কোরান সূরা আনআম আয়াত 132 তাফসীর
﴿وَلِكُلٍّ دَرَجَاتٌ مِّمَّا عَمِلُوا ۚ وَمَا رَبُّكَ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ﴾
[ الأنعام: 132]
প্রত্যেকের জন্যে তাদের কর্মের আনুপাতিক মর্যাদা আছে এবং আপনার প্রতিপালক তাদের কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন। [সূরা আনআম: 132]
Surah Al-Anam in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anam ayat 132
আর প্রত্যেকের জন্যে রয়েছে তারা যা করে সেই অনুপাতে স্তরসমূহ। আর তোমার প্রভু অনবহিত নন তারা যা করে সে- সন্বন্ধে।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১৩২. তাদের প্রত্যেকের আমল অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন মর্যদা রয়েছে। তাই বেশি অনিষ্টকামী ও কম অনিষ্টকামী এক হতে পারে না। না অনুসরণকারী ও অনুসরণীয় উভয়ই এক পর্যায়ের। যেমনিভাবে নেককারদের সাওয়াব এক পর্যায়ের নয়। বস্তুতঃ আপনার প্রতিপালক তাদের কর্মকাÐ সম্পর্কে গাফিল নন। বরং তিনি তা সবই জানেন। তাঁর নিকট কোন কিছুই গোপন নয়। তিনি অচিরেই তাদের আমলসমূহের প্রতিদান দিবেন।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
প্রত্যেকে যা করে তদনুসারে তার মর্যাদা রয়েছে এবং ওরা যা করে, সে সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালক অনবহিত নন। [১] [১] অর্থাৎ, প্রত্যেক মানুষ ও জ্বিনের নিজ নিজ আমল অনুযায়ী পারস্পরিক মর্যাদায় তারতম্য হবে। এ থেকে এ কথাও জানা গেল যে, জ্বিনরাও মানুষদের মত জান্নাতী ও জাহান্নামী হবে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর তারা যা আমল করে , সে অনুসারে প্রত্যেকের মর্যাদা রয়েছে এবং তারা যা করে সে সম্বন্ধে আপনার রব গাফেল নন।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
১৩১-১৩২ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ পাক বলেনঃ হে রাসূল ( সঃ )! এরূপ কখনও হতে পারে না যে, তোমার প্রভু আল্লাহ কোন গ্রাম বা শহরকে অন্যায়ভাবে এমন অবস্থায় ধ্বংস করবেন যখন ওর অধিবাসীবৃন্দ সত্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকে। তিনি বলেনঃ আমি এরূপভাবে ধ্বংস করি না, বরং তাদের কাছে রাসূল প্রেরণ করি এবং কিতাব অবতীর্ণ করি। এভাবে আমি তাদের ওযর পেশ করার সুযোগে হারিয়ে দেই, যাতে কাউকেও অন্যায়ভাবে পাকড়াও করা না হয় এবং তার কাছে তাওহীদের দাওয়াত না পৌঁছে থাকে। আমি লোকদের জন্যে কোন ওযর পেশ করার সুযোগ বাকী রাখিনি। আমি যদি কোন কওমের উপর শাস্তি পাঠিয়ে থাকি তবে তা তাদের কাছে রাসূল পাঠানোর পর। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “ কোন জনপদ এমন নেই যেখানে আমি আমার পক্ষ থেকে কোন ভয় প্রদর্শক রাসূল প্রেরণ করিনি ।” তিনি আরও বলেনঃ “ আমি প্রত্যেক কওমের মধ্যে রাসূল পাঠিয়ে বলেছি-তোমরা আল্লাহরই ইবাদত কর এবং শয়তান থেকে বেঁচে থাক ।” আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ “ আমি শাস্তি প্রদানকারী নই যে পর্যন্ত না রাসূল প্রেরণ করি ।” আল্লাহ পাক অন্য স্থানে বলেনঃ “ যখন কাফিরদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে তখন সেই জাহান্নামের রক্ষকগণ তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে- তোমাদের কাছে কি কোন ভয় প্রদর্শনকারী ( নবী ) আগমন করেননি? তারা উত্তরে বলবে-নিশ্চয়ই আমাদের কাছে ভয় প্রদর্শনকারী এসেছিলেন, কিন্তু আমরা অবিশ্বাস করেছিলাম ।এ বিষয় সম্পর্কীয় বহু আয়াত রয়েছে।ইমাম আবু জাফর ( রঃ ) বলেন যে, আল্লাহ তাআলার ( আরবী ) এই উক্তির দু'টি যুক্তি বা কারণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম কারণ হচ্ছে-আল্লাহর এটা নীতি নয়, তিনি কোন কওমকে তাদের শিরকের কারণে এমন অবস্থায় তাদের ধ্বংস করবেন যে অবস্থায় তাদের নিজেদের শিরকের কোন সংবাদই থাকে না। অর্থাৎ তিনি শাস্তি প্রদানে তাড়াতাড়ি করেন না, যে পর্যন্ত না তাদের কাছে কোন রাসূল পাঠিয়ে তাদেরকে শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেন এবং সেই রাসূল আল্লাহর হুজ্জত পূর্ণ করেন, আর আখিরাতের শাস্তি থেকে তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন। তিনি যদি কাউকে তার অজ্ঞাত অবস্থায় পাকড়াও করতেন তবে সে বলতোঃ আমার কাছে তো কোন সুসংবাদদাতা এবং ভয় প্রদর্শনকারী আসেননি। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে-আল্লাহ পাক বলছেন যে, তিনি তাদেরকে সতর্ক করা ছাড়া এবং রাসূল ও আয়াতের মাধ্যমে উপদেশ দান ব্যতীত ধ্বংস করেন না। নতুবা তাদের উপর এটা অত্যাচার হয়ে যেতো। আর আল্লাহ তো স্বীয় বান্দাদের উপর যুলুম করেন না। এর পরে আবু জাফর ( রঃ ) প্রথম কারণকে প্রাধান্য দেন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এ কারণটিই বেশী প্রবল ও উত্তম। আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন। আল্লাহ তা'আলার উক্তি ( আরবী ) অর্থাৎ প্রত্যেক সৎ ও অসৎ আমলকারীর জন্যে আমল হিসেবে মরতবা ও মর্যাদা রয়েছে। যার যেরূপ আমল সেই অনুপাতে সে প্রতিফল পাবে। যদি আমল ভাল হয় তবে পরিণাম ভাল হবে, আর যদি আমল খারাপ হয় তবে পরিণামও খারাপ হবে। আবার এ অর্থও হতে পারে যে, ঐ কাফির দানব ও মানবের কয়েকটি শ্রেণী বিভাগ রয়েছে। প্রত্যেক কাফিরের জন্যে জাহান্নামে তার পাপের পরিণাম অনুযায়ী শ্রেণীভেদ রয়েছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ প্রত্যেকের জন্যে দ্বিগুণ ( শাস্তি ) আছে ।” ( ৭:৩৮ ) আর এক জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ যারা কুফরী করেছে এবং লোকদেরকে সরল সহজ পথ থেকে সরিয়ে রেখেছে, আমি তাদেরকে শাস্তির উপর শাস্তি বেশী বেশী করে প্রদান করবো, কেননা তারা নিজেরাও কুফরী করেছে এবং অন্যদেরকেও কুফরীর পথে পরিচালিত করেছে আর তারা বিশৃংখলা ও অশান্তি সৃষ্টি করেছে । তোমার প্রভু তো তাদের আমল থেকে উদাসীন নন।”এই লোকগুলো আল্লাহর ইলমের মধ্যে রয়েছে। যখন তারা তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করবে তখন তিনি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা জর্জরিত করবেন।
সূরা আনআম আয়াত 132 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা কথা গড়ে অথবা তার কাছে সত্য আসার পর তাকে অস্বীকার করে,
- ইনশাআল্লাহ না বলে।
- অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন।
- তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত, শুকর মাংস এবং সেসব জীব-জন্তু যা আল্লাহ
- সে তোমাদিগকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে চায়। এ ব্যাপারে তোমাদের কি মত?
- সে বললঃ আমি আমার পালনকর্তার দিকে চললাম, তিনি আমাকে পথপ্রদর্শন করবেন।
- আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত
- তুই সত্যচ্যুত করে তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়ায দ্বারা, স্বীয় অশ্বারোহী ও পদাতিক
- তার মাতা, তার পিতা,
- যেদিন তারা বের হয়ে পড়বে, আল্লাহর কাছে তাদের কিছুই গোপন থাকবে না। আজ রাজত্ব কার?
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনআম ডাউনলোড করুন:
সূরা Anam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers