কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 210 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 210 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 210 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَن يَأْتِيَهُمُ اللَّهُ فِي ظُلَلٍ مِّنَ الْغَمَامِ وَالْمَلَائِكَةُ وَقُضِيَ الْأَمْرُ ۚ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ﴾
[ البقرة: 210]

তারা কি সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে যে, মেঘের আড়ালে তাদের সামনে আসবেন আল্লাহ ও ফেরেশতাগণ ? আর তাতেই সব মীমাংসা হয়ে যাবে। বস্তুতঃ সবকার্যকলাপই আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌঁছবে। [সূরা বাকারাহ্: 210]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 210


তারা এছাড়া আর কিসের প্রতীক্ষা করে যে তাদের কাছে আল্লাহ্ আসবেন মেঘের ছায়ায়, আর ফিরিশ্‌তারাও, আর বিষয়টির নিস্পত্তি হয়ে গেছে? আর আল্লাহ্‌র কাছেই সব ব্যাপার ফিরে যায়।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২১০. এতো কিছুর পরও যারা সত্যকে পাশ কাটিয়ে শয়তানের পথ অনুসরণ করেছে তারা কি এখনো এই অপেক্ষাই করছে যে, আল্লাহ তা‘আলা মেঘমালার ছায়াতলে নিজেই তাদের নিকট এসে উপস্থিত হবেন এবং ফেরেশতাগণ তাদেরকে চতুর্দিক থেকে বেষ্টন করে রাখবেন? কিন্তু তখনই তো আল্লাহর চ‚ড়ান্ত ফায়সালা ঘোষিত হয়ে যাবে এবং তাদের ব্যাপারসমূহের পরিসমাপ্তি ঘটবে। বস্তুতঃ একমাত্র আল্লাহর দিকেই তাঁর সৃষ্টির সকল ব্যাপার ও কর্মকাÐ প্রত্যাবর্তিত হয়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা কেবল এ প্রতীক্ষায় আছে যে, আল্লাহ মেঘের ছায়ায় ফিরিশতাগণসহ তাদের কাছে উপস্থিত হবেন, অতঃপর সব কিছুর মীমাংসা হয়ে যাবে।[১] আর সব বিষয় আল্লাহরই নিকট প্রত্যাবর্তিত হয়ে থাকে। [১] এটা হয়তো কিয়ামতের দৃশ্য, যেমন কোন কোন তফসীরের বর্ণনায় এসেছে। ( ইবনে কাসীর ) অর্থাৎ, এরা কি কিয়ামত কায়েম হওয়ার অপেক্ষা করছে? অথবা এর অর্থ হল, মহান আল্লাহ ফিরিশতাসহ মেঘের আড়ালে তাদের সামনে এসে কোন চূড়ান্ত ফায়সালা করে দেবেন, তবেই তারা ঈমান আনবে। কিন্তু এ রকম ঈমান ফলপ্রসূ হবে না। কাজেই ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে বিলম্ব না করে সত্বর তা স্বীকার করে নিয়ে নিজের পরকাল সুন্দর করে নাও।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা কি শুধু এর প্রতীক্ষায় রয়েছে যে, আল্লাহ্‌ ও ফেরেশতাগণ মেঘের ছায়ায় তাদের কাছে উপস্থিত হবেন [] ? এবং সবকিছুর মীমাংসা হয়ে যাবে। আর সমস্ত বিষয় আল্লাহ্‌র কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে। [] আল্লাহ্‌ ও ফেরেশতা মেঘের আড়ালে করে তাদের নিকট আগমন করবেন, এমন ঘটনা কেয়ামতের দিন সংঘটিত হবে। হাশরের মাঠে আল্লাহ্‌র আগমন সত্য ও সঠিক। এ সম্পর্কে সাহাবী ও তাবেয়ী এবং বুযুর্গানে দ্বীনের রীতি হচ্ছে, বিষয়টিকে সঠিক ও সত্য বলে বিশ্বাস করে নেয়া, কিন্তু কিভাবে তা সংঘটিত হবে, তা আমরা জানি না।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


এই আয়াতে মহান আল্লাহ কাফিরদেরকে ধমক দিয়ে বলছেন যে, তারা কি কিয়ামতেরই অপেক্ষা করছে যে দিন সত্যের সঙ্গে ফায়সালা হয়ে যাবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের ফলভোগ করবে: যেমন অন্য জায়গায় রয়েছে, ‘যে দিন পৃথিবী টুকরো টুকরো হয়ে উড়ে যাবে এবং স্বয়ং তোমার প্রভু এসে যাবেন, ফেরেস্তাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাবে, দোযখকেও সামনে এনে দাড় করানো হবে, সেদিন এসব লোক শিক্ষা ও উপদেশ লাভ করবে, কিন্তু তাতে আর কি উপকার হবে:' অন্যস্থানে রয়েছে, তারা কি এরই অপেক্ষা করছে যে, তাদের নিকট ফেরেস্তারা এসে যাবে বা স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই এসে যাবেন কিংবা তার কতকগুলো নিদর্শন এসে যাবে: যদি এটা হয়েই যায় তবে না ঈমান কোন কাজ দেবে, না সৎ কার্যাবলী সম্পাদনের সময় থাকবে।ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) এখানে একটি দীর্ঘ হাদীস এনেছেন যার মধ্যে শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া ইত্যাদির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এর বর্ণনাকারী হচ্ছেন হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ )। মুসনাদ ইত্যাদির মধ্যে এই হাদীসটি রয়েছে। এর মধ্যে বর্ণিত আছে যে, যখন মানুষ ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে তখন তারা নবীদের ( আঃ ) নিকট সুপারিশের প্রার্থনা জানাবে। হযরত আদম ( আঃ ) থেকে নিয়ে এক একজন নবীর কাছে তারা যাবে এবং প্রত্যেকের কাছে পরিষ্কার জবাব পেয়ে ফিরে আসবে। অবশেষে তারা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ ( সঃ )-এর নিকট পৌছবে। তিনি উত্তর দেবেন, আমি প্রস্তুত আছি। আমিই তার অধিকারী। অতঃপর তিনি যাবেন এবং আরশের নীচে সিজদায় পড়ে যাবেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার নিকট সুপারিশ করবেন যে, তিনি যেন বান্দাদের ফায়সালার জন্যে আগমন করেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁর সুপারিশ কবুল করবেন এবং মেঘমালার ছত্রতলে সমাগত হবেন। দুনিয়ার আকাশও ফেটে যাবে এবং তার সমস্ত ফেরেস্তা এসে যাবেন। অতঃপর দ্বিতীয় আকাশটিও ফেটে যাবে এবং ওর ফেরেস্তাগণও এসে যাবেন। এভাবে সাতটি আকাশই ফেটে যাবে এবং সেগুলোর ফেরেস্তাগণ এসে যাবেন। এরপর আল্লাহ তাআলার আরশ নেমে আসবে এবং সম্মানিত ফেরেস্তাগণ অবতরণ করবেন এবং স্বয়ং মহা শক্তিশালী আল্লাহ আগমন করবেন। সমস্ত ফেরেস্তা তাসবীহ পাঠে লিপ্ত হয়ে পড়বেন। সেই সময় তারা নিম্নলিখিত তাসবীহ পাঠ করবেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ সাম্রাজ্য ও আত্মার অধিকারীর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। সম্মান ও অসীম ক্ষমতার অধিকারীর প্রশংসা কীর্তন করছি। সেই চিরঞ্জীবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি যিনি মৃত্যুবরণ করেন না। তাঁরই গুণগান করছি যিনি সৃষ্টজীবসমূহের মৃত্যু ঘটিয়ে থাকেন এবং তিনি নিজে মৃত্যুমুখে পতিত হন না। ফেরেস্তাগণ ও আত্মার প্রভুর তাসবীহ পাঠ করছি। আমাদের বড় প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। সাম্রাজ্য ও শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারীর আমরা গুণকীর্তন করছি। সদা-সর্বদা তারই পবিত্রতা বর্ণনা করছি।'হাফিয ইবনে আবু বকর মিরদুওয়াই ( রঃ ) এই আয়াতের তাফসীরে অনেক হাদীস এনেছেন সেগুলোর মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। ওগুলোর মধ্যে একটি এই যে,রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদেরকে ঐ দিন একত্রিত করবেন যার সময় নির্ধারিত রয়েছে। তাদের দৃষ্টিগুলো আকাশের দিকে থাকবে। প্রত্যেকেই ফায়সালার জন্যে অপেক্ষমান থাকবে। আল্লাহ তা'আলা মেঘমালার ছত্রতলে আরশ হতে কুরসীর উপর অবতরণ করবেন। মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিমের মধ্যে রয়েছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) বলেন যে, যে সময় তিনি অবতরণ করবেন সেই সময় তার মধ্যে ও তার সৃষ্টজীবের মধ্যে সত্তর হাজার আবরণ থাকবে। আবরণগুলো হবে আলো, অন্ধকার ও পানির আবরণ। পানি অন্ধকারের মধ্যে এমন শব্দ করবে যার ফলে অন্তর কেঁপে উঠবে ।হযরত যুহাইর বিন মুহাম্মদ ( রঃ ) বলেন যে, ঐ মেঘপুঞ্জের ছায়াতল মণি দ্বারা জড়ান থাকবে এবং তা হবে মুক্তা ও পান্না বিশিষ্ট। হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, এই মেঘমালা সাধারণ মেঘমালা নয়। রবং এটা ঐ মেঘমালা যা তীহ উপত্যকায় বানী ইসরাঈলের মস্তকোপরি বিরাজমান ছিল। হযরত আবুল আলিয়া ( রঃ ) বলেন যে, ফেরেস্তাগণও মেঘপুঞ্জের ছায়াতলে আসবেন এবং আল্লাহ তা'আলা যাতে চাবেন তাতেই আসবেন। কোন কোন পঠনে এও আছে ( আরবি )অর্থাৎ তারা কি এই অপেক্ষাই করছে যে, আল্লাহ তাদের নিকট আগমন করবেন এবং ফেরেস্তাগণ মেঘমালার ছায়াতলে আসবে:' অন্য জায়গায় রয়েছেঃ( আরবি ) অর্থাৎ ‘সেইদিন আকাশ মেঘসই ফেটে যাবে এবং ফেরেস্তাগণ অবতরণ করবেন।' ( ২৫:২৫ )

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 210 সূরা

هل ينظرون إلا أن يأتيهم الله في ظلل من الغمام والملائكة وقضي الأمر وإلى الله ترجع الأمور

سورة: البقرة - آية: ( 210 )  - جزء: ( 2 )  -  صفحة: ( 32 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. সামুদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
  2. আপনার কাছে দাবীদারদের বৃত্তান্ত পৌছেছে, যখন তারা প্রাচীর ডিঙ্গীয়ে এবাদত খানায় প্রবেশ করেছিল।
  3. বস্তুতঃ এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল।
  4. যাদের অন্তর আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে ভীত হয় এবং যারা তাদের বিপদাপদে ধৈর্য্যধারণ করে
  5. আর আল্লাহ সে ওয়াদাকে সত্যে পরিণত করেছেন, যখন তোমরা তাঁরই নির্দেশে ওদের খতম করছিলে। এমনকি
  6. মূসা বলল, সত্যের ব্যাপারে একথা বলছ, তা তোমাদের কাছে পৌঁছার পর? একি যাদু? অথচ যারা
  7. তিনি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যার প্রতি ইচ্ছা রহমত করেন। তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত
  8. ইতিপূর্বে মূসা (আঃ) যেমন জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন, (মুসলমানগন, ) তোমরাও কি তোমাদের রসূলকে তেমনি প্রশ্ন করতে
  9. আর আমাদেরকে অনুগ্রহ করে ছাড়িয়ে দাও এই কাফেরদের কবল থেকে।
  10. নগরীতে কাফেরদের চাল-চলন যেন তোমাদিগকে ধোঁকা না দেয়।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers