কোরান সূরা রা'দ আয়াত 14 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Raad ayat 14 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা রা'দ আয়াত 14 আরবি পাঠে(Raad).
  
   

﴿لَهُ دَعْوَةُ الْحَقِّ ۖ وَالَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِهِ لَا يَسْتَجِيبُونَ لَهُم بِشَيْءٍ إِلَّا كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى الْمَاءِ لِيَبْلُغَ فَاهُ وَمَا هُوَ بِبَالِغِهِ ۚ وَمَا دُعَاءُ الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ﴾
[ الرعد: 14]

সত্যের আহবান একমাত্র তাঁরই এবং তাকে ছাড়া যাদেরকে ডাকে, তারা তাদের কোন কাজে আসে না; ওদের দৃষ্টান্ত সেরূপ, যেমন কেউ দু’ হাত পানির দিকে প্রসারিত করে যাতে পানি তার মুখে পৌঁছে যায়। অথচ পানি কোন সময় পৌঁছাবে না। কাফেরদের যত আহবান তার সবই পথভ্রষ্টতা। [সূরা রা'দ: 14]

Surah Ar-Rad in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Raad ayat 14


সত্যিকারের প্রার্থনা তাঁরই জন্য। আর তাঁকে ছেড়ে দিয়ে তারা যাদের কাছে প্রার্থনা জানায় তারা তাদের প্রতি কোনো প্রকারের সাড়া দেয় না, তবে যেন সে তার দুই হাত পানির দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে যাতে তা তার মুখে পৌঁছুতে পারে, কিন্তু তা তাতে পৌঁছুবে না। বস্তুতঃ অবিশ্বাসীদের প্রার্থনা ভ্রান্তিতে ভিন্ন নয়।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৪. একমাত্র আল্লাহর জন্যই তাওহীদের প্রচারণা। তাঁর কেউ শরীক নেই। আর মুশরিকরা যে মূর্তিগুলোকে আল্লাহ ছাড়া ডাকে সেগুলো কোন ব্যাপারেই আহŸানকারীর আহŸানে সাড়া দেয় না। তাদের আহŸান কেবল সেই তৃষ্ণার্তের ন্যায় যে তার হাতকে প্রসারিত করে যেন তার মুখে পানি পৌঁছে যায় আর সে তা পান করতে পারে। অথচ এভাবে কখনো তার মুখে পানি পৌঁছাবে না। বস্তুতঃ মূর্তিগুলোর প্রতি কাফিরদের ডাক বৃথা ও সত্য পথ থেকে অনেক দূরে। কারণ, সেগুলো তাদের কোন উপকার করতে পারে না, না কোন ক্ষতি দূর করতে পারে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সত্যের আহবান তাঁরই।[১] আর যারা তাঁকে ছাড়া অন্যদেরকে আহবান করে ওরা তাদেরকে কোনই সাড়া দেয় না; তাদের দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির মত, যে নিজ হস্তদ্বয় পানির দিকে প্রসারিত করে; যাতে তার মুখে পৌঁছে। অথচ তা তাতে পৌঁছবার নয়।[২] বস্তুতঃ অবিশ্বাসীদের আহবান ব্যর্থতা ছাড়া কিছু নয়।[৩] [১] অর্থাৎ ভয় এবং আশার সময় শুধু এক আল্লাহকেই ডাকা উচিত। কেননা তিনিই প্রত্যেকের ডাক শোনেন এবং কবুল করেন। অথবা দা'ওয়াত শব্দের অর্থ ইবাদত অর্থাৎ তাঁরই ইবাদত সত্য এবং শুদ্ধ, তিনি ব্যতীত কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। কেননা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, মালিক ও পরিচালক তিনিই। সুতরাং ইবাদতও একমাত্র তাঁরই প্রাপ্য। [২]অর্থাৎ যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে সাহায্যের জন্য ডাকে, তাদের উদাহরণ এমন যেমন কোন মানুষ দূর থেকে পানির দিকে দুই হাত বাড়িয়ে পানিকে বলে যে, তুই আমার মুখ পর্যন্ত চলে আয়। স্পষ্ট কথা যে, পানি অচল ( নির্জীব ) বস্তু, তাকে খবরই নেই যে, হাত প্রসারণকারীর প্রয়োজন কী? আর না সে এটা জানে যে, সে মুখ পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার অনুরোধ করছে? আর না তার মধ্যে এই ক্ষমতাই আছে যে, সে নিজের স্থান থেকে চলে তার মুখ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। অনুরূপ এই মুশরিকরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে আহবান করে, তারা না এটা জানে যে, তাদেরকে কেউ আহবান করছে এবং তার অমুক প্রয়োজন রয়েছে, আর না তাদের মধ্যে প্রয়োজন মেটানোর ক্ষমতাই আছে। [৩] এবং বেকারও বটে, কেননা এতে তাদের কোন লাভ হবে না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


সত্যের আহ্বান তাঁরই। যারা তাঁকে ছাড়া অন্যকে আহ্বান করে, তাদেরকে কোন কিছুতেই তারা সাড়া দেয় না []; তাদের দৃষ্টান্ত সে ব্যক্তির মত, যে তার মুখে পানি পৌঁছবে এ আশায় তার দুহাত মেলে ধরে পানির দিকে, অথচ তা তার মুখে পৌঁছার নয়, আর কাফিরদের আহ্বান তো কেবল ভ্রষ্টতায় নিপতিত []। [] ডাকা মানে নিজের অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে সাহায্যের জন্য ডাকা। এর মানে হচ্ছে, অভাব ও প্রয়োজন পূর্ণ এবং সংকটমুক্ত করার সব ক্ষমতা একমাত্র তাঁর হাতেই কেন্দ্রীভূত। তাই একমাত্র তাঁর কাছেই প্রার্থনা করা সঠিক ও যথার্থ সত্য বলে বিবেচিত। তাঁর আহ্বানই হক্ক আহ্বান। সে আহ্বানের মূল হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। তিনি আল্লাহ্ ব্যতীত হক্ক কোন মা’বুদ নেই। ( دَعْوَةُ الْحَقِّ ) শব্দের তাফসীরে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে এটাই বর্ণিত আছে। [ দেখুন, তাবারী ] [] মুজাহিদ রাহেমাহুল্লাহ এর তাফসীরে বলেন, সে লোক মুখে পানির জন্য আহ্বান করছে আর পানির দিকে হাত বাড়াচ্ছে। এভাবে তো আর পানি কখনো মুখে পৌঁছে না। পানি পৌঁছার জন্য পানিকে আহ্বান না করে তা নিয়ে মুখে দিয়ে দিতে হয়। [ আত-তাফসীরুস সহীহ ] ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, এটা হলো মুশরিকের উদাহরণ। যে আল্লাহ্‌র সাথে শরীক করে তার উদাহরণ ঐ পিপাসার্ত ব্যক্তির মত যে তার মনে মনে পানির কথা ভেবে দূর থেকে পানি পাওয়ার আশা করে বসে আছে। সে পানি পাওয়ার শত আশা করলেও পানি পেতে পারে না। [ তাবারী ] তদ্রুপ মুশরিক ব্যক্তিও আল্লাহ্ ছাড়া অপর যাদেরকে ডাকে তাদের কাছে তার মনের যাবতীয় আশা-আকাংখা পূরণের আশা করে বসে আছে। কিন্তু তার আশা তো এভাবে কখনো পূরণ হবার নয়। তাকে তা পূরণ করতে হলে একমাত্র আল্লাহ্‌র কাছেই যেতে হবে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


হযরত আলী ইবনু আবি তা’লিব ( রাঃ ) বলেন যে, আল্লাহর জন্যে সত্য আহবান। এর দ্বারা একত্ববাদকে বুঝানো হয়েছে। মুহাম্মদ ইবনু মুনকাদির ( রঃ ) বলেন যে, এর দ্বারা ( আরবি ) উদ্দেশ্য। এরপর মুশরিক ও কাফিরদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হচ্ছে যে, যেমন কোন লোক পানির দিকে হস্ত প্রসারিত করে থাকে এই উদ্দেশ্যে যে, পানি নিজে নিজেই তার মুখে পেঁছৈ যাবে। কিন্তু এরূপ কখনো হতে পারে না। অনুরূপভাবে এই মুশরিকরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে আহ্‌বান করছে এবং তাদের কাছে আশা রাখছে, তাদের আশা তারা পূর্ণ করতে পারবে না। আবার ভাবার্থ এও হতে পারে যে, যেমন কেউ যদি তার হস্তের মুষ্ঠিতে পানি আটকে রাখে তবে ঐ পানি তার মুষ্ঠির মধ্যে আটকে থাকবে না। সুতরাং ( আরবি ) এর অর্থ ( আরবি ) হবে। যেমন কোন কবি বলেছেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ নিশ্চয় আমি ও তোমরা এবং তোমাদের প্রতি ভালবাসা স্থাপন হস্ত মুষ্ঠিতে পানি আটককারীর মতো, তার অঙ্গুলিগুলি তাকে পানি পান করায় না ।” অন্য একজন বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আমার মধ্যে ও তার মধ্যে যে প্রেম-প্রীতি ছিল তা হয়ে গেল হাতে পানি আটককারীর মত ।” সুতরাং যেমন মুষ্ঠিতে পানি বন্ধকারী এবং যেমন পানির দিকে হস্ত প্রসারিতকারী পানি থেকে বঞ্চিত থাকে, তেমনই এই মুশরিকরা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে আহবান করছে বটে, কিন্তু তারা বঞ্চিতই থাকবে। তারা দুনিয়া ও আখেরাতের কোনই উপকার লাভ করতে পারবে না। সুতরাং তাদেরকে আহ্‌বান করা সম্পূর্ণ অর্থহীন।

সূরা রা'দ আয়াত 14 সূরা

له دعوة الحق والذين يدعون من دونه لا يستجيبون لهم بشيء إلا كباسط كفيه إلى الماء ليبلغ فاه وما هو ببالغه وما دعاء الكافرين إلا في ضلال

سورة: الرعد - آية: ( 14 )  - جزء: ( 13 )  -  صفحة: ( 251 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. করাঘাতকারী কি?
  2. উভয় উদ্যানই ঘন শাখা-পল্লববিশিষ্ট।
  3. যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের কি ভয় নেই?
  4. হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন
  5. তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ।
  6. যা সীমাতিক্রমকারীদের জন্যে আপনার পালনকর্তার কাছে চিহিߦ#2468; আছে।
  7. আমি আপনার প্রতি উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ অবতীর্ণ করেছি। অবাধ্যরা ব্যতীত কেউ এগুলো অস্বীকার করে না।
  8. তারা বলেঃ তার প্রতি তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয়নি কেন? বলে দিনঃ
  9. অতএব আল্লাহর প্রতি ধারণা করো না যে, তিনি রসূলগণের সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করবেন নিশ্চয়
  10. তিনি বললেন, তোমরাই নিক্ষেপ কর। যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন লোকদের চোখগুলোকে বাধিয়ে দিল, ভীত-সন্ত্রস্ত

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রা'দ ডাউনলোড করুন:

সূরা Raad mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Raad শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত রা'দ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত রা'দ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত রা'দ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত রা'দ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত রা'দ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত রা'দ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত রা'দ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত রা'দ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত রা'দ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত রা'দ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত রা'দ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত রা'দ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত রা'দ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত রা'দ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত রা'দ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত রা'দ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত রা'দ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত রা'দ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত রা'দ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, June 19, 2025

Please remember us in your sincere prayers