কোরান সূরা ইয়াসীন আয়াত 29 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Yasin ayat 29 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইয়াসীন আয়াত 29 আরবি পাঠে(Yasin).
  
   

﴿إِن كَانَتْ إِلَّا صَيْحَةً وَاحِدَةً فَإِذَا هُمْ خَامِدُونَ﴾
[ يس: 29]

বস্তুতঃ এ ছিল এক মহানাদ। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল। [সূরা ইয়াসীন: 29]

Surah Ya-Sin in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yasin ayat 29


এটি অবশ্য একটিমাত্র মহাগর্জন বৈ তো নয়, তখন দেখো, তারা নিথরদেহী হয়ে গেল!


Tafsir Mokhtasar Bangla


২৯. তার জাতিকে ধ্বংস করার কাহিনী কেবল একটি বিকট শব্দ মাত্র। অগত্যা তারা মরে লাশ হয়ে গেল। তাদের কোন চি‎হ্ন অবশিষ্ট থাকল না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


কেবলমাত্র এক মহাগর্জন হল। ফলে ওরা নিথর-নিস্তব্ধ হয়ে গেল। [১] [১] বলা হয়েছে যে, জিবরীল ( আঃ ) একটি হুঙ্কার দিয়েছিলেন, যাতে সকলের শরীর থেকে প্রাণ বের হয়ে গিয়েছিল এবং তারা নিভানো আগুনের মত স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। জীবন যেন এক প্রজ্বলিত অগ্নিশিখা। আর মৃত্যু হল তা নিভে ভষ্মে পরিণত হওয়া।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


সেটা ছিল শুধুমাত্র এক বিকট শব্দ। ফলে তারা নিথর নিস্তব্ধ হয়ে গেল।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


২৬-২৯ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) বলেন যে, ঐ কাফিররা ঐ পূর্ণ মুমিন লোকটিকে নিষ্ঠুরভাবে মারপিট করলো। তাঁকে ফেলে দিয়ে তার পেটের উপর চড়ে বসলো এবং পা দিয়ে পিষ্ট করতে লাগলো, এমন কি তাঁর পিছনের রাস্তা দিয়ে নাড়িভূড়ি বেরিয়ে পড়লো! তৎক্ষণাৎ আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ জানিয়ে দেয়া হলো। মহান আল্লাহ্ তাঁকে দুনিয়ার চিন্তা ও দুঃখ হতে মুক্তি দান করলেন এবং শান্তির সাথে জান্নাতে পৌঁছিয়ে দিলেন। তার শাহাদাতে আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্ট হলেন। জান্নাত তার জন্যে খুলে দেয়া হলো এবং তিনি জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি লাভ করলেন। নিজের সওয়াব ও পুরস্কার এবং ইযযত ও সম্মান দেখে তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে পড়লোঃ “ হায়! আমার কওম যদি জানতে পারতো যে, আমার প্রতিপালক আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আমাকে খুবই সম্মান দান করেছেন । প্রকৃতপক্ষে মুমিন ব্যক্তি সবারই শুভাকাক্ষী হয়ে থাকে। তারা প্রতারকও হয় না এবং তারা কারো অমঙ্গল কামনা করে না। তাই তো দেখা যায় যে, এই আল্লাহভীরু লোকটি নিজের জীবদ্দশাতেও স্বীয় কওমের মঙ্গল কামনা করেন এবং মৃত্যুর পরেও তাদের শুভাকাক্ষীই থাকেন। ভাবার্থ এও হতে পারে যে, তিনি বলেনঃ “ হায়! যদি আমার কওম এটা জানতো যে, কি কারণে আমার প্রতিপালক আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং কি কারণেই বা আমাকে সম্মানিত করেছেন তবে অবশ্যই তারাও ওটা লাভ করার চেষ্টা করতো । তারা আল্লাহ তা'আলার উপর ঈমান আনতো এবং রাসূলদের ( আঃ ) আনুগত্য করতো।” আল্লাহ তাঁর প্রতি দয়া করুন এবং তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন! তিনি তার কওমের হিদায়াতের জন্যে কতই না আকাক্ষী ছিলেন।হযরত ইবনে উমায়ের ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত উরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফী ( রাঃ ) নবী ( সঃ )-কে বলেনঃ “ আপনি আমাকে আমার কওমের নিকট প্রেরণ করুন, আমি তাদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান করবো ।” তখন রাসূলুল্লাহ( সঃ ) তাঁকে বলেনঃ “ আমি আশংকা করছি যে, তারা তোমাকে হত্যা করে ফেলবে ।” তিনি তখন বললেনঃ “ আমি ঘুমিয়ে থাকলে তারা আমাকে জাগাবেও না ।” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁকে বললেনঃ “ আচ্ছা, তাহলে যাও ।” অতঃপর তিনি চললেন। লাত ও উযযা প্রতিমাদ্বয়ের পার্শ্ব দিয়ে গমনের সময়। তিনি ও দুটিকে লক্ষ্য করে বললেনঃ “ তোমাদের ভাগ্য বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে ।" তাঁর এ কথায় পুরো সাকীফ গোত্রটি বিগড়ে যায়। তিনি তাদেরকে সম্বোধন করে বলেনঃ “ হে আমার কওমের লোক সকল! তোমরা এই প্রতিমাগুলোকে পরিত্যাগ কর । আসলে লাত ও উযযা কিছুই নয় ! হে আমার ভাই ও বন্ধুরা! বিশ্বাস রাখো যে, প্রকৃতপক্ষে এই প্রতিমাগুলো কোন কিছুরই অধিকার ও ক্ষমতা রাখে না। তোমরা ইসলাম কবূল করে নাও, শান্তি লাভ করবে। সমস্ত কল্যাণ ইসলামের মধ্যেই রয়েছে। তিনি এই কথাগুলো তিনবার মাত্র উচ্চারণ করেছেন, ইতিমধ্যে একজন দুবৃত্ত তাকে দূর হতে তীর মেরে দেয় এবং তাতেই তিনি শহীদ হয়ে যান। এ খবর রাসূলুল্লাহ( সঃ )-এর নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন, এ ঘটনাটি সূরায়ে ইয়াসীনে বর্ণিত ঘটনার মতই। এই সূরায় বর্ণিত লোকটি বলেছিলঃ “ হায়! আমার সম্প্রদায় যদি জানতে পারতো যে, কি কারণে আমার প্রতিপালক আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিত করেছেন ।( এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)মুআম্মার ইবনে হাযাম ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত কা'ব আহবার ( রাঃ )-এর নিকট বানু মাযিন ইবনে নাজ্জার গোত্রভুক্ত হযরত হাবীব ইবনে যায়েদ ইবনে আ’সেম ( রাঃ )-এর ঘটনাটি যখন বর্ণনা করা হলো, যিনি ইয়ামামার যুদ্ধে মুসাইলামা কাযযাব কর্তৃক নিহত হয়েছিলেন, তখন তিনি বলেনঃ আল্লাহর কসম! এই হাবীবও ঐ হাবীবেরই মত ছিলেন যার বর্ণনা সূরায়ে ইয়াসীনে রয়েছে । তাঁকে ঐ কাযযাব ( চরম মিথ্যাবাদী ) জিজ্ঞেস করেছিলঃ “ তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, মুহাম্মাদ ( সঃ ) আল্লাহর রাসূল?” তিনি উত্তরে বলেছিলেনঃ “হ্যা । আবার সে জিজ্ঞেস করেঃ “ তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আমি আল্লাহর রাসূল?” তিনি উত্তর দেনঃ “আমি শুনি না ।” তখন ঐ অভিশপ্ত মুসাইলামা তাঁকে বলেঃ “ তুমি এটা শুনতে পাও, আর ওটা শুনতে পাও না?” তিনি জবাব দেনঃ “হ্যা ।” অতঃপর সে তাঁকে একটি করে প্রশ্ন করতো এবং প্রতিটির জবাবে তার দেহের একটি করে অঙ্গ কেটে নিতো। কিন্তু তবুও তিনি ইসলামের উপর অটল ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ঐ অভিশপ্ত মুসাইলামা তাঁকে শহীদ করে দেয়। আল্লাহ্ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন এবং তাঁকে সন্তুষ্ট রাখুন!এরপর ঐ লোকদের উপর আল্লাহ্ যে গযব নাযিল হয় এবং যে গযবে তারা ধ্বংস হয়ে যায় তারই বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। যেহেতু তারা আল্লাহর রাসূলদেরকে মিখ্যা প্রতিপন্ন করেছিল এবং আল্লাহর অলীকে হত্যা করেছিল। সেই হেতু তাদের উপর আল্লাহর আযাব আপতিত হয় এবং তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। কিন্তু তাদেরকে ধ্বংস করার জন্যে আল্লাহ তাআলা না আকাশ হতে কোন সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন, না প্রেরণের কোন প্রয়োজন ছিল। তার জন্যে তো শুধু হুকুম দেয়াই যথেষ্ট। তাদের উপর ফেরেশতামণ্ডলী অবতীর্ণ করা হয়নি। বরং কোন অবকাশ ছাড়াই তাদেরকে আযাবে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সবাইকে এক এক করে ধ্বংসের ঘাটে নামানো হয়। হযরত জিবরাঈল ( রাঃ ) আগমন করেন এবং তাদের শহর ইনতাকিয়ার দরযার চৌকাঠ ধরে এমন জোরে এক শব্দ করেন যে, তাদের কলেজা ফেটে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় এবং তাদের রূহ বেরিয়ে পড়ে।হযরত কাতাদা ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তাদের কাছে যে তিনজন রাসূল এসেছিলেন তারা হযরত ঈসা ( আঃ )-এর প্রেরিত দূত ছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ রয়েছে। কেননা, বাহ্যতঃ জানা যাচ্ছে যে, তারা স্বতন্ত্র রাসূল ছিলেন। ঘোষিত হচ্ছেঃ ...
( আরবী ) অর্থাৎ “ যখন আমি তাদের নিকট পাঠিয়েছিলাম দুইজন রাসূল, কিন্তু তারা তাদেরকে মিথ্যাবাদী । বললো; তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিলাম তৃতীয় একজন দ্বারা।” তারপর ঐ তিনজন রাসূল ইনতাকিয়াবাসীদেরকে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছি ।” যদি ঐ তিনজন হযরত ঈসা ( আঃ )-এর সাহায্যকারীদের মধ্য হতে তাঁর পক্ষ হতে প্রেরিত হতেন তবে তারা এরূপ কথা বলতেন না, বরং অন্য বাক্য বলতেন, যার দ্বারা এটা জানা যেতো যে, তারা হযরত ঈসা ( আঃ )-এর দূত। এসব ব্যাপারে আল্লাহ্ তা'আলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।তারা যে হযরত ঈসা ( আঃ )-এর প্রেরিত দূত ছিলেন না তার আর একটি ইঙ্গিত এই যে, তাঁদের কথার জবাবে ইনতাকিয়াবাসীরা বলেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ ।” এটা লক্ষ্যণীয় বিষয় যে, কাফিররা সদা এ উক্তিটি রাসূলদের ব্যাপারেই করতো। যদি ঐ তিনজন রাসূল হাওয়ারীদের মধ্য হতেই হতেন তবে তারা স্বতন্ত্রভাবে রিসালাতের দাবী কেন করবেন? আর ঐ ইনতাকিয়াবাসীরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কেনই বা করবে? দ্বিতীয়তঃ ঐ ইনতাকিয়াবাসীদের নিকট যখন হযরত ঈসা ( আঃ )-এর দূত গিয়েছিলেন তখন ঐ গোটা গ্রামের লোকেরাই তার উপর ঈমান এনেছিল। এমনকি ওটাই ছিল প্রথম গ্রাম, যার সমস্ত অধিবাসীই হযরত ঈসা ( আঃ )-এর উপর ঈমান এনেছিল। এজন্যেই খৃষ্টানদের যে চারটি শহরকে মুকাদ্দাস বা পবিত্র বলা হয়, ওগুলোর মধ্যে এটিও একটি। তারা বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইবাদতের শহর এজন্যেই বলে যে, ওটা হযরত ঈসা ( আঃ )-এর শহর। আর ইনতাকিয়াকে মর্যাদা সম্পন্ন শহর বলার কারণ এই যে, সর্বপ্রথম তথাকার লোকই হযরত ঈসা ( আঃ )-এর উপর ঈমান এনেছিল। ইসকানদারিয়ার মর্যাদার কারণ এই যে, এখানে তারা তাদের মাযহাবী পত্রধারীদের বচনের উপর ইজমা করেছে। আর রুমিয়্যার মর্যাদার কারণ হচ্ছে এই যে, কুসতুনতীন বাদশাহর শহর এটাই এবং সেই তাদের ধর্মের সাহায্য করেছিল এবং এখানেই তাদের বরকত ছিল। অতঃপর সে যখন কুসতুনতুনিয়া শহর বসিয়ে দেয় তখন তাবাররুক রূমিয়া হতে এখানেই রেখে দেয়া হয়। সাঈদ ইবনে বিতরীক পমুখ খৃষ্টান ঐতিহাসিকদের ইতিহাসসমূহে এসব ঘটনা উল্লিখিত হয়েছে। মুসলিম ঐতিহাসিকগণও এটাই লিখেছেন। সুতরাং জানা গেল যে, ইনতাকিয়াবাসীরা হযরত ঈসা ( আঃ )-এর দূতদের কথা মেনে নিয়েছিল। অথচ এখানে বর্ণিত হয়েছে যে, তারা রাসূলদেরকে মানেনি এবং তাদের উপর আল্লাহর আযাব এসেছিল এবং তাদেরকে তচনচু করে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং এটা প্রমাণিত হলো যে, এটা অন্য ঘটনা এবং ঐ তিনজন রাসূল স্বতন্ত্র রাসূল ছিলেন। ইতাকিয়াবাসী তাদেরকে মানেনি। ফলে তাদের উপর আল্লাহর আযাব এসেছিল এবং তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছিল। তাদেরকে সকালের প্রদীপের মত নির্বাপিত করে দেয়া হয়েছিল। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।তৃতীয়তঃ ইনতাকিয়াবাসীদের ঘটনা, যা হ্যরত ঈসা ( আঃ )-এর হাওয়ারীদের সাথে ঘটেছিল ওটা হলো তাওরাত অবতীর্ণ হওয়ার পরের ঘটনা। আর হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) ও পূর্বযুগীয় গুরুজনদের একটি জামাআত হতে বর্ণিত আছে যে, তাওরাত অবতীর্ণ হওয়ার পরে কোন বস্তীকে আল্লাহ তাআলা। আসমানী আযাব দ্বারা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেননি। বরং মুমিনদেরকে কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়ে কাফিরদের মাথা নীচু করে দেখিয়েছেন। যেমন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ প্রথম যুগসমূহকে ধ্বংস করে দেয়ার পর আমি মূসা ( আঃ )-কে বি ( তাওরাত ) দিয়েছিলাম ।( ২৮:৪৩ ) আর এই বস্তীটির আসমানী ধ্বংসের উপর কুরআনের আয়াতসমূহ সাক্ষী রয়েছে। এগুলো দ্বারা ইনসাফ সুস্পষ্ট। তাছাড়া এর দ্বারা এটাও প্রমাণিত হয় যে, এটা ইনতাকিয়ার ঘটনা নয়, যেমন পূর্ব যুগীয় কোন কোন গুরুজনের উক্তি রয়েছে যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য এই বিখ্যাত শহর ইনতাকিয়া নয়। এটাও হতে পারে যে, এটা ইনতাকিয়া নামক অন্য কোন শহর। আর এটা হয়তো ঐ শহরেরই ঘটনা। কেননা, যে ইনতাকিয়া শহরটি প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে তা আল্লাহর আযাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মশহর নয়। খৃষ্টানদের যুগেও না এবং তাদের পূর্ববর্তী যুগেও না। মহান আল্লাহই এসব ব্যাপারে সবচেয়ে ভাল জানেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ দুনিয়ায় তিন ব্যক্তি সবচেয়ে অগ্রগামী। হযরত মূসা ( আঃ )-এর দিকে অগ্রগামী ছিলেন হযরত ইউশা ইবনে নূন ( আঃ ), হযরত ঈসা ( আঃ )-এর দিকে অগ্রগামী ছিলেন ঐ তিন ব্যক্তি, যাদের বর্ণনা সূরায়ে ইয়াসীনে রয়েছে এবং হযরত মুহাম্মাদ ( সঃ )-এর খিদমতে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিলেন হযরত আলী ইবনে আবি তালিব ( রাঃ )।” ( এ হাদীসটি হাফিয আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণরূপে মুনকার বা অস্বীকৃত হাদীস। এটা শুধু হুসাইন ইবনে আশকার রিওয়াইয়াত করেছেন। তিনি একজন শীয়া এবং তিনি পরিত্যজ্য। এসব ব্যাপারে মহান আল্লাহই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী)

সূরা ইয়াসীন আয়াত 29 সূরা

إن كانت إلا صيحة واحدة فإذا هم خامدون

سورة: يس - آية: ( 29 )  - جزء: ( 23 )  -  صفحة: ( 442 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. সুতরাং আমি তাদের চেয়ে অধিক শক্তি সম্পন্নদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। পূর্ববর্তীদের এ ঘটনা অতীত হয়ে
  2. এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে?
  3. যা তোমার পালকর্তা বলেন তাই হচ্ছে যথার্থ সত্য। কাজেই তোমরা সংশয়বাদী হয়ো না।
  4. আর প্রেরণ করেছি লূতকে। যখন সে তার সম্প্রদায়কে বলল, তোমরা এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা
  5. নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলেঃ আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই।
  6. আর তারা বলবে-সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দূঃখ দূর করেছেন। নিশ্চয় আমাদের পালনকর্তা ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।
  7. যে ব্যাক্তি স্বীয় গৃহের ভিত্তি রেখেছে কোন গর্তের কিনারায় যা ধ্বসে পড়ার নিকটবর্তী এবং অতঃপর
  8. নিশ্চয় এরা (বনী-ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল।
  9. যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
  10. তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি?

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইয়াসীন ডাউনলোড করুন:

সূরা Yasin mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yasin শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইয়াসীন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers