কোরান সূরা লুকমান আয়াত 18 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Luqman ayat 18 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা লুকমান আয়াত 18 আরবি পাঠে(Luqman).
  
   

﴿وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ﴾
[ لقمان: 18]

অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। [সূরা লুকমান: 18]

Surah Luqman in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Luqman ayat 18


''আর মানুষের প্রতি তোমার চিবুক ঘুরিয়ে নিও না, আর পৃথিবীতে গর্বভরে চলাফেরা কর না। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ প্রত্যেকটি উদ্ধত অহংকারীকে ভালবাসেন না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৮. আর তুমি অহঙ্কার ভরে মানুষ থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখো না। এমনিভাবে যমীনের উপর দম্ভ ভরে হাটবে না। কেননা, যারা দম্ভ ভরে হাটে, নি‘আমতের উপর অহঙ্কার করে তার শুকরিয়া আদায় করে না আল্লাহ তাদের কাউকে পছন্দ করেন না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


মানুষের জন্য নিজের গাল ফুলায়ো না[১] এবং পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে বিচরণ করো না;[২] কারণ আল্লাহ কোন উদ্ধত, অহংকারীকে ভালবাসেন না। [১] অর্থাৎ, ( অহংকার বশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না। ) এমন অহংকার করো না, যাতে তুমি মানুষকে তুচ্ছ ভাবো ও তাকে ঘৃণা কর এবং কোন মানুষ তোমার সাথে কথা বললে তার থেকে বৈমুখ হও অথবা কথোপকথনের সময় নিজ মুখমন্ডলকে অন্য দিকে ফিরিয়ে রাখো। صعر এক প্রকার ব্যাধি, যা উটের মাথা অথবা ঘাড়ে হয় এবং যার ফলে সেই উটের ঘাড় বাঁকা হয়ে যায়। এখানে অহংকার হেতু মুখ ফিরিয়ে নেওয়া ( বা মুখ বাঁকানো )র অর্থে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। ( ইবনে কাসীর ) [২] অর্থাৎ, এমন বিচরণ ও চালচলন, যাতে ধন-সম্পদ, পদ বা বংশ মর্যাদা অথবা শক্তিমত্তা, ক্ষমতার বড়াই ও অহংকার ফুটে ওঠে, তা আল্লাহ পছন্দ করেন না। কারণ মানুষ একজন অক্ষম ও নগণ্য বান্দা মাত্র। তাই আল্লাহ তাআলা এটাই পছন্দ করেন যে, সে নিজের মান ও অবস্থা অনুযায়ী বিনয় ও নম্রতা বজায় রাখবে এবং তা অতিক্রম করে অহংকার প্রদর্শন করবে না। কারণ গর্ব ও অহংকার শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই শোভনীয়; যিনি সকল এখতিয়ারের মালিক এবং সকল গুণের অধিকারী। এই জন্যই হাদীসে বলা হয়েছে, " আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ বলেন, গৌরব ও গর্ব খাস আমার গুণ। সুতরাং যে তাতে আমার অংশী হতে চাইবে, আমি তাকে শাস্তি দেব। " (মুসলিম ২৬২০নং ) " ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে সরিষার দানা সমপরিমাণ অহংকার আছে। " ( আহমাদ ১/৪১২, তিরমিযী ) " যে ব্যক্তি অহংকার হেতু নিজ ( পরনের ) কাপড় ( মাটিতে ) ছেঁচড়ে চলাফেরা করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার দিকে তাকিয়ে দেখবেন না। " (আহমাদ ৫ / ১০৯, বুখারীঃ কিতাবুল লিবাস) তা সত্ত্বেও অহংকার প্রকাশ না করে আল্লাহর নিয়ামত প্রকাশ বা ভাল পোশাক পরা ও উত্তম খাবার খাওয়া ইত্যাদি অবৈধ নয়। ( বরং অহংকার প্রকাশ না করে আল্লাহর নিয়ামত প্রকাশ করাই উত্তম। )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তুমি মানুষের প্রতি অবজ্ঞাভরে তোমার গাল বাঁকা কর না [] এবং যমীনে উদ্ধতভাবে বিচরণ কর না []; নিশ্চয় আল্লাহ্ কোন উদ্ধত, অহংকারীকে পছন্দ করেন না []। [] পঞ্চম উপদেশ সামাজিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে, বলা হয়েছে যে, লোকের সাথে সাক্ষাত বা কথোপকথনের সময় মুখ ফিরিয়ে রেখো না-যা তাদের প্রতি উপেক্ষা ও অহংকারের নিদর্শন এবং ভদ্রোচিত স্বভাব ও আচরণের পরিপন্থী। এর আরেক অর্থ হলো, মানুষের প্রতি গাল বাঁকা করে কথা বলো না। এ অর্থ অনুসারে তার প্রতি তাকিয়েও যদি গাল বাঁকা করে তাকে অপমান করা উদ্দেশ্য হয় তবে তাও নিষিদ্ধ হবে। [ কুরতুবী, ফাতহুল কাদীর ] [] অর্থাৎ গর্বভরে ঔদ্ধত্যের সহিত বিচরণ করো না। আল্লাহ ভূমিকে যাবতীয় বস্তু হতে নত ও পতিত করে সৃষ্টি করেছেন। তোমাদের সৃষ্টিও এ মাটি দিয়েই। তোমরা এর উপর দিয়েই চলাফেরা করা-নিজের নিগুঢ় তত্ত্ব বুঝতে চেষ্টা কর। আত্মাভিমানীদের ধারা অনুসরণ করে অহংকারভরে বিচরণ করো না। আল্লাহ কোন অহংকারী আত্মাভিমানীকে পছন্দ করেন না। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যার অন্তরে শরিষা দানা পরিমান ঈমান আছে সে জাহান্নামে যাবে না, পক্ষান্তরে যার অন্তরে শরিষা দানা পরিমান অহংকার আছে সে জান্নাতে যাবে না।’ [ মুসলিম:১৩২ ] অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আর তিনজনকে আল্লাহ পছন্দ করেন না, অহংকারী, দাম্ভিক। যেমন তোমরা আল্লাহর কিতাবে পাও, তারপর আলোচ্য আয়াত তেলাওয়াত করলেন। আর দান করে খোঁটা প্রদানকারী কৃপণ ব্যক্তি; এরং শপথের মাধ্যমে বিক্রয়কারী। [ মুসনাদে আহমাদ: ৫/১৭৬ ] [] ‘মুখতাল’ মানে হচ্ছে, এমন ব্যক্তি যে নিজেই নিজেকে কোন বড় কিছু মনে করে। আর ‘ফাখূর’ তাকে বলে, যে নিজের বড়াই করে অন্যের কাছে। [ ইবন কাসীর ] মানুষের চালচলনে অহংকার, দম্ভ ও ঔদ্ধত্যের প্রকাশ তখনই অনিবার্য হয়ে ওঠে, যখন তার মাথায় নিজের শ্রেষ্ঠত্বের বিশ্বাস ঢুকে যায় এবং সে অন্যদেরকে নিজের বড়াই ও শ্রেষ্ঠত্ব অনুভব করাতে চায়। [ ফাতহুল কাদীর ]

সূরা লুকমান আয়াত 18 সূরা

ولا تصعر خدك للناس ولا تمش في الأرض مرحا إن الله لا يحب كل مختال فخور

سورة: لقمان - آية: ( 18 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 412 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. মূসার পরে তুমি কি বনী ইসরাঈলের একটি দলকে দেখনি, যখন তারা বলেছে নিজেদের নবীর কাছে
  2. সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে আশ্বাস দেয়। শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সব
  3. তার কারণ এই যে, আল্লাহ কখনও পরিবর্তন করেন না, সে সব নেয়ামত, যা তিনি কোন
  4. যখন তাদের কাছে এটা পাঠ করা হয়, তখন তারা বলে, আমরা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
  5. আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়।
  6. স্বাদ গ্রহণ কর, তুমি তো সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত।
  7. যেদিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞাসা করব; তুমি কি পূর্ণ হয়ে গেছ? সে বলবেঃ আরও আছে কি?
  8. অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল,
  9. অতঃপর তার পালনকর্তা তার দোয়া কবুল করে নিলেন। অতঃপর তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করলেন। নিশ্চয় তিনি
  10. যেমন, কওমে নূহ, আদ, সামুদ ও তাদের পরবর্তীদের অবস্থা হয়েছিল। আল্লাহ বান্দাদের প্রতি কোন যুলুম

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা লুকমান ডাউনলোড করুন:

সূরা Luqman mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Luqman শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত লুকমান  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত লুকমান  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত লুকমান  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত লুকমান  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত লুকমান  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত লুকমান  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত লুকমান  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত লুকমান  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত লুকমান  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত লুকমান  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত লুকমান  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত লুকমান  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত লুকমান  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত লুকমান  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত লুকমান  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত লুকমান  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত লুকমান  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত লুকমান  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত লুকমান  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত লুকমান  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত লুকমান  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত লুকমান  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত লুকমান  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত লুকমান  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত লুকমান  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, May 14, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب