কোরান সূরা নিসা আয়াত 16 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nisa ayat 16 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নিসা আয়াত 16 আরবি পাঠে(Nisa).
  
   

﴿وَاللَّذَانِ يَأْتِيَانِهَا مِنكُمْ فَآذُوهُمَا ۖ فَإِن تَابَا وَأَصْلَحَا فَأَعْرِضُوا عَنْهُمَا ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ تَوَّابًا رَّحِيمًا﴾
[ النساء: 16]

তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু। [সূরা নিসা: 16]

Surah An-Nisa in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nisa ayat 16


আর তোমাদের মধ্যে দুজন যদি ঐ আচরণ করে তবে তাদের উভয়কেই অল্প শাস্তি দাও। তারপর যদি তারা তওবা করে ও শোধরায় তবে তাদের থেকে ফিরিয়ে নাও। নিঃসন্দেহ আল্লাহ বারবার ফেরেন, অফুরন্ত ফলদাতা।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৬. আর যে পুরুষদ্বয় ব্যভিচারের অশ্লীলতায় লিপ্ত হয় চাই তারা বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত তোমরা তাদেরকে হাত ও মুখ দিয়ে লাঞ্ছনা ও তিরস্কারমূলক শাস্তি দাও। ফলে তারা যদি উক্ত কর্মকাÐ পরিত্যাগ করে এবং তাদের অবস্থা ভালো হয়ে যায় তাহলে তোমরা তাদেরকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকো। কারণ, পাপ থেকে তাওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তির মতো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দাদের তাওবা গ্রহণকারী ও তাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু। মূলতঃ এ জাতীয় শাস্তি ইসলামের প্ররম্ভিক যুগে ছিলো অতঃপর তা অবিবাহিতকে একশ’টি বেত্রাঘাত ও দেশান্তর এবং বিবাহিতকে একেবারে পাথর মেরে হত্যা করার মাধ্যমে রহিত করা হয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর তোমাদের মধ্যে যে দু’জন এতে ( ব্যভিচারে ) লিপ্ত হবে[১] তাদের উভয়কে শাস্তি দাও।[২] তবে যদি তারা তওবা করে এবং সংশোধন করে নেয়, তাহলে তাদেরকে রেহাই দাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু। [১] কেউ কেউ এর অর্থ নিয়েছেন সমলিঙ্গী ব্যভিচার; যাতে দু'জন পুরুষ আপোসে এ কুকাজ সম্পাদন করে থাকে। আবার কেউ এর অর্থ নিয়েছেন, অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলা। আর পূর্বের আয়াতকে তাঁরা বিবাহিত পুরুষ ও মহিলার সাথে নির্দিষ্ট করেছেন। আবার কেউ কেউ এই দ্বিবচন শব্দের অর্থ করেছেন, পুরুষ ও মহিলা। তাতে তারা বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত। ইবনে জারীর ত্বাবারী দ্বিতীয় অর্থ অর্থাৎ, অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলা অর্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন এবং পূর্বের আয়াতে বর্ণিত শাস্তিকে নবী করীম ( সাঃ ) কর্তৃক বর্ণিত শাস্তি দ্বারা ও এই আয়াতে বর্ণিত শাস্তিকে সূরা নূরে বর্ণিত একশ' বেত্রাঘাত শাস্তি দ্বারা রহিত সাব্যস্ত করেছেন। ( তাফসীর ত্বাবারী ) [২] অর্থাৎ, মৌখিক ধমক ও তিরস্কারের মাধ্যমে অথবা হাত দ্বারা স্বল্প মার-ধর করে। তবে এখন এটা রহিত; যেমন পূর্বেই আলোচিত হয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তোমাদের মধ্যে যে দুজন এতে লিপ্ত হবে তাদেরকে শাস্তি দেবে। যদি তারা তাওবাহ্‌ করে এবং নিজেদেরকে সংশোধণ করে নেয় তবে তাদের থেকে বিরত থাকবে []। নিশ্চয় আল্লাহ পরম তাওবাহ্‌ কবুলকারী, পরম দয়ালু। [] ইবন আব্বাস বলেন, ইসলামের প্রাথমিক যুগে কেউ ব্যভিচার করলে, তাকে তা’যীর বা অনির্ধারিত শাস্তি দেয়া হত। তাকে জুতো মারা হতো। পরবর্তীতে নাযিল হলো, ‘ব্যভিচারিনী মহিলা ও ব্যভিচারী পুরুষ তাদের উভয়কে একশত বেত্ৰাঘাত কর’ [ সূরা আন-নূর:২ ] কিন্তু যদি তারা বিবাহিত হয়, তবে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত অনুসারে পাথর মেরে হত্যা করা হবে। আর এটাই হচ্ছে এ আয়াতে বর্ণিত ব্যবস্থা। [ তাবারী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৫-১৬ নং আয়াতের তাফসীর: ইসলামের প্রাথমিক যুগে এরূপ নির্দেশ ছিল যে, ন্যায়বান সাক্ষীদের সত্য সাক্ষ্য দ্বারা কোন স্ত্রীলোকের অশ্লীলতা প্রমাণিত হয়ে গেলে তাকে যেন বাড়ীর বাইরে যেতে দেয়া না হয় বরং জন্মের মত বাড়ীতেই যেন আটক রাখা হয়। অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্বে তাকে যেন ছেড়ে দেয়া না হয়। এটা বর্ণনা করার পর আল্লাহ পাক বলেন-হ্যা তবে এটা অন্য কথা যে, আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্যে কোন পথ নির্দেশ করে দেন। অতঃপর যখন অন্য শাস্তি নির্ধারণ করা হয় তখন পূর্বের ঐ নির্দেশ রহিত হয়ে যায়। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, সূরা-ই-নূরের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ব্যভিচারিণী স্ত্রীলোকের জন্যে এ নির্দেশই ছিল। অতঃপর সূরা-ই-নূরের আয়াত অবতীর্ণ হলে বিবাহিতা নারীকে রজম করা অর্থাৎ প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা এবং অবিবাহিতা নারীকে। একশ চাবুক মারার নির্দেশ দেয়া হয়।হযরত ইকরামা ( রঃ ), হযরত সাঈদ ইবনে যুবাইর ( রঃ ), হযরত হাসান বসরী ( রঃ ), হযরত আতা' খুরাসানী ( রঃ ), হযরত আবু সালেহ ( রঃ ), হযরত কাতাদাহ ( রঃ ), হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম ( রঃ ), এবং হযরত যহ্হাকেরও ( রঃ ) এটাই উক্তি যে, এ আয়াতটি রহিত হয়ে গেছে এবং এ বিষয়ে সবাই একমত। হযরত উবাদাহ ইবনে সামিত ( রাঃ ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর উপর যখন অহী অবতীর্ণ হতো তখন তা তাঁর উপর বড় ক্রিয়াশীল হতো এবং তিনি কষ্ট অনুভব করতেন ও তাঁর চেহারা পরিবর্তিত হয়ে যেতো। একদা আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-এর উপর অহী অবতীর্ণ করেন। অহীর সময়কালীন অবস্থা দূরীভূত হলে তিনি বলেনঃ “ তোমরা আমার কথা গ্রহণ কর । আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্যে পথ নির্দেশ করেছেন।যদি বিবাহিত পুরুষ ও বিবাহিতা স্ত্রী ব্যভিচার করে তবে তাদেরকে একশ চাবুক মারতে হবে, অতঃপর প্রস্তরাঘাতে হত্যা করতে হবে। আর অবিবাহিত পুরুষ ও স্ত্রী ব্যভিচার করলে তাদেরকে একশ চাবুক মারতে হবে এবং এক বছর নির্বাসন দিতে হবে। ( সহীহ মুসলিম ইত্যাদি ) জামেউত্ তিরমিযীর মধ্যেও এ হাদীসটি শব্দের পরিবর্তনের সাথে বর্ণিত আছে। ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। এ রকমই সুনান-ই-আবি দাউদেও রয়েছে।ইবনে মিরদুওয়াই-এর গারীব হাদীসে অবিবাহিত ও বিবাহিত পুরুষ ও স্ত্রীর এ নির্দেশের সাথে সাথে এও রয়েছে যে, যদি তারা বুড়ো বুড়ী হয় তবে তাদেরকে রজম করতে হবে। কিন্তু এ হাদীসটি গারীব। তাবরানীর হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ সূরা-ই-নিসা অবতীর্ণ হওয়ার পর আবদ্ধ রাখার হুকুম অবিশষ্ট নেই ।' এ হাদীস অনুযায়ী ইমাম আহমাদ ( রঃ )-এর মাযহাব এই যে, বিবাহিত ও বিবাহিতা ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীকে চাবুকও মারতে হবে এবং রজমও করতে হবে। আর জমহূরের মতে চাবুক মারতে হবে না, শুধু রজম করতে হবে। কেননা, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত মায়েয ( রাঃ )-কে এবং গামেদিয়্যাহ নারীকে রজম করেছিলেন কিন্তু চাবুক মারেননি। অনুরূপভাবে রাসূলল্লাহ ( সঃ ) দু’জন ইয়াহূদীকে রজম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং রজমের পূর্বে তাদেরকে চাবুক মারার নির্দেশ দেননি। সুতরাং জমহুরের এ উক্তি অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, রজমের পূর্বে চাবুক মারার নির্দেশ রহিত হয়ে গেছে, সুতরাং এটা জরুরী নয়। অতঃপর বলা হচ্ছে-যদি দু’জন পুরুষ পরস্পর এ নির্লজ্জতার কাজ করে তবে তোমরা তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর। অর্থাৎ তাদেরকে তিরস্কার কর, অপদস্থ কর, জুতো মার ইত্যাদি। চাবুক মারা ও রজব করার নির্দেশ দ্বারা এ নির্দেশও রহিত হয়ে যায়। হযরত ইকরামা ( রঃ ), হযরত আতা’ ( রঃ ), হযরত হাসান বসরী ( রঃ ) এবং হযরত আবদুল্লাহ ইবনে কাসীর ( রঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থও হচ্ছে পুরুষ ও স্ত্রী। হযরত সুদ্দী ( রঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে ঐ নব যুবকগণ যারা বিবাহিত নয়।হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, এ আয়াতটি ‘লাওয়াতের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয় হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ কাউকে তোমরা হযরত লুত ( আঃ )-এর কওমের কাজ করতে দেখলে তাকে এবং যার উপরে সে সেই কাজ করেছে তাকেও হত্যা করে ফেল।এরপর বলা হচ্ছে- যদি তারা উভয়ে এ কাজ হতে বিরত থাকে এবং সংশোধিত হয় তবে তোমরা তাদের উপর কঠোরতা অবলম্বন করো না। কেননা, পাপ হতে প্রত্যাবর্তনকারী নিস্পাপ ব্যক্তির মতই।অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন-আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, করুণাময় ।' সহীহ বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারও দাসী ব্যভিচার করে তখন যেন সে তাকে চাবুক দ্বারা শাস্তি প্রদান করে এবং তার উপর আর যেন কোন শাসন গর্জন না করে। অর্থাৎ শাস্তি প্রদানের পর মনিব যেন তার দাসীকে আর কোন দোষারোপ না করে। কেননা, শাস্তি প্রদানই হচ্ছে পাপ মোচনের উপায়।

সূরা নিসা আয়াত 16 সূরা

واللذان يأتيانها منكم فآذوهما فإن تابا وأصلحا فأعرضوا عنهما إن الله كان توابا رحيما

سورة: النساء - آية: ( 16 )  - جزء: ( 4 )  -  صفحة: ( 80 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
  2. কস্মিণকালেও কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যদি তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে তোমরা ব্যয় না কর।
  3. বলুন, ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি রাত্রিকে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, তবে আল্লাহ ব্যতীত
  4. যে ব্যক্তি আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এবং তার কাছে সত্য আগমন করার পর তাকে মিথ্যা
  5. আল্লাহ সম্মানিত গৃহ কাবাকে মানুষের স্থীতিশীলতার কারণ করেছেন এবং সম্মানিত মাসসমূকে, হারাম কোরবানীর জন্তুকে ও
  6. হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত
  7. এবং আমি মরিয়ম তনয় ও তাঁর মাতাকে এক নিদর্শন দান করেছিলাম। এবং তাদেরকে এক অবস্থানযোগ্য
  8. আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা
  9. সে ধারণা করে যে, আল্লাহ কখনই ইহকালে ও পরকালে রাসূলকে সাহায্য করবেন না, সে একটি
  10. আপনার পূর্বে আমি যতজনকে রসূল করে পাঠিয়েছি, তারা সবাই পুরুষই ছিল জনপদবাসীদের মধ্য থেকে। আমি

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নিসা ডাউনলোড করুন:

সূরা Nisa mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nisa শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নিসা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নিসা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নিসা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নিসা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নিসা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নিসা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নিসা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নিসা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নিসা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নিসা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নিসা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নিসা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নিসা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নিসা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নিসা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নিসা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নিসা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নিসা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নিসা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, November 5, 2024

Please remember us in your sincere prayers