কোরান সূরা আ'রাফ আয়াত 108 তাফসীর
﴿وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ﴾
[ الأعراف: 108]
আর বের করলেন নিজের হাত এবং তা সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের চোখে ধবধবে উজ্জ্বল দেখাতে লাগল। [সূরা আ'রাফ: 108]
Surah Al-Araf in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Araf ayat 108
আর তিনি তাঁর হাত বের করলেন, তখন আশ্চর্য! তা হলো দর্শকদের কাছে সাদা।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১০৮. তেমনিভাবে তিনি তাঁর হাতখানা নিজের বুকের দিককার জামার খোলা জায়গা অথবা নিজের বগলের নিচ থেকে বের করলে তা প্রচÐ শুভ্রতায় দর্শকদের সামনে জ্বলজ্বল করতে থাকে। তবে তা নিছক সাদাই ছিলো তাতে কোন শ্বেত রোগ ছিলো না।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
এবং সে তার হাত বের করল আর তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের দৃষ্টিতে শুভ্র উজ্জ্বল প্রতিভাত হল। [১] [১] অর্থাৎ, মহান আল্লাহ যে বড় দুটি মু'জিযা তাঁকে দান করেছিলেন, তা নিজ সত্যতার প্রমাণে পেশ করলেন।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
এবং তিনি তাঁর হাত বের করলেন [ ১ ] আর সাথে সাথেই তা দর্শকদের কাছে শুভ্র উজ্জ্বল দেখাতে লাগল [ ২ ]। [ ১ ] ( نزع ) অর্থ হচ্ছে কোন একটি বস্তুকে অপর একটি বস্তুর ভেতর থেকে কিছুটা বল প্রয়োগের মাধ্যমে বের করা। অর্থাৎ নিজের হাতটিকে টেনে বের করলেন। এখানে কিসের ভেতর থেকে বের করলেন তা উল্লেখ করা হয়নি। অন্য আয়াতে দু’টি বস্তুর উল্লেখ রয়েছে। এক স্থানে এসেছে স্বীয় হাত গলাবন্ধ কিংবা বগলের নীচ থেকে অর্থাৎ কখনো গলাবন্ধর ভিতরে ঢুকিয়ে তা বের করলে আবার কখনো বগল-তলে দাবিয়ে সেখান থেকে বের করে আনলে এ মু'জিযা প্রকাশ পেত অর্থাৎ সে হাতটি দর্শকদের সামনে প্রদীপ্ত হতে থাকত। [ ২ ] তখন ফির’আউনের দাবীতে মূসা আলাইহিস সালাম দুটি মু'জিযা প্রদর্শন করেছিলেন। একটি হল লাঠির সাপ হয়ে যাওয়া আর অপরটি হল হাত গলাবন্ধ কিংবা বগলের নীচে দাবিয়ে বের করে আনলে তার প্রদীপ্ত ও উজ্জ্বল হয়ে উঠা। প্রথম মু'জিযাটি ছিল বিরোধীদেরকে ভীতি প্রদর্শন করার জন্য আর দ্বিতীয়টি তাদেরকে আকৃষ্ট করে আনার উদ্দেশ্যে। এতে ইঙ্গিত ছিল যে, মূসা আলাইহিস সালামের শিক্ষায় হেদায়াতের জ্যোতি রয়েছে আর সেটির অনুসরণ ছিল কল্যাণের কারণ।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
১০৭-১০৮ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত মূসা ( আঃ ) স্বীয় লাঠিখানা সামনে নিক্ষেপ করলেন। তখনই ওটা আল্লাহর কুদরতে একটা বিরাট অজগর সাপে পরিণত হলো এবং ফিরাউনের দিকে বেগে ধাবিত হলো। ফিরাউন তখন সিংহাসন থেকে লাফিয়ে পড়লো এবং চীকার করে হযরত মূসা ( আঃ )-কে বলে উঠলোঃ “ হে মূসা ( আঃ )! ওকে টেনে নাও ।' তিনি তখন ওকে টেনে ধরলেন। তৎক্ষণাৎ ওটা লাঠি হায়ে গেলো। সুদ্দী ( রঃ ) বলেন যে, যখন ঐ সাপটি হা করলো তখন ওর নীচের চোয়াল ছিল মাটিতে এবং উপরের চোয়াল ছিল দালানের দেয়ালের উপর। যখন ওটা ফিরাউনের দিকে ধাবিত হলো তখন সে কেঁপে উঠলো ও লাফিয়ে পড়ে পালাতে লাগলো এবং চীকার করে বলে উঠলো- “ হে মূসা ( আঃ )! ওকে ধরে নাও । আমি তোমার উপর ঈমান আনছি এবং বানী ইসরাঈলকে তোমার সাথে পাঠিয়ে দিচ্ছি।” হযরত মূসা ( আঃ ) তখন ওটাকে ধরে নিলেন। তেমনই ওটা পুনরায় লাঠি হয়ে গেল। মূসা ( আঃ ) যখন ফিরাউনের কাছে এসেছিলেন তখন সে বলেছিলঃ “ হে মূসা ( আঃ )! তুমি কে তা আমি বলবো কি?” হযরত মূসা ( আঃ ) বললেনঃ হ্যাঁ, বল । সে বললোঃ “ তুমি তো ঐ ব্যক্তিই যে আমার কাছেই লালিত পালিত হয়ে বড় হয়েছে” হযরত মূসা ( আঃ ) তার উত্তর দিয়ে দিলে সে তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় । মূসা ( আঃ ) তখন তার লাঠিখানা মাটিতে নিক্ষেপ করেন। তৎক্ষণাৎ ওটা বিরাট এক অজগরে পরিণত হয়ে চলতে শুরু করে এবং জনগণের উপর আক্রমণ করে বসে। জনগণের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। ঐ হুড় হাঙ্গামার মধ্যে পঁচিশ হাজার লোক প্রাণ হারায়। ফিরাউন পালিয়ে গিয়ে স্বীয় প্রাসাদে প্রবেশ করে। এই বর্ণনাটি খুবই দুর্বল। আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞানের অধিকারী।এখন ইরশাদ হচ্ছে-মূসা ( আঃ )-এর দ্বিতীয় মু'জিযা ছিল এই যে, যখন তিনি জামার মধ্যে হাত ভরে তা বের করতেন তখন ওটা সীমাহীন আলোকময় হয়ে উঠতো এবং এমন চাকচিক্যময় ও উজ্জ্বল হতো যে, ওর দিকে চোখ ধরা যেতো না। ওর আলোর মধ্যে কোনই ক্রটি ছিল না। যখন তিনি তাঁর সেই হাতকে আস্তিনের মধ্যে প্রবেশ করাতেন তখন ওটা পূর্বরূপ ধারণ করতো।
সূরা আ'রাফ আয়াত 108 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- অতঃপর হযরত আদম (আঃ) স্বীয় পালনকর্তার কাছ থেকে কয়েকটি কথা শিখে নিলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক
- অথচ এই কোরআন তো বিশ্বজগতের জন্যে উপদেশ বৈ নয়।
- এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
- যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ।
- তারা বলেঃ আগুন আমাদিগকে কখনও স্পর্শ করবে না; কিন্তু গণাগনতি কয়েকদিন। বলে দিনঃ তোমরা কি
- যখন তাদেরকে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ পাঠ করে শুনানো হয়, তখন সত্য আগমন করার পর কাফেররা
- তারা কি প্রত্যক্ষ করেনি আকাশ ও পৃথিবীর রাজ্য সম্পর্কে এবং যা কিছু সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ
- আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না।
- নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী,
- অতঃপর আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আ'রাফ ডাউনলোড করুন:
সূরা Araf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Araf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers