কোরান সূরা নাহল আয়াত 2 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nahl ayat 2 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নাহল আয়াত 2 আরবি পাঠে(Nahl).
  
   

﴿يُنَزِّلُ الْمَلَائِكَةَ بِالرُّوحِ مِنْ أَمْرِهِ عَلَىٰ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ أَنْ أَنذِرُوا أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنَا فَاتَّقُونِ﴾
[ النحل: 2]

তিনি স্বীয় নির্দেশে বান্দাদের মধ্যে যার কাছে ইচ্ছা, নির্দেশসহ ফেরেশতাদেরকে এই মর্মে নাযিল করেন যে, হুশিয়ার করে দাও, আমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। অতএব আমাকে ভয় কর। [সূরা নাহল: 2]

Surah An-Nahl in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nahl ayat 2


তিনি ফিরিশ্‌তাদের পাঠান তাঁর নির্দেশে প্রেরণা দিয়ে তাঁর বান্দাদের মধ্যের যার উপরে তিনি ইচ্ছে করেন, এই বলে -- ''তোমরা সাবধান করে দাও যে আমি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই, সুতরাং আমাকেই ভয়ভক্তি করো।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


২. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ফায়সালার ওহী নিয়ে তাঁর রাসূলদের মধ্যকার যাকে চান তাঁর নিকট ফিরিশতা নাযিল করেন। হে রাসূলগণ! আপনারা মানুষদেরকে আল্লাহর সাথে শিরক করা থেকে ভীতি প্রদর্শন করুন। কারণ, আমি ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই। তাই হে মানুষ! তোমরা আমার আদেশ-নিষেধ মেনে আমাকেই ভয় করো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা[১] স্বীয় নির্দেশে অহী ( প্রত্যাদেশ )[২] সহ ফিরিশতা অবতীর্ণ করেন, এই মর্মে সতর্ক করবার জন্য যে, আমি ছাড়া কোন ( সত্য ) উপাস্য নেই; সুতরাং তোমরা আমাকে ভয় কর। [১] অর্থাৎ, নবী রসূলগণ, যাঁদের উপর অহী অবতীর্ণ হত। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,{اللهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} নবুঅতের দায়িত্ব কাকে দেবেন তা আল্লাহ ভালভাবেই জানেন। ( সূরা আনআম ৬:১২৪ ) {يُلْقِي الرُّوحَ مِنْ أَمْرِهِ عَلَى مَن يَشَاء مِنْ عِبَادِهِ لِيُنذِرَ يَوْمَ التَّلَاقِ} তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা অহী করেন স্বীয় আদেশসহ, যাতে সে সতর্ক করতে পারে কিয়ামত দিন সর্ম্পকে। ( সূরা মু'মিন ৪০:১৫ ) [২] এখানে الروح বলতে অহী ( প্রত্যাদেশ )। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে,{وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِّنْ أَمْرِنَا مَا كُنتَ تَدْرِي مَا الْكِتَابُ وَلَا الْإِيمَانُ} অর্থাৎ, এভাবে আমি নিজ নির্দেশে তোমার প্রতি অহী ( প্রত্যাদেশ ) করেছি রূহ। তুমি তো জানতে না গ্রন্থ কি, ঈমান ( বিশ্বাস ) কি। ( সূরা শূরা ৪২:৫২ )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছে [] স্বীয় নির্দেশে রূহ []- ওহীসহ ফিরিশতা- পাঠান এ বলে যে, তোমরা সতর্ক কর, ‘নিশ্চয় আমি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই []; কাজেই তোমরা আমার ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন কর []। [] এখানে যার প্রতি ইচ্ছা বলে তাঁর নবী-রাসূলদের বুঝানো হয়েছে। [ ফাতহুল কাদীর ] [ এ ব্যাপারে আরো দেখা যেতে পারে সূরা আল-হাজ্জঃ৭৫, সূরা গাফেরঃ ১৫, ১৬ ] [] আয়াতে ( روح ) শব্দ বলে ইবনে আব্বাসের মতে ওহী বুঝানো হয়েছে। যা নবুওয়াতের রূহ। এ রূহ বা প্রাণসত্তায় উজ্জীবিত হয়েই নবী কাজ করেন ও কথা বলেন। স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক জীবনে প্রাণের যে মর্যাদা এ ওহী ও নবুওয়াতী প্রাণসত্তা নৈতিক জীবনে সেই একই মর্যাদার অধিকারী। ওহী দ্বারা মুমিনদের প্রাণ উজ্জীবিত হয়। এ ওহীর একটি হচ্ছে কুরআন। দ্বীনে কুরআনের মর্যাদা যেমন শরীরের সাথে রূহের সম্পর্ক। [ ফাতহুল কাদীর ] তাই কুরআনের বিভিন্ন স্থানে ওহীর জন্য রূহ’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। [ দেখুনঃ সূরা আস-শূরাঃ ৫২ ] কোন কোন তাফসীরবিদগণের মতে রূহ শব্দ দ্বারা এখানে হেদায়াত বোঝানো হয়েছে। [ ফাতহুল কাদীর ] অবশ্য দু' অর্থের মধ্যে বৈপরীত্য নেই। [] এ আয়াতে ইতিহাসগত দলীল দ্বারা তাওহীদ প্রমাণিত হয়েছে যে, আদম 'আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত দুনিয়ার বিভিন্ন ভূখণ্ডে এবং বিভিন্ন সময়ে যে রাসূলই আগমন করেছেন তিনি জনসমক্ষে তাওহীদের বিশ্বাসই পেশ করেছেন। [ দেখুন সূরা আল-আম্বিয়াঃ ২৫ ] অথচ বাহ্যিক উপায়াদীর মাধ্যমে এক জনের অবস্থা ও শিক্ষা অন্যজনের মোটেই জানা ছিল না। চিন্তা করুন, হাজার হাজার নবী-রাসূল, যারা বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন ভূখণ্ডে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই যখন একই বিষয়ের প্রবক্তা, তখন স্বভাবতঃই মানুষ একথা বুঝতে বাধ্য হয় যে, বিষয়টি ভ্রান্ত হতে পারে না। বিশ্বাস স্থাপনের জন্য এককভাবে এ যুক্তিটিই যথেষ্ট। [] এই বাক্যের মাধ্যমে এ সত্যটি সুস্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে যে, নবুওয়াতের রূহ যেখানেই যে ব্যক্তির ওপর অবতীর্ন হয়েছে সেখানেই তিনি এ একটিই দাওয়াত নিয়ে এসেছেন যে সার্বভৌম কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত এবং একমাত্র তাঁকেই ভয় করতে হবে, তিনি একাই এর হকদার। তিনি ছাড়া আর দ্বিতীয় এমন কোন সত্তা নেই যার অসন্তুষ্টির ভয়, যার শাস্তির আশংকা এবং যার নাফরমানির অশুভ পরিণামের ভয় করা যাবে। তিনি ছাড়া আর কারো ইবাদত করা যাবে না।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


এখানে ( আরবি ) দ্বারা ওয়াহী উদ্দেশ্য। যেমন আল্লাহ তাআলার উক্তিঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ এভাবেই আমি তোমার প্রতি আমার হুকুমে ওয়াহী অবতীর্ণ করেছি, অথচ তোমার তো এটাও জানা ছিল না যে, কিতাব কি এবং ঈমানই বা কি? কিন্তু আমি ওটাকে নূর বানিয়েছি এবং এর দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে চাই পথ প্রদর্শন করে থাকি ।( ৪২:৫২ ) এখানে মহান আল্লাহ বলেনঃ “ আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে চাই নুবওয়াত দান করে থাকি । নুবওয়াতের যোগ্য ব্যক্তি কে-এর পূর্ণজ্ঞান আমারই রয়েছে। যেমন তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলার ফেরেশতাদের মধ্য হতে এবং লোকদের মধ্য হতে রাসূলদেরকে মনোনীত করে থাকেন ।” আর এক জায়গায় তিনি বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা ওয়াহী প্রেরণ করেন স্বীয় আদেশসহ, যাতে সে সতর্ক করতে পারে কিয়ামত দিবস সম্পর্কে । যেদিন মানুষ বের হয়ে পড়বে সেদিন আল্লাহর কাছে তাদের কিছু গোপন থাকবে না; আজ কতৃত্ব কার? এক পরাক্রমশালী আল্লাহরই।” ( ৪০:১৫-১৬ ) এটা এ জন্যে যে, তিনি লোকদের মধ্যে আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করবেন, মুশরিকদেরকে ভয় দেখাবেন এবং জনগণকে বুঝাবেন যে, তারা যেন আল্লাহকেই ভয় করে।

সূরা নাহল আয়াত 2 সূরা

ينـزل الملائكة بالروح من أمره على من يشاء من عباده أن أنذروا أنه لا إله إلا أنا فاتقون

سورة: النحل - آية: ( 2 )  - جزء: ( 14 )  -  صفحة: ( 267 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম
  2. এরপর বলা হবে, একেই তো তোমরা মিথ্যারোপ করতে।
  3. যখন মানুষকে হাশরে একত্রিত করা হবে, তখন তারা তাদের শত্রু হবে এবং তাদের এবাদত অস্বীকার
  4. কল্যাণের জন্যে প্রেরিত বায়ুর শপথ,
  5. হে মুমিন গণ, তোমরা ‘রায়িনা’ বলো না-‘উনযুরনা’ বল এবং শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে
  6. অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ-বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন।
  7. আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয়
  8. তুমি বলে দাও, কাফেরদেরকে যে, তারা যদি বিরত হয়ে যায়, তবে যা কিছু ঘটে গেছে
  9. আর তোমরা উপরে উঠে যাচ্ছিলে এবং পেছন দিকে ফিরে তাকাচ্ছিলে না কারো প্রতি, অথচ রসূল
  10. আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নাহল ডাউনলোড করুন:

সূরা Nahl mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nahl শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নাহল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নাহল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নাহল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নাহল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নাহল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নাহল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নাহল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নাহল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নাহল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নাহল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নাহল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নাহল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নাহল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নাহল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নাহল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নাহল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নাহল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নাহল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নাহল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers