কোরান সূরা আহ্যাব আয়াত 25 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ahzab ayat 25 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আহ্যাব আয়াত 25 আরবি পাঠে(Ahzab).
  
   

﴿وَرَدَّ اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِغَيْظِهِمْ لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا ۚ وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ ۚ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا﴾
[ الأحزاب: 25]

আল্লাহ কাফেরদেরকে ক্রুদ্ধাবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন। তারা কোন কল্যাণ পায়নি। যুদ্ধ করার জন্য আল্লাহ মুমিনদের জন্যে যথেষ্ট হয়ে গেছেন। আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী। [সূরা আহ্যাব: 25]

Surah Al-Ahzab in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ahzab ayat 25


আর আল্লাহ্ প্রতিহত করেছিলেন তাদের যারা তাদের আক্রোশবশত অবিশ্বাস পোষণ করেছিল, তারা ভাল কিছুই লাভ করতে পারে নি। আর যুদ্ধে মুমিনদের জন্য আল্লাহ্ যথেষ্ট ছিলেন। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন মহাবলীয়ান, মহাশক্তিশালী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৫. আর আল্লাহ কুরাইশ, গাতাফান ও তাদের সঙ্গীদেরকে তাদের চিন্তা ও আপদসহ নিরাশ করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তারা মুমিনদেরকে মূলোৎপাটন করার যে ইচ্ছা পোষণ করেছিল তা সফল করতে পারে নি। আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের সাথে যুদ্ধকে বায়ু ও ফিরিশতা প্রেরণ করার মাধ্যমে প্রতিহত করেছেন। আর আল্লাহ ক্ষমতাশালী ও পরাক্রমশালী। তাঁর সাথে কেউ মুকাবেলা করতে গেলেই পরাভুত ও অপমানিত হয়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে ক্রুদ্ধাবস্থায় বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করলেন[১] এবং যুদ্ধে বিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হলেন। [২] আর আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী। [১] অর্থাৎ, মুশরিকরা যারা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একত্রিত হয়ে মুসলিমদেরকে সমূলে বিনাশ করে দেওয়ার জন্য এসেছিল, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তাদের ক্রোধ ও বিফলতা সহ ফিরিয়ে দিলেন। না পার্থিব কোন সম্পদ তাদের হাতে এল, আর না আখেরাতে তারা সওয়াব ও নেকীর অধিকারী হবে। তাদের কোন ধরনের লাভ অর্জন হল না। [২] অর্থাৎ, মুসলিমদেরকে তাদের সাথে লড়াই করার কোন প্রয়োজনই হল না; বরং আল্লাহ তাআলা হাওয়া ও ফিরিশতাদের মাধ্যমে নিজ মু'মিন বান্দাদের জন্য সাহায্যের হাতিয়ার প্রেরণ করলেন। এই জন্য নবী ( সাঃ ) বলেছেন,( لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَه، صَدَقَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَه، وَأَعَزَّ جُنْدَه، وَهَزَمَ الأحْزَابَ وَحْدَه، فَلاَ شَيءَ بَعْدَه ) অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য মা'বূদ নেই, তিনি একক, তিনি স্বীয় অঙ্গীকার পূরণ করেছেন, স্বীয় বান্দাকে সাহায্য করেছেন, স্বীয় বাহিনীকে জয়যুক্ত করেছেন এবং সকল ( শত্রু )বাহিনীকে তিনি একাই পরাজিত করেছেন। তাঁর পর কিছু নেই। ( বুখারী, মুসলিম ) উক্ত দু'আটি হজ্জ-উমরাহ, জিহাদ এবং সফর থেকে ফিরে আসার সময় পড়া বিধেয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আল্লাহ্ কাফিরদেরকে ত্রুদ্ধাবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন, তারা কোন কল্যাণ লাভ করেনি। আর যুদ্ধে মুমিনদের জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট ; এবং আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান, প্রবল পরাক্রমশালী।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তা'আলা নিজের ইহসান বা অনুগ্রহের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তিনি ঝড়-তুফান ও অদৃশ্য সেনাবাহিনী প্রেরণ করে কাফিরদের শক্তি-সাহস সবকিছু চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছেন। তারা কঠিন নৈরাশ্যের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অকৃতকার্য অবস্থায় তারা অবরোধ উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। যদি তারা বিশ্ব শান্তির দূত হযরত মুহাম্মাদ ( সঃ )-এর উম্মতের মধ্যে না থাকতো তবে এ ঝড়-তুফান তাদের সাথে ঐ ব্যবহারই করতো যেমন ব্যবহার করেছিল আ’দ জাতির সাথে। যেহেতু বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহ স্বীয় নবী ( সঃ )-কে বলেছেনঃ যতদিন তুমি তাদের মধ্যে অবস্থান করবে ততদিন আল্লাহ তাদের উপর সাধারণ আযাব নাযিল করবেন না, সেহেতু তিনি তাদেরকে তাদের দুষ্টামির স্বাদ গ্রহণ করালেন তাদের একতাকে ভেঙ্গে দিয়ে, তাদেরকে তিনি ছিন্ন ভিন্ন করে দিলেন এবং নিজের আযাব সরিয়ে নিলেন। তাদের একতাবদ্ধতা তাদের প্রবৃত্তি প্রসূত ছিল বলে ঝড়-তুফানই তাদেরকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিলো। যারা চিন্তা-ভাবনা করে এসেছিল তারাও সবাই মাটির সাথে মিশে গেল। কোথায় গেল তাদের গনীমতের মাল এবং কোথায় গেল তাদের বিজয়! তাদের জীবনের উপর মরিচা পড়ে গেল। তারা হাতে হাত মলতে লাগলো; দাঁতে দাঁত পিষতে লাগলো। ঘুরানো চক্রে আপতিত হয়ে অপমান ও লাঞ্ছনার সাথে উদ্দেশ্য সাধন ছাড়াই অকৃতকার্য হয়ে তারা ফিরে গেল। দুনিয়ার ক্ষতি তাদের পৃথকভাবে হলো এবং আখিরাতের শাস্তি তো পৃথকভাবে আছেই। কেননা, কেউ যদি কোন কাজ করার নিয়ত করে এবং তা কার্যে পরিণত করে, তবে সে তাতে কৃতকার্য হালে আর নাই হালে, পাপ তার হবেই। সুতরাং রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে হত্যা ও তার দ্বীনকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা ইত্যাদি সব কিছুই তারা করেছে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা উভয় জগতের বিপদ তাদের উপর আপতিত করে তাদের অন্তর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেন এবং তাদেরকে ব্যর্থ মনোরথ করে ফিরিয়ে দেন। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের পক্ষ থেকে তাদের মুকাবিলা করেন। মুসলমানরা না তাদের সাথে লড়েছে, না তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছে। বরং মুসলমানরা তাদের জায়গাতেই অবস্থান করেছে। আর কাফির ও মুশরিকরা এমনিতেই পলায়ন করেছে। আল্লাহ তা'আলা তাঁর সেনাবাহিনীর মর্যাদা রক্ষা করলেন, নিজের বান্দাদের তিনি সাহায্য করলেন এবং নিজেই তিনি যথেষ্ট হয়ে গেলেন। এজন্যেই রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলতেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই, তিনি এক, তাঁর ওয়াদা সত্য, তিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন, তার সেনাবাহিনীর মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন, সম্মিলিত বাহিনী পরাজিত হলো এবং এরপরে আর কিছুই নেই । ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) ও ইমাম মুসলিম ( রঃ ) হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে তাখরীজ করেছেন)হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আবি আওফা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আহযাবের যুদ্ধে দু'আ করেছিলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! হে কিতাব অবতীর্ণকারী, হে তাড়াতাড়ি হিসাব গ্রহণকারী! সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করুন এবং তাদেরকে আন্দোলিত ও প্রকম্পিত করুন ।( এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে )মহান আল্লাহ বলেনঃ “ যুদ্ধে মুমিনদের জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট । এতে একটি অতি সূক্ষ্ম কথা এই আছে যে, মুসলমানরা শুধু এই যুদ্ধ হতেই মুক্ত হননি, বরং আগামীতে সদা-সর্বদার জন্যে সাহাবীগণ ( রাঃ ) যুদ্ধ হতে মুক্তি লাভ করেছিলেন। মুশরিকরা আর তাঁদের উপর আক্রমণ করার সাহস কখনো করেনি। ইতিহাস সাক্ষী আছে যে, আহযাবের যুদ্ধের পর কাফিরদের এ সাহস হয়নি যে, তারা মদীনার উপর অথবা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর উপর কোন স্থান হতে আক্রমণ করে। তাদের এ অপবিত্র পদক্ষেপ হতে আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে এবং তার বাসস্থান ও আরামের জায়গাকে সুরক্ষিত রেখেছেন। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে। বরং অপরপক্ষে মুসলমানরা তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছেন। এমনকি আল্লাহ তা'আলা আরব উপমহাদেশ হতে শিরক ও কফরী সমলে উৎপাটিত করেছেন। যখন কাফিররা এ যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তন করে। তখনই রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে বলেছিলেনঃ “ এ বছরের পর কুরায়েশরা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করবে না । বরং তোমরাই তাদের সাথে যুদ্ধ করবে।” তাই হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মক্কা বিজিত হলো। আল্লাহর শক্তির মুকাবেলা করা বান্দার সাধ্যাতীত। আল্লাহকে কেউই পরাজিত করতে পারে না। তিনিই স্বীয় শক্তি ও সাহায্যবলে ঐ সম্মিলিত বাহিনীকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছিলেন। তাদের নাম নেয়ার মত কেউই থাকলো না। তিনি ইসলাম ও মুসলমানদেরকে বিজয় দান করলেন এবং স্বীয় ওয়াদাকে সত্য করে দেখালেন। তিনি স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে সাহায্য করলেন। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আল্লাহরই জন্যে।

সূরা আহ্যাব আয়াত 25 সূরা

ورد الله الذين كفروا بغيظهم لم ينالوا خيرا وكفى الله المؤمنين القتال وكان الله قويا عزيزا

سورة: الأحزاب - آية: ( 25 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 421 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. মুশরিকরা বললঃ যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের
  2. আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে।
  3. যে দিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে যাবে।
  4. আপনার পালনকর্তা মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু তাদের অধিকাংশই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
  5. আল্লাহ তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছেন, যাতে কোন কোনটিই বাহন হিসাবে ব্যবহার কর এবং
  6. আমি তাদের প্রতি একটিমাত্র নিনাদ প্রেরণ করেছিলাম। এতেই তারা হয়ে গেল শুষ্ক শাখাপল্লব নির্মিত দলিত
  7. এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
  8. আমি এভাবেই সৎকর্ম পরায়নদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি।
  9. বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না।
  10. আল্লাহ বললেনঃ তোমরা দুই উপাস্য গ্রহণ করো না উপাস্য তো মাত্র একজনই। অতএব আমাকেই ভয়

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আহ্যাব ডাউনলোড করুন:

সূরা Ahzab mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ahzab শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আহ্যাব  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আহ্যাব  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, September 17, 2024

Please remember us in your sincere prayers