কোরান সূরা আ'রাফ আয়াত 153 তাফসীর
﴿وَالَّذِينَ عَمِلُوا السَّيِّئَاتِ ثُمَّ تَابُوا مِن بَعْدِهَا وَآمَنُوا إِنَّ رَبَّكَ مِن بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ﴾
[ الأعراف: 153]
আর যারা মন্দ কাজ করে, তারপরে তওবা করে নেয় এবং ঈমান নিয়ে আসে, তবে নিশ্চয়ই তোমার পরওয়ারদেগার তওবার পর অবশ্য ক্ষমাকারী, করুণাময়। [সূরা আ'রাফ: 153]
Surah Al-Araf in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Araf ayat 153
আর যারা অসদাচরণ করে আর তারপরে ফেরে ও বিশ্বাস করে, -- নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু তো এর পরে পরম ক্ষমাশীল, অফুরন্ত ফলদাতা।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১৫৩. যারা গুনাহের কাজ করেছে যেমন: আল্লাহর সাথে শিরক ও কুফরি করা। অতঃপর আল্লাহর উপর ঈমান এনে তাঁর নিকট তাওবা করেছে এবং নিজেদের কৃত পাপ থেকে ফিরে এসেছে। হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক এ তাওবা করা ও শিরক থেকে ঈমানের দিকে এবং গুনাহ থেকে আনুগত্যের দিকে ফিরে আসার পর তাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন এবং তাঁর উপর দয়া করবেন।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
পক্ষান্তরে যারা অসৎকাজ করে, অতঃপর তারা পরে তওবা করে ও ঈমান আনে ( তাদের জন্য ) এসব কিছুর পরেও তোমার প্রতিপালক নিশ্চয়ই চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।[১] [১] হ্যাঁ, যারা তওবা করে, আল্লাহ তাদের জন্য চরম ক্ষমাশীল পরম দয়াবান। জানা গেল যে, তওবার কারণে সকল গোনাহ মাফ হয়ে যায়। তবে শর্ত এই যে, তওবা বিশুদ্ধ হতে হবে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর যারা অসৎকাজ করে, তারা পরে তওবা করলে ও ঈমান আনলে আপনার রব তো এরপরও পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু [ ১ ]। [ ১ ] এ আয়াতে সেসব লোকের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যারা মূসা ‘আলাইহিস সালামের সতর্কীকরণের পর নিজেদের এই অপরাধের জন্য তাওবাহ করে নিয়েছে এবং তাওবাহর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে যে কঠোরতর শর্ত আরোপ করা হয়েছিল যে, তাদেরই একজন অপরজনকে হত্যা করতে থাকলেই তাওবাহ কবুল হবে- তারা সে শর্তও পালন করল, তখন মূসা ‘আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা'আলা নির্দেশক্রমে তাদেরকে বললেনঃ তোমাদের সবার তাওবাহই কবুল হয়েছে। এই হত্যাযজ্ঞে যারা মৃত্যুবরণ করেছে, তারা শহীদ হয়েছে আর যারা বেঁচে রয়েছে, তারা এখন ক্ষমাপ্রাপ্ত। [ তাবারী ] এ আয়াতে বলা হয়েছে, যেসব লোক মন্দ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে তা সে কাজ যত বড় পাপই হোক, কুফরীও যদি হয়, তবুও পরবর্তীতে তাওবাহ করে নিলে এবং ঈমান ঠিক করে ঈমানের দাবী অনুযায়ী নিজের আমল বা কর্ম সংশোধন করে নিলে, আল্লাহ্ তাকে নিজ রহমতে ক্ষমা করে দেবেন। কাজেই কারও দ্বারা কোন পাপ হয়ে গেলে , সঙ্গে সঙ্গে তা থেকে তাওবাহ্ করে নেয়া একান্ত কর্তব্য।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
১৫২-১৫৩ নং আয়াতের তাফসীর: গো-বৎস পূজার শাস্তিস্বরূপ বানী ইসরাঈলের উপর যে গযব নাযিল হয়েছিল তা ছিল এই যে, তাদের তাওবা ঐ পর্যন্ত ককূল হবে না যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর নির্দেশক্রমে পরস্পর একে অপরকে হত্যা করে ফেলে। যেমন সূরায়ে বাকারায় বলা হয়েছে- “ তোমরা আল্লাহর বারগাহে এই তাওবা পেশ কর যে, তোমরা পরস্পর একে অপরকে হত্যা করে ফেল । আল্লাহ জানেন যে, এতেই তোমাদের মঙ্গল নিহিত রয়েছে। যখন তারা এরূপ করলো তখন তাদের তাওবা ককূল করে নেয়া হলো। তিনি তো হচ্ছেন দয়ালু প্রভু। কিন্তু দুনিয়ায় তারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবে।” ( আরবী ) অর্থাৎ ‘মিথ্যা রচনাকারীদেরকে আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি। এই অপমান ও লাঞ্ছনা প্রত্যেক মিথ্যা রচনাকারীর জন্যে কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে । সুফইয়ান ইবনে উয়াইনা ( রঃ ) বলেন যে, প্রত্যেক বিদআতপন্থী এভাবেই অপমানিত হবে। যে বিদআত বের করবে সে এই শাস্তিই পাবে। রাসূল ( সঃ )-এর বিরোধিতা এবং বিদআতের বোঝা তার অন্তর থেকে বের হয়ে তার স্কন্ধের উপর এসে পড়বে। হাসান বসরী ( রঃ ) বলেন যে, সে পার্থিব জগতে জাঁকজমকপূর্ণ অবস্থায় অবস্থান করলেও তার চেহারায় অপমানের ছাপ লেগে যাবে। মিথ্যা রচনাকারী কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে এ শাস্তি পেতে থাকবে। আল্লাহ তা'আলা হচ্ছেন তাওবা কবুলকারী। যত বড়ই পাপী হাক না কেন, তাওবার পর আল্লাহ পাক সেই পাপীকে ক্ষমা করে দেবেন। যদি কেউ কুফরী, শিরক ও নিফাকের কাজ ও করে, অতঃপর আন্তরিকতার সাথে তাওবা করে তবে সেই পাপও আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন।ইরশাদ হচ্ছে-যে ব্যক্তি পাপ কার্যে লিপ্ত হওয়ার পর তাওবা করে এবং ঈমান আনয়ন করে, হে রহমতের রাসূল ( সঃ )! জেনে রেখো যে, এর পরেও তোমার প্রতিপালককে তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু পাবে। হযরত হানে মাসউদ ( রাঃ )-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, একটি লোক কোন একটি মহিলার সাথে ব্যভিচার করলো, অতঃপর তাকে সে বিয়ে করে নিলো, এর কি হবে? উত্তরে তিনি এ আয়াতটিই পাঠ করলেনঃ “ যারা খারাপ কাজ করে, এরপর তাওবা করে ও ঈমান আনে ( তাদের আশান্বিত হওয়া উচিত যে, ) আল্লাহ এর পরেও ক্ষমাশীল ও দয়ালু ( হতে পারেন ) ।” হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) দশবার এই আয়াতটি পাঠ করেন। তিনি তাদেরকে এর নির্দেশও দিলেন না এবং তা থেকে নিষেধও করলেন না। ( এ হাদীসটিও ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) থেকে বর্ণনা করেছেন)
সূরা আ'রাফ আয়াত 153 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- এখন বোঝা হালকা করে দিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর এবং তিনি জেনে নিয়েছেন যে, তোমাদের
- যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
- এটা আল্লাহর সৃষ্টি; অতঃপর তিনি ব্যতীত অন্যেরা যা সৃষ্টি করেছে, তা আমাকে দেখাও। বরং জালেমরা
- কেবল একটি মহানাদের অপেক্ষা করছে, যাতে দম ফেলার অবকাশ থাকবে না।
- অবদানের উদ্যানসমূহে,
- আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি মহা আরশের মালিক।
- তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন।
- বলুন, ফয়সালার দিনে কাফেরদের ঈমান তাদের কোন কাজে আসবে না এবং তাদেরকে অবকাশ ও দেয়া
- অতএব, যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করুন।
- আপনি আমার বান্দাদেরকে জানিয়ে দিন যে, আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল দয়ালু।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আ'রাফ ডাউনলোড করুন:
সূরা Araf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Araf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers