কোরান সূরা হুদ আয়াত 16 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Hud ayat 16 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হুদ আয়াত 16 আরবি পাঠে(Hud).
  
   

﴿أُولَٰئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْآخِرَةِ إِلَّا النَّارُ ۖ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوا فِيهَا وَبَاطِلٌ مَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾
[ هود: 16]

এরাই হল সেসব লোক আখেরাতে যাদের জন্য আগুন ছাড়া নেই। তারা এখানে যা কিছু করেছিল সবই বরবাদ করেছে; আর যা কিছু উপার্জন করেছিল, সবই বিনষ্ট হল। [সূরা হুদ: 16]

Surah Hud in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hud ayat 16


এরাই তারা যাদের জন্য পরকালে আগুন ছাড়া আর কিছুই নেই, আর তারা যা করেছে তা সেখানে বৃথা যাবে, আর তারা যা করে যাচ্ছিল সে-সবই নিরর্থক।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৬. এ নিন্দনীয় উদ্দেশ্যের বিশেষণে বিশেষিতদের জন্য কিয়ামতের দিন কোন বিনিময় থাকবে না সেই জাহান্নাম ব্যতীত, যাতে তারা প্রবেশ করবে। তাদের আমলগুলোর বিনিময় নষ্ট এবং আমলগুলো বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা তাদের সে আমলগুলো ঈমানসহ ছিল না, না ছিল সঠিক নিয়ত। এমনকি তারা সে আমলগুলো দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকাল কামনা করে নি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এরা এমন লোক যে, তাদের জন্য পরকালে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছুই নেই, আর তারা যা কিছু করেছে, তা সবই পরকালে নিষ্ফল হবে এবং যা কিছু করে থাকে, তাও নিরর্থক হবে। [১] [১] উক্ত আয়াত দু'টি সম্পর্কে অনেকের ধারণা যে, তাতে যাদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, তারা হল রিয়াকারী ( লোক দেখানো বা সুনাম নেওয়ার জন্য আমলকারী )। অনেকের নিকট তারা হল ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান। আবার কেউ কেউ বলেন, এখানে দুনিয়াদারদের কথা বলা হয়েছে। কারণ অনেক দুনিয়াদার, যারা নেক আমল করে, আল্লাহ তাআলা তাদের প্রাপ্য তাদেরকে দুনিয়াতেই দিয়ে দেন, আখেরাতে তাদের জন্য শাস্তি ব্যতীত আর কিছুই থাকবে না। উক্ত বিষয়টি কুরআন মাজীদের সূরা বনী ইস্রাঈলের ১৭:১৮ নং আয়াত ও সূরা শূরার ৪২:২০ নং আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তাদের জন্য আখিরাতে আগুন ছাড়া অন্য কিছুই নেই এবং তারা যা করেছিল আখিরাতে তা নিস্ফল হবে। আর তারা যা করত তা ছিল নিরর্থক []। [] অর্থাৎ প্রতিটি সৎকার্য গ্রহণযোগ্য ও আখেরাতের মুক্তির কারণ হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে, সেটা একমাত্র আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার জন্য তা রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তরীকা মোতাবেক হতে হবে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমানই রাখে না, তার যাবতীয় কার্যকলাপ গুণ গরিমা, নীতি নৈতিকতা প্রাণহীন দেহের ন্যায়। যার বাহ্যিক আকৃতি অতি সুন্দর হলেও আখেরাতে তার কানাকড়িরও মূল্য নেই। তবে দৃশ্যতঃ সেটা যেহেতু পূণ্যকার্য ছিল এবং তা দ্বারা বহু লোক উপকৃত হয়েছে, তাই আল্লাহ তা'আলা এহেন তথাকথিত সৎকার্যকে সম্পূর্ণ বিফল ও বিনষ্ট করেন না, বরং এসব লোকের যা মূখ্য উদ্দেশ্য ও কাম্য ছিল যেমন তার সুনাম ও সম্মান বৃদ্ধি হবে, লোকে তাকে দানশীল, মহান ব্যক্তিরূপে স্মরণ করবে, নেতারূপে তাকে বরণ করবে ইত্যাদি আল্লাহ তা'আলা স্বীয় ইনসাফ ও ন্যায়নীতির ভিত্তিতে দুনিয়ার জীবনেই তাকে দান করেন। অপরদিকে আখেরাতে মুক্তিলাভ করা যেহেতু তাদের কাম্য ছিল না এবং তাদের প্রাণহীন সৎকার্য আখেরাতের অপূর্ব ও অনন্ত নেয়ামতসমূহের মূল্য হওয়ার যোগ্য ছিল না, কাজেই আখেরাতে তার কোন প্রতিদানও লাভ করবে না। বরং নিজেদের কুফরী, শেরেকী ও গোনাহের কারণে জাহান্নামের আগুনে চিরকাল তাদের জ্বলতে হবে। আয়াতে বলা হয়েছে যে, “ আখেরাতে তাদের জন্য আগুন ছাড়া আর কিছু নেই ।" এতে করে বোঝা যায় যে, এ আয়াত কাফেরদের সম্পর্কেই বলা হয়েছে। কেননা, একজন মুসলিম যত বড় পাপীই হোক না কেন, তার গোনাহের শাস্তি ভোগ করার পর অবশেষে আল্লাহ্ তা'আলার ইচ্ছায় জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং আরাম আয়েশ ও নেয়ামত লাভ করবে। কোন কোন মুফাসসিরের মতে এ আয়াতে ঐসব মুসলিমদের অবস্থা বর্ণিত হয়েছে যারা কার্যের বিনিময়ে শুধু পার্থিব জীবনে সুখ শান্তি যশ খ্যাতি প্রত্যাশা করে। লোক দেখানো মনোভাব নিয়ে কাজ করে। এমতাবস্থায় অত্র আয়াতের মর্ম হবে এই যে, তারা নিজেদের পাপের শাস্তি ভোগ না করা পর্যন্ত জাহান্নামের আগুন ছাড়া অন্য কিছু পাবে না। পরিশেষে পাপের শাস্তি ভোগান্তে তারাও অবশ্য সৎকাজের প্রতিদান লাভ করবে। [ কুরতুবী ] সত্যনিষ্ঠ আলেমদের কারও কারও মতে, অত্র আয়াতে ঐসব লোকের অবস্থা বর্ণিত হয়েছে, যারা তাদের যাবতীয় সৎকার্য শুধু পার্থিব ফায়দা হাসিলের জন্য করে থাকে, চাই সে আখেরাতের প্রতি অবিশ্বাসী কাফের হোক অথবা নামধারী মুসলিম হোক। তাই যদি কোন মুসলিম শুধুমাত্র লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে সৎকাজ করে অথবা শুধু দুনিয়া অর্জনের জন্য করে, তবে এ সব দুনিয়াকামী লোক ইচ্ছা ও বাসনায় আল্লাহর সাথে শির্ককারী বলে বিবেচিত হবে। আর যে আল্লাহর সাথে শির্ক করে তার যাবতীয় আমলই বিনষ্ট হয়ে যায়। সে হিসেবে ঐসব নামধারী মুসলিমও এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং তাদের পরিণাম হবে জাহান্নাম। শির্ক করার কারণে তারা কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না। মু'আবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু, মাইমুন ইবনে মেহরান ও মুজাহিদ রাহিমাহুমুল্লাহ এ ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছেন। [ কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৫-১৬ নং আয়াতের তাফসীর এই আয়াতের ব্যাপারে হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রিয়াকার বা যারা মানুষকে দেখাবার জন্যে সৎ কাজ করে তাদের সৎ কাজের প্রতিদান তাদেরকে এই দুনিয়াতেই দিয়ে দেয়া হয়, একটুও কম করা হয় না। সুতরাং যে ব্যক্তি মানুষকে দেখাবার উদ্দেশ্যে নামায পড়ে বা রোযা রাখে অথবা তাহাজ্জুদ গুযারী করে, তার বিনিময় সে দুনিয়াতেই পেয়ে যায়। আখেরাতে সে সম্পূর্ণ শূন্য হস্ত ও আমলহীন অবস্থায় উঠবে।হযরত আনাস ইবনু মা’লিক ( রাঃ ) এবং হযরত হাসান ( রঃ ) বলেন যে, এই আয়াত দু’টি ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। আর হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, রিয়াকারদের ব্যাপারে এ দু’টি আয়াত অবতীর্ণ হয়। মোট কথা, যার উদ্দেশ্য যেটা হবে সেটা অনুযায়ী তার সাথে ব্যবহার করা হবে। যে আমল দুনিয়া সন্ধানের উদ্দেশ্যে হবে আখেরাতে তা বিফল হয়ে যাবে। যেহেতু মু’মিনের আমল আখেরাত সন্ধানের উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে সেই হেতু আল্লাহ তাআ’লা তাকে আখেরাতে উত্তম প্রতিদান প্রদান করবেন এবং দুনিয়াতেও তার সৎকার্যাবলী তার উপকারে আসবে। একটি মারফূ’ ( যে হাদীসের সনদ রাসূলুল্লাহ (সঃ ) পর্যন্ত পৌঁছে গেছে সেই হাদীসকে মারফূ’ হাদীস বলে) হাদীসেও অনুরূপ কথা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ “ যে ব্যক্তি দুনিয়ার নিয়্যত রাখবে, আমি তাকে ইহজগতে যতটুকু ইচ্ছা, যাকে ইচ্ছা, সত্ত্বরই প্রদান করবো, অতঃপর তার জন্যে দুযখ নির্ধারণ করবে, সে তাতে দুর্দশাগ্রস্ত ( ও ) বিতাড়িত অবস্থায় প্রবেশ করবে । পক্ষান্তরে যেই ব্যক্তি আখেরাতের নিয়্যত রাখবে এবং ওর জন্যে যেমন চেষ্টার প্রয়োজন তেমন চেষ্টাও করবে, যদি যে মু’মিন হয়, এইরূপ লোকের চেষ্টা গৃহীত হবে। তোমার প্রতিপালকের দান হতে তো আমি এদেরকেও সাহায্য করে থাকি এবং ওদেরকেও; আর তোমার প্রতিপালকের ( এই পার্থিব ) দান ( কারো জন্যে ) বন্ধ নয়। তুমি লক্ষ্য কর, আমি একজনকে অপরজনের উপর কিরূপে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি; আর নিশ্চয় পরকাল মর্যাদার হিসেবেও অনেক বড় এবং ফযীলতের হিসেবেও অতি শ্রেষ্ঠ।” আল্লাহ তাআ’লা আর এক জায়গায় বলেনঃ “ যে ব্যক্তি পরকালের কৃষিক্ষেত্র চায়, আমি তার জন্যে তার কৃষি ক্ষেত্রে বরকত দান করে থাকি, পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি দুনিয়ার কৃষিক্ষেত্র কামনা করে, আমি তাকে তার থেকে প্রদান করে থাকি, কিন্তু পরকালে তার জন্যে কোনই অংশ নেই ।

সূরা হুদ আয়াত 16 সূরা

أولئك الذين ليس لهم في الآخرة إلا النار وحبط ما صنعوا فيها وباطل ما كانوا يعملون

سورة: هود - آية: ( 16 )  - جزء: ( 12 )  -  صفحة: ( 223 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমি তাকে দিলাম তার পরিজনবর্গ ও তাদের মত আরও অনেক আমার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ এবং
  2. আর যারা কুফরের দিকে ধাবিত হচ্ছে তারা যেন তোমাদিগকে চিন্তাম্বিত করে না তোলে। তারা আল্লাহ
  3. তোমরা তোমাদের শাস্তি আস্বাদন কর। তোমরা একেই ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিল।
  4. এতে আছে ফলমূল এবং বহিরাবরণবিশিষ্ট খর্জুর বৃক্ষ।
  5. আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোরআনকে বিশ্বাস করবে এবং কেউ কেউ বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ
  6. অথচ এই কোরআন তো বিশ্বজগতের জন্যে উপদেশ বৈ নয়।
  7. সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
  8. আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম যাতে তারা সৎপথ পায়।
  9. তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে
  10. এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হুদ ডাউনলোড করুন:

সূরা Hud mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hud শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হুদ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হুদ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হুদ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হুদ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হুদ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হুদ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হুদ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হুদ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হুদ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হুদ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হুদ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হুদ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হুদ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হুদ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হুদ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হুদ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হুদ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হুদ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হুদ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, May 12, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب