কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 105 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 105 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 105 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿مَّا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَلَا الْمُشْرِكِينَ أَن يُنَزَّلَ عَلَيْكُم مِّنْ خَيْرٍ مِّن رَّبِّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ﴾
[ البقرة: 105]

আহলে-কিতাব ও মুশরিকদের মধ্যে যারা কাফের, তাদের মনঃপুত নয় যে, তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষ ভাবে স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন। আল্লাহ মহান অনুগ্রহদাতা। [সূরা বাকারাহ্: 105]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 105


গ্রন্থপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা এবং মুশরিকরা চায় না যে তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে কোনো কল্যাণ তোমাদের প্রতি নাযিল হোক। কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর করুণার জন্য যাকে ইচ্ছা করেন মনোনীত করেন। আর আল্লাহ্ অপার কল্যাণের অধিকারী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১০৫. কাফিররা তথা আহলে কিতাব ও মুশরিকরা কেউই চায় না যে, তোমাদের উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন কল্যাণ নাযিল হোক। কম-বেশি যাই হোক না কেন। তবে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রহমত তথা নবুওয়াত, ওহী ও ঈমান দিয়ে যাকে ইচ্ছা তাকেই বিশেষায়িত করে থাকেন। কারণ, তিনিই হলেন মহান অনুকম্পাশীল। তাঁর ইচ্ছা ব্যতিরেকে কোন সৃষ্টির নিকট কোন প্রকার কল্যাণ পৌঁছাতে পারে না। তাঁর নিজ অনুগ্রহেই তিনি রাসূল পাঠিয়েছেন এবং কিতাব নাযিল করেছেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


গ্রন্থধারী ( ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান )দের মধ্যে যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অংশীবাদীগণ এটা চায় না যে, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমাদের প্রতি কোন কল্যাণ অবতীর্ণ করা হোক, অথচ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষভাবে আপন দয়ার পাত্ররূপে মনোনীত করেন এবং আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


কিতাবীদের [] মধ্যে যারা কুফরী করেছে তারা এবং মুশরিকরা এটা চায় না যে, তোমাদের রব-এর কাছ থেকে তোমাদের উপর কোন কল্যাণ নাযিল হোক। অথচ আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছে নিজ রহমত দ্বারা বিশেষিত করেন। আর আল্লাহ্‌ মহা অনুগ্রহশীল। [] আহলে-কিতাব শব্দদ্বয়ের অর্থ কিতাবওয়ালা বা গ্রন্থধারী। আল্লাহ্‌ তা'আলা আহলে কিতাব বলে তাদেরকেই বুঝিয়েছেন, যাদেরকে তিনি ইতঃপূর্বে তাঁর পক্ষ থেকে কোন হিদায়াত সম্বলিত গ্রন্থ প্রদান করেছেন। ইয়াহুদী এবং নাসারারা সর্বসম্মতভাবে আহলে কিতাব। এর বাইরে আল্লাহ্‌ তা'আলা অন্য কোন জাতিকে কিতাব দিয়েছেন বলে সঠিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১০৪-১০৫ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা এ আয়াতে তার মুমিন বান্দাগণকে কাফিরদের কথা বার্তা এবং তাদের কাজের সাদৃশ্য হতে বিরত রাখছেন। ইয়াহূদীরা কতকগুলো শব্দ জিহবা বাঁকা করে বলতো এবং ওটা দ্বারা খারাপ অর্থ নিতো। যখন আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে বলতেনঃ ‘আমার কথা শোনো তখন তারা বলতোঃ ( আরবি ) এবং এর ভাবার্থ নিতে ( আরবি ) অর্থাৎ অবাধ্যতা। যেমন অন্য স্থানে আল্লাহ পাক বলেছেনঃ “ ইয়াহূদীদের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা কথাকে প্রকৃত শব্দ হতে সরিয়ে দেয় এবং বলে আমরা শুনি, কিন্তু মানি না । তারা ধর্মকে বিদ্রুপ করার জন্যে জিহ্বাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ( আরবি ) বলে। যদি তারা বলতো আমরা শুনলাম এবং মানলাম, আমাদের কথা শুনুন এবং আমাদের প্রতি মনোযোগ দিন, তবে এটাই তাদের জন্যে উত্তম ও উচিত হতো, কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাদের কুফরীর কারণে তাদেরকে স্বীয় রহমত হতে দূরে নিক্ষেপ করেছেন, তাদের মধ্যে ঈমান খুব কমই রয়েছে।”হাদীসসমূহে এটাও এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ এরা যখন সালাম করতো তখন ( আরবি ) বলতো । আর ( আরবি ) শব্দের অর্থ হচ্ছে মৃত্যু। সুতরাং তোমরা তার উত্তরে ( আরবি ) বল। তাদের ব্যাপারে আমাদের দু'আ কবুল হবে কিন্তু আমাদের ব্যাপারে তাদের দু’আ কবুল হবে না।” মোটকথা, কথা ও কাজে তাদের সাথে সাদৃশ্য নিষিদ্ধ।মুসনাদ-ই-আহমাদের হাদীসে হযরত আবু ওমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমি কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে তরবারীর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছি । আল্লাহ তা'আলা আমার আহার্য আমার বর্শার ছায়ার নীচে রেখেছেন এবং লাঞ্ছনা ও হীনতা ঐ ব্যক্তির জন্যে-যে আমার নির্দেশের উল্টো করে। আর যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের ( অমুসলিমের ) সঙ্গে সাদৃশ্য আনয়ন করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।' সুনান-ই-আবি দাউদের মধ্যেও এই পরের হাদীসটি বর্ণিত আছে। এই আয়াত ও হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, কাফিরদের কথা, কাজ, পোশাক, ঈদ ও ইবাদতের সহিত সাদৃশ্য স্থাপন করা চরমভাবে নিষিদ্ধ। শরীয়তে ওর ওপর শাস্তির ধমক রয়েছে এবং চরমভাবে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে।হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ ( রাঃ ) বলেনঃ 'যখন তোমরা ( আরবি ) শুনতে পাও তখন কান লাগিয়ে দাও এবং ওর প্রতি মনঃসংযোগ কর, হয়তো কোন ভাল কাজের নির্দেশ দেয়া হবে কিংবা কোন মন্দ কাজ হতে নিষেধ করা হবে।' হযরত খাইসুমা ( রঃ ) বলেনঃ তাওরাতে বানী ইসরাঈলকে আল্লাহ তাআলা সম্বোধন করে বলেছেনঃ ( আরবি ) কিন্তু মুহাম্মদ ( সঃ ) এর উম্মতকে সম্মানজনক সম্বোধন করে ( আরবি ) বলেছেন।' ( আরবি )-এর অর্থ হচ্ছে আমাদের দিকে কান লাগিয়ে দাও।' হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেনঃ “ এর অর্থ হচ্ছে ‘বিপরীত অর্থাৎ ‘বিপরীত’ এ কথা বলো না।” হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) হতে এটাও বর্ণিত আছে যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে-‘আপনি আমাদের কথা শুনুন এবং আমরা আপনার কথা শুনি’ আনসারগণও ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এর সামনে এ কথাই বলতে আরম্ভ করেছিলেন, যা থেকে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে নিষেধ করেছেন হযরত হাসান বসরী ( রঃ ) বলেন যে, ( আরবি ) বলা হয় বিদ্রুপ ও উপহাসকে। অর্থাৎ “ তোমরা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর কথাকে ও ইসলামকে বিদ্রুপ করো না । আবূ সাখর ( রঃ ) বলেনঃ “ যখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) চলতে থাকেন তখন কারও কিছু বলার থাকলে বলতো-‘আমার দিকে কান লাগিয়ে দিন এ বেয়াদবীর কারণে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে একথা বলতে নিষেধ করেন এবং স্বীয় নবীর ( সঃ ) সম্মান করার শিক্ষা দেন। সুদ্দী ( রঃ ) বলেন যে, রিফাআ' বিন ইয়াযীদ নামক ইয়াহুদী রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সঙ্গে কথা বলার সময় একথাটি বলতো। মুসলমানরা এ কথাটি সম্মানজনক মনে করে এটাই নবী ( সঃ )কে বলতে আরম্ভ করেন। আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে এটা নিষেধ করেন। যেমন সূরা-ই-নিসার মধ্যেও আছে। ভাবার্থ এই যে, আল্লাহ তা'আলা এ কথাটিকে খারাপ জেনেছেন এবং মুসলমানদেরকে এটা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ ( স ) বলেছেনঃ তোমরা আঙ্গুরকে করম' এবং গোলামকে ‘আব্দ' বলো না ইত্যাদি। এখন আল্লাহ তা'আলা মন্দ অন্তর বিশিষ্ট লোকদের হিংসা ও বিদ্বেষ সম্পর্কে মুসলমানদেরকে বলেছেন যে, তারা যে একজন পূর্ণাঙ্গ নবীর ( সঃ ) মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ শরীয়ত লাভ করেছে এজন্যে তারা জ্বলে পুড়ে মরছে। তাদের এটা জানা উচিত যে, এটাতো আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ। তিনি যাকে চান তার উপরই অনুগ্রহ বর্ষণ করে থাকেন। তিনি বড়ই অনুগ্রহশীল।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 105 সূরা

ما يود الذين كفروا من أهل الكتاب ولا المشركين أن ينـزل عليكم من خير من ربكم والله يختص برحمته من يشاء والله ذو الفضل العظيم

سورة: البقرة - آية: ( 105 )  - جزء: ( 1 )  -  صفحة: ( 16 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তবে কি আমি ব্যতীত তাদের এমন দেব-দেবী আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করবে? তারা তো নিজেদেরই
  2. তারপর আমি তাতেও তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নাও।
  3. শপথ প্রভাতকালের যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়,
  4. বরং তোমরা ধারণ করেছিলে যে, রসূল ও মুমিনগণ তাদের বাড়ী-ঘরে কিছুতেই ফিরে আসতে পারবে না
  5. কোন সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট কালের অগ্রে যেতে পারে না। এবং পশ্চাতেও থকাতে পারে না।
  6. তাদেরকে তো শ্রবণের জায়গা থেকে দূরে রাখা রয়েছে।
  7. অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত
  8. আপনার পূর্বে কত রাসূলের সাথে ঠাট্টা করা হয়েছে। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে কিছু অবকাশ দিয়েছি। ,
  9. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব তাঁরই। সবকিছু তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।
  10. এবং যারা বলে, হে আমার পালনকর্তা, আমাদের কাছথেকে জাহান্নামের শাস্তি হটিয়ে দাও। নিশ্চয় এর শাস্তি

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers