কোরান সূরা রা'দ আয়াত 18 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Raad ayat 18 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা রা'দ আয়াত 18 আরবি পাঠে(Raad).
  
   

﴿لِلَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِرَبِّهِمُ الْحُسْنَىٰ ۚ وَالَّذِينَ لَمْ يَسْتَجِيبُوا لَهُ لَوْ أَنَّ لَهُم مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا وَمِثْلَهُ مَعَهُ لَافْتَدَوْا بِهِ ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ سُوءُ الْحِسَابِ وَمَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ ۖ وَبِئْسَ الْمِهَادُ﴾
[ الرعد: 18]

যারা পালনকর্তার আদেশ পালন করে, তাদের জন্য উত্তম প্রতিদান রয়েছে এবং যারা আদেশ পালন করে না, যদি তাদের কাছে জগতের সবকিছু থাকে এবং তার সাথে তার সমপরিমাণ আরও থাকে, তবে সবই নিজেদের মুক্তিপণ স্বরূপ দিয়ে দেবে। তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর হিসাব। তাদের আবাস হবে জাহান্নাম। সেটা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান। [সূরা রা'দ: 18]

Surah Ar-Rad in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Raad ayat 18


যারা তাদের প্রভুর প্রতি সাড়া দেয় তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ, আর যারা তাঁর প্রতি সাড়া দেয় না -- তাদের যদি থাকত পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সবটাই ও সেই সঙ্গে তার সমপরিমাণ, তবে তারা নিশ্চয়ই তা মুক্তিপণরূপে অর্পণ করতো। এরাই -- এদের জন্য হবে মন্দ হিসাব, আর তাদের আবাস হবে জাহান্নাম, আর তা বড় নিকৃষ্ট বাসস্থান।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৮. যে মু’মিনরা তাদের প্রতিপালকের ডাকে সাড়া দিয়েছে যখন তিনি তাদেরকে তাঁর তাওহীদ ও আনুগত্যের দিকে ডেকেছেন, তাদের জন্য রয়েছে সুন্দর প্রতিদান তথা জান্নাত। আর যে কাফিররা তাঁর তাওহীদ ও আনুগত্যের ডাকে সাড়া দেয়নি তাদের নিকট যদি দুনিয়ার সকল ধরনের সম্পদ ও তার অনুরূপ আরো কিছু বাড়তি সম্পদ থাকে তারা নিজেদেরকে শাস্তি থেকে ছাড়ানোর জন্য তা সবই ব্যয় করবে। যারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয়নি তাদের সকল গুনাহের হিসাব নেয়া হবে। তাদের আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। কতোই না নিকৃষ্ট তাদের বাস উপকরণ ও আবাসস্থল যা হলো জাহান্নাম।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যারা তাদের প্রতিপালকের আহবানে সাড়া দেয়, তাদের জন্য রয়েছে মঙ্গল। আর যারা তাঁর আহবানে সাড়া দেয় না, তাদের যদি পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা সমস্তই থাকতো এবং তার সাথে সমপরিমাণ আরো কিছু থাকতো, তাহলে অবশ্যই তারা মুক্তিপণ স্বরূপ তা প্রদান করতো।[১] তাদের হবে কঠোর হিসাব[২] এবং জাহান্নাম হবে তাদের আবাস। আর তা কত নিকৃষ্ট শয়নাগার। [১] এ বিষয়টি ইতিপূর্বেও দুই-তিন স্থানে উল্লিখিত হয়েছে। ( দেখুনঃ সূরা আলে ইমরান ৩:৯১, সূরা মাইদাহ ৫:৩৬, সূরা যুমার ৩৯:৪৭ ) [২] কেননা তাদের নিকট থেকে প্রত্যেক ছোট-বড় কর্মের হিসাব নেওয়া হবে এবং তাদের ব্যাপারটা مَنْ نُوْقِشَ الْحِسَابَ عُذِّبَ অর্থাৎ ( হিসাবে যাকে জেরা করা হবে তার বাঁচা কঠিন হয়ে যাবে, সে আযাবে গ্রেপ্তার হবেই ) এর মত হবে। এ জন্য এর পরে বলেছেন, 'জাহান্নাম হবে তাদের আবাস।'

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যারা তাদের রবের ডাকে সাড়া দেয়, তাদের জন্য রয়েছে শ্রেষ্ঠ প্রতিদান। আর যারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয় না, যমীনে যা কিছু আছে তার সবটুকুই যদি তারা মালিক হতো এবং তার সাথে সমপরিমাণ আরো কিছুও হতো তাহলেও তারা মুক্তিপণস্বরূপ তা দিত []। তাদেরই হিসেব হবে কঠোর [] এবং জাহান্নাম হবে তাদের আবাস, আর সেটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! [] আয়াতটিতে আল্লাহ্ তা’আলা সৌভাগ্যশালী এবং দূর্ভাগাদের অবস্থা পরবর্তীতে কেমন তা ব্যাখ্যা করেছেন। একদিকে ঐ সমস্ত লোকগণ যারা তাদের প্রভুর আদেশ-নিষেধ মেনে চলেছে। রাসূলের কথা মেনেছে, তার যাবতীয় কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেছে। তাদের পরিণাম হবে ভাল। জান্নাত ও জান্নাতের যাবতীয় নে’আমত তারা পাবে। অপরদিকে ঐসমস্ত লোক যারা তাদের প্রভুর কথা মানেনি। নবী-রাসূলদের কথা শুনেনি। তাদের উপর এমন বিপদ আসবে যার ফলে তারা নিজেদের জান বাঁচাবার জন্য দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ দিয়ে দেবার ব্যাপারে একটুও ইতস্তত করবে না। কিন্তু তারা কোত্থেকেই তা দিবে? [ দেখুন, সা’দী ] [] কঠোর বা নিকৃষ্টভাবে হিসেব নেয়া অথবা কড়া হিসেব নেয়ার মানে হচ্ছে এই যে, মানুষের কোন ভুল-ভ্রান্তি ও ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করা হবে না। তার কোন অপরাধের বিচার না করে তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে না। কুরআন থেকে আমরা আরো জানতে পারি, এ ধরনের হিসেব আল্লাহ্ তাঁর এমন বান্দাদের থেকে নেবেন যারা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দুনিয়ায় জীবন যাপন করেছে। বিপরীতপক্ষে যারা আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বস্ত আচরণ করেছে এবং তাঁর প্রতি অনুগত থেকে জীবন যাপন করেছে তাদের থেকে “ সহজ হিসেব” অর্থাৎ হালকা হিসেব নেয়া হবে । তাদের বিশ্বস্ততামূলক কার্যক্রমের মোকাবিলায় ক্রটি-বিচ্যুতিগুলো মাফ করে দেয়া হবে। তাদের সামগ্রিক সুকৃতিকে সামনে রেখে তাদের বহু ভুল-ভ্রান্তি উপেক্ষা করা হবে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেনঃ যখন “ যে ব্যক্তি কোন খারাপ কাজ করবে সে তার শাস্তি পাবে” এ আয়াত নাযিল হলো, তখন সাহাবায়ে কিরামের কাছে তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াল, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সহজ কর, কাছাকাছি হও, আল্লাহ্‌র বিশ্বস্ত ও অনুগত বান্দা দুনিয়ায় যে কষ্টই পেয়েছে, এমনকি তার শরীরে যদি কোন কাঁটাও ফুটে থাকে তাকে তার কোন অপরাধের শাস্তি হিসেবে গণ্য করে দুনিয়াতেই তার হিসেব পরিষ্কার করে দেন [ মুসলিমঃ ২৫৭৪ ] অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বললেন, আল্লাহ্‌র এ উক্তির তাৎপর্য কি যাতে বলা হয়েছেঃ “ যার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে তার থেকে হালকা হিসেব নেয়া হবে” এর জবাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এর অর্থ হচ্ছে, উপস্থাপনা ( অর্থাৎ তার সৎকাজের সাথে সাথে অসৎকাজগুলোর উপস্থাপনা আল্লাহ্‌র সামনে ) অবশ্যি হবে কিন্তু যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তার ব্যাপারে জেনে রাখো, সে ধ্বংস হবে” [ বুখারীঃ ১০৩, মুসলিমঃ ২৮৭৬ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তাআ’লা পূণ্যবান ও পাপিষ্ঠদের পরিণামের খবর দিচ্ছেন। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ( সঃ ) মান্যকারী, তাঁদের আদেশ ও নিষেধ অনুযায়ী আমলকারী, অতীত খবরগুলির প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী উত্তম প্রতিদান প্রাপ্ত হবে। যেমন আল্লাহ তাআ’লা যুলকারনাইন সম্পর্কে খবর দেন যে, তিনি বলেছেনঃ “ যুলুমকারীকে আমরা সত্ত্বরই শাস্তি প্রদান করবো, অতঃপর তাকে তার প্রতিপালকের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তিনি তাকে জঘন্য শাস্তি প্রদান করবেন । আর যে ভাল কাজ করবে, তার জন্যে রয়েছে উত্তম প্রতিদান এবং আমরাও তার সাথে নম্রভাবে কথা বলবো।” আল্লাহ তাআ’লা অন্য জায়গায় বলেনঃ “ যারা ভাল কাজ করেছে তাদের জন্যে উত্তম বিনিময় রয়েছে এবং অতিরিক্তও রয়েছে ।” আর এক স্থানে মহান আল্লাহ বলেনঃ “ যারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয় না অর্থাৎ তাঁর আনুগত্য স্বীকার করে না, তারা কিয়ামতের দিন এমন শাস্তি দেখবে যে, যদি তাদের কাছে পৃথিবীপূর্ণ সোনা থাকে তাহলে তারা তাদের মুক্তিপণ হিসেবে তা দিতেও প্রস্তুত থাকবে, এমন কি যদি আরো ঐ পরিমাণ হয় তবুও, কিন্তু কিয়ামতের দিন না মুক্তিপণের ব্যবস্থা থাকবে, না বিনিময় গ্রহণ করা হবে । সেদিন তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিচার করা হবে। একটা ছাল বা বাকল এবং একটা শস্যেরও হিসাব নেয়া হবে। এ জন্যেই আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ “জাহান্নাম হবে তাদের আবাস এবং ওটা কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয় স্থল!”

সূরা রা'দ আয়াত 18 সূরা

للذين استجابوا لربهم الحسنى والذين لم يستجيبوا له لو أن لهم ما في الأرض جميعا ومثله معه لافتدوا به أولئك لهم سوء الحساب ومأواهم جهنم وبئس المهاد

سورة: الرعد - آية: ( 18 )  - جزء: ( 13 )  -  صفحة: ( 251 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারা আল্লাহকে সেজদা করে না কেন, যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের গোপন বস্তু প্রকাশ করেন এবং
  2. এবং তারা বিশ্বাসীদের সাথে যা করেছিল, তা নিরীক্ষণ করছিল।
  3. মুনাফিকরা আপনার কাছে এসে বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসূল। আল্লাহ জানেন
  4. এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান,
  5. অতএব, দেখ গোনাহগারদের পরিণতি কেমন হয়েছে।
  6. আমি বনী-ইসরাঈলকে অপমানজনক শাস্তি থেকে উদ্ধার করছি।
  7. অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার সওয়াব দান করেছেন এবং যথার্থ আখেরাতের সওয়াব। আর যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ
  8. অতঃপর তালূত যখন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে বেরুল, তখন বলল, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদিগকে পরীক্ষা করবেন একটি নদীর
  9. যখন সে তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করেছিল নিভৃতে।
  10. এটা তোমাদের প্রতিদান। তোমাদের প্রচেষ্টা স্বীকৃতি লাভ করেছে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রা'দ ডাউনলোড করুন:

সূরা Raad mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Raad শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত রা'দ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত রা'দ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত রা'দ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত রা'দ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত রা'দ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত রা'দ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত রা'দ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত রা'দ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত রা'দ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত রা'দ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত রা'দ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত রা'দ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত রা'দ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত রা'দ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত রা'দ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত রা'দ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত রা'দ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত রা'দ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত রা'দ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত রা'দ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত রা'দ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers