কোরান সূরা লুকমান আয়াত 15 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Luqman ayat 15 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা লুকমান আয়াত 15 আরবি পাঠে(Luqman).
  
   

﴿وَإِن جَاهَدَاكَ عَلَىٰ أَن تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ۖ وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ ثُمَّ إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ﴾
[ لقمان: 15]

পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো। [সূরা লুকমান: 15]

Surah Luqman in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Luqman ayat 15


''কিন্তু যদি তারা তোমার সঙ্গে পীড়া-পীড়ি করে যেন তুমি আমার সাথে অংশী দাঁড় করাও যে সন্বন্ধে তোমার কাছে কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তাদের উভয়ের আজ্ঞাপালন করো না, তবে তাদের সঙ্গে এই দুনিয়াতে সদ্ভাবে বসবাস করো। আর তার পথ অবলন্বন করো যে আমার প্রতি বিনয়াবনত হয়েছে, অতঃপর আমারই কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থান, তখন আমি তোমাদের জানিয়ে দেব যা তোমরা করে যাচ্ছিলে।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৫. আর যদি পিতা-মাতা তোমাকে আমার সাথে অন্যকে শরীক করার জন্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় তবে তুমি তাতে তাদের আনুগত্য করবে না। কেননা, সৃষ্টিকর্তার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোন আনুগত্য চলে না। তবে তাদের সাথে দুনিয়াতে সদাচরণ, জ্ঞাতিবন্ধন বজায় রাখাসহ ভাল ব্যবহার করবে। আর একত্ববাদ ও আনুগত্যের কাজে আমার প্রতি ধাবিত ব্যক্তির পথ ধরে চলবে। পরিশেষে ক্বিয়ামতের দিন সবাই আমার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে। তখন আমি তোমাদের দুনিয়ার কৃতকর্ম সম্পর্কে সংবাদ প্রদান করবো এবং তার প্রতিদান দেবো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার অংশী করতে পীড়াপীড়ি করে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের কথা মান্য করো না, তবে পৃথিবীতে তাদের সঙ্গে সদভাবে বসবাস কর এবং যে ব্যক্তি আমার অভিমুখী হয়েছে তার পথ অবলম্বন কর,[১] অতঃপর আমারই নিকট তোমাদের প্রত্যাবর্তন এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে অবহিত করব। [২] [১] অর্থাৎ, ( বিশ্বাসী ) মুমিনের পথ। [২] অর্থাৎ, আমার অভিমুখী বিশ্বাসীর পথ অনুসরণ এই জন্য করবে যে, অবশেষে তোমাদের সকলকেই আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে এবং আমারই পক্ষ থেকে সকলকেই তার ভাল-মন্দ কর্মের প্রতিফল দেওয়া হবে। যদি তোমরা আমার পথ অনুসরণ কর এবং আমাকে স্মরণ রেখে নিজেদের জীবন পরিচালিত কর, তাহলে কিয়ামতের দিন আমার বিচারালয়ে তোমাদের মুখ উজ্জ্বল হওয়ার আশা করা যায়। পক্ষান্তরে এর বিপরীত কর্মে আমার আযাবে গ্রেফতার হবে। কথা লুকমান হাকীমের অসিয়ত প্রসঙ্গে চলছিল। সামনে পুনরায় সেই অসিয়ত বর্ণনা করা হচ্ছে, যা তিনি আপন বৎসকে করেছিলেন। মাঝের দুটি আয়াতে পৃথকভাবে আল্লাহ তাআলা পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। যার প্রথম কারণ এই বলা হয়েছে যে, লুকমান উক্ত অসিয়ত তাঁর ছেলেকে করেননি। কারণ, এতে তাঁর নিজস্ব স্বার্থ ছিল। দ্বিতীয় কারণ এই যে, যাতে এটা পরিষ্ফুটিত হয়ে যায় যে,আল্লাহর একত্ব ও ইবাদতের পর পিতা-মাতার আনুগত্য ও তাদের সেবা করা জরুরী। তৃতীয় কারণ এই যে, শিরক করা এত বড় পাপ যে, যদি পিতা-মাতা তা করার আদেশ করেন, তাহলে তাঁদের কথা মানা চলবে না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে শির্ক করার জন্য পীড়াপীড়ি করে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই [], তাহলে তুমি তাদের কথা মেনো না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে বসবাস করবে সদ্ভাবে [] আর যে আমার অভিমুখী হয়েছে তার পথ অনুসরণ কর। তারপর তোমাদের ফিরে আসা আমারই কাছে, তখন তোমরা যা করতে সে বিষয়ে আমি তোমাদেরকে অবিহিত করব। [] অর্থাৎ তোমার জানা মতে যে আমার সাথে শরীক নয়। অথবা তুমি আমার কোন শরীক আছে বলে জান না। তুমি তো শুধু এটাই জান যে, আমি এক, আমার কোন শরীক নেই। এমতাবস্থায় কিভাবে তুমি তোমার পিতা-মাতার কথা মানতে পার? অন্যায়কে যেন তুমি প্রশ্ৰয় না দাও। শির্ক গুরুতর অপরাধ হওয়ার কারণেই আল্লাহর নির্দেশ এই যে, যদিও সন্তানের প্রতি পিতা-মাতাকে মান্য করার ও তাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকারের বিশেষ তাকীদ রয়েছে এবং আল্লাহ্‌র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সাথে সাথে পিতা-মাতার প্রতিও তা করার জন্যে সন্তানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু শির্ক এমন গুরুতর অন্যায় ও মারাত্মক অপরাধ যে, মাতা-পিতার নির্দেশে, এমন কি বাধ্য করার পরও কারো পক্ষে তা জায়েয হয়ে যায় না। যদি কারো পিতা-মাতা তাকে আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপনে বাধ্য করতে চেষ্টা করতে থাকেন, এ বিষয়ে পিতা-মাতার কথাও রক্ষা করা জায়েয নয়। যেমনটি হয়েছিল, সা'দ ইবন আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে তার মায়ের আচরণ। তিনি ইসলাম গ্ৰহণ করলে তার মা শপথ করলেন যে, যতক্ষণ তুমি আবার পূর্ববতী দ্বীনে ফিরে না আসবে ততক্ষণ আমি কোন খাবার গ্রহণ করবনা। কিন্তু সা’দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার এ কথা মান্য করলেন না। তার সমর্থনেই এই আয়াত নাযিল হয়। [ মুসলিম : ১৭৪৮ ] [] যদি পিতা-মাতা আল্লাহর অংশী স্থাপনে বাধ্য করার চেষ্টা করেন, তখন আল্লাহর নির্দেশ হল তাদের কথা না মানা। এমতাবস্থায় মানুষ স্বভাবতঃ সীমার মধ্যে স্থির থাকে না। এ নির্দেশ পালন করতে গিয়ে সন্তানের পক্ষে পিতা-মাতার প্রতি কটু বাক্য প্রয়োগ ও অশোভন আচরণ করে তাঁদেরকে অপমানিত করার সম্ভাবনা ছিল। ইসলাম তো ন্যায়নীতির জ্বলন্ত প্রতীক-প্রত্যেক বস্তুরই একটি সীমা আছে। তাই অংশীদার স্থাপনের বেলায় পিতা-মাতার অনুসরণ না করার নির্দেশের সাথে সাথে এ হুকুমও প্ৰদান করেছে যে, দ্বীনের বিরুদ্ধে তো তাদের কথা মানবে না, কিন্তু পার্থিব কাজকর্ম যথা শারীরিক সেবা-যত্ন বা ধন-সম্পদ ব্যয় ও অন্যান্য ক্ষেত্ৰে যেন কার্পণ্য প্রদর্শিত না হয়। তাদের প্রতি বেআদবী ও অশালীনতা প্রদর্শন করো না। তাদের কথাবার্তার এমনভাবে উত্তর দিবে না, যাতে অহেতুক মনোবেদনার উদ্রেক করে। মোটকথা, শিরক-কুফরীর ক্ষেত্রে তাদের কথা না মানার কারণে যে মর্মপীড়ার উদ্রেক হবে, তা তো অপারগতা হেতু বরদাশত করবে, কিন্তু প্রয়োজনকে তার সীমার মধ্যেই রাখতে হবে। অন্যান্য ব্যাপারে যেন মনোকষ্টের কারণ না ঘটে। সে সম্পর্কে সচেতন থাকবে। [ কুরতুবী, তাবারী, সা’দী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৩-১৫ নং আয়াতের তাফসীর হযরত লোকমান তার পুত্রকে যে নসীহত করেছিলেন ও উপদেশ দিয়েছিলেন এখানে তারই বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। তিনি হলেন লোকমান ইবনে আনকা ইবনে সুদূন। সুহাইলী ( রঃ )-এর বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায় যে, তাঁর পিতার নাম ছিল সা’রান। আল্লাহ তা'আলা তাঁর উত্তম বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন যে, তাঁকে হিকমত দান করা হয়েছিল। তিনি যে উত্তম ওয়াজ ও নসীহত স্বীয় পুত্রকে করেছিলেন তা বিষদভাবে আল্লাহ তাআলা এখানে তুলে ধরেছেন। পুত্র অপেক্ষা প্রিয় মানুষের কাছে আর কিছুই নেই। মানুষ তার ছেলেকে সবচেয়ে প্রিয়বস্তু ও মূল্যবান সামগ্রী দিতে চায়। তাই হযরত লোকমান তাঁর ছেলেকে সর্বপ্রথম যে নসীহত করলেন তা হচ্ছে- হে আমার প্রিয় বৎস! একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করো এবং তাঁর সাথে অন্য কাউকেও শরীক করো না। জেনে রেখো যে, এর চেয়ে বড় নির্লজ্জতাপূর্ণ ও জঘন্যতম কাজ আর কিছুই নেই। হযরত আব্দুল্লাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, যখন ( আরবি ) ( যারা ঈমান এনেছে ও তাদের ঈমানকে যুলুমের সাথে মিশ্রিত করেনি- ৬:৮৩ ) এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাহাবীদের কাছে এটা খুবই কঠিন ঠেকে। তারা বলেনঃ “ আমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে তার ঈমানকে যুলুমের সাথে মিশ্রিত করে না?' তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেন, তোমরা যা বুঝেছো তা নয় । তোমরা কি হযরত লোকমানের কথা শুননি? তিনি বলেছিলেনঃ “ হে বৎস! আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না, নিশ্চয়ই শিরক চরম যুলুম ।( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেছে)এই উপদেশের পর হযরত লোকমান তাঁর ছেলেকে দ্বিতীয় উপদেশ যা দেন সেটাও গুরুত্বের দিক দিয়ে বাস্তবিকই এমনই যে, প্রথম উপদেশের সাথে এটা মিলিত হওয়া উচিত। অর্থাৎ পিতা-মাতার প্রতি ইহসান করা ও তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করা। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেন ( আরবি ) অর্থাৎ “ তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করতে ও পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করতে ।( ১৭:২৩ ) কুরআন কারীমের মধ্যে প্রায়ই এ দু'টোর বর্ণনা একই সাথে দেয়া হয়েছে। সেখানেও ঠিক সেভাবেই করা হয়েছে।( আরবি ) শব্দের অর্থ হলো শ্রম, কষ্ট, দুর্বলতা ইত্যাদি। একটি কষ্ট তো হামল’ বা গর্ভধারণ অবস্থায় হয় যা মাতা সহ্য করে থাকেন। গর্ভধারণের অবস্থায় মায়ের দুঃখ-কষ্টের কথা সবাই জানে। অতঃপর মাতা সন্তানকে দু’বছর পর্যন্ত দুগ্ধ পান করিয়ে থাকেন। এই দু’বছর ধরে মাতাকে তার শিশু সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে যারা দুধ-পান কাল পূর্ণ করতে চায় ।( ২:২৩৩ ) অন্য একটি আয়াতে আছে ( আরবি )অর্থাৎ “ তার গর্ভধারণ ও দুধ ছাড়ানোর সময়কাল ত্রিশ মাস ।( ৪৬:১৫ ) এ জন্যেই হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) এবং আরো বড় বড় ইমামগণ দলীল গ্রহণ করেছেন যে, গর্ভধারণের সময়কাল কমপক্ষে ছয় মাস হবে। মায়ের এই কষ্টের কথা সন্তানের সামনে এ জন্যেই প্রকাশ করা হচ্ছে যে, যেন সন্তান মায়ের এই মেহেরবানীর কথা স্মরণ করে মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, আনুগত্য ও ইহসান করে। আর একটি আয়াতে মহান আল্লাহ নির্দেশ দেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ এবং বলঃ হে আমার প্রতিপালক! তাদের দু'জনের ( অর্থাৎ আমার পিতা-মাতার ) প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন ।( ১৭:২৪ )।এখানে মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। তোমাদের প্রত্যাবর্তন তো আমারই নিকট। সুতরাং যদি তোমরা আমার এ আদেশ মেনে নাও তবে আমি তোমাদেরকে এর পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করবো।হযরত সাঈদ ইবনে অহাব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ আমাদের নিকট হযরত মুআয ইবনে জাবাল ( রাঃ ) আগমন করেন যাকে নবী ( সঃ ) প্রতিনিধিরূপে পাঠিয়েছিলেন । তিনি দাড়িয়ে বক্তৃতা শুরু করলেন। বক্তৃতায় তিনি প্রথমে আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণকীর্তন করেন। অতঃপর বলেনঃ “ আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল ( সঃ )-এর দূতরূপে প্রেরিত হয়েছি এ কথা বলার জন্যে যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে অন্য কিছুকে শরীক করবে না । যদি তোমরা আমার কথা মেনে নাও তবে আমি তোমাদের কল্যাণ সাধনে বিন্দুমাত্র ত্রুটি করবো না। তোমাদেরকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। অতঃপর হয়তো জান্নাতে যাবে, নয়তো জাহান্নামে যাবে। সেখান হতে আর বের হবে না, বরং সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। সেখানে মৃত্যু নেই। ( এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার সমকক্ষ দাঁড় করাতে যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং তাদের কথায় আমার সাথে শরীক করে বসবে না। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার ও তাদের প্রতি ইহসান করাও পরিত্যাগ করবে। তোমাদের উপর তাদের পার্থিব যে হক রয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করবে। যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখী হয়েছে তার পথ অবলম্বন করবে। আর জেনে রাখবে যে, তোমাদের সবারই প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট। তোমরা যা করতে সে বিষয়ে আমি তোমাদেরকে অবহিত করবো।হযরত সা'দ ইবনে মালিক ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ এ আয়াতটি আমারই ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে । আমি আমার মাতার খুবই খিদমত করতাম এবং তাঁর পূর্ণ অনুগত থাকতাম। আল্লাহ তাআলা যখন আমাকে ইসলামের পথে হিদায়াত দান করলেন তখন আমার মা আমার প্রতি খুবই অসন্তুষ্ট হয়ে গেল। সে আমাকে বললো: “ তুমি এই নতুন দ্বীন কোথায় পেলে? জেনে রেখো, আমি তোমাকে নির্দেশ দিচ্ছি যে, এই দ্বীন তোমাকে অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে, নচেৎ আমি পানাহার বন্ধ করে দেবো । আর এভাবে না খেয়ে মারা যাবো।” আমি ইসলাম পরিত্যাগ করলাম না। সুতরাং আমার মা পানাহার বন্ধ করে দিলো। ফলে চতুর্দিকে আমার দুর্নাম ছড়িয়ে পড়লো যে, আমি আমার মায়ের হন্তা। আমার মন খুবই ছোেট হয়ে গেল। আমি আমার মায়ের খিদমতে হাযির হলাম, তাকে বুঝালাম এবং অনুনয় বিনয় করে বললাম: তুমি তোমার এই হঠকারিতা হতে বিরত হও। জেনে রেখো যে, এই সত্য দ্বীন যে আমি ছেড়ে দেবো এটা সম্ভব নয়। এভাবে আমার মায়ের উপর তিন দিন অতিবাহিত হয়ে গেল এবং তার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হলো। আমি তার কাছে গেলাম এবং বললামঃ আম্মা! জেনে রেখো যে, তুমি আমার কাছে আমার প্রাণ হতেও প্রিয় বটে, কিন্তু তাই বলে আমার দ্বীন হতে অধিক প্রিয় নও। আল্লাহর কসম! তোমার একটি জীবন কেন, তোমার মত শতটি জীবনও যদি ক্ষুধা ও পিপাসায় কাতর হয়ে এক এক করে সবই বেরিয়ে যায় তবুও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি এই দ্বীন ইসলামকে পরিত্যাগ করবো না। আমার এ কথায় আমার মা নিরাশ হয়ে গেল এবং পানাহার শুরু করে দিলো।” ( এটা ইমাম তিবরানী (রঃ ) তাঁর ‘আশারাহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)

সূরা লুকমান আয়াত 15 সূরা

وإن جاهداك على أن تشرك بي ما ليس لك به علم فلا تطعهما وصاحبهما في الدنيا معروفا واتبع سبيل من أناب إلي ثم إلي مرجعكم فأنبئكم بما كنتم تعملون

سورة: لقمان - آية: ( 15 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 412 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে
  2. করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ?
  3. ডান দিকের লোকদের জন্যে।
  4. ফেরাউন বলল, হে হামান, তুমি আমার জন্যে একটি সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ কর, হয়তো আমি পৌঁছে
  5. যাদেরকে আমি কিতাব দান করেছি, তারা তাকে চিনে, যেমন তাদের সন্তানদেরকে চিনে। যারা নিজেদেরকে ক্ষতির
  6. সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ
  7. আর তোমাদের পালনকর্তার কাছে মার্জনা চাও এবং তাঁরই পানে ফিরে এসো নিশ্চয়ই আমার পরওয়ারদেগার খুবই
  8. যদি উভয়েই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে আল্লাহ স্বীয় প্রশস্ততা দ্বারা প্রত্যেককে অমুখাপেক্ষী করে দিবেন। আল্লাহ
  9. যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে
  10. তারাই সৌভাগ্যশালী।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা লুকমান ডাউনলোড করুন:

সূরা Luqman mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Luqman শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত লুকমান  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত লুকমান  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত লুকমান  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত লুকমান  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত লুকমান  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত লুকমান  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত লুকমান  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত লুকমান  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত লুকমান  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত লুকমান  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত লুকমান  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত লুকমান  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত লুকমান  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত লুকমান  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত লুকমান  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত লুকমান  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত লুকমান  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত লুকমান  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত লুকমান  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত লুকমান  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত লুকমান  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত লুকমান  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত লুকমান  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত লুকমান  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত লুকমান  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب