কোরান সূরা হিজর আয়াত 3 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Hijr ayat 3 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হিজর আয়াত 3 আরবি পাঠে(Hijr).
  
   

﴿ذَرْهُمْ يَأْكُلُوا وَيَتَمَتَّعُوا وَيُلْهِهِمُ الْأَمَلُ ۖ فَسَوْفَ يَعْلَمُونَ﴾
[ الحجر: 3]

আপনি ছেড়ে দিন তাদেরকে, খেয়ে নিক এবং ভোগ করে নিক এবং আশায় ব্যাপৃত থাকুক। অতি সত্বর তারা জেনে নেবে। [সূরা হিজর: 3]

Surah Al-Hijr in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hijr ayat 3


ছেড়ে দাও তাদের খানাপিনা করতে ও আমোদ-আাদ করতে, আর আশা-আকাঙ্খা তাদের ভুলিয়ে রাখুক, যেহেতু শীগগিরই তারা বুঝতে পারবে!


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩. হে রাসূল! আপনি এ মিথ্যারোপকারীদেরকে ছেড়ে দিন। তারা চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় খানাপিনা করুক এবং দুনিয়ার বিবর্ণ মজা উপভোগ করুক। উপরন্তু দীর্ঘ আশা তাদেরকে ঈমান ও নেক আমল থেকে ভুলিয়ে রাখুক। কারণ, তাদেরকে যখন কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে উপস্থিত করা হবে তখন তারা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ততার ব্যাপারটি সহজেই বুঝতে পারবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তাদেরকে ছেড়ে দাও তারা খেতে থাকুক, ভোগ করতে থাকুক এবং আশা ওদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রাখুক, পরিণামে তারা বুঝবে। [১] [১] এটি তিরঙ্কার ও ধমক, যদি কাফের ও মুশরিকরা কুফরী ও শিরক থেকে ফিরে না আসে, তাহলে তাদেরকে ছেড়ে দাও। তারা ভোগ বিলাসে ডুবে থাকুক, আশা করতে থাকুক, অচিরেই তারা তাদের কুফরী ও শিরকের পরিণাম বুঝতে পারবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তাদেরকে ছাড়ুন, তারা খেতে থাকুক [], ভোগ করতে থাকুক এবং আশা তাদেরকে মোহাচ্ছন্ন রাখুক [], অতঃপর অচিরেই তারা জানতে পারবে []। [] এ আয়াত থেকে জানা গেল যে, পানাহারকে লক্ষ্য ও আসল বৃত্তি সাব্যস্ত করে নেয়া এবং সাংসারিক বিলাস-ব্যসনের উপকরণ সংগ্রহে মৃত্যুকে ভুলে গিয়ে দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়নে মেতে থাকা কাফেরদের দ্বারাই হতে পারে, যারা আখেরাত ও তার হিসাব-কিতাবে এবং পুরস্কার ও শাস্তিতে বিশ্বাস করে না। মুমিনও পানাহার করে, জীবিকার প্রয়োজনানুযায়ী ব্যবস্থা করে এবং ভবিষ্যৎ কাজ-কারবারের পরিকল্পনাও তৈরী করে; কিন্তু মুত্যু ও আখেরাতকে ভুলে এ কাজ করে না। তাই প্রত্যেক কাজে হালাল ও হারামের চিন্তা করে এবং অনর্থক পরিকল্পনা প্রণয়নকে বৃত্তি হিসেবে গ্রহণ করে না। এখানে দীর্ঘ আশা পোষণ করার অর্থ হচ্ছে, ঈমান ও আনুগত্য ত্যাগ করে, দুনিয়ার মহব্বত ও লোভে মগ্ন হওয়া, তাওবাহ ও আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন পরিত্যাগ করা এবং মৃত্যু ও আখেরাত থেকে নিশ্চিন্ত দীর্ঘ পরিকল্পনায় মত্ত হওয়া। [ বাগভী; কুরতুবী; ইবন কাসীর ] আবুদ্দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার দামেশকের জামে মসজিদের মিম্বারে দাঁড়িয়ে বললেনঃ ‘হে দামেশকবাসীগণ! তোমরা কি একজন সহানুভূতিশীল, হিতাকাঙ্খী ভাইয়ের কথা শুনবে? শুনে নাও, তোমাদের পূর্বে অনেক বিশিষ্ট লোক অতিক্রান্ত হয়েছে। তারা প্রচুর ধন-সম্পদ একত্রিত করেছিল, সুউচ্চ দালান-কোঠা নির্মাণ করেছিল এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তৈরী করেছিল, আজ তারা সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাদের গৃহগুলোই তাদের কবর হয়েছে এবং তাদের দীর্ঘ আশা ধোঁকা ও প্রতারণায় পর্যবসিত হয়েছে। ‘আদ জাতি তোমাদের নিকটেই ছিল। তারা ধন, জন, অস্ত্রশস্ত্র ও অশ্বাদি দ্বারা দেশকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছিল। আজ এমন কেউ আছে কি, যে তাদের উত্তরাধিকার আমার কাছ থেকে দু’দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করতে সম্মত হবে?’ [ ইবনুল মুবারক আয-যুহদ ৮৪৭; কুরতুবী ] হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ ‘যে ব্যক্তি জীবদ্দশায় দীর্ঘ আকাঙ্খার জাল তৈরী করে, তার আমল অবশ্যই খারাপ হয়ে যায়।‘ [ কুরতুবী ] [] অর্থাৎ মানুষের আশা-আকাংখা, লোভ-লালসা এতবেশী যে, সে তার পিছনে এতই মগ্ন থাকে যে, তার জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে অথচ তার আশা পুরোয় না। হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্দর উদাহরণ পেশ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার কোন বিশিষ্ট একটি ঘর আঁকলেন। তারপর তার মধ্যভাগ থেকে একটি রেখা এঁকে তা বৃত্তের বাইরে নিয়ে গেলেন। তারপর এ রেখার বাইরের অংশে ছোট ছোট কতগুলো রেখা আড়াআড়ি ভাবে মাঝ বরাবর আঁকলেন এবং বললেনঃ “ এটা ( মধ্যবিন্দু ) হলো মানুষ, আর এর চারপাশে যে রেখা তাকে ঘিরে আছে দেখা যাচ্ছে সেটা তার আয়ু । আর যে রেখা বাইরের দিকে চলে গেছে সেটা তার আশা-আকাংখা। আর এই যে, ছোট ছোট রেখাগুলো আছে সেগুলো তার বিপদাপদ বালা-মুসিবত। যদি কোন একটি থেকে বেঁচে যায় অপরটি তাকে জাপটে ধরে। তারপর এটা থেকে বেঁচে গেলেও অপরটি তাকে ঠিকই ধরে ফেলে। [ বুখারীঃ ৬৪১৭ ] [] অচিরেই তারা জানতে পারবে তাদের ও তাদের কর্মকাণ্ডের পরিণাম কি হবে। [ ইবন কাসীর ] অন্য আয়াতে সে পরিণামটি বলা হয়েছে, “ বলুন, ‘ভোগ করে নাও, পরিণামে আগুনই তোমাদের ফিরে যাওয়ার স্থান" [ সূরা ইবরাহীম: ৩০ ] আরও এসেছে, “ তোমরা খাও এবং ভোগ করে নাও অল্প কিছুদিন, তোমরা তো অপরাধী, সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের জন্য ।" [ সূরা আল-মুরসালাত: ৪৬-৪৭ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১-৩ নং আয়াতের তাফসীর সূরা সমূহের শুরুতে যে হুরূফে মুকাত্তাআ’ত এসেছে সেগুলির বর্ণনা ইতিপূর্বেই গত হয়েছে। এ আয়াতে কুরআন কারীম একখানা সুস্পষ্ট আসমানী গ্রন্থ হওয়া এবং প্রত্যেকের অনুধাবন যোগ্য হওয়ার বর্ণনা দেয়া হয়েছে।কাফিররা তাদের কুফরীর কারণে সত্বরই লজ্জিত হবে। তারা মুসলমানরূপে জীবন যাপন করার আকাংখা করবে। তারা কামনা করবে যে, দুনিয়ায় যদি তারা মুসলিমরূপে থাকতো, তবে কতই না ভাল হতো! হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ), হযরত ইবনু মাসউদ ( রাঃ ) প্রভৃতি সাহাবীবর্গ হতে বর্ণিত আছে যে, কুরাইশ কাফিরদেরকে যখন জাহান্নামের সামনে পেশ করাহবে, তখন তারা আকাংখা করবে যে, যদি তারা দুনিয়ায় মুমিন হয়ে থাকতো! এটাও রয়েছে যে, প্রত্যেক কাফির তার মৃত্যু দেখে নিজের মুসলমান হওয়ার আকাংখা করে থাকে। অনুরূপভাবে কিয়ামতের দিনও প্রত্যেক কাফির এই আকাংখাই করবে। জাহান্নামের পার্শ্বে দাঁড়িয়ে তারা বলবেঃ “ যদি আমরা পুনরায় দুনিয়ায় ফিরে যেতে পারতাম তবে আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকারও করতাম না এবং ঈমানও পরিত্যাগ করতাম না ।” জাহান্নামী লোকেরা অন্যদেরকে জাহান্নাম থেকে বের হতে দেখেও নিজেদের ঈমানদার হওয়ার কামনা করবে। হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) এবং হযরত আনাস ইবনু মালিক ( রাঃ ) বলেন যে, পাপী মুসলমানদেরকে আল্লাহ তাআলা মুশরিকদের সাথে জাহান্নামে আটক করে দিবেন। তখন মুশরিকরা ঐ মুসলমানদেরকে বলবেঃ “ দুনিয়ায় যে আল্লাহর তোমরা ইবাদত করতে তিনি তোমাদের আজ কি উপকার করলেন?” তাদের এ কথা শুনে আল্লাহর রহমত উথলিয়ে উঠবে এবং তিনি মুসলমানদেরকে জাহান্নাম হতে বের করে নিবেন । তখন কাফিররা আকাংখা করবে যে, তারাও যদি মুসলমান হতো ( তবে কতভাল হতো )! অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, মুসলমানদের প্রতি মুশরিকদের এই ভৎসনা শুনে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিবেনঃ ‘যার অন্তরে অনুপরিমাণও ঈমান রয়েছে তাকেও জাহান্নাম হতে বের করে নাও। ঐ সময় কাফিররা কামনা করবে যে, যদি তারাও মুসলমান হতো!হযরত আনাস ইবনু মালিক ( রাঃ ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যারা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলেছে তাদের মধ্যে কতক লোক পাপের কারণে জাহান্নামে যাবে । তখন লাত ও উয্যার পূজারীরা তাদেরকে বলবেঃ “ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলায় তোমাদের কি উপকার হলো? তোমরা তো আমাদের সাথেই জাহান্নামে পুড়ছো?” তাদের এ কথা শুনে আল্লাহ তাআলার করুণা উথলিয়ে উঠবে । তিনি তাদের সকলকেই সেখান থেকে বের করিয়ে আনবেন এবং জীবন নহরে তাদেরকে নিক্ষেপ করবেন। তখন তাদেরকে এমনই দেখা যাবে যেমন চন্দ্রকে ওর গ্রহণের পরে দেখা যায়। অতঃপর তারা সবাই জান্নাতে যাবে।” এ হাদীসটি শুনে কেউ একজন হযরত আনাসকে ( রাঃ ) জিজ্ঞেস করেনঃ “ আপনি কি এটা রাসুলুল্লাহর ( সঃ ) মুখ থেকে শুনেছেন?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “জেনে রেখো যে, আমি রাসূলুল্লাহকে ( সঃ ) বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যা আরোপ করে ( অর্থাৎ আমি বলি নাই, অথচ আমার উদ্ধৃতি দেয় ), সে যেন জাহান্নামে নিজের স্থান বানিয়ে নেয় ।” এতদসত্ত্বেও আমি বলছি যে, আমি এ হাদীস স্বয়ং রাসূলুল্লাহ( সঃ ) মুখ থেকে শুনেছি।” ( এ হাদীসটি হাফিজ আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু মূসা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ জাহান্নামবাসী যখন জাহান্নামে একত্রিত হবে এবং তাদের সাথে । আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু আহলে কিবলাও থাকবে তখন কাফিররা ঐ মুসলমানদেরকে বলবেঃ “ তোমরা কি মুসলমান ছিলে না?” তারা উত্তরে বলবেঃ “হা ।” তারা তখন বলবেঃ “ ইসলাম তো তোমাদের কোন উপকারে আসলো না, তোমরা আমাদের সাথেই তো জাহান্নামে রয়েছো?” তারা এ কথা শুনে বলবেঃ “আমাদের গুনাহ ছিল বলে আমাদেরকে পাকড়াও করা হয়েছে ।আল্লাহ তাআলা তাদের কথা শুনার পর হুকুম করবেনঃ “ জাহান্নামে যত আহলে কিবলা রয়েছে তাদের সকলকেই বের করে আন ।” এ অবস্থা দেখে জাহান্নামে অবস্থানরত কাফিররা বলবেঃ “ হায়! আমরা যদি মুসলমান হতাম তবে আমরাও ( জাহান্নাম থেকে বের হয়ে যেতাম যেমন এরা বের হয়ে গেল ।” বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ (সঃ ) পাঠ করেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ আলিফ-লাম- রা, এগুলি আয়াত মহাগ্রন্থের, সুস্পষ্ট কুরআনের । কখনো কখনো কাফিররা আকাংখা করবে, যে, তারা যদি মুসলিম হতো!” ( এ হাদীসটিও হাফি আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহকে ( সঃ ) বলতে শুনেছিঃ “ কতকগুলি মু'মিনকে পাপের কারণে পাকড়াও করতঃ জাহান্নামে নিক্ষেপ করার পর আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তা হতে বের করবেন । যখন তিনি তাদেরকে মুশরিকদের সাথে জাহান্নামে প্রবিষ্ট করবেন। তখন মুশরিকরা তাদেরকে বলবেঃ “ তোমরা তো দুনিয়ায় ধারণা করতে যে, তোমরা আল্লাহর বন্ধু, অথচ আজ আমাদের সাথে এখানে কেন?” একথা শুনে আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্যে সুপারিশের অনুমতি দিবেন । তখন ফেরেশতামণ্ডলী, নবীগণ ও মু'মিনরা তাদের জন্যে সুপারিশ করবেন। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দিতে থাকবেন। এ সময় মুশরিকরা বলবেঃ “ হায়! আমরা যদি এদের মত ( মুমিন ) হতাম তবে আমাদের জন্যেও সুপারিশ করা হতো এবং আমরাও এদের সাথে বের হতে.
পারতাম ।
আল্লাহ পাকের ( আরবি ) এ উক্তির ভাবার্থ এটাই। এই লোকগুলি যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন তাদের চেহারায় কিছুটা কালিমা থেকে যাবে। কাজেই তাদেরকে জাহান্নামী বলা হবে। অতঃপর তারা প্রার্থনা করবেঃ “ হে আমাদের প্রতিপালক! এ নামটিও বা উপাধিটিও আমাদের থেকে দূর করে দিন ।” তখন তাদেরকে জান্নাতের একটি নহরে গোসল করতে বলা হবে এবং এরপর ঐ উপাধিও দূর করে দেয়া হবে।” ( এটাও তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)মুহাম্মদ ইবনু আলী ( রঃ ) তাঁর পিতা থেকে, তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ ( জাহান্নামের ) আগুণ তাদের কারো কারো হাঁটু পর্যন্ত ধরবে, কারো ধরবে কোমর পর্যন্ত এবং কারো ধরবে স্কন্ধ পর্যন্ত । এটা হবে পাপ ও আমল অনুযায়ী। কেউ কেউ এক মাস শাস্তি ভোগের পর বেরিয়ে আসবে। আবার কেউ কেউ বেরিয়ে আসবে এক বছর শাস্তি ভোগের পর। দীর্ঘ মেয়াদী শাস্তি ঐ ব্যক্তির হবে, যে দুনিয়ার সময় কাল পর্যন্ত জাহান্নামে থাকবে। অর্থাৎ দুনিয়ার প্রথম দিন থেকে নিয়ে শেষ দিন পর্যন্ত সময়। যখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করার ইচ্ছা করবেন তখন ইয়াহুদী, নাসারা ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জাহান্নামীরা ঐ ( পাপী ) একত্ববাদীদেরকে বলবেঃ “ তোমরা তো আল্লাহর উপর তাঁর কিতাবসমূহের উপর তাঁর রাসূলদের উপর ঈমান এনেছিলে, তথাপি আজ আমরা ও তোমরা জাহান্নামে সমান ( ভাবে শাস্তি ভোগ করছি )” তাদের এই কথায় আল্লাহ তাআলা এতো বেশী রাগান্বিত হবেন যে, আর কোন কথায় তিনি এতো রাগান্বিত হবেন না। অতপর তিনি এ সময় একত্ববাদীদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করার নির্দেশ দিবেন। তখন তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতের নহরের নিকট নিয়ে যাওয়া হবে।” ( আরবি ) এর ভাবার্থ। এটাই।” ( এ হাদীসটি ইবনু আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)পরিশেষে আল্লাহ তাআ'লা ধমকের সুরে বলেনঃ “ হে নবী ( সঃ )! তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা খেতে ( পরতে ) থাকুক, ভোগ বিলাস করতে থাকুক এবং আশা তাদেরকে মোহাচ্ছন্ন রাখুক, পরিণামে তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম । তাদেরকে তাদের বহু দূরের আকাংখা কামনা ও বাসনা তাওবা করা ও আল্লাহ তাআলার দিকে ঝুঁকে পড়া হতে উদাসীন ও ভুলিয়ে রাখবে। সত্বরই প্রকৃত অবস্থা খুলে যাবে।

সূরা হিজর আয়াত 3 সূরা

ذرهم يأكلوا ويتمتعوا ويلههم الأمل فسوف يعلمون

سورة: الحجر - آية: ( 3 )  - جزء: ( 14 )  -  صفحة: ( 262 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এবং জননীর অনুগত থাকতে এবং আমাকে তিনি উদ্ধত ও হতভাগ্য করেননি।
  2. তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে
  3. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
  4. নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত
  5. যারা কাফের হয়েছে এবং আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলেছে, তারাই দোযখী।
  6. আর নির্দেশ দেয়া হল-হে পৃথিবী! তোমার পানি গিলে ফেল, আর হে আকাশ, ক্ষান্ত হও। আর
  7. তোমরা কি কানকথা বলার পূর্বে সদকা প্রদান করতে ভীত হয়ে গেলে? অতঃপর তোমরা যখন সদকা
  8. মূসা বলল, তিনি পূর্ব, পশ্চিম ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, যদি তোমরা বোঝ।
  9. যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তবে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ, অতঃপর
  10. অতএব, আপনি সবর করুন। আল্লাহর ওয়াদা সত্য। যারা বিশ্বাসী নয়, তারা যেন আপনাকে বিচলিত করতে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হিজর ডাউনলোড করুন:

সূরা Hijr mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hijr শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হিজর  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হিজর  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হিজর  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হিজর  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হিজর  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হিজর  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হিজর  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হিজর  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হিজর  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হিজর  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হিজর  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হিজর  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হিজর  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হিজর  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হিজর  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হিজর  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হিজর  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হিজর  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হিজর  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হিজর  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হিজর  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হিজর  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হিজর  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হিজর  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হিজর  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب