কোরান সূরা মুল্ক আয়াত 15 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Mulk ayat 15 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মুল্ক আয়াত 15 আরবি পাঠে(Mulk).
  
   

﴿هُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولًا فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا مِن رِّزْقِهِ ۖ وَإِلَيْهِ النُّشُورُ﴾
[ الملك: 15]

তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে সুগম করেছেন, অতএব, তোমরা তার কাঁধে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক আহার কর। তাঁরই কাছে পুনরুজ্জীবন হবে। [সূরা মুল্ক: 15]

Surah Al-Mulk in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Mulk ayat 15


তিনিই সেইজন যিনি পৃথিবীটাকে তোমাদের জন্য করে দিয়েছেন শান্ত, ফলে তোমরা এর দিগদিগন্তে বিচরণ করছ এবং তার জীবিকা থেকে আহার করছ। আর তাঁরই কাছে পুনরুত্থান।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৫. তিনি তোমাদের উদ্দেশ্যে যমীনকে বসবাসের জন্য সহজ ও নরম করে দিয়েছেন। তাই তোমরা এর পার্শ্বদেশ ও প্রান্তর দিয়ে ভ্রমণ করো এবং তাতে প্রস্তুত রাখা তোমাদের জিবীকা ভক্ষণ করো। বস্তুতঃ হিসেব ও প্রতিদানের জন্য এককভাবে তাঁর দিকেই তোমাদের পুনরুত্থান।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তিনিই তো তোমাদের জন্য ভূমিকে সুগম করে দিয়েছেন;[১] অতএব তোমরা ওর দিক-দিগন্তে বিচরণ কর[২] এবং তাঁর দেওয়া রুযী হতে আহার্য গ্রহণ কর। [৩] আর পুনরুত্থান তো তাঁরই নিকট। [১] ذَلُوْلٌ শব্দের অর্থ হল, এমন অনুগত, যে সামনে অবনত হয়ে যায় এবং কোন প্রকার অবাধ্যতা করে না। অর্থাৎ, যমীনকে তোমাদের জন্য নরম ও মোলায়েম করে দেওয়া হয়েছে। তাকে এমন শক্ত বানানো হয়নি যে, তাতে তোমাদের বসবাস ও চলা-ফেরা কষ্টকর হতে পারে। [২] مَنَاكِبَ শব্দটি مَنْكِبٌ এর বহুবচন। এর অর্থ, দিক। এখানে এর অর্থ হল, যমীনের রাস্তা ও তার দিক-দিগন্ত। এখানে আদেশ 'মুবাহ' তথা বৈধ অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, তার রাস্তায় বিচরণ কর। [৩] যমীনের উৎপন্ন ফসলাদি আহার কর।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তিনিই তো তোমাদের জন্য যমীনকে সুগম করে দিয়েছেন ; অতএব তোমরা এর দিক-দিগন্তে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক থেকে তোমরা আহার কর ; আর পুনরুত্থান তো তাঁরই কাছে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১২-১৫ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ ঐ লোকদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছেন যারা তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়া সম্পর্কে ভয় করে। যদিও তারা নির্জনে অবস্থান করে, যেখানে কারো দৃষ্টি পড়বে না; তথাপিও তারা আল্লাহর ভয়ে তার অবাধ্যতামূলক কাজ করে না এবং তাঁর আনুগত্য ও ইবাদত হতে বিমুখ হয় না। আল্লাহ তা'আলা তাদের পাপরাশি মার্জনা করে দিবেন। যেমন সহীহ্ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছেঃ “ সাত প্রকারের লোককে আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়ায় এমন দিনে স্থান দিবেন যেই দিন তাঁর ( আরশের ) ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না ।” তাদের মধ্যে এক প্রকার হলো ঐ ব্যক্তি যাকে এক সম্ভ্রান্ত বংশীয়া সুন্দরী মহিলা ( ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে ) আহ্বান করে, কিন্তু সে উত্তরে বলেঃ “ আমি আল্লাহকে ভয় করি ( সুতরাং আমি তোমার সাথে এ কাজে লিপ্ত হতে পারি না )” আর এক প্রকার হলো ঐ ব্যক্তি যে-গোপনে দান করে, এমনকি তার ডান হাত যা দান করে বাম হাত তা জানতে পারে না।”হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, সাহাবীগণ বলেনঃ "হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আপনার সামনে আমাদের অন্তরের যে অবস্থা থাকে, আপনার সাহচর্য হতে পৃথক হওয়ার পর আমাদের অন্তরের ঐ অবস্থা আর থাকে না। ( তাহলে কি আমরা মুনাফিকের মধ্যে গণ্য হবে? )।” তাঁদের এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাদেরকে বলেনঃ “ তোমাদের প্রতিপালকের সাথে তোমাদের অবস্থা কি থাকে?” জবাবে তারা বললেনঃ “প্রকাশ্যে ও গোপনে আমরা ‘আল্লাহকেই আমাদের প্রতিপালক বলে স্বীকার করে থাকি” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ ( তা হলে নিশ্চিন্ত থাকো, ) তোমাদের এটা নিফাক বা কপটতা নয় ।" ( এ হাদীসটি হাফিয আবূ বকর আল বাযযার (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তোমরা তোমাদের কথা গোপনেই বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনি তো অন্তর্যামী। অর্থাৎ তোমাদের অন্তরের খবরও তিনি জানেন। সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টজীব হতে বে-খবর থাকবেন, এটা তো অসম্ভব। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তো সূক্ষ্মদর্শী ও সবকিছুই সম্যক অবগত।মহামহিমান্বিত আল্লাহ এরপর স্বীয় নিয়ামতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেনঃ তিনিই তো তোমাদের জন্যে ভূমিকে সুগম করে দিয়েছেন এটা স্থিরতার সাথে বিছানো রয়েছে। এটা মোটেই হেলা-দোলা করছে না। ফলে তোমরা এর উপর শান্তিতে বিচরণ করছে। এটা যেন নড়া-চড়া করতে না পারে তজ্জনে আল্লাহ পাক পাহাড় পর্বতকে এতে পেরেক রূপে মেরে দিয়েছেন। এতে তিনি পানির প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছেন। বিভিন্ন প্রকারের উপকার তিনি এতে রেখে দিয়েছেন। এটা হতে তিনি ফল ও শস্য উৎপন্ন করছেন। তোমরা এখানে যথেচ্ছা ভ্রমণ করতে রয়েছে। এখানে তোমরা ব্যবসা বাণিজ্য করে অর্থ উপার্জন করতে রয়েছে। এভাবে তিনি তোমাদের জীবনোপকরণের ব্যবস্থা করেছেন। তোমরা জীবিকা অর্জনের জন্যে চেষ্টা তদবীর করছে এবং আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা তোমাদের চেষ্টাকে সফল করছেন।এর দ্বারা জানা গেল যে, জীবনোপকরণ লাভ করার জন্য চেষ্টা করা নির্ভরশীলতার পরিপন্থী নয়। যেমন মুসনাদে আহমাদে হযরত উমার ইবনে খাত্তাব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বলতে শুনেছেনঃ “ তোমরা যদি আল্লাহর উপর যথাযোগ্য ভরসা করতে তবে তিনি তোমাদেরকে ঐভাবেই জীবিকা দান করতেন যেমনভাবে পাখীকে জীবিকা দান করে থাকেন, পাখী সকালে খালি পেটে যায় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে । ( এ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (রঃ ), ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) এবং ইমাম ইবনে মাজাহও ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) এটাকে হাসান সহীহ বলেছেন) সুতরাং পাখীর সকাল-সন্ধ্যায় জীবিকার সন্ধানে গমনাগমন করাকেও নির্ভরশীলতার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়েছে। কেননা, উপকরণ সৃষ্টিকারী এবং ওটাকে সহজকারী একমাত্র আল্লাহ রাব্বল আলামীনই বটে। কিয়ামতের দিন তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) প্রমুখ গুরুজন ( আরবি )-এর অর্থ নিয়েছেন প্রান্ত এবং এদিক ওদিকের স্থান। হযরত কাতাদাহ ( রঃ ) প্রমুখ মনীষী বলেন যে, ( আরবি ) দ্বারা পাহাড় পর্বতকে বুঝানো হয়েছে। হযরত বাশীর ইবনে কা'ব ( রঃ ) এ আয়াতটি পাঠ করার পর তাঁর ঐ দাসীকে, যার গর্ভে তাঁর সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল, বলেনঃ “ তুমি যদি ( আরবি ) এর সঠিক তাফসীর বলতে পার তবে আমি তোমাকে আযাদ করে দিবো ।” তখন ঐ দাসীটি বলে যে, এর দ্বারা পাহাড় উদ্দেশ্য। হযরত বাশীর ( রঃ ) তখন হযরত আবূ দারদা ( রাঃ )-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন যে, এটা সঠিক তাফসীরই বটে।

সূরা মুল্ক আয়াত 15 সূরা

هو الذي جعل لكم الأرض ذلولا فامشوا في مناكبها وكلوا من رزقه وإليه النشور

سورة: الملك - آية: ( 15 )  - جزء: ( 29 )  -  صفحة: ( 563 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে,
  2. তাদেরকে তাদের সবরের প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে
  3. অতঃপর আমি তাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনার আযাব আস্বাদন করানোর জন্যে তাদের উপর প্রেরণ করলাম ঝঞ্ঝাবায়ু
  4. কিন্তু পুরুষ, নারী ও শিশুদের মধ্যে যারা অসহায়, তারা কোন উপায় করতে পারে না এবং
  5. আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে
  6. বনবাসীরা এবং তোব্বা সম্প্রদায়। প্রত্যেকেই রসূলগণকে মিথ্যা বলেছে, অতঃপর আমার শাস্তির যোগ্য হয়েছে।
  7. হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না।
  8. তারা যেন আপনার কাছে প্রত্যেকটি দক্ষ জাদুকর কে উপস্থিত করে।
  9. যে কেউ পরকালের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্যে সেই ফসল বাড়িয়ে দেই। আর যে
  10. অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মুল্ক ডাউনলোড করুন:

সূরা Mulk mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Mulk শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মুল্ক  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মুল্ক  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মুল্ক  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মুল্ক  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মুল্ক  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মুল্ক  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মুল্ক  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মুল্ক  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মুল্ক  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মুল্ক  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মুল্ক  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মুল্ক  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মুল্ক  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মুল্ক  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মুল্ক  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মুল্ক  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মুল্ক  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মুল্ক  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মুল্ক  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মুল্ক  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মুল্ক  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মুল্ক  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মুল্ক  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মুল্ক  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মুল্ক  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, July 16, 2024

Please remember us in your sincere prayers