কোরান সূরা আম্বিয়া আয়াত 29 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Anbiya ayat 29 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আম্বিয়া আয়াত 29 আরবি পাঠে(Anbiya).
  
   

﴿۞ وَمَن يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّي إِلَٰهٌ مِّن دُونِهِ فَذَٰلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ ۚ كَذَٰلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ﴾
[ الأنبياء: 29]

তাদের মধ্যে যে বলে যে, তিনি ব্যতীত আমিই উপাস্য, তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি দেব। আমি জালেমদেরকে এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি। [সূরা আম্বিয়া: 29]

Surah Al-Anbiya in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anbiya ayat 29


আর তাঁদের মধ্যের যে বলবে -- ''তাঁর পরিবর্তে আমিই একজন উপাস্য’’, তার ক্ষেত্রে তাহলে -- আমরা তাকে প্রতিদান দেব জাহান্নাম। এইভাবেই আমরা প্রতিদান দিই অন্যায়কারীদের।


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৯. ধরে নেয়া যাক, কোন ফিরিশতা যদি বলেন: আমি আল্লাহ ছাড়া আরেকজন মা’বূদ তাহলে আমি তাঁকে কিয়ামতের দিন চিরকালের জাহান্নামের শাস্তির মাধ্যমে তাঁর কথার প্রতিদান দেবো। এ প্রতিদানের মতোই আমি কুফরি ও শিরক করা যালিমদেরকে প্রতিদান দেবো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তাদের মধ্যে যে বলবে, ‘আমিই উপাস্য তিনি ব্যতীত’ তাকে আমি শাস্তি দিব জাহান্নামে; [১] এভাবেই আমি সীমালংঘনকারীদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি। [১] অর্থাৎ, এই ফিরিশতাদের মধ্য হতে কেউ যদি উপাস্য হওয়ার দাবী করে তাহলে তাকেও আমি জাহান্নামে পাঠাব। এ বাক্যটির বক্তব্য শর্তসাপেক্ষ, যা সংঘটিত হওয়া জরুরী নয়। উদ্দেশ্য শিরকের খন্ডন ও তাওহীদের প্রতিষ্ঠা। যেমন তিনি অন্যত্র বলেন, {قُلْ إِن كَانَ لِلرَّحْمَنِ وَلَدٌ فَأَنَا أَوَّلُ الْعَابِدِينَ} অর্থাৎ, বল, পরম দয়াময় আল্লাহর কোন সন্তান থাকলে আমিই হতাম তার উপাসকগণের অগ্রণী। ( যুখরুফঃ ৮১ ) {لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ} অর্থাৎ,যদি তুমি আল্লাহর অংশী স্থির কর, তাহলে অবশ্যই তোমার কর্ম নিষ্ফল হবে। ( যুমারঃ ৬৫ ) এ সমস্ত বাক্যের বক্তব্য শর্তসাপেক্ষ; যা সংঘটিত হওয়া আবশ্যক নয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তাদের মধ্যে যে বলবে, ‘তিনি ব্যতীত আমিই ইলাহ’, তাকে আমরা জাহান্নামের শাস্তির প্রতিদান দেব; এভাবেই আমরা যালেমদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি []। [] আল্লাহ্ তা'আলা এ কথা জানিয়ে দিচ্ছেন যে, যে কেউ দাবী করবে আল্লাহর সাথে আমিও ইলাহ বা মাবুদ আমি অবশ্যই তাকে জাহান্নাম দিয়ে শাস্তি দিব। এভাবেই আমি যালেমদের বা মুশরিকদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি। এর অর্থ এ নয় যে, কেউ এ দাবী করবে। [ ইবন কাসীর ] এ পর্যন্ত কেউ এ দাবী করেনি। যদি কেউ দাবী করে তবে সে নিঃসন্দেহে তাগুত। একমাত্র ইবলিসই এ দাবী করেছিল বলে কোন কোন কিতাবে উল্লেখ পাওয়া যায়। (দেখুন, ফাতহুল কাদীর] তাই ইবলিসকে সমস্ত তাগুতের প্রধান বলা হয়।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২৬-২৯ নং আয়াতের তাফসীর: মক্কার কাফিরদের ধারণা ছিল যে, ফেরেশতারা আল্লাহর কন্যা ( নাউযুবিল্লাহ )। তাদের এই ধারণা খণ্ডন করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ফেরেশতারা তার সম্মানিত বান্দা। তারা বড়ই মর্যাদা সম্পন্ন। কথায় ও কাজে তারা সদা আল্লাহর আনুগত্যের কাজে নিমগ্ন রয়েছে। কোন সময়েই তারা আগে বেড়ে কথা বলে না, কোন কাজে তারা তাঁর আদেশের বিপরীতও করে না। বরং যা তিনি আদেশ করেন তা-ই তারা পালন করে। তারা আল্লাহর জ্ঞানের মধ্যে পরিবেষ্টিত। তাঁর কাছে কোন কিছুই গোপন নেই সামনের পিছনের ডানের ও বামের খবর তিনি রাখেন। অণু-পরমাণুর জ্ঞানও তার রয়েছে। এই পবিত্র ফেরেশতারাও এই সাহস রাখেন না যে, আল্লাহর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া কোন অপরাধীর জন্যে সুপারিশ করেন। যেমন তিনি বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করবে?” ( ২৪ ২৫৫ ) অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “যাকে তিনি অনুমতি দিবেন তার শাফাআত ছাড়া তাঁর কাছে আর কারো শাফাআত চলবে না ।" ( ৩৪:২৩ ) এই বিষয়েই আরো বহু আয়াত কুরআন কারীমের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। ফেরেশতা মণ্ডলী এবং আল্লাহর নৈকট্যলাভকারী বান্দারা সবাই তার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় কাঁপতে থাকবেন। তাদের মধ্যে যে কেউই নিজে মা’বৃদ বলে দাবী করবে তাকে আল্লাহ প্রতিফল দিবেন জাহান্নাম। যালিমদেরকে তিনি এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহর একথাটি শর্ত সাপেক্ষ। আর শর্তের জন্যে ওটা সংঘটিত হওয়া জরুরী নয়। এটা জরুরী নয় যে, আল্লাহর বিশিষ্ট বান্দাদের মধ্যে কেউ এই ঘৃণ্য দাবী করে ও এইরূপ কঠিন শাস্তি ভোগ করে। যেমন কুরআন কারীমে ঘোষিত হয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ ( হে নবী (সঃ )! তুমি বলে দাওঃ যদি আল্লাহর সন্তান হতো তবে আমিই হতাম প্রথম সেই বান্দা ।" ( ৪৩:৮১ ) অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ ( হে নবী (সঃ )!) যদি তুমি শিরু কর তবে অবশ্যই তোমার আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ।" ( ৩৯:৬৫ ) সুতরাং আল্লাহ তাআলার সন্তান হওয়াও যেমন সম্ভব নয় তেমনই রাসূলুল্লাহ( সঃ ) শিকও অসম্ভ।

সূরা আম্বিয়া আয়াত 29 সূরা

ومن يقل منهم إني إله من دونه فذلك نجزيه جهنم كذلك نجزي الظالمين

سورة: الأنبياء - آية: ( 29 )  - جزء: ( 17 )  -  صفحة: ( 324 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যে কেউ দুনিয়ার কল্যাণ কামনা করবে, তার জেনে রাখা প্রয়োজন যে, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ
  2. অদ্য চীৎকার করো না। তোমরা আমার কাছ থেকে নিস্কৃতি পাবে না।
  3. আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি অবর্তীর্ণ হয়েছে আমরা সে
  4. দেখুন, আমি তাদের একদলকে অপরের উপর কিভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দান করলাম। পরকাল তো নিশ্চয়ই মর্তবায় শ্রেষ্ঠ
  5. নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
  6. নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা-তাঁর এবাদত কর, এটাই হলো সরল পথ।
  7. আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয়
  8. তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও ওযযা সম্পর্কে।
  9. আমরা এই জনপদের অধিবাসীদের উপর আকাশ থেকে আযাব নাজিল করব তাদের পাপাচারের কারণে।
  10. যেদিন আল্লাহ তাদেরকে আওয়াজ দিয়ে বলবেন, তোমরা যাদেরকে আমার শরীক দাবী করতে, তারা কোথায়?

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আম্বিয়া ডাউনলোড করুন:

সূরা Anbiya mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anbiya শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আম্বিয়া  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, January 18, 2025

Please remember us in your sincere prayers