কোরান সূরা তাহরীম আয়াত 3 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tahrim ayat 3 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তাহরীম আয়াত 3 আরবি পাঠে(Tahrim).
  
   

﴿وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَىٰ بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا فَلَمَّا نَبَّأَتْ بِهِ وَأَظْهَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَهُ وَأَعْرَضَ عَن بَعْضٍ ۖ فَلَمَّا نَبَّأَهَا بِهِ قَالَتْ مَنْ أَنبَأَكَ هَٰذَا ۖ قَالَ نَبَّأَنِيَ الْعَلِيمُ الْخَبِيرُ﴾
[ التحريم: 3]

যখন নবী তাঁর একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বললেন এবং কিছু বললেন না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বললেন, তখন স্ত্রী বললেনঃ কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল? নবী বললেন,ঃ যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন। [সূরা তাহরীম: 3]

Surah At-Tahreem in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tahrim ayat 3


আর স্মরণ করো! নবী তাঁর স্ত্রীদের কোনো একজনের কাছে গোপনে একটি সংবাদ দিয়েছিলেন; -- কিন্ত তিনি যখন তা বলে দিলেন, এবং আল্লাহ্ তাঁর কাছে এটি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তখন তিনি তাঁকে তার কতকটা জানিয়েছিলেন এবং চেপে গিয়েছিলেন অন্য কতকটা। তিনি যখন তাঁকে তা জানিয়েছিলেন তখন তিনি বললেন -- ''কে আপনাকে এ কথা বললে?’’ তিনি বলেছিলেন -- ''আমাকে সংবাদ দিয়েছেন সেই সর্বজ্ঞাতা, চির-ওয়াকিফহাল।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩. আপনি তখনকার কথা স্মরণ করুন যখন নবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) শুধু হাফসাকে তাঁর স্ত্রী মারিয়ার নিকটবর্তী না হওয়ার সংবাদ দিলেন। এ দিকে হাফসা যখন সে ব্যাপারে আয়শাকে সংবাদ দিলো এবং আল্লাহ তদীয় নবীকে তাঁর গোপন সংবাদ ফাঁস হওয়ার কথা জ্ঞাত করলেন তখন তিনি হাফসাকে দোষারোপ করলেন। তিনি তার নিকট ওর দ্বারা প্রকাশিত কিছু কথা উল্লেখ করলেন আর কিছু কথা থেকে চুপ থাকলেন। তখন সে জিজ্ঞাসা করলো, আপনাকে এ ব্যাপারে কে সংবাদ দিয়েছে? তিনি বললেন, আমাকে সর্বজ্ঞ ও সর্ব প্রকার গোপন সংবাদ সম্পর্কে সবজান্তাই সংবাদ দিয়েছেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


( স্মরণ কর, ) নবী তাঁর স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন। [১] অতঃপর যখন সে তা অন্যকে বলে দিয়েছিল[২] এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তখন নবী এ বিষয়ে কিছু ব্যক্ত করল এবং কিছু অব্যক্ত রাখল,[৩] যখন নবী তা তার সেই স্ত্রীকে জানাল, তখন সে বলল, ‘কে আপনাকে এটা অবহিত করল?’[৪] নবী বলল, ‘আমাকে অবহিত করেছেন তিনি, যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।’ [৫] [১] সেই গোপন কথা ছিল মধু অথবা মারিয়া ( রাঃ ) কে হারাম করে নেওয়ার কথা যা তিনি ( সাঃ ) হাফসা ( রাঃ ) কে বলেছিলেন। [২] অর্থাৎ, হাফসা ( রাঃ ) সে কথা আয়েশা ( রাঃ )র কাছে গিয়ে বলে দিলেন। [৩] অর্থাৎ, হাফসা ( রাঃ ) কে বললেন যে, তুমি আমার গোপন কথা প্রকাশ করে দিয়েছ। তবে স্বীয় সম্মান ও মহত্ত্বের দিকে লক্ষ্য করে সমস্ত কথা খুলে বললেন না। [৪] যখন নবী ( সাঃ ) হাফসাকে বললেন যে, তুমি আমার গোপন কথা প্রকাশ করে দিয়েছ, তখন তিনি ( হাফসা ) আশ্চর্যান্বিতা হলেন। কারণ, তিনি আয়েশা ( রাঃ ) ব্যতীত অন্য কাউকেও এ কথা বলেননি এবং আয়েশা ( রাঃ ) যে এ কথা রসূল ( সাঃ )-কে বলে দেবেন সে আশঙ্কাও তাঁর ছিল না। কেননা, তিনিও এই ( ফন্দি আঁটার ) কাজে তাঁর শরীক ছিলেন। [৫] এ থেকে বুঝা যায় যে, কুরআন ছাড়া অন্য বিষয়ের অহীও তাঁর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। ( আরো বুঝা যায় যে, তিনি গায়বের খবর জানতেন না। )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর স্মরণ করুন--- যখন নবী তার স্ত্রীদের একজনকে গোপনে একটি কথা বলেছিলেন। অতঃপর যখন সে তা অন্যকে জানিয়ে দিয়েছিল এবং আল্লাহ নবীর কাছে তা প্ৰকাশ করে দিলেন, তখন নবী এ বিষয়ে কিছু ব্যক্ত করলেন এবং কিছু এড়িয়ে গেলেন []। অতঃপর যখন নবী তা তার সে স্ত্রীকে জানালেন তখন সে বলল, ‘কে আপনাকে এটা জানালো?’ নবী বললেন, ‘আমাকে জানিয়েছেন তিনি, যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।’ [] অর্থাৎ সেই স্ত্রী যখন গোপন কথাটি অন্য স্ত্রীর গোচরীভূত করে দিলেন এবং আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ সম্পর্কে অবহিত করে দিলেন, তখন তিনি সেই স্ত্রীর কাছে গোপনে কথা ফাঁস করে দেয়ার অভিযোগ করলেন, কিন্তু পূর্ণ কথা বললেন না। এটা ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভদ্রতা। তিনি দেখলেন সম্পূর্ণ কথা বললে সে অধিক লজ্জিত হবে। কোন স্ত্রীর কাছের গোপন কথা বলা হয়েছিল এবং কার কাছে ফাঁস করা হয়েছিল, পবিত্র কুরআনে তার বর্ণনা আসেনি। অধিকাংশ বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, হাফসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কাছে গোপন কথা বলা হয়েছিল। তিনি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কাছে তা ফাঁস করে দেন। [ দেখুন, বুখারী: ৪৯১৩, মুসলিম: ১৪৭৯ ] কোন কোন বর্ণনায় আছে, গোপন কথা ফাঁস করে দেয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে তালাক দেয়ার ইচ্ছা করেন; কিন্তু আল্লাহ তা'আলা জিবরাঈল আলাইহিস সালামকে প্রেরণ করে তাকে তালাক থেকে বিরত রাখেন এবং বলে দেন যে, হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা অনেক সালাত আদায় করে এবং অনেক সাওম পালন করে। তার নাম জান্নাতে আপনার স্ত্রীগণের তালিকায় লিখিত আছে। [ মুস্তাদরাকে হাকিম: ৪/১৬, ৬৭৫৩, ৪/১৭, ৬৭৫৪, আত-তাবাকাতুল কুবরা লি ইবনে সা'দ: ৮/৮৪, তাবরানী: ১৮/৩৬৫, ৯৩৪, বুগইয়াতুল বাহিস: ২/৯১৪ ]

সূরা তাহরীম আয়াত 3 সূরা

وإذ أسر النبي إلى بعض أزواجه حديثا فلما نبأت به وأظهره الله عليه عرف بعضه وأعرض عن بعض فلما نبأها به قالت من أنبأك هذا قال نبأني العليم الخبير

سورة: التحريم - آية: ( 3 )  - جزء: ( 28 )  -  صفحة: ( 560 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমি তাদের কাছে উপর্যুপরি বাণী পৌছিয়েছি। যাতে তারা অনুধাবন করে।
  2. তাঁর আরও নিদর্শনঃ তিনি তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ, ভয় ও ভরসার জন্যে এবং আকাশ থেকে পানি
  3. অতঃপর মূসা যখন আমার কাছ থেকে সত্যসহ তাদের কাছে পৌঁছাল; তখন তারা বলল, যারা তার
  4. রসূলের এই উক্তির কসম, হে আমার পালনকর্তা, এ সম্প্রদায় তো বিশ্বাস স্থাপন করে না।
  5. শুন, তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে, অতঃপর তোমাদের কেউ
  6. এই পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক বৈ তো কিছুই নয়। পরকালের গৃহই প্রকৃত জীবন; যদি তারা জানত।
  7. অতঃপর কেয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন এবং বলবেনঃ আমার অংশীদাররা কোথায়, যাদের ব্যাপারে তোমরা
  8. বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা নিজের কাছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
  9. যেদিন আমি প্রবলভাবে ধৃত করব, সেদিন পুরোপুরি প্রতিশোধ গ্রহণ করবই।
  10. নিশ্চয়ই তোমাদেরকে প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়িত হবে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাহরীম ডাউনলোড করুন:

সূরা Tahrim mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tahrim শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তাহরীম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তাহরীম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তাহরীম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তাহরীম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তাহরীম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তাহরীম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তাহরীম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তাহরীম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তাহরীম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তাহরীম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তাহরীম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তাহরীম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তাহরীম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তাহরীম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তাহরীম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তাহরীম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তাহরীম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তাহরীম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তাহরীম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তাহরীম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তাহরীম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তাহরীম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তাহরীম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তাহরীম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তাহরীম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب