কোরান সূরা যুমার আয়াত 3 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Zumar ayat 3 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা যুমার আয়াত 3 আরবি পাঠে(Zumar).
  
   

﴿أَلَا لِلَّهِ الدِّينُ الْخَالِصُ ۚ وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِن دُونِهِ أَوْلِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَا إِلَى اللَّهِ زُلْفَىٰ إِنَّ اللَّهَ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِي مَا هُمْ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي مَنْ هُوَ كَاذِبٌ كَفَّارٌ﴾
[ الزمر: 3]

জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ এবাদত আল্লাহরই নিমিত্ত। যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এ জন্যেই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন। আল্লাহ মিথ্যাবাদী কাফেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না। [সূরা যুমার: 3]

Surah Az-Zumar in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Zumar ayat 3


খাঁটি ধর্ম কি আল্লাহ্‌রই জন্য নয়? আর যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে -- ''আমরা তাদের উপাসনা করি না শুধু এজন্য ছাড়া যে তারা আমাদের আল্লাহ্‌র নিকটবর্তী অবস্থায় এনে দেবে।’’ নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তাদের মধ্যে বিচার করবেন সেই বিষয়ে যাতে তারা মতভেদ করছিল। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না যে খোদ মিথ্যাবাদী অবিশ্বাসী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩. জেনে রেখো, শিরকমুক্ত খাঁটি ধর্ম আল্লাহর জন্যই। যারা আল্লাহর পরিবর্তে মূর্তি ও দেবতাকে অভিভাবক হিসাবে গ্রহণ করতঃ তাদের ইবাদাত করে এ ওজুহাতে যে, আমরা মাধ্যম স্বরূপ তাদের ইবাদাত করি। যাতে তারা আমাদেরকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করিয়ে দেয় এবং আমাদের প্রয়োজনীয় কথাগুলো পৌঁছে দেয় এরপর আমাদের জন্য তাঁর দরবারে সুপারিশ করে। আল্লাহ কিয়ামত দিবসে তাওহীদবাদী মুমিন ও শিরককারী কাফিরদের মাঝে তাওহীদ সংক্রান্ত বিবাদের ফয়সালা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর প্রতি শিরকের সম্বন্ধকারী ও আল্লাহর নি‘আমতকে অস্বীকারকারী মিথ্যুককে হেদায়েতের তাওফীক দেন না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


জেনে রাখ, খাঁটি আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য।[১] যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, তারা বলে, ‘আমরা এদের পূজা এ জন্যই করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্যে এনে দেবে।’[২] ওরা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে, আল্লাহ তার ফায়সালা করে দেবেন।[৩] নিশ্চয় আল্লাহ তাকে সৎপথে পরিচালিত করেন না, যে মিথ্যাবাদী অবিশ্বাসী। [৪] [১] এটা সেই খালেস ইবাদতের তাকীদ যার আদেশ পূর্বের আয়াতে দেওয়া হয়েছে, আর তা হল ইবাদত ও আনুগত্য একমাত্র এক আল্লাহর জন্যই শোভনীয়, তাঁর ইবাদতে কাউকে অংশীদার করা যাবে না এবং তিনি ব্যতীত অন্য কেউ এর যোগ্যও নয়। তবে রসূল ( সাঃ )-এরও আনুগত্য করতে হবে, কারণ রাসূলের আনুগত্য প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই আনুগত্য; অন্য কারোর নয়। এ কথা আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন। এর পরেও ইবাদতের ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য নয়। কারণ ইবাদত আল্লাহ ছাড়া কোন বড় থেকে বড় রসূলেরও করা বৈধ নয়; সাধারণ মানুষের, যাদেরকে মানুষ নিজের ইচ্ছামত আল্লাহর আসনে বসিয়ে রেখেছে, তারা তো দূরের কথা। ( مَا أَنْزَلَ اللهُ بِهَا مِنْ سُلْطَان ) 'আল্লাহর পক্ষ থেকে এর কোন প্রমাণ নেই।'[২] এখান হতে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, মক্কার মুশরিকরা আল্লাহ তাআলাকেই স্রষ্টা, রুযীদাতা এবং বিশ্বজাহানের নিয়ন্ত্রণকারী বলে বিশ্বাস করত। অথচ তারা অন্যের ইবাদত কেন করত? এর উত্তর তারা এই বলে দিত, যা কুরআন পাক এখানে বর্ণনা করেছে। তা হল 'সম্ভবতঃ এদের দ্বারা আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারব অথবা এরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য সুপারিশ করবে।' যেমন অন্য জায়গায় বলেছেন, ( هَؤُلآءِ شُفَعَآؤُنَا عِنْدَ اللهِ ) " এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী হবে। " ( সূরা ইউনুস ১০:১৮ আয়াত ) [৩] কারণ, পৃথিবীতে কেউ এটা স্বীকার করতে প্রস্তুত নয় যে, সে শিরক করছে বা সে ভুল পথে আছে। ফলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলাই ফায়সালা করবেন এবং ফায়সালা অনুযায়ী প্রতিদান ও শাস্তি দেবেন।[৪] সেই মিথ্যা উপাস্য দ্বারা তারা আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বা ওরা তাদের জন্য সুপারিশ করবে --এ কথা একেবারে মিথ্যা এবং আল্লাহ ব্যতীত ক্ষমতাহীন ব্যক্তিদেরকে উপাস্য মনে করাও বড় অকৃতজ্ঞতা। এমন মিথ্যুক ও অকৃতজ্ঞরা কিভাবে হিদায়াত পাবে?

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


জেনে রাখুন, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। আর যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে, 'আমরা তো এদের ইবাদত এ জন্যে করি যে, এরা আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে এনে দেবে []।’ তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে সে ব্যাপারে ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির, নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না। [] মক্কার কাফের-মুশরিকরা অনুরূপ দুনিয়ার সব মুশরিকও একথাই বলে থাকে যে, আমরা স্রষ্টা মনে করে অন্যসব সত্তার ইবাদাত করি না। আমরা তো আল্লাহকেই প্রকৃত স্রষ্টা বলে মানি এবং সত্যিকার উপাস্য তাকেই মনে করি। যেহেতু তাঁর দরবার অনেক উঁচু। আমরা সেখানে কি করে পৌঁছতে পারি? তাই এসব বুজুর্গ সত্তাদেরকে আমরা মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করি যাতে তারা আমাদের প্রার্থনা ও আবেদন-নিবেদন আল্লাহর কাছে পৌঁছিয়ে দেন। অথচ তারা জানত যে, এসব মূর্তি তাদেরই হাতের তৈরি। এদের কোন বুদ্ধি-জ্ঞান, চেতনা-চৈতন্য, ও শক্তি-বল কিছুই নেই। তারা আল্লাহ তা’আলার দরবারকে দুনিয়ার রাজ-বাদশাহদের দরবারের মতই ধারনা করে নিয়েছিল। রাজ দরবারের নৈকট্যশীল ব্যক্তি কারও প্রতি প্ৰসন্ন হলে রাজার কাছে সুপারিশ করে তাকেও রাজার নৈকট্যশীল করে দিতে পারে। তারা মনে করত, ফেরেশতাগণও রাজকীয় সভাসদবর্গের ন্যায় যে কারও জন্যে সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু তাদের এসব ধারণা শয়তানী, বিভ্ৰান্তি ও ভিত্তিহীন কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রথমতঃ এসব মূর্তি-বিগ্রহ ফেরেশতাগণের আকৃতির অনুরূপ নয়। হলেও আল্লাহর নৈকট্যশীল ফেরেশতাগণ নিজেদের পূজা-অৰ্চনায় কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারে না। আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় এমন যে কোন বিষয়কে তারা স্বভাবগতভাবে ঘূণা করে। এতদ্ব্যতীত তারা আল্লাহর দরবারে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোন সুপারিশ করতে পারে না, যে পর্যন্ত না তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা কোন বিশেষ ব্যক্তির ব্যাপারে সুপারিশ করার অনুমতি দেন। সুতরাং তারা একদিকে আল্লাহর বান্দাদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছে, অপরদিকে আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা করছে। তারা আল্লাহকে অত্যাচারী জালেম বাদশাদের মত মনে করছে, অথচ, আল্লাহ সবার ডাকেই সাড়া দেন। তাঁর কাছে কারও অভাব গোপন নাই যে তাকে মাধ্যম ধরে জানাতে হবে। তাছাড়া তারা এ সমস্ত উপাস্যদের ব্যাপারেও সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। কোন কোন সত্তা আল্লাহর কাছে পৌঁছার মাধ্যম সে ব্যাপারে দুনিয়ার মুশরিকরা কখনো একমত হতে পারেনি। কেউ একজন মহাপুরুষকে মানলে আরেকজন অপর একজনকে মানছে। কেননা, কেবল তাওহীদের ব্যাপারেই ঐক্যমত হওয়া সম্ভব। শির্কের ব্যাপারে কোন প্রকার ঐক্যমত হতে পারে না। এর কারণ হচ্ছে, ভিন্ন ভিন্ন এসব মহাপুরুষ সম্পর্কে তাদের এই ধারণা কোন জ্ঞানের ভিত্তিতে গড়ে উঠেনি কিংবা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের কাছে এমন কোন তালিকাও আসেনি যাতে বলা হয়েছে, অমুক ও অমুক ব্যক্তি আমার বিশেষ নৈকট্যপ্রাপ্ত সুতরাং আমাকে পেতে হলে তাদেরকে মাধ্যম হিসেবে গ্ৰহণ করো। এটা বরং এমন এক আকীদা যা কেবল কুসংস্কার ও অন্ধভক্তি এবং পুরনো দিনের লোকদেরকে অযৌক্তিক এবং অন্ধ অনুসরণের কারণে মানুষের মধ্যে বিস্তার লাভ করেছে। তাই এ ক্ষেত্রে মতের বিভিন্নতা অবশ্যম্ভাবী। [ দেখুন, তাবারী; সা’দী; মাকরিযী, তাজরীদুত তাওহীদিল মুফীদ; ইবন তাইমিয়্যাহ, আল-ওয়াসিতা বাইনাল হাক্কি ওয়াল খালক, ১৫-১৮; ইবনুল কাইয়্যেম, ইগাসাতুল লাহফান, ৩৩৯-৩৪৪; আরও দেখুন, আশ-শির্ক ফিল কাদীম ওয়াল হাদীস, ১১৯৯-১২১১ ]

সূরা যুমার আয়াত 3 সূরা

ألا لله الدين الخالص والذين اتخذوا من دونه أولياء ما نعبدهم إلا ليقربونا إلى الله زلفى إن الله يحكم بينهم في ما هم فيه يختلفون إن الله لا يهدي من هو كاذب كفار

سورة: الزمر - آية: ( 3 )  - جزء: ( 23 )  -  صفحة: ( 458 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. হেদায়েত আসার পর এ প্রতীক্ষাই শুধু মানুষকে বিশ্বাস স্থাপন করতে এবং তাদের পালনকর্তার কাছে ক্ষমা
  2. তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে না। তবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও
  3. সেখানে তারা আর্ত চিৎকার করে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, বের করুন আমাদেরকে, আমরা সৎকাজ করব,
  4. মানুষদের মধ্যে যারা ইব্রাহীমের অনুসরণ করেছিল, তারা, আর এই নবী এবং যারা এ নবীর প্রতি
  5. আচ্ছা বল তো, যে ব্যক্তি তার প্রভুর সুস্পষ্ট পথে রয়েছে, আর সাথে সাথে আল্লাহর তরফ
  6. নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।
  7. আলিফ-লাম-মীম-রা; এগুলো কিতাবের আয়াত। যা কিছু আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, তা সত্য। কিন্তু
  8. এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।
  9. আর তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেবার উদ্দেশ্যে আমি তাদের উপর তূর পর্বতকে তুলে ধরেছিলাম এবং
  10. অতএব, দেখ তাদের চক্রান্তের পরিনাম, আমি অবশ্রই তাদেরকে এবং তাদের সম্প্রদায়কে নাস্তনাবুদ করে দিয়েছি।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা যুমার ডাউনলোড করুন:

সূরা Zumar mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Zumar শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত যুমার  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত যুমার  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত যুমার  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত যুমার  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত যুমার  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত যুমার  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত যুমার  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত যুমার  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত যুমার  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত যুমার  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত যুমার  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত যুমার  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত যুমার  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত যুমার  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত যুমার  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত যুমার  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত যুমার  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত যুমার  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত যুমার  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত যুমার  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত যুমার  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত যুমার  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত যুমার  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত যুমার  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত যুমার  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers