কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 20 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 20 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 20 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿يَكَادُ الْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَارَهُمْ ۖ كُلَّمَا أَضَاءَ لَهُم مَّشَوْا فِيهِ وَإِذَا أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُوا ۚ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴾
[ البقرة: 20]

বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে। আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল। [সূরা বাকারাহ্: 20]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 20


বিদ্যুতের ঝলকানি তাদের দৃষ্টি প্রায় ছিনিয়ে নিচ্ছিল। যতবার এ তাদের জন্য ঝিলিক দেয়, তারা এর মধ্যে হেটে চলে, আর যখনি তাদের উপরে অন্ধকার নেমে আসে, তারা দাঁড়িয়ে পড়ে। অথচ আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করতেন তিনি নিশ্চয়ই তাদের শ্রবণশক্তি ও তাদের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে নিতে পারতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সব-কিছুতে সর্বশক্তিমান।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২০. বিজলির কঠিন চমকের দরুন তাদের চোখগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলো। বিজলি চমকালে তারা সেটার আলোতে কিছুটা সামনে অগ্রসর হয়। আর যখন বিজলি চমকায় না তখন তারা অন্ধকারেই পড়ে থাকে। তখন তারা কোন দিকে নড়াচড়া করতে পারে না। আল্লাহ চাইলে তাঁর সার্বিক ক্ষমতা বলে সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার দরুন তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি হরণ করতে পারতেন। ফলে তারা আর সে শক্তিগুলো ফিরে পেতো না। উক্ত দৃষ্টান্তে বৃষ্টি হলো কুরআন। আর বজ্রধ্বনির আওয়াজ হলো কুরআনের ধমকসূলভ বাণীসমূহ। আর বিজলির চমক হলো মাঝে মাঝে সত্য তাদের সামনে পরিস্ফুটিত হওয়া। এদিকে বজ্রধ্বনির বিকট শব্দ শুনে কান বন্ধ করা মানে সত্যকে অগ্রাহ্য করা ও তার ডাকে সাড়া না দেয়া। বস্তুতঃ মুনাফিক ও উক্ত দৃষ্টান্ত দু’টোর মাঝে সাদৃশ্য হলো লাভজনক জিনিস দিয়ে লাভবান না হওয়া। আগুনের দৃষ্টান্তে আগুন প্রজ্বলনকারীরা অন্ধকার আর দহন ছাড়া আর কিছুই পেলো না। আর পানির দৃষ্টান্তে বৃষ্টি পাওয়া লোকগুলো শুধু বজ্রধ্বনি আর বিজলিই পেলো যা তাদেরকে আতঙ্কিত ও বিরক্তই করলো। এ ছাড়া আর কিছুই নয়। ঠিক একইভাবে মুনাফিকরা ইসলামে কঠোরতা আর কড়াকড়ি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায় না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


বিদ্যুৎ-চমক তাদের দৃষ্টি-শক্তিকে প্রায় কেড়ে নেয়। যখনই বিদ্যুতালোক তাদের সম্মুখে উদ্ভাসিত হয়, তারা তখনই পথ চলতে থাকে এবং যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়, তখন তারা থমকে দাঁড়ায়। [১] আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি হরণ করতেন। [২] নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। ( ১ ) এখানে মুনাফিক্বদের অপর আর এক দলের কথা বলা হচ্ছে, যাদের সামনে কখনো সত্য পরিষ্কার হয়ে যায় আবার কখনো তারা এ ব্যাপারে সন্দেহ-সংশয়ের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে। কাজেই তাদের সন্দিগ্ধ ও সংশয়ী অন্তর হল সেই বৃষ্টির ন্যায় যা অন্ধকারে বর্ষিত হয়; এর গর্জন ও চমকে তাদের অন্তর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে; এমনকি ভয়ের কারণে নিজেদের আঙ্গুলগুলো কানের মধ্যে গুঁজে দেয়। কিন্তু এই ব্যবস্থাপনা এবং ভয়-ভীতি তাদেরকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচাতে পারবে না। কেননা, তারা আল্লাহর বেষ্টনীর মধ্য থেকে বের হতে পারবে না। কখনো সত্যের কিরণ তাদের উপর পড়লে তারা তার প্রতি ঝুঁকে পড়ে, কিন্তু আবার যখন ইসলাম ও মুসলিমদের উপর কঠিন সময় আসে, তখন তারা উদভ্রান্ত ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। ( ইবনে কাসীর ) মুনাফিক্বদের এ দল শেষ পর্যন্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও সন্দেহ সংশয়ের শিকার হয়ে সত্য গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিতই থেকে যায়। ( ২ ) এখানে এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়েছে যে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাঁর প্রদত্ত সমস্ত যোগ্যতা ছিনিয়ে নিতে পারেন। কাজেই মানুষের উচিত, মহান আল্লাহর আনুগত্য করা থেকে দূরে এবং তাঁর পাকড়াও থেকে নির্ভয় না থাকা।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


বিদ্যুৎ চমকে তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়ার উপক্রম হয় []। যখনই বিদ্যুতলোক তাদের সামনে উদ্ভাসিত হয় তখনই তারা পথ চলে এবং যখন অন্ধকারে ঢেকে যায় তখন তারা থম্‌কে দাঁড়ায় []। আল্লাহ্‌ ইচ্ছে করলে তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি হরণ করতে পারেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান []। [] ইবনে আব্বাস বলেন, এখানে ( بَرْقٌ ) বলে, কুরআনের অকাট্য আয়াতগুলোকে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কুরআনের অকাট্য আয়াতগুলো বাহকের তীব্র আলো যেন মুনাফিকদের গোপন তথ্য ফাঁস করে দিতে চায়। [ আত-তাফসীরুস সহীহ ] [] এখানে আল্লাহ্ তা'আলা মুনাফেকদের সম্পর্কে যে উপমা দিচ্ছেন তার মর্মার্থ হলো- এমন ব্যক্তির উদাহরণ যে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের মধ্যে পথ অতিক্রম করছে, যাতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের অন্ধকার। রাতের আঁধার, মেঘের আঁধার এবং বৃষ্টির আঁধার। আরও রয়েছে তাতে বিকট শব্দসম্পন্ন বজ্র, বিদ্যুত চমক। এ ভীষণ অন্ধকারে যখন বিদ্যুত চমকায় তখন সে সামনে এগোয়, আবার যখন অন্ধকারে ছেয়ে যায় তখন সে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। মুনাফেকদেরও ঠিক অনুরূপ অবস্থা, যখন তারা কুরআনের আদেশ-নিষেধ, পুরস্কার ও শাস্তির কথা শোনে তখন তারা নিজেদের কানে আঙুল দেয়। কুরআনের আদেশনিষেধ, পুরস্কার-শাস্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকে। কারণ এগুলো তাকে বিব্রত করে। তারা এগুলোকে এমনভাবে অপছন্দ করে যেমনিভাবে ঐ ব্যক্তি মৃত্যুভয়ে বজ্রের শব্দকে অপছন্দ করে কানে আঙুল দিত। কিন্তু মুনাফেকরা যত বিব্রতই হোক তারা কোনভাবেই নিরাপত্তা লাভ করতে পারবে না। কারণ আল্লাহ্‌ তাদেরকে তার জ্ঞান, ক্ষমতা ও শক্তি দ্বারা পরিবেষ্টন করে আছেন। তারা কোনভাবেই তাঁর হাত থেকে নিস্কৃতি পাবে না বা তাঁকে অপারগও করে দিতে পারবে না। বরং আল্লাহ্‌ তাদের কর্মকাণ্ডের সূক্ষ্মতিসূক্ষ্ম হিসাব করে সে অনুসারে তাদেরকে শাস্তি দেবেন। [ তাফসীর আস-সাদী ] ইবনে কাসীর বলেন, এই দ্বিতীয় উপমা সেই মুনাফিকদের জন্য যাদের কাছে সত্য কখনো কখনো প্রকাশ হয়ে পড়ে। আবার কখনো তারা সন্দেহে পতিত হয়। সন্দেহের সময় তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে বৃষ্টির মত। এই বৃষ্টি এখানে অন্ধকার অবস্থায়ই বর্ষিত হয়। সে অন্ধকার হচ্ছে, সংশয়, অবিশ্বাস ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। তদুপরি তারা থাকে সীমাহীন ভীতিপ্রদ অবস্থায়। সুতরাং সত্য যখন সে চিনতে পায়, তখন সে তা নিয়ে সে কথা বলে এবং এর অনুসরণও করে, কিন্তু যখন তাদের দোদুল্য মন কুফরের দিকে ঝুঁকে পড়ে, তখন হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। কেয়ামতের দিনেও তাদের অবস্থা হবে এই যে, যখন লোকদেরকে তাদের ঈমান অনুযায়ী নূর দেয়া হবে, কেউ পাবে বহু মাইল পর্যন্ত, আবার কেউ কেউ তার চেয়েও বেশী, কেউ তার চেয়ে কম, এমনকি শেষ পর্যন্ত কেউ এতটুকু পাবে যে, কিছুক্ষণ আলোকিত হয়ে আবার তা অন্ধকার হয়ে যাবে। কিছু লোক এমনও হবে যে, তারা একটু গিয়েই থেমে যাবে, আবার কিছু দূর পর্যন্ত আলো পাবে, আবার তা নিভে যাবে। আবার এমন কিছু লোকও হবে যাদের আলো সম্পূর্ণভাবে নিভে যাবে। এরাই হচ্ছে প্রকৃত মুনাফিক, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌ বলেছেন, “ সেদিন মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীরা যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে বলবে, ‘তোমরা আমাদের জন্য একটু থাম, যাতে আমরা তোমাদের নূরের কিছু গ্রহণ করতে পারি’ বলা হবে, ‘তোমরা তোমাদের পিছনে ফিরে যাও ও নূরের সন্ধান কর”। [ সূরা আল-হাদীদ ১৩ ] [] উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে পড়েছে যে, পবিত্র কুরআনের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত মানুষকে কয়েক শ্রেনীতে ভাগ করা হয়েছে। এক.
খাঁটি মুমিন। সূরা আল বাকারার প্রথম চার আয়াতে তাদের পরিচয় দেয়া হয়েছে। দুই.
খাঁটি কাফের। তাদের বর্ণনা পরবর্তী দুই আয়াতে প্রদত্ত হয়েছে। তিন.
মুনাফিক, যারা আবার দুশ্রেণীর। প্রথম.
খাঁটি মুনাফেক। আগুন জ্বালানোর উপমা দিয়ে তাদের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়.
সন্দেহের দোলায় দোদুল্যমান মুনাফিক। তারা কখনো ঈমানের আলোকে আলোকিত হয়, কখনো কুফরীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। বজ্র ও বিদ্যুতের উদাহরণ পেশ করে তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম দলের অবস্থা থেকে তাদের মুনাফেকী একটু নরম। এ বর্ণনার সাথে সূরা আন-নূরের ৩৫ নং আয়াতের বর্ণনার কোন কোন দিকের মিল রয়েছে [ ইবনে কাসীর ]। এর মাধ্যমে আরও স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মুমিনরা দু’ভাগে বিভক্ত। এক.
সাবেকুন বা মুকাররাবুন, দুই.
আসহাবুল ইয়ামীন, আবরার বা সাধারণ মুমিন। আর কাফেররা দু’ভাগে বিভক্ত: এক.
অনুসৃত, বা কুফরির দিকে আহবানকারী কাফের দল, দুই.
অনুসারী বা অনুসরণকারী সাধারণ কাফেররা। অনুরূপভাবে মুনাফিকদেরও শ্রেণী দুটি। প্রথম শ্রেণীর মুনাফিক হচ্ছে সেসব কট্টর মুনাফিক যাদের অন্তরে ঈমানের লেশমাত্র নেই। দ্বিতীয় শ্রেণীর মুনাফিকের অন্তরে ঈমানের কিছু থাকলেও নিফাকের সব চরিত্র তাদের মধ্যে বিদ্যমান। [ ইবনে কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৯-২০ নং আয়াতের তাফসীর এটা দ্বিতীয় উদাহরণ যা দ্বিতীয় প্রকারের মুনাফিকদের জন্যে বর্ণনা করা হয়েছে। এরা সেই সম্প্রদায় যাদের নিকট কখনও সত্য প্রকাশ পেয়ে থাকে। এবং কখনও সন্দেহে পতিত হয়। সন্দেহের সময় তাদের দৃষ্টান্ত বৃষ্টির মত ( আরবি )-এর অর্থ হচ্ছে বৃষ্টিপাত ও বর্ষণ। কেউ কেউ এর অর্থ মেঘও বর্ণনা করেছেন। কিন্তু খুব প্রসিদ্ধ অর্থ হচ্ছে বৃষ্টি বা অন্ধকারে বর্ষে। ( আরবি )-এর ভাবার্থ হচ্ছে সন্দেহ, কুফর ও নিফাক। ( আরবি )-এর অর্থ হচ্ছে বজ্র, যা ভয়ংকর শব্দের দ্বারা অন্তর কাঁপিয়ে তোলে। মুনাফিকের অবস্থাও ঠিক এইরূপ। সব সময় তার মনে ভয়, সন্ত্রাস ও উদ্বেগ থাকে। যেমন কুরআন মজীদের এক জায়গায় আছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ প্রত্যেক শব্দকে তারা নিজেদের উপরই মনে করে থাকে।' ( ৬৩:৪ ) অন্যত্র আল্লাহ পাক বলেনঃ “ এই মুনাফিকরা শপথ করে বলে থাকে যে, তারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ভীত লোক, যদি তারা কোন আশ্রয়স্থল পথ পায় তবে নিশ্চয়ই কুঞ্চিত হয়ে সেখানেই প্রবেশ করবে। বিদ্যুতের সঙ্গে সেই ঈমানের আলোর তুলনা করা হয়েছে যা কখনও কখনও তাদের অন্তরে উজ্জ্বল হয়ে উঠে, সে সময়ে তারা মরণের ভয়ে তাদের অঙ্গুলিগুলো কানের মধ্যে ভরে দেয়, কিন্তু ওটা তাদের কোন উপকারে আসে। এরা আল্লাহ তাআলার ক্ষমতা ও ইচ্ছার অধীন রয়েছে। সুতরাং এরা বাঁচতে পারে না। আল্লাহ তাআলা এক জায়গায় বলেছেনঃ তোমাদের নিকট কি ঐ সেনাবাহিনীর কাহিনী পৌঁছেছে, অর্থাৎ ফিরআউন ও সামূদের? বরং কাফিরেরা অবিশ্বাস করার মধ্যে রয়েছে। আর আল্লাহ তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে রয়েছেন। বিদ্যুতের চক্ষুকে কেড়ে নেয়ার অর্থ হচ্ছে তার শক্তি ও কাঠিন্য এবং ঐ মুনাফিকদের দৃষ্টি শক্তিতে দুর্বলতার অর্থ হচ্ছে তাদের ঈমানের দুর্বলতা। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেনঃ এর ভাবার্থ এই যে, কুরআন মাজীদের মজবুত আয়াতগুলো ঐ মুনাফিকদের প্রকৃত অবস্থা খুলে দেবে ও তাদের গোপনীয় দোষ প্রকাশ করবে এবং আপন ঔজ্জ্বল্যের দ্বারা তাদেরকে হতভম্ব করে দেবে। যখন তাদের উপর অন্ধকার ছেয়ে যায় তখন তারা দাড়িয়ে যায়, অর্থাৎ যখন তাদের ঈমান প্রকাশ পায় তখন তাদের অন্তর কিছু উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং তারা এর অনুসরণ করতে থাকে। কিন্তু যেমনই সংশয় ও সন্দেহের উদ্রেক হয় তেমনই অন্তরের মধ্যে অন্ধকার ছেয়ে যায় এবং তখন সে হয়রান পেরেশান হয়ে যায়। এর ভাব এও হতে পারে যে, যখন ইসলামের কিছুটা উন্নতি সাধিত হয়, তখন তাদের মনে কিছুটা স্থিরতা আসে, কিন্তু যখনই ওর বিপরীত পরিলক্ষিত হয় তখনই তারা কুফরীর দিকে ফিরে যায়। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ কতকগুলো লোক এমনও আছে যারা প্রান্তে দাঁড়িয়ে আল্লাহর ইবাদত করতে থাকে অতঃপর মঙ্গল পৌছলে স্থির থাকে এবং অমঙ্গল পৌছলে তৎক্ষণাৎ ফিরে যায়।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, তাদের আলোতে চলার অর্থ হচ্ছে সত্যকে জেনে ইসলামের কালেমা পাঠ করা এবং অন্ধকারে থেমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে কুফরীর দিকে ফিরে যাওয়া। আরও বহু মুফাসসিরেরও এটাই মত আর সবচেয়ে বেশী সঠিক ও স্পষ্টও হচ্ছে এটাই। আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। কিয়ামতের দিনেও তাদের এই অবস্থা হবে যে, যখন লোকদেরকে তাদের ঈমানের পরিমাপ অনুযায়ী আলো দেয়া হবে, কেউ পাবে বহু মাইল পর্যন্ত, কেউ কেউ তারও বেশী, কেউ তার চেয়ে কম, এমনকি শেষ পর্যন্ত কেউ এতটুকু পাবে যে, কখনও আলোকিত হবে এবং কখনও অন্ধকার। কিছু লোকে এমনও হবে যে, তারা একটু দূরে গিয়েই থেমে যাবে, আবার কিছু দূর পর্যন্ত আলো পাবে, আবার নিবে যাবে। আবার কতকগুলো এমন দুর্ভাগা লোকও হবে যে, তাদের আলো সম্পূর্ণ রূপে নিভে যাবে। এরাই হবে পূর্ণ মুনাফিক, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলার ফরমান রয়েছেঃ “ যেদিন মুনাফিক নর ও নারী ঈমানদারগণকে ডাক দিয়ে বলবে-একটু থামো, আমাদেরকেও আসতে দাও যেন আমরাও তোমাদের আলো দ্বারা উপকৃত হই,তখন বলা হবে, তোমাদের পিছনে ফিরে যাও এবং আলো অনুসন্ধান কর ।' মুমিন নারী ও পুরুষের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, সেইদিন তুমি মুমিন পুরুষ ও নারীর সামনে ও ডানে আলো দেখতে পাবে এবং তাদেরকে বলা হবে-আজকে তোমাদের জন্য বেহেশতের সুসংবাদ, যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হচ্ছে। আল্লাহ পাক আরও বলেনঃ “ যেদিন আল্লাহ তা'আলা নবী ( সঃ ) কে, মুমিনগণকে অপমানিত করবেন না । তাদের সামনে ও ডানে আলো থাকবে এবং তারা বলতে থাকবে-হে আমাদের প্রভু! আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন! নিশ্চয়ই আপনি প্রত্যেক জিনিসের উপর ক্ষমতাবান। এই আয়াতসমূহের পর নিম্নের এ বিষয়ের হাদীসগুলিও উল্লেখযোগ্যঃ নবী ( সঃ ) বলেছেন, মুমিনদের কেউ কেউ মদীনা হতে আদন পর্যন্ত আলো পাবে। কেউ কেউ তার চেয়ে কম পাবে। এমনকি কেউ কেউ এত কম পাবে যে, শুধুমাত্র পা রাখার জায়গা পর্যন্ত আলোকিত হবে। তাফসীর-ই-ইবনে জারীর) হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ ( রাঃ ) বলেনঃ মুমিনগণকে তাদের আমলের পরিমাপ অনুযায়ী আলো দেয়া হবে। কেউ কেউ পাবে খেজুর গাছের সমান জায়গা ব্যাপী, কেউ পাবে হযরত আদমের ( আঃ ) পায়ের সমান স্থান ব্যাপী, কেউ কেউ শুধু এতটুকু পাবে যে, তার বৃদ্ধাঙ্গুলি মাত্র আলোকিত হবে কখনও জ্বলে উঠবে আবার কখনও নিবে যাবে। মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিম)। হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ ( রাঃ ) বলেন যে, আমল অনুযায়ী তারা আলো পাবে, সেই আলোতে তারা পুলসিরাত অতিক্রম করবে। কোন কোন লোকের নূর পাহাড়ের সমান হবে, কারও হবে খেজুর গাছের সমান, আর সবচেয়ে ছোট নূর ঐ লোকটার হবে, যার শুধু বৃদ্ধাঙ্গুলির উপর নূর থাকবে। ওটা কখনও জ্বলে উঠবে এবং কখনও নিভে যাবে। ( মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিম ) হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, কিয়ামতের দিন সমস্ত একত্ববাদীকে নূর দেয়া হবে। যখন মুনাফিকদের নূর নিভে যাবে তখন একত্ববাদীরা ভয় পেয়ে বলবেঃ “ হে আল্লাহ! আমাদের নরকে পূর্ণ করে দিন । ( মুসনাদ-ই- ইবনে আবি হাতিম )। যহহাক বিন মাযাহিমেরও ( রঃ ) এটাই মত। এ হাদীসসমূহ দ্বারা বুঝা যায় যে, কিয়ামতের দিন কয়েক প্রকারের লোক হবেঃ ( ১ ) খাটি মুমিন যাদের বর্ণনা পূর্বের চারটি আয়াতে হয়েছে। ( ২ ) আঁটি কাফির, যার বর্ণনা তার পরবর্তী দু'টি আয়াতে হয়েছে। ( ৩ ) মুনাফিক-এদের আবার দু'টি ভাগ আছে। প্রথম হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক যাদের উপমা আগুনের আলো দিয়ে দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় হচ্ছে সেই মুনাফিক যারা সন্দেহের মধ্যে আছে। কখনও ঈমানের আলো জ্বলে, কখনও নিভে যায়। তাদের উপমা বৃষ্টির সঙ্গে দেয়া হয়েছে। এরা প্রথম প্রকারের মুনাফিক হতে কিছু কম দোষী। ঠিক এই ভাবেই সূরা-ই নূরের মধ্যেও আল্লাহ তা'আলা মুমিনের ও তার অন্তরের আলোর উপমা সেই উজ্জ্বল প্রদীপের সঙ্গে দিয়েছেন যা উজ্জ্বল চিমনীর মধ্যে থাকে এবং স্বয়ং চিমনিও উজ্জ্বল তারকার মত হয়। যেহেতু একেতো স্বয়ং ঈমানদারের অন্তর উজ্জ্বল, দ্বিতীয়তঃ খাটি শরীয়ত দিয়ে তাকে সাহায্য করা হয়েছে। সুতরাং এ হচ্ছে নূরের উপর নূর। এভাবেই অন্য স্থানে কাফেরদের উপমাও তিনি বর্ণনা করেছেন যারা মূর্খতা বশতঃ নিজেদেরকে অন্য কিছু একটা মনে করে, অথচ প্রকৃতপক্ষে তারা কিছুই নয়। তিনি বলেছেনঃ “ ঐ কাফিরদের কার্যাবলীর দৃষ্টান্ত সেই মরীচিকার ন্যায় যাকে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি পানি মনে করে । শেষ পর্যন্ত কাছে এসে দেখে, কিন্তু কিছুই পায় না। অন্যস্থানে ঐ কাফিরদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন যারা খাঁটি মূর্খতায় জড়িত হয়ে পড়েছে। বলছেন যে, তারা গভীর সমুদ্রের তলদেশের অন্ধকারের মত যে সমুদ্রে ঢেউ এর পর ঢেউ খেলছে আবার আকাশ মেঘে ঢাকা রয়েছে এবং অন্ধকার ছেয়ে গেছে, এমনকি নিজের হাত পর্যন্ত দেখা যায় না। আসল কথা এই যে, যার জন্যে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে নূর থাকে না সে নুর পাবে কোথায়? সুতরাং কাফেরদেরও দুটি ভাগ হলো। প্রথম হলো ওরাই যারা অন্যদেরকে কুফরীর দিকে আহ্বান করে এবং দ্বিতীয় হচ্ছে যারা তাদেরকে অনুকরণ করে থাকে। যেমন সূরা-ই-হজ্জের প্রথমে রয়েছেঃ কতক লোকে এমন আছে যারা অজ্ঞানতা সত্ত্বেও আল্লাহ সম্বন্ধে ঝগড়া করে এবং প্রত্যেক দুষ্ট শয়তানের অনুকরণ করে থাকে। আর এক জায়গায় আছেঃ কতকগুলো লোক জ্ঞান, সঠিক পথ এবং উজ্জ্বল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্বন্ধে ঝগড়া করে থাকে। সূরাই ওয়াকিয়ার প্রথমে ও শেষে এবং সূরা-ই নিসার মধ্যে মুমিনদেরও দুই প্রকার বর্ণনা করা হয়েছে। তারা হচ্ছে সাবেকিন ও আসহাব-ই ইয়ামীন অর্থাৎ আল্লাহর নৈকট্য লাভকারী এবং পরহেযগার ও সৎ ব্যক্তিগণ। সুতরাং এ আয়াতসমূহ দ্বারা জানা গেল যে, মুমিনদের দু’টি দল-আল্লাহর নৈকট্য লাভকারী ও সৎ। কাফিরদেরও দু’টি দল-কুফরের দিকে আহ্বানকারী ও তাদের অনুসরণকারী। মুনাফিকদেরও দু'টি ভাগ-খাঁটি ও পাকা মুনাফিক এবং সেই মুনাফিক যাদের মধ্যে নিফাকের এক আধটি শাখা আছে।সহীহ বুখারী ও মুসলিমের মধ্যে হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যার মধ্যে তিনটি অভ্যাস আছে সে পাকা মুনাফিক । আর যার মধ্যে একটি আছে তার মধ্যে নিফাকের একটি অভ্যাস আছে যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করে। ( তিনটি অভ্যাস হচ্ছে কথা বলার সময় মিথ্যাবলা, অঙ্গীকার ভঙ্গ করা এবং গচ্ছিত দ্রব্য আত্মসাৎ করা )। এর দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, কখনও কখনও মানুষের মধ্যে নিফাকের কিছু অংশ থাকে। তা কার্য সম্বন্ধীয়ই হোক বা বিশ্বাস সম্বন্ধীয়ই থাকে। যেমন আয়াত ও হাদীস দ্বারা জানা গেল। পূর্ববর্তী একটি জামা'আত এবং উলামা-ই-কিরামের একটি দলেরও এটাই মাযহাব। এর বর্ণনা পূর্বে হয়ে গেছে এবং আগামীতে হবে ইনশাআল্লাহ।মুসনাদ-ই-আহমাদে আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ ‘অন্তর চার প্রকারঃ ( ১ ) সেই পরিষ্কার অন্তর যা উজ্জ্বল প্রদীপের মত ঝলমল করে( ২ ) ঐ অন্তর যা পর্দায় ঢাকা থাকে। ( ৩ ) উল্টো অন্তর এবং ( ৪ ) মিশ্রিত অন্তর। প্রথমটি হচ্ছে মুমিনের অন্তর যা পূর্ণভাবে উজ্জ্বল। দ্বিতীয়টা কাফিরের অন্তর যার উপর পর্দা পড়ে রয়েছে। তৃতীয়টি খাঁটি মুনাফিকের অন্তর যা জেনে শুনে অস্বীকার করে এবং ৪র্থটি হচ্ছে মুনাফিকের অন্তর যার মধ্যে ঈমান ও নিফাক। এ দুটোর সংমিশ্রণ রয়েছে। ঈমানের দৃষ্টান্ত সেই সবুজ উদ্ভিদের মত যা নির্মল পানি দ্বারা বেড়ে ওঠে। নিফাকের উপমা ঐ ফোড়ার ন্যায় যার মধ্যে রক্ত ও পুঁজ বাড়তে থাকে। এখন যে মূল বেড়ে যায়, তার প্রভাব অন্যের উপর পড়ে থাকে। এই হাদীসটি সনদ হিসেবে খুবই মজবুত।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেনঃ আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের কান ও চক্ষু ধ্বংস করে দেবেন । ভাবার্থ এই যে, তারা যখন সত্যকে জেনে ছেড়ে দিয়েছে, তাহলে তাদের জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক জিনিসের উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান। অর্থাৎ তিনি ইচ্ছে করলে শাস্তি দেবেন বা ক্ষমা করে দেবেন।এখানে আল্লাহ তা'আলা মুনাফিকদেরকে তার শাস্তি ও মহা শক্তির ভয় দেখাবার জন্যেই কাদীর' শব্দ ব্যবহার করেছেন। এখানে ( আরবি )-এর অর্থে ( আরবি )শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন ( আরবি )-এর অর্থে ( আরবি )শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইমাম ইবনে জারীর বলেন যে, এই দু’টি উদাহরণ হচ্ছে একই প্রকারের মুনাফিকের জন্যে ( আরবি ) এখানে ( আরবি )-এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ ‘এবং অর্থে। যেমন আল্লাহ পাক বলেছেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ তাদের অন্তর্গত কোন ফাসিক ও কাফির ব্যক্তির অনুসরণ করো না। ( ৭৬:২৪ ) কিংবা ( আরবি ) শব্দটি ইখতিয়ার’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, অর্থাৎ এই দৃষ্টান্ত বর্ণনা কর অথবা ঐ দৃষ্টান্ত বর্ণনা কর। কুরতুবী ( রঃ ) বলেন যে, ( আরবি )এখানে সমান অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন আরবী বাক পদ্ধতি আছেঃ ( আরবি )যামাখশারী ( রঃ ) এই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন। তাহলে অর্থ হবে যে, দৃষ্টান্তসমূহের মধ্যে যা চাও তাই বর্ণনা কর, দুটোই তাদের অবস্থার অনুরূপ হবে। কিন্তু আমাদের ধারণা এই যে, এটা মুনাফিকদের শ্রেণী হিসেবে এসেছে, তাদের অবস্থা ও বিশেষণ বিভিন্ন প্রকারের। যেমন সূরা-ই-বারাআতের মধ্যে ( আরবি ) এবং ( আরবি ) করে করে তাদের অনেক শ্রেণী অনেক কাজ এবং অনেক কথার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। দুটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে দু’প্রকার মুনাফিকের যা তাদের অবস্থা ও গুণাবলীর সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেমন সূরা-ই-নূরের মধ্যে দুই প্রকারের কাফিরের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম প্রকার হচ্ছে কুফরীর দিকে আহ্বানকারী এবং দ্বিতীয় প্রকার হচ্ছে তাদের অনুসরণকারী। আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে বেশী জানেন।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 20 সূরা

يكاد البرق يخطف أبصارهم كلما أضاء لهم مشوا فيه وإذا أظلم عليهم قاموا ولو شاء الله لذهب بسمعهم وأبصارهم إن الله على كل شيء قدير

سورة: البقرة - آية: ( 20 )  - جزء: ( 1 )  -  صفحة: ( 4 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আর যখন তোমরা ছিলে সমরাঙ্গনের এ প্রান্তে আর তারা ছিল সে প্রান্তে অথচ কাফেলা তোমাদের
  2. আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো
  3. বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ
  4. নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।
  5. বলুনঃ তোমরা কি তোমাদের ধর্ম পরায়ণতা সম্পর্কে আল্লাহকে অবহিত করছ? অথচ আল্লাহ জানেন যা কিছু
  6. এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত,
  7. বলুন, আমি তোমাদের কাছে এর কোন বিনিময় চাই না, কিন্তু যে ইচ্ছা করে, সে তার
  8. তারা এই আযাবকে সুদূরপরাহত মনে করে,
  9. সেদিন তার কোন শক্তি থাকবে না এবং সাহায্যকারীও থাকবে না।
  10. আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর রিযিক দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেন, এরপর তোমাদের জীবিত করবেন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers