কোরান সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 111 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Isra ayat 111 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 111 আরবি পাঠে(Al Isra).
  
   

﴿وَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُن لَّهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُن لَّهُ وَلِيٌّ مِّنَ الذُّلِّ ۖ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا﴾
[ الإسراء: 111]

বলুনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি না কোন সন্তান রাখেন, না তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন শরীক আছে এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোন সাহয্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং আপনি স-সম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ন?2476;র্ণনা করতে থাকুন। [সূরা বনী ইসরাঈল: 111]

Surah Al-Isra in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Isra ayat 111


আর তুমি বলো -- ''সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র, যিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেন নি, আর যাঁর জন্য এই সাম্রাজ্যে কোনো শরিক নেই, এবং যাঁর কোনো মনিব নেই দুর্দশা থেকে, সুতরাং তাঁর মাহা‌ত্ম্য ঘোষণা করো সসম্ভ্রমে।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


১১১. হে রাসূল! আপনি বলুন: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি মূলতঃ সকল প্রশংসারই উপযুক্ত। যিনি সন্তান ও শরীক থেকে পবিত্র। তাঁর ক্ষমতায় কোন শরীক নেই। লাঞ্ছনা ও অবমাননা তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না। তাই তাঁর কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই। আপনি তাঁকে বেশি বেশি সম্মান করুন। অতএব, আপনি তাঁর সাথে কোন সন্তান বা ক্ষমতার অংশীদার অথবা কোন সাহায্যকারী ও সহযোগীকে সম্পৃক্ত করবেন না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


বল, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন অংশীদার নেই এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না; যে কারণে তাঁর অভিভাবকের প্রয়োজন হতে পারে।’ আর সসম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


বলুন। ‘প্রশংসা আল্লাহ্রই যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি [] , তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন অংশীদার নেই [] এবং দুর্দশাগ্রস্ততা থেকে বাঁচতে তাঁর অভিভাবকের প্রয়োজন নেই []। আর আপনি সসম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা করুন। [] এখানে প্রত্যক্ষভাবে রাসূলকে নির্দেশ দেয়া হলেও নির্দেশটি সমস্ত উম্মতের জন্যও প্রযোজ্য। সবাইকে তাওহীদের ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করার আদেশ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে তাওহীদের এ অংশের নির্দেশ সম্বলিত আয়াতসমূহ এসেছে। [ যেমন, সূরা ইখলাস, সূরা আল জিনঃ ৩, সূরা আল-মু'মিনূনঃ ৯১, সূরা আল-আনআমঃ ১০১, সূরা আল-বাকারাহ ১১৬, সূরা ইউনুসঃ ৬৮, সূরা আল-কাহফঃ ৪, সূরা মারইয়ামঃ ৮৮-৯২, সূরা আল আম্বিয়াঃ ২৬, সূরা আল-ফুরকানঃ ২ ] এ সমস্ত আয়াতে যে সত্যটি তুলে ধরা হয়েছে তা হলো, দয়াময় আল্লাহর জন্য সন্তান গ্রহণ অসম্ভব। সন্তান তো তারাই আশা করে যারা তাদের অবর্তমানে তাদের কাজকারবার দেখাশুনা, তাদের নাম টিকিয়ে রাখা, তাদের চাহিদা পূরণ, তাদের কর্মকাণ্ডে সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন পড়ে। মহান আল্লাহ তা’আলা এ সমস্ত কিছু থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। তিনি সর্বদা আছেন ও থাকবেন। তার কোন অভাব নেই। সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী। সুতরাং আল্লাহর কোন সন্তান হতে পারে না। এতে ইয়াহুদী ও নাসারাদের দাবীর রদ করা হয়েছে। [ দেখুন, ফাতহুল কাদীর ] [] এখানে আরও যে সমস্ত কারণে মানুষ তাওহীদ থেকে বিচ্যুত হয় তা হচ্ছে, কোন কোন মানুষ মনে করে থাকে যে, যদি তার সন্তান নাও থাকে তার রাজত্বে ও রবুবিয়াতে অন্য কেউ শরীক আছে। সুতরাং তাদেরকেও সন্তুষ্ট করা উচিত। যেমন, মাজুস সম্প্রদায় মনে করে থাকে। তারা দু’জন ইলাহ নির্ধারণ করে থাকে। [ ফাতহুল কাদীর ] অনুরূপভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও অনেকে এ ধরনের বিশ্বাস করে থাকে। [] এখানে সে সমস্ত মুশরিকদের কথা বলা হয়েছে যারা বিভিন্ন দেবতা ও জ্ঞানী গুণী মহামানবদের সম্পর্কে বিশ্বাস করতো যে, আল্লাহ নিজের সার্বভৌম কর্তৃত্বের বিভিন্ন বিভাগ এবং নিজের রাজত্বের বিভিন্ন এলাকা তাদের ব্যবস্থাপনায় দিয়ে দিয়েছেন। এখানে তাদের এ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করা হয়েছে যে, আল্লাহ এমন নন যে, তিনি কোন কাজ করতে গিয়ে অপর কাজ করতে অপারগ হয়ে পড়েন। সুতরাং তার সহকারী কেন লাগবে? সুতরাং তাদের যে বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ নিজে তাঁর সার্বভৌম কর্তৃত্বের বোঝা বহন করতে অক্ষম, তাই তিনি নিজের জন্য কোন সাহায্যকারী ও নির্ভর তালাশ করে বেড়াচ্ছেন। এটা একান্ত ভ্ৰান্ত ধারণা ও বিশ্বাস। তাই বলা হয়েছে, আল্লাহ অক্ষম নন। তাঁর কোন ডেপুটি, সহকারী ও সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই। [ দেখুন, ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১১০-১১১ নং আয়াতের তাফসীর কাফিররা আল্লাহ তাআলার করুণার বিশেষণে অস্বীকারকারী ছিল। তার একটি গুণবাচক নাম যে রহমান তা তারা মানতো না বা বুঝতো না। তখন আল্লাহ তাআলা নিজের জন্যে এটা সাব্যস্ত করছেন এবং বলছেনঃ এটা নয় যে, তাঁর নাম শুধু আল্লাহই হবে এবং শুধু রহমানই হবে, অন্য কিছু হবে না। বরং এ ছাড়াও তার আরো বহু উত্তম ও সুন্দর নাম রয়েছে। যে পবিত্র নামের মাধ্যমেই ইচ্ছা তাঁর কাছে প্রার্থনা কর। সূরায়ে হাশরের শেষেও তিনি তাঁর অনেক নাম বর্ণনা করেছেন।একজন মুশরিক রাসূলুল্লাহকে ( সঃ ) সিজদার অবস্থায় ( আরবি )( আরবি ) বলতে শুনে বলে ওঠেঃ “ এই একত্ববাদীকে দেখো, দুই খোদাকে ডাকছে!” ঐ সময় এই আয়াত অবতীর্ণ হয় ।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ নামাযে স্বর খুব উচ্চও করো না এবং খুব ক্ষীণও করো না। এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) মক্কায় গোপনীয়ভাবে ছিলেন। যখন তিনি সাহাবীদেরকে নামায পড়াতেন এবং তাতে উচ্চ শব্দে কিরআত পড়তেন তখন মুশরিকরা কুরআনকে, আল্লাহকে এবং রাসূলকে ( সঃ ) গালি দিতো। তাই, উচ্চ শব্দে কিরআত পড়তে নিষেধ করলেন। এরপর বললেনঃ এতো ক্ষীণ স্বরেও পড়ো না যে, তোমার সাথীরাও শুনতে পায় না। বরং এ দুয়ের মধ্যপথ অবলম্বন কর। অতঃপর যখন তিনি হিজরত করে মদীনায় আসলেন, তখন এই বিপদ কেটে গেল। তখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই কিরআত পাঠের অধিকার থাকলো। যেখানে কুরআন পাঠ করা হতো সেখান থেকে মুশরিকরা পালিয়ে যেতো কেউ শুনবার ইচ্ছা করলে লুকিয়ে ও নিজেকে বাঁচিয়ে শুনে নিতো। কিন্তু মুশরিকরা জানতে পারলে তাকে কঠিন শাস্তি দিতো। এখন খুব জোরে পড়লে মুশরিকদের গালির ভয় এবং খুবই আস্তে পড়লে যারা লুকিয়ে শুনতে চায় তারা বঞ্চিত থেকে যায়। তাই, মধ্যপথ অবলম্বন করার নির্দেশ দেয়া হয়। মোট কথা, নামাযের কিরআতের ব্যাপারে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু বকর ( রাঃ ) নামাযে কিরআত খুব ক্ষীণস্বরে পাঠ করতেন। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ “ আমি আমার প্রতিপালকের সাথে সলা-পরামর্শ করে থাকি । তিনি আমার প্রয়োজনের খবর রাখেন।” তখন তাঁকে বলা হয়ঃ “ এটা খুব উত্তম ।” আর হযরত উমার ( রাঃ ) নামাযে কিরআত উচ্চ স্বরে পড়তেন। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ “ আমি শয়তানকে তাড়াই ও ঘুমন্তকে জাগ্রত করি ।” তাঁকেও বলা হলোঃ “ এটা খুব ভাল ।” কিন্তু যখন এই আয়াতটি অবতীর্ণ হলো তখন হযরত, আবু বকর ( রাঃ ) স্বর কিছু উঁচু করেন এবং হযরত উমার ( রাঃ ) স্বর কিছু ক্ষীণ করেন।হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, এই আয়াতটি দুআ’র ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। অনুরূপভাবে সুফইয়ান ছাওরী ( রঃ ), মালিক ( রঃ ) হতে, তিনি হিশাম ( রঃ ) হতে, তিনি উরওয়া ( রাঃ ) হতে, তিনি তাঁর পিতা হতে এবং তিনি হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, এই আয়াতটি দুআ’র ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। হযরত মুজাহিদ ( রঃ ), হযরত সাঈদ ইবনু যুবাইর ( রঃ ), হযরত আবু আইয়া ( রঃ ), হযরত মাকহুল ( রঃ ) এবং হযরত উরওয়া ইবনু যুবাইরেরও ( রঃ ) এটাই উক্তি।বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) যখনই সালাম ফিরাতেন তখনই একজন বেদুঈন বলতোঃ “ হে আল্লাহ! আমাকে উট দান করুন!” তখন এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় । অন্য একটি উক্তি এও আছে যে, এই আয়াতটি তাশাহহুদের সম্পর্কে নাযিল হয়। এও একটি উক্তি আছে যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ রিয়াকারী আমল করো না এবং আমল ছেড়েও দিয়ো না। আর এটাও করো না যে, উচ্চস্বরে পড়ার সময় ভাল করে পড়বে এবং ক্ষীণস্বরে পড়ার সময় মন্দ করে পড়বে।আহলে কিতাব ক্ষীণ স্বরে তাদের কিতাব পাঠ করতো এবং এরই মাঝে কোন কোন বাক্য উচ্চ স্বরে পড়তো। তখন সবাই মিলিতভাবে চীৎকার ও গোলমাল করতো। তখন তাদের সাথে সাদৃশ্য রাখতে নিষেধ করে দেয়া হয় আর অন্য লোক যেমন ক্ষীণ স্বরে পড়তো তার থেকেও বাধা দেয়া হয়। অতঃপর হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) এসে মধ্যপথ বাতলিয়ে দেন, যা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সুন্নাত বলে ঘোষণা দেন।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “ তোমরা এমনভাবে আল্লাহর প্রশংসা কর, যাতে তাঁর সমস্তগুণ ও পবিত্রতা বিদ্যমান থাকে । এইভাবে তার প্রশংসা ও গুণকীর্তণ করতে হবে, যে, তাঁর সমস্ত নাম উত্তম ও সুন্দর, তিনি সম্পূর্ণরূপে ত্রুটিমুক্ত, তাঁর সন্তান নেই, তার কোন অংশীদার নেই, তিনি এক ও একক। তিনি অভাবমুক্ত তাঁর পিতা মাতা নেই ও সন্তানও নেই, তাঁর সমকক্ষও কেউ নেই। তিনি এমন তুচ্ছ নন যে, তিনি কারো সাহায্যের মুখাপেক্ষী। তাঁর কোন পরামর্শদাতারও প্রয়োজন নেই। বরং সমস্ত কিছুর সৃষ্টিকর্তা ও মালিক একমাত্র তিনিই। তিনি সবারই উপর পূর্ণক্ষমতাবান এবং তিনিই সবার ব্যবস্থাপক। তিনি সৃষ্টজীবের উপর যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। তিনি এক ও অংশী বিহীন। তিনি কারো সাথে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেন না এবং তিনি কারো সাহায্যেরও আশাধারী নন। তোমরা সব সময় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, বড়ত্ব, পবিত্রতা ও বুযর্গী বর্ণনা করতে থাকো। আর মুশরিকরা তার উপর যে অপবাদ লেপন করে তার থেকে তিনি যে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র তা তোমরা ঘোষণা করে দাও। ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা তো বলতো যে, আল্লাহর সন্তান রয়েছে। ( নাউযুবিল্লাহ )। আর মুশরিকরা বলতোঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে হাযির আছি, আপনার কোন অংশীদার নেই, শুধু একজন অংশীদার রয়েছে, তারও মালিক আপনিই ।” সে যা কিছুর মালিক তারও মালিক আপনিই।” সাবী’ মাজুসীরা বলতোঃ “ যদি আল্লাহর ওয়ালীরা না থাকতো তবে তিনি একাই সমস্ত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করতে পারতেন না ( নাঊযুবিল্লাহ )” ঐ সময় এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। এর দ্বারা বাতিলপন্থীদের সমস্ত দাবী খণ্ডন করা হয়েছে।নবী ( সঃ ) তাঁর বাড়ীর ছোট বড় সকলকেও এই আয়াতটি শিখাতেন। তিনি এই আয়াতটির নাম রেখেছিলেন ( আরবি ) অর্থাৎ সম্মানিত আয়াত।কোন কোন হাদীসে আছে যে, যে বাড়ীতে রাত্রে এই আয়াত পাঠ করা হয় সেই বাড়ীতে কোন বিপদ আসতে এবং চুরি হতে পারে না।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) বলেনঃ “ আমি একদা রাসূলুল্লাহ( সঃ ) সাথে বের হই । আমার হাতখানা তাঁর হাতের মধ্যে অথবা তাঁর হাতখানা আমার হাতের মধ্যে ছিল। পথে চলতে চলতে একটি লোককে তিনি অত্যন্ত দুরাবস্থায় দেখতে পান। তাকে তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ “ তোমার অবস্থা এমন কেন?” উত্তরে লোকটি বলেঃ “হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! রোগ-শোক ও ক্ষয়-ক্ষতি আমার এই দূরাবস্থা ঘটিয়েছে । তিনি তখন তাকে বললেনঃ “ আমি তোমাকে এমন কিছু অযীফা শিখিয়ে দেবো কি যার ফলে তোমার রোগ-শোক ও দুঃখদৈন্য সব দূর হয়ে যাবে?” উত্তরে লোকটি বললোঃ হা, হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! অবশ্যই বলুন । এতে বদর ও উহুদ যুদ্ধে আপনার সাথে হাযির হতে না পারার সমস্ত দুঃখ আমার দূর হয়ে যাবে।” তার একথায় নবী ( সঃ ) হেসে ওঠেন এবং বলেনঃ “ বদরী ও উহুদী সাহাবীদের মর্যাদা তুমি কবে লাভ করবে? তুমি তো তাদের তুলনায় সম্পূর্ণ শূন্যহস্ত ও পুঁজিহীন?” তখন আমি ( আবূ হুরাইরা (রাঃ ) বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! তাকে যেতে দিন! বরং আমাকে ঐ অযীফাটি শিখিয়ে দিন । তিনি বললেনঃ তুমি নিম্নের দুআটি পাঠ করবেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ আমি ঐ চিরঞ্জীবের ভরসা করছি যিনি মৃত্যু বরণ করেন না। সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি সন্তান গ্রহণ করেন নাই।” আমি তখন এই অযীফা পাঠ করতে শুরু করে দিই কয়েকদিন অতিবাহিত হতেই আমার অবস্থা সুন্দর হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাকে দেখে বললেনঃ “ হে আবু হুরাইরা ( রাঃ ) ! তোমার অবস্থা কিরূপ?” আমি উত্তরে বলিঃ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আপনি আমাকে যে অযীফা শিখিয়ে দিয়েছিলেন তা আমি পাঠ করার কারণে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে বরকত লাভ করেছি । ( এই হাদীসটির সনদ দুর্বল এবং এর মতনেও ‘নাকারাত' বা অস্বীকৃতি রয়েছে।হাফিয আবু ইয়ালা (রঃ ) এটাকে নিজের কিতাবে আনয়ন করেছেন। এ সব ব্যাপারে একমাত্র আল্লাহ তাআলার সঠিক জ্ঞান রয়েছে)

সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত 111 সূরা

وقل الحمد لله الذي لم يتخذ ولدا ولم يكن له شريك في الملك ولم يكن له ولي من الذل وكبره تكبيرا

سورة: الإسراء - آية: ( 111 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 293 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এবং মাছওয়ালার কথা স্মরণ করুন তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে চলে গিয়েছিলেন, অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি
  2. আর আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপকারীদের কি ধারণা কেয়ামত সম্পর্কে? আল্লাহ তো মানুষের প্রতি অনুগ্রহই
  3. বরং তারা কেয়ামতকে অস্বীকার করে এবং যে কেয়ামতকে অস্বীকার করে, আমি তার জন্যে অগ্নি প্রস্তুত
  4. তারা কি এমন কাউকে শরীক সাব্যস্ত করে, যে একটি বস্তুও সৃষ্টি করেনি, বরং তাদেরকে সৃষ্টি
  5. তারা বলবে, আমরা সত্যে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। কিন্তু তারা এতদূর থেকে তার নাগাল পাবে কেমন
  6. আমি আকাশ পৃথিবী ও পর্বতমালার সামনে এই আমানত পেশ করেছিলাম, অতঃপর তারা একে বহন করতে
  7. হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর,
  8. শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ কর। সে তার দলবলকে আহবান করে যেন
  9. আমি তাদের প্রতি একটিমাত্র নিনাদ প্রেরণ করেছিলাম। এতেই তারা হয়ে গেল শুষ্ক শাখাপল্লব নির্মিত দলিত
  10. আর তোমরা যখন বললে, হে মূসা, আমরা একই ধরনের খাদ্য-দ্রব্যে কখনও ধৈর্য্যধারণ করব না। কাজেই

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বনী ইসরাঈল ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Isra mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Isra শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বনী ইসরাঈল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers