কোরান সূরা আনফাল আয়াত 24 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Anfal ayat 24 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আনফাল আয়াত 24 আরবি পাঠে(Anfal).
  
   

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ ۖ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَحُولُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَقَلْبِهِ وَأَنَّهُ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ﴾
[ الأنفال: 24]

হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে। [সূরা আনফাল: 24]

Surah Al-Anfal in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anfal ayat 24


ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহ্ ও রসূলের প্রতি সাড়া দাও যখন তিনি তোমাদের আহ্বান করেন তাতে যা তোমাদের জীবন দান করে। আর জানো যে আল্লাহ্ মানুষের ও তার অন্তঃকরণের মাঝখানে বিরাজ করছেন, আর নিঃসন্দেহ তিনি -- তাঁরই কাছে তোমাদের একত্রিত করা হবে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৪. হে আল্লাহতে বিশ্বাসী ও তাঁর রাসূলের অনুসারী মু’মিনরা! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যখন তোমাদেরকে সত্যের দিকে ডাকে তখন তাঁদের আদেশ-নিষেধ মানার জন্য তাঁদের ডাকে সাড়া দাও। উপরন্তু তোমরা এ কথায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রেখো যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা সবকিছু করতে সক্ষম। তোমরা সত্য প্রত্যাখ্যানের পর তা আবার গ্রহণ করতে চাইলে তিনি অবশ্যই তোমাদের ও সত্য গ্রহণের মাঝে বাধা সৃষ্টি করতে সক্ষম। তাই তোমরা সত্য গ্রহণে দ্রæত অগ্রসর হও। মনে রেখো, নিশ্চয়ই তোমাদেরকে কিয়ামতের দিন তাঁর কাছেই একত্রিত করা হবে। তখন তিনি তোমাদেরকে দুনিয়ার আমলগুলোর প্রতিদান দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


হে বিশ্বাসীগণ! রসূল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহবান করে, যা তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে,[১] তখন আল্লাহ ও রসূলের আহবানে সাড়া দাও এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ মানুষ ও তার হৃদয়ের মাঝে অন্তরায় হন[২] এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে। [১] لِمَا يُحْيِيكُم এর অর্থঃ এমন বস্তুর দিকে যা তোমাদেরকে জীবন দান করে। কেউ কেউ বলেন, এ থেকে জিহাদ বুঝানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিজয়ীর জীবন। আবার কেউ কুরআনের আদেশ-নিষেধ, শরীয়তের বিধান অর্থ নিয়েছেন, এর মধ্যে জিহাদও রয়েছে। সারকথা হল যে, কেবল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা মানো, তার উপর আমল কর। এতেই রয়েছে তোমাদের জীবন। [২] অর্থ মৃত্যুদান করে, যার স্বাদ সকলকেই গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ, তোমাদের মৃত্যু আসার পূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা মেনে নিয়ে তার উপর আমল কর। কেউ কেউ বলেন, মহান আল্লাহ মানুষের হৃদয়ের এত নিকটে যে, তারই উপমা এখানে দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ তিনি মানুষের মনের গোপন কথাও জানেন, তাঁর কাছে কোন জিনিসই লুক্কায়িত নয়। ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) এর অর্থ বলেছেন যে, তিনি যখন চান মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। এমনকি মানুষ তাঁর ইচ্ছা ব্যতিরেকে কিছুই পেতে পারে না। আবার কেউ কেউ একে বদরের যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত বলেছেন; মুসলিমগণ শত্রুদের সংখ্যাধিক্যে ভীত ছিলেন, মহান আল্লাহ তাঁদের অন্তরে অন্তরায় হয়ে ভয়কে অভয়ে বদলে দেন। ইমাম শাওকানী বলেন, আয়াতের উক্ত সকল অর্থই হতে পারে। ( ফাতহুল কাদীর ) ইমাম ইবনে জারীরের বর্ণিত অর্থের সমর্থন ঐ সকল হাদীস দ্বারা হয়, যাতে দ্বীনের উপর অবিচল থাকার দু'আ করতে তাকীদ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ একটি হাদীসে নবী ( সাঃ ) বলেছেন, " আদম সন্তানের অন্তরসমূহ একটি অন্তরের ন্যায় রহমানের ( আল্লাহর ) দুই আঙ্গুলের মাঝে রয়েছে। তিনি যেভাবে চান তা ঘুরিয়ে থাকেন। তারপর তিনি এই দু'আ পাঠ করেন। হে অন্তর ফিরানোর মালিক! আমাদের অন্তরকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও। " ( মুসলিমঃ তকদীর অধ্যায় ) অন্য বর্ণনায় আছে, " হে হৃদয় পরিবর্তনকারী! তুমি আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনে অবিচল রাখ। " ( তিরমিযী, তাকদীর পরিচ্ছেদ )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


হে ঈমানদারগণ! রাসূল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে ডাকে যা তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে, তখন তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের ডাকে সাড়া দেবে এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ মানুষ ও তার হৃদয়ের মাঝে অন্তরায় হন []। আর নিশ্চয় তাঁরই দিকে তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে। [] অর্থাৎ আল্লাহ্ তা'আলা মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে থাকেন। এ বাক্যটির বিভিন্ন অর্থ হতে পারে। ( এক ) একটি অর্থ হতে পারে যে, যখনই কোন সৎকাজ করার কিংবা পাপ থেকে বিরত থাকার সুযোগ আসে, তখন সঙ্গে সঙ্গে তা করে ফেলঃ এতটুকু বিলম্ব করো না এবং অবকাশকে গনীমত জ্ঞান কর। কারণ, যে কোন সময় মানুষের রোগশোক, মৃত্যু কিংবা এমন কোন কাজ উপস্থিত হয়ে যেতে পারে, যাতে সে কাজ করার আর অবকাশ থাকে না। সুতরাং মানুষের কর্তব্য হলো আয়ু এবং সময়ের অবকাশকে গনীমত মনে করা। আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে না রাখা। কারণ, এ কথা কারোরই জানা নেই যে, কাল কি হবে। পরবর্তীতে ভাল কাজ করতে চাইলে সক্ষম নাও হতে পার। [ সা’দী ] ( দুই ) এ বাক্যের দ্বিতীয় মর্ম এও হতে পারে যে, এতে আল্লাহ্ তা'আলা যে বান্দার অতি সন্নিকটে তাই বলে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি মানুষ আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যখনই তিনি কোন বান্দাকে অকল্যাণ থেকে রক্ষা করতে চান, তখন তিনি তার অন্তর ও পাপের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করে দেন। আবার যখন কারো ভাগ্যে অমঙ্গল থাকে, তখন তার অন্তর ও সৎকর্মের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করে দেয়া হয়। সে কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় এই দোআ করতেন ( يَامُقَلِّبَ الْقُلُوْب ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلٰى دِيْنِكَ ) অর্থাৎ ‘ হে অন্তরসমূহের বিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন' [ তিরমিযীঃ ২১৪১ ] [ ইবন কাসীর ] ( তিন ) ইবনে অববাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, এর অর্থ আল্লাহ কাফেরের ঈমান ও মুমিনের কুফরীর মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। [ মুসানদে আহমাদ ৩/১১২ ] [ ইবন কাসীর ] ( চার ) কেউ কেউ বলেনঃ আয়াতটি যেহেতু বদর যুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট সেহেতু তার অর্থ হবে- জেনে রাখ, আল্লাহ তার নেক বান্দাদের ভাগ্যকে নিরাপত্তায় রূপান্তরিত করেন। আর কাফেরদের প্রশান্ত অন্তরে অশান্তি ও ভয়ে পরিবর্তন করে দেবেন। আবার তিনি ইচ্ছে করলে মুসলিমদের নিরাপদ অবস্থাকে ভীত অবস্থায় রুপান্তরিত করতে পারেন। [ ফাতহুল কাদীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ পাক বলেনঃ হে মুমিনগণ! তোমাদেরই সংশোধনের উদ্দেশ্যে যখন নবী ( সঃ ) তোমাদেরকে আহ্বান করেন তখন তোমরা অতিসত্বর সাড়া দাও এবং হুকুম পালন কর। আবু সাঈদ ইবনে মাআ’ল্লা ( রাঃ ) বলেন, আমি একদা নামায পড়ছিলাম, এমন সময় নবী ( সঃ ) আমার পার্শ্ব দিয়ে গমন করেন। তিনি আমাকে ডাক দেন, কিন্তু আমি নামাযে থাকায় সাথে সাথে তাঁর কাছে যেতে পারলাম না। নামায শেষে তাঁর কাছে পৌছলে তিনি আমাকে বলেন, তুমি এতক্ষণ আসনি কেন? আল্লাহ কি তোমাদেরকে বলেননি- “ হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসূল ( সঃ )-এর হুকুম পালন কর যখন রাসূল ( সঃ ) তোমাদেরকে তোমাদের জীবন সঞ্চারক বস্তুর দিকে আহ্বান করে?” অতঃপর তিনি আমাকে বলেনঃ “আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার পূর্বে তোমাকে কুরআনের একটি মহা সম্মানিত সূরা শিখিয়ে দেবো ।” এর পর তিনি যাওয়ার উদ্যোগ করলে আমি তাঁকে ঐ কথা স্মরণ করিয়ে দিলাম।” মোটকথা, এখানে আল্লাহ ও রাসূল ( সঃ )-এর নির্দেশ সত্বর পালনের হুকুম দেয়া হয়েছে। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, এটা হযরত আবূ সাঈদ খুদরী ( রাঃ )-এর ঘটনা। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছিলেন যে, ঐ সূরাটি হচ্ছে সূরায়ে ফাতেহা । অতঃপর তিনি বলেনঃ “ এটাই হচ্ছে ( আরবী ) অর্থাৎ সাতটি আয়াত যা নামাযে সদা পুনরাবৃত্তি করা হয় । এই হাদীসের বর্ণনা সূরায়ে ফাতেহার তাফসীরে দেয়া হয়েছে। মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, ( আরবী ) -এর অর্থ হচ্ছে ‘সত্যের খাতিরে। কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, এটাই হচ্ছে কুরআন যাতে মুক্তি, স্থায়িত্ব এবং জীবন রয়েছে। সুদ্দী ( রঃ ) বলেন যে, ইসলাম গ্রহণের মধ্যেই জীবন রয়েছে এবং কুফরীর মধ্যে রয়েছে মৃত্যু। অথবা ভাবার্থ হচ্ছে- যখন নবী ( সঃ ) তোমাদেরকে সেই জিহাদের দিকে আহ্বান করেন। যার মাধ্যমে তোমরা মর্যাদা লাভ করেছো, অথচ এর পূর্বে তোমরা দুর্বল ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদেরকে শক্তিশালী করেছেন এবং তোমরা কাফিরদের কাছে পরাজিত হয়েছিলে, যার পর তিনি তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করেছেন, তখন তোমরা তাড়াতাড়ি তার ডাকে সাড়া দাও এবং হুকুম পালন কর।আল্লাহ পাকের উক্তিঃ ( আরবী ) অর্থাৎ জেনে রেখো যে, আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে আড়াল হয়ে রয়েছেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, তিনি আড়াল হয়ে আছেন মুমিন ও কুফরীর মাঝে এবং কাফির ও ঈমানের মাঝে। মুমিনকে তিনি কুফরী করতে দেন না এবং কাফিরকে ঈমান আনতে দেন না। ( এটাই হচ্ছে মুজাহিদ (রঃ ), ইকরামা ( রঃ ), যহহাক ( রঃ ), আতিয়্যা এবং মুকাতিল ( রঃ )-এরও উক্তি। মুজাহিদ ( রঃ )-এর এক রিওয়ায়াতে আছে যে, ( আরবী ) অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত তিনি তাকে এমন অবস্থায় ছেড়ে দেন যে, সে কিছুই বুঝতে পারে না) সুদ্দী ( রঃ ) বলেনঃ “ এর অর্থ হচ্ছেকেউই এই ক্ষমতা রাখে না যে, তাঁর অনুমতি ছাড়া ঈমান আনে কুফরী করে ।” কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, এই আয়াতটি ( ৫০:১৬ ) -এই আয়াতটির মতই। এর সাথে সাদৃশ্যযুক্ত বহু হাদীস রয়েছে। হযরত আনাস ইবনে মালিক ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলতেন-( আরবী ) অর্থাৎ “ হে অন্তরকে পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন!" ( হযরত আনাস রাঃ তখন বলেন ) আমরা বললামঃ “হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমরা আপনার উপর এবং কুরআনের উপর ঈমান এনেছি । আমাদের ব্যাপারে আপনার কোন সন্দেহ রয়েছে কি?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “ হ্যা কেননা এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই যে, তোমাদের পরিবর্তন ঘটে যাবে । কারণ, মানুষের অন্তর আল্লাহ তাআলার দু’ অঙ্গুলির মাঝে রয়েছে। তিনি যখন ইচ্ছা করবেন তখন বদলিয়ে দিবেন।”হযরত নাওয়াস ইবনে সামআন ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলতেন- “ প্রত্যেক অন্তর আল্লাহর দু’টি অঙ্গুলির মধ্যভাগে রয়েছে । আল্লাহ যখন ওটাকে সোজা রাখার ইচ্ছা করেন তখন তা সোজা থাকে। আর যখন বাঁকা করে দেয়ার ইচ্ছা করেন তখন তা বাঁকা হয়ে যায়।” অতঃপর তিনি বলেনঃ “ মীযান আল্লাহর হাতে রয়েছে । ইচ্ছা করলে তিনি ওকে হালকা করে দিবেন এবং ইচ্ছা করলে ভারী করবেন।” ( এ হাদীসটি ইমাম নাসাঈ (রঃ ) ও ইমাম ইবনে মাজাহ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত উম্মু সালমা ( রাঃ ) বলেনঃ “ আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! অন্তর কি পরিবর্তিত হয়?” তিনি উত্তরে বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ ইচ্ছা করলে মানুষের অন্তর সোজা রাখেন এবং ইচ্ছা করলে বাকা করে দেন । এ জন্যেই আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি- ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে হিদায়াত দানের পর আমাদের অন্তরগুলোকে বাঁকা করবেন না এবং আপনার নিকট থেকে আমাদেরকে করুণা দান করুন! নিশ্চয়ই আপনি বড় দাতা ।( ৩:৮ ) আমি বললামঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমাকে এমন একটি দুআ শিখিয়ে দিন যার মাধ্যমে আমি নিজের জন্যে প্রার্থনা করবো ।” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বললেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! হে নবী মুহাম্মাদ ( সঃ )-এর প্রতিপালক! আমার গুনাহ মার্জনা করুন, আমার অন্তরের ক্রোধ দূরীভূত করুন এবং যতদিন আমাকে জীবিত রাখবেন ততদিন আমাকে বিভ্রান্তিকর ফিত্না হতে বাঁচিয়ে রাখুন!”হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বলতে শুনেছেনঃ “বানী আদমের অন্তরগুলো আল্লাহর দু'টি অঙ্গুলির মাঝে একটি অন্তরের ন্যায় । তিনি যেভাবে চান সেভাবেই ওগুলোকে ফিরিয়ে থাকেন।” অতঃপর তিনি বলেনঃ অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! হে অন্তরগুলোকে পরিবর্তনকারী! আমাদের অন্তরগুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দিন ।

সূরা আনফাল আয়াত 24 সূরা

ياأيها الذين آمنوا استجيبوا لله وللرسول إذا دعاكم لما يحييكم واعلموا أن الله يحول بين المرء وقلبه وأنه إليه تحشرون

سورة: الأنفال - آية: ( 24 )  - جزء: ( 9 )  -  صفحة: ( 179 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই
  2. আলিফ-লাম-র, এগুলো হেকমতপূর্ণ কিতাবের আয়াত।
  3. যে সকল বস্তু তোমরা চেয়েছ, তার প্রত্যেকটি থেকেই তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন। যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা
  4. শপথ প্রভাতকালের যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়,
  5. অতঃপর প্রতারণাপূর্বক তাদেরকে সম্মত করে ফেলল। অনন্তর যখন তারা বৃক্ষ আস্বাদন করল, তখন তাদের লজ্জাস্থান
  6. হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা
  7. আপনি জানেন ইল্লিয়্যীন কি?
  8. আমি ভয় করি আমার পর আমার স্বগোত্রকে এবং আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; কাজেই আপনি নিজের পক্ষ
  9. সমান নয় ছায়া ও তপ্তরোদ।
  10. আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনফাল ডাউনলোড করুন:

সূরা Anfal mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anfal শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আনফাল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আনফাল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আনফাল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আনফাল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আনফাল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আনফাল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আনফাল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আনফাল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আনফাল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আনফাল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আনফাল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আনফাল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আনফাল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আনফাল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আনফাল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আনফাল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আনফাল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আনফাল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আনফাল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আনফাল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আনফাল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আনফাল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আনফাল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আনফাল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আনফাল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers