কোরান সূরা সাজ্দা আয়াত 25 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Sajdah ayat 25 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা সাজ্দা আয়াত 25 আরবি পাঠে(Sajdah).
  
   

﴿إِنَّ رَبَّكَ هُوَ يَفْصِلُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ﴾
[ السجدة: 25]

তারা যে বিষয়ে মত বিরোধ করছে, আপনার পালনকর্তাই কেয়ামতের দিন সে বিষয়ে তাদের মধ্যে ফয়সালা দেবেন। [সূরা সাজ্দা: 25]

Surah As-Sajdah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Sajdah ayat 25


নিঃসন্দেহ তোমার প্রভু -- তিনি কিয়ামতের দিনে তাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন সেই বিষয়ে যাতে তারা মতবিরোধ করত।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৫. অবশ্যই হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক ক্বিয়ামত দিবসে দুনিয়াতে তাদের বিতর্কপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করবেন। ফলে হকপন্থী থেকে বাতিলপন্থীকে পৃথক করবেন এবং প্রত্যেককে যার যার পাওনা বুঝিয়ে দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


ওরা নিজেদের মধ্যে যে বিষয়ে মতবিরোধ করত, অবশ্যই তোমার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন তার ফায়সালা করে দেবেন।[১] [১] এখানে মতবিরোধ বলতে আহলে কিতাবদের নিজেদের মাঝের মতবিরোধকে বুঝানো হয়েছে। এর মধ্যে মু'মিন ও কাফের, হকপন্থী ও বাতিলপন্থী, তাওহীদবাদী ও অংশীবাদীদের মাঝে পৃথিবীতে যে মতভেদ ছিল ও আছে, তাও আনুষঙ্গিকভাবে এসে যায়। যেহেতু পৃথিবীতে প্রত্যেক দল নিজ যুক্তি-প্রমাণের উপর তুষ্ট এবং নিজ রাস্তার উপর অবিচল থাকে, সেহেতু এই মতভেদসমূহের ফায়সালা আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন করবেন। যার উদ্দেশ্য হল, তিনি হকপন্থীকে জান্নাতে এবং কুফরী ও বাতিলপন্থীদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


নিশ্চয় আমাদের রব, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছে তিনি কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে সেটার ফায়সালা করে দিবেন।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২৩-২৫ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দা ও রাসূল হযরত মূসা ( আঃ ) সম্পর্কে খবর দিচ্ছেন যে, তিনি তাঁকে তাঁর কিতাব তাওরাত দান করেন। সুতরাং নবী ( সঃ ) যেন তার সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ না করেন। হযরত কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, এর দ্বারা মিরাজের রাত্রিকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমাকে মিরাজের রাত্রে হযরত মূসা ইবনে ইমরান ( আঃ )-কে দেখানো হয়েছে । তিনি গোধুম বর্ণের দীর্ঘ দেহ ও কোঁকড়ানো চুল বিশিষ্ট লোক ছিলেন। তিনি দেখতে শিনওয়াহ গোত্রের লোকের মত ছিলেন। ঐ রাত্রে আমি হযরত ঈসা ( আঃ )-কেও দেখেছি। তিনি মধ্যম দেহ বিশিষ্ট সাদা ও লাল মিশ্রিত রং-এর ছিলেন। তাঁর চুলগুলো ছিল সোজা ও লম্বা। ঐ রাত্রেই আমি হযরত মালেক ( আঃ )-কেও দেখেছি যিনি ছিলেন জাহান্নামের দারোগা। আর আমি দাজ্জালকে দেখেছি। এগুলো হলো ঐসব নিদর্শন যেগুলো আল্লাহ তা'আলা তাঁকে দেখিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘সুতরাং তুমি তার সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সন্দেহ করো না।' রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) অবশ্যই হযরত মূসা ( আঃ )-কে দেখেছেন। এবং তার সাথে তাঁর আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এটা মিরাজের রাত্রের ঘটনা।মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি মূসা ( আঃ )-কে বানী ইসরাঈলের জন্যে পথ-নির্দেশক করেছিলাম। আবার এ অর্থও হতে পারে- আমি মূসা ( আঃ )-কে প্রদত্ত কিতাবকে পথ-নির্দেশক বানিয়েছিলাম। যেমন সূরায়ে বানী ইসরাঈলে রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আমি মূসা ( আঃ )-কে কিতাব দিয়েছিলাম এবং ওকে করেছিলাম বানী ইসরাঈলের জন্যে পথ-নির্দেশক । আমি আদেশ করেছিলামঃ তোমরা আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকেও কর্মবিধায়ক রূপে গ্রহণ করো না।" ( ১৭:২ ) এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ তাদের মধ্যে যারা আমার হুকুম পালন করেছিল, আমার নিষেধকৃত কাজ-কর্ম ছেড়ে দিয়েছিল, আমার কথার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছিল, আমার রাসূলদের অনুসরণে ধৈর্য সহকারে দৃঢ় থেকেছিল, তাদেরকে আমি নেতা মনোনীত করেছিলাম। তারা আমার আহকাম জনগণের কাছে পৌঁছিয়ে দিতো এবং মানুষকে ভাল কাজের আদেশ করতো এবং মন্দ কাজ হতে বিরত রাখতো। কিন্তু তারা যখন আল্লাহর কালামে পরিবর্তন-পরিবর্ধন শুরু করে দিলো তখন আমি তাদের এ পদ-মর্যাদা ছিনিয়ে নিলাম ও তাদের অন্তর শক্ত করে দিলাম। ভাল আমল ও সঠিক বিশ্বাস তাদের থেকে দূর হয়ে গেল। পূর্বে তারা দুনিয়ার লোভ-লালসা হতে বেঁচে থাকতো।সুফিয়ান ( রঃ ) বলেনঃ ‘এ লোকগুলো এরূপই ছিল। মানুষের জন্যে এটা উচিত নয় যে, তারা এমন নেতার অনুসরণ করবে যে দুনিয়ার লোভ-লালসা হতে বেঁচে থাকে না। তিনি আরো বলেনঃ “ দ্বীনের জন্যে ইলম অপরিহার্য যেমন দেহের জন্যে খাদ্য অপরিহার্য । হযরত আলী ( রাঃ )-এর উক্তি রয়েছেঃ “ ঈমানের মধ্যে সবর বা ধৈর্যের স্থান এমন যেমন দেহের মধ্যে মাথার স্থান । তুমি কি আল্লাহ পাকের এ উক্তি শুননি? তিনি বলেন- আমি তাদের মধ্য হতে নেতা মনোনীত করেছিলাম যারা আমার নির্দেশ অনুসারে পথ-প্রদর্শন করতো, যখন তারা ধৈর্যধারণ করেছিল তখন তারা ছিল আমার নিদর্শনাবলীতে দৃঢ় বিশ্বাসী।” হযরত সুফিয়ান ( রঃ )-কে হযরত আলী ( রাঃ )-এর উপরোক্ত উক্তির তাৎপর্য জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেনঃ “ এর ভাবার্থ হচ্ছে- যেহেতু তারা সমস্ত কাজের মূলকে গ্রহণ করেছে সেহেতু আল্লাহ তাদেরকে নেতা বানিয়ে দিয়েছেন । কোন কোন আলেম বলেছেন যে, ধৈর্য ও বিশ্বাস দ্বারা দ্বীনের নেতৃত্ব লাভ করা যায়। এ জন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ অবশ্যই আমি বানী ইসরাঈলকে কিতাব, হিকমত ও নবুওয়াত দান করেছি এবং তাদেরকে উৎকৃষ্ট ও পবিত্র খাবার খেতে দিয়েছি, আর তাদেরকে সারা দুনিয়ার উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছি ।( ৪৫:১৬ ) যেমন তিনি এখানে। বলেনঃ তারা নিজেদের মধ্যে যে বিষয়ে ( অর্থাৎ বিশ্বাস ও আমলের বিষয়ে ) মতবিরোধ করছে, তোমার প্রতিপালকই তো কিয়ামতের দিন ওর ফায়সালা করে দিবেন।

সূরা সাজ্দা আয়াত 25 সূরা

إن ربك هو يفصل بينهم يوم القيامة فيما كانوا فيه يختلفون

سورة: السجدة - آية: ( 25 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 417 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ ধর একে গলায় বেড়ি পড়িয়ে দাও,
  2. আর যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে বলে, ধিক তোমাদেরকে, তোমরা কি আমাকে খবর দাও যে, আমি
  3. বরং তাদের কাছে সত্য আগমন করার পর তারা তাকে মিথ্যা বলছে। ফলে তারা সংশয়ে পতিত
  4. মুসলমানরা বলবেঃ এরাই কি সেসব লোক, যারা আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করত যে, আমরা তোমাদের সাথে
  5. তাদের আনুগত্য ও মিষ্ট বাক্য জানা আছে। অতএব, জেহাদের সিন্ধান্ত হলে যদি তারা আল্লাহর প্রতি
  6. আপনি এ কোরআন দ্বারা তাদেরকে ভয়-প্রদর্শন করুন, যারা আশঙ্কা করে স্বীয় পালনকর্তার কাছে এমতাবস্থায় একত্রিত
  7. আমি তাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, তারা এদের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী ছিল এবং দেশে-বিদেশে
  8. তারা সেখানে সালাম ব্যতীত কোন অসার কথাবার্তা শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্যে রুযী
  9. ওরা উর্ধ্ব জগতের কোন কিছু শ্রবণ করতে পারে না এবং চার দিক থেকে তাদের প্রতি
  10. অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমূদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা সাজ্দা ডাউনলোড করুন:

সূরা Sajdah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Sajdah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত সাজ্দা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত সাজ্দা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত সাজ্দা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত সাজ্দা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত সাজ্দা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত সাজ্দা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত সাজ্দা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত সাজ্দা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত সাজ্দা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত সাজ্দা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত সাজ্দা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত সাজ্দা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত সাজ্দা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত সাজ্দা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত সাজ্দা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত সাজ্দা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 4, 2024

Please remember us in your sincere prayers