কোরান সূরা আনকাবূত আয়াত 15 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ankabut ayat 15 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আনকাবূত আয়াত 15 আরবি পাঠে(Ankabut).
  
   

﴿فَأَنجَيْنَاهُ وَأَصْحَابَ السَّفِينَةِ وَجَعَلْنَاهَا آيَةً لِّلْعَالَمِينَ﴾
[ العنكبوت: 15]

অতঃপর আমি তাঁকে ও নৌকারোহীগণকে রক্ষা করলাম এবং নৌকাকে নিদর্শন করলাম বিশ্ববাসীর জন্যে। [সূরা আনকাবূত: 15]

Surah Al-Ankabut in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ankabut ayat 15


তখন আমরা তাঁকে ও জাহাজের আরোহীদের উদ্ধার করেছিলাম, আর একে আমরা বিশ্ববাসীর জন্য একটি নিদর্শন বানিয়েছিলাম।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৫. অতঃপর আমি নূহ ( আলাইহিস-সালাম ) ও তাঁর মু’মিন সাথীদেরকে নৌকায় উঠিয়ে প্লাবনে ডুবে গিয়ে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করলাম। আর আমি নৌকাটিকে শিক্ষা গ্রহণকারী মানুষের জন্য শিক্ষণীয় একটি বিষয় বানিয়ে দিলাম।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অতঃপর আমি তাকে এবং পানি-জাহাজের আরোহীদেরকে রক্ষা করলাম এবং বিশ্ব-জগতের জন্য একে করলাম একটি নিদর্শন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অতঃপর আমরা তাকে এবং যারা নৌকায় আরোহণ করেছিল তাদেরকে রক্ষা করলাম এবং সৃষ্টিকুলের জন্য এটাকে করলাম একটি নিদর্শন []। [] অর্থাৎ এ নৌকাটিকে আমরা সৃষ্টিকুলের জন্য শিক্ষণীয় নির্দশন করেছি। পরবর্তীকালের লোকদের জন্য শিক্ষণীয় করে দেয়া হয়েছে। অন্যত্র এসেছে, “ আর নূহকে আমরা বহন করালাম কাঠ ও কীলক নির্মিত এক নৌযানে, যা চলত আমাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে; এটা পুরস্কার তাঁর জন্য, যিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন । আর আমরা এটাকে রেখে দিয়েছি এক নিদর্শনরূপে; অতএব উপদেশগ্ৰহণকারী কেউ আছে কি?” [ সূরা আল-কামারঃ ১৩-১৫ ] এর মাধ্যমে একথাই সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, নৌকাটিই ছিল শিক্ষণীয় নির্দশন। শত শত বছর ধরে সেটি পর্বত শৃংগে অবস্থান করছিল। এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মদের কাছে এ সংবাদ পৌঁছে যেতে থেকেছে যে, এ ভূখণ্ডে এক সময় এমন ভয়াবহ প্লাবন এসেছিল যার ফলে এ নৌকাটি পাহাড়ের মাথায় উঠে যায়। [ ফাতহুল কাদীর ] অথবা আয়াতে ঈমানদারদেরকে নাজাত দেয়াকেই নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। [ মুয়াসসার ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৪-১৫ নং আয়াতের তাফসীর এখানে এর দ্বারা আল্লাহ তা'আলা স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। তিনি বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তোমাকে আমি খবর দিচ্ছি যে, হযরত নূহ ( আঃ ) এই দীর্ঘ সময় ও যুগ ধরে তাঁর কওমকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করতে থাকেন। দিবসে, রজনীতে প্রকাশ্যে ও গোপনে তিনি তাদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও তাদের হঠকারিতা ও পথভ্রষ্টতা বৃদ্ধি পেতেই থাকে। অতি অল্প সংখ্যক লোকই তাঁর উপর ঈমান আনয়ন করে। অবশেষে প্লাবনের আকারে তাদের উপর আল্লাহর গযব পতিত হয়। ফলে তারা সমূলে বিনাশ ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সুতরাং হে নবী ( সঃ )! তোমার কওম যে তোমাকে অবিশ্বাস করছে এটা নতুন কিছু নয়। কাজেই তুমি মনঃক্ষুন্ন হয়ো না। সুপথ প্রদর্শন করা ও পথভ্রষ্ট করা আল্লাহরই হাতে। যাদের জাহান্নাম সম্পর্কে ফায়সালা হয়েই গেছে তাদেরকে কেউই হিদায়াত করতে পারে না। সমস্ত নিদর্শন দেখার পরেও ঈমান আনয়ন তাদের ভাগ্যে হবে না। পরিশেষে যেমনভাবে হযরত নূহ ( আঃ ) মুক্তি পায় ও তার কওম পানিতে নিমজ্জিত হয়, তেমনিভাবে তুমি বিজয় লাভ করবে এবং তোমার বিরুদ্ধাচারীরা পরাজিত হবে।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বর্ণনা করেছেন যে, চল্লিশ বছর বয়সে হযরত নূহ ( আঃ ) নবুওয়াত লাভ করেন এবং নবুওয়াতের পর সাড়ে নয়শ’ বছর ধরে স্বীয় কওমের মধ্যে প্রচারকার্য চালাতে থাকেন। বিশ্বব্যাপী প্লাবনের পরেও হযরত নূহ ( আঃ ) ষাট বছর জীবিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত আদম সন্তানদের বংশ ছড়িয়ে পড়ে এবং পৃথিবীতে তাদের সংখ্যা অনেক হয়ে যায়।হযরত কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, হযরত নূহ ( আঃ )-এর মোট বয়স ছিল সাড়ে নয়শ’ বছর। তিনশ’ বছর তো তিনি তাদের মধ্যে প্রচার ছাড়াই কাটিয়ে দেন। তিনশ’ বছর পর্যন্ত তিনি স্বীয় কওমকে আল্লাহর পথে আহ্বান করতে থাকেন এবং প্লাবনের পর সাড়ে তিনশ' বছর তিনি জীবিত থাকেন। কিন্তু তাঁর এ উক্তিটি দুর্বল। আয়াতের বাহ্যিক শব্দ দ্বারা তো এটাই জানা যায় যে, হযরত নূহ ( আঃ ) সাড়ে নয়শ' বছর ধরে স্বীয় কওমকে আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকেন। আউন ইবনে আবি শাদ্দাদ ( রঃ ) বলেন যে, হযরত নূহ ( আঃ )-এর বয়স যখন সাড়ে তিনশ’ বছর ছিল ঐ সময় তাঁর কাছে আল্লাহর অহী আসে। এরপর সাড়ে নয়শ’ বছর পর্যন্ত তিনি জনগণের কাছে আল্লাহর কালাম পৌঁছাতে থাকেন। এরপর তিনি আরো সাড়ে তিনশ’ বছর বয়স পান। কিন্তু এই উক্তিটিও গারীব বা দুর্বল হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর উক্তিটিই সঠিকতম রূপে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। বর্ণিত আছে যে, হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) হযরত মুজাহিদ ( রঃ )-কে জিজ্ঞেস করেনঃ হযরত নূহ ( আঃ ) তাঁর কওমের মধ্যে কতদিন পর্যন্ত ছিলেন?” উত্তরে হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেনঃ “সাড়ে নয়শ’ বছর ।” তখন হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) তাঁকে বলেনঃ “ তখন হতে আজ পর্যন্ত লোকদের চরিত্র, বয়স এবং জ্ঞান কম হয়েই আসছে ।”হযরত নূহ ( আঃ )-এর কওমের উপর যখন আল্লাহর গযব নাযিল হয় তখন আল্লাহ তা'আলা স্বীয় অনুগ্রহে স্বীয় নবী ( আঃ )-কে এবং ঈমানদারদেরকে বাঁচিয়ে নেন যারা তাঁর নির্দেশক্রমে তার সাথে নৌকায় আরোহণ করেছিলেন। সূরায়ে হৃদে এর পূর্ণ তাফসীর গত হয়েছে। সুতরাং আমরা এখানে আর এর পুনরাবৃত্তি করছি না।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আমি বিশ্বজগতের জন্যে এটাকে করলাম একটি নিদর্শন। অর্থাৎ আমি স্বয়ং ঐ নৌকাকে বাকী রাখলাম। যেমন হযরত কাতাদা ( রঃ )-এর উক্তি এই যে, ইসলামের প্রথম যুগ পর্যন্ত ঐ নৌকাটি জুদী পর্বতে বিদ্যমান ছিল। অথবা ঐ নৌকাটি দেখে লোকেরা সামুদ্রিক সফরের জন্যে যে নৌকাগুলো বানিয়ে নেয় ঐগুলো, যাতে ওগুলো দেখে মহান আল্লাহর ঐ রক্ষা করার কথা স্মরণে আসে। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ তাদের এক নিদর্শন এই যে, আমি তাদের বংশধরদেরকে বোঝাই নৌযানে আরোহণ করিয়েছিলাম; এবং তাদের জন্যে অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি যাতে তারা আরোহণ করে। আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জিত করতে পারি; সে অবস্থায় তারা কোন সাহায্যকারী পাবে না এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না-আমার অনুগ্রহ না হলে এবং কিছুকালের জন্যে জীবনোপভোগ করতে দিলে।” ( ৩৬:৪১-৪৪ ) আর এক জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যখন জলোচ্ছাস হয়েছিল তখন আমি তোমাদেরকে আরোহণ করিয়েছিলাম নৌযানে । আমি এটা করেছিলাম তোমাদের শিক্ষার জন্যে এবং এই জন্যে যে, শ্রুতিধর কর্ণ এটা সংরক্ষণ করে।" ( ৬৯:১১-১২ )আল্লাহ তা'আলার উক্তিঃ ( আরবি ) এখনে ব্যক্তি হতে জাতি বা শ্রেণীর দিকে উঠানো হয়েছে। যেমন এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেছেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং ওগুলোকে করেছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ ।( ৬৭:৫ ) এখানে আল্লাহ তাআলা তারকামণ্ডলীকে আকাশের সৌন্দর্য হিসেবে বানানোর কথা বর্ণনা করার পর বলেন যে, ওগুলোকে তিনি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ করেছেন। আর এক জায়গায় মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকার উপাদান হতে । অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে।” ( ২৩:১২-১৩ ) এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে মৃত্তিকা দ্বারা সৃষ্টি করার কথা বলার পর বলেন যে, তিনি ওটাকে শুক্রবিন্দু রূপে স্থাপন করেন এক নিরাপদ আধারে।এটাও বলা হয়েছে যে, ( আরবি ) সর্বনামটি প্রত্যাবর্তিত হয়েছে ( আরবি ) বা শাস্তির দিকে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।

সূরা আনকাবূত আয়াত 15 সূরা

فأنجيناه وأصحاب السفينة وجعلناها آية للعالمين

سورة: العنكبوت - آية: ( 15 )  - جزء: ( 20 )  -  صفحة: ( 398 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সমূলে উৎপাটিত করেছিলাম।
  2. যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন।
  3. তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ,
  4. আর যারা ঈমান এনেছে পরবর্তী পর্যায়ে এবং ঘর-বাড়ী ছেড়েছে এবং তোমাদের সাথে সম্মিলিত হয়ে জেহাদ
  5. তোমাদেরও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপাকারার্থে।
  6. আমি জানি না সম্ভবতঃ বিলম্বের মধ্যে তোমাদের জন্যে একটি পরীক্ষা এবং এক সময় পর্যন্ত ভোগ
  7. হে আহলে-কিতাবগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর শানে নিতান্ত সঙ্গত বিষয় ছাড়া
  8. যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে।
  9. তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল।
  10. তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনকাবূত ডাউনলোড করুন:

সূরা Ankabut mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ankabut শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আনকাবূত  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আনকাবূত  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আনকাবূত  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আনকাবূত  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আনকাবূত  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আনকাবূত  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب