আল্লাহর রহমত থাকে।

সূরা হুজরাত আয়াত 10 সূরা

إنما المؤمنون إخوة فأصلحوا بين أخويكم واتقوا الله لعلكم ترحمون

سورة: الحجرات - آية: ( 10 )  - جزء: ( 26 )  -  صفحة: ( 516 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন।
  2. তারা ছেড়ে গিয়েছিল কত উদ্যান ও প্রস্রবন,
  3. বিশ্ববাসীর মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।
  4. এমনিভাবে আমি গোনাহগারদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি।
  5. আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু।
  6. অতএব, আপনি তাদেরকে এবং তাদের মিথ্যাপবাদকে মুক্ত ছেড়ে দিন যাতে কারুকার্যখচিত বাক্যের প্রতি তাদের মন
  7. এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি,
  8. যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই
  9. সে বললঃ আমাকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।
  10. তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের অধিকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকেই গ্রহণ করুন কর্মবিধায়করূপে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হুজরাত ডাউনলোড করুন:

সূরা Hujurat mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hujurat শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হুজরাত  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হুজরাত  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হুজরাত  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হুজরাত  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হুজরাত  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হুজরাত  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হুজরাত  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হুজরাত  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হুজরাত  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হুজরাত  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হুজরাত  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হুজরাত  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হুজরাত  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হুজরাত  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হুজরাত  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হুজরাত  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হুজরাত  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হুজরাত  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হুজরাত  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হুজরাত  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হুজরাত  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হুজরাত  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হুজরাত  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হুজরাত  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হুজরাত  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers