কোরান সূরা দাহর ইনসান আয়াত 3 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Insan ayat 3 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা দাহর ইনসান আয়াত 3 আরবি পাঠে(Insan).
  
   

﴿إِنَّا هَدَيْنَاهُ السَّبِيلَ إِمَّا شَاكِرًا وَإِمَّا كَفُورًا﴾
[ الإنسان: 3]

আমি তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি। এখন সে হয় কৃতজ্ঞ হয়, না হয় অকৃতজ্ঞ হয়। [সূরা দাহর ইনসান: 3]

Surah Al-Insan in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Insan ayat 3


নিঃসন্দেহ আমরা তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি, -- হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩. আমি তাকে আমার রাসূলগণের যবানীতে হিদায়েতের পথ সুস্পষ্টরূপে বাতলে দিয়েছি। যার মাধ্যমে তার নিকট ভ্রষ্টতার পথ পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। ফলে সে হয় সরল পথ অনুসরণ করে হিদায়েত লাভ করতঃ আল্লাহর শোকরগুজার মুমিন বান্দায় পরিণত হবে। না হয় সে তা থেকে ভ্রষ্ট হয়ে আল্লাহর আয়াতগুলো অস্বীকারকারী কাফির ও আল্লাহর অকৃতজ্ঞ বান্দায় পরিণত হবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


নিশ্চয় আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি; হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে। [১] [১] অর্থাৎ, উল্লিখিত শক্তি ও যোগ্যতাদি দেওয়ার সাথে সাথে আমি নিজেও আসমানী কিতাব, আম্বিয়া এবং হকপন্থী আহবানকারীদের মাধ্যমে সঠিক পথকে সুস্পষ্ট করে দিয়েছি। এখন তার ইচ্ছা আল্লাহর আনুগত্যের পথ অবলম্বন করে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা গণ্য হোক অথবা তাঁর অবাধ্যতার পথ অবলম্বন করে অকৃতজ্ঞ বান্দা হোক। যেমন, এক হাদীসে নবী করীম ( সাঃ ) বলেছেন, " প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের আত্মার বেচা-কেনা করে। সুতরাং হয় সে তাকে ধ্বংস করে দেয় অথবা তাকে মুক্ত করে নেয়। " ( মুসলিমঃ পবিত্রতা অধ্যায়, ওযু পরিচ্ছেদ ) অর্থাৎ, নিজের আমল ও কর্মাকর্ম দ্বারা হয় তাকে ধ্বংস করে অথবা মুক্ত করে নেয়। যদি সে পাপকাজ করে, তাহলে ধ্বংস করে। আর যদি পুণ্যকাজ করে, তাহলে সে আত্মাকে মুক্ত করে নেয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


নিশ্চয় আমরা তাকে পথ নির্দেশ দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে []। [] এ আয়াত পূর্বের আয়াতে বর্ণিত পরীক্ষার ফলে মানুষের কি অবস্থা হয়েছে তা বিধৃত হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি রাসূল ও আসমানী গ্রন্থের মাধ্যমে তাকে পথ বলে দিয়েছি যে, এই পথ জান্নাতের দিকে এবং ঐ পথ জাহান্নামের দিকে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা দিয়েছি যে কোন পথ অবলম্বন করার। সুতরাং আমি তাকে শুধু জ্ঞান ও বিবেক-বুদ্ধি দিয়েই ছেড়ে দেইনি। বরং এগুলো দেয়ার সাথে সাথে তাকে পথও দেখিয়েছি যাতে সে জানতে পারে শোকরিয়ার পথ কোন্টি এবং কুফরীর পথ কোন্টি। এরপর যে পথই সে অবলম্বন করুক না কেন তার জন্য সে নিজেই দায়ী। এ বিষয়টিই অন্যত্র এভাবে বলা হয়েছে, “ আমরা তাকে দু‘টি পথ ( অর্থাৎ ভাল ও মন্দ পথ ) স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছি” [ সূরা আল-বালাদ: ১০ ] অন্যত্র বলা হয়েছে এভাবে, “ শপথ ( মানুষের ) প্রবৃত্তির আর সে সত্তার যিনি তাকে ( সব রকম বাহ্যিক ) ও আভ্যন্তরীণ শক্তি দিয়ে শক্তিশালী করেছেন । আর পাপাচার ও তাকওয়া-পরহেজগারীর অনুভূতি দু’টোই তার ওপর ইলহাম করেছেন।” [ সূরা আশ-শামস: ৭-৮ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


সহীহ্ মুসলিমের হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বর্ণিত হাদীস ইতিপূর্বে গত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) জুমআ’র দিন ফজরের নামাযে সূরা আলিফ-লাম-তানযীল এবং হাল আতা আলাল ইনসান পাঠ করতেন। একটি মুরসাল গারীব হাদীসে রয়েছে যে, যখন এই সূরাটি অবতীর্ণ হয় এবং রাসূলুল্লাহ( সঃ ) তা পাঠ করেন তখন তাঁর নিকট একটি কালো বর্ণের সাহাবী ( রাঃ ) বসেছিলেন। যখন জান্নাতের গুণাবলীর বর্ণনা আসে তখন হঠাৎ তাঁর মুখ হতে একটা ভীষণ চীৎকার বের হয় এবং সাথে সাথে তাঁর দেহ হতে প্রাণ পাখী উড়ে যায়। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ( সঃ ) তাঁর সাহাবীদেরকে বলেনঃ “ তোমাদের সাথী এবং তোমাদের ভাই-এর প্রাণ জান্নাতের আগ্রহে বেরিয়ে গেছে ।” ১-৩ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ্ তা'আলা খবর দিতে গিয়ে বলেন যে, তিনি মানুষকে এমন অবস্থায় সৃষ্টি করেছেন যে, তার নিকৃষ্টতা ও দুর্বলতার কারণে সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না। তিনি তাকে পুরুষ ও নারীর মিলিত শুক্রের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন এবং বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত করার পর তাকে বর্তমান রূপ ও আকৃতি দান করেছেন। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ আমি তাকে পরীক্ষা করবার জন্যে শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন করেছি। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেছেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ তোমাদেরকে পরীক্ষা করবার জন্যে যে, কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম?” ( ৬৭:২ ) সুতরাং তিনি তোমাদেরকে কর্ণ ও চক্ষু দান করেছেন যাতে আনুগত্য ও অবাধ্যতার মধ্যে পার্থক্য করতে পার ।মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি। অর্থাৎ অত্যন্ত স্পষ্ট ও পরিষ্কারভাবে আমার সরল সোজা পথ তোমার কাছে খুলে দিয়েছি। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ সামূদ সম্প্রদায়কে আমি পথের নির্দেশ দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা অন্ধত্বকে হিদায়াতের উপর প্রাধান্য দিয়েছিল ।( ৪১:১৭ ) আর এক জায়গায় আল্লাহ পাক বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ আমি তাকে দু'টি পথই দেখিয়েছি ।( ৯০:১০ ) অর্থাৎ ভাল ও মন্দ দু'টি পথই প্রদর্শন করেছি। ( আরবি )-এই আয়াতের তাফসীরে হযরত মুজাহিদ ( রঃ ), হযরত আবূ সালিহ্ ( রঃ ), হযরত যহহাক ( রঃ ) এবং হযরত সুদ্দী ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, পথ দেখানো দ্বারা উদ্দেশ্য হলোঃ আমি তাকে মায়ের পেট হতে বের হবার পথ দেখিয়েছি। কিন্তু এটা গারীব উক্তি। প্রথম উক্তিটিই সঠিক।( আরবি ) এখানে ( আরবি ) হওয়ার কারণে ( আরবি ) এবং ( আরবি )-এর উপর ( আরবি ) বা যবর হয়েছে। এর ( আরবি ) হলো ( আরবি ) এর সর্বনামটি। অর্থাৎ আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি এমন অবস্থায় যে সে হতভাগ্য বা ভাগ্যবান। যেমন সহীহ মুসলিমে হযরত আবূ মালিক আশআরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ প্রত্যেক ব্যক্তি সকাল বেলায় স্বীয় নফসকে বিক্রিকারী হয়ে থাকে, হয় সে ওকে মুক্তকারী হয়, না হয় ওকে ধ্বংসকারী হয় ।”মুসনাদে আহমাদে হযরত জাবির ইবনে আবদিল্লাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে। যে, নবী ( সঃ ) হযরত কা'ব ইবনে আজরা ( রাঃ )-কে বলেনঃ আল্লাহ তোমাকে নির্বোধদের নেতৃত্ব হতে রক্ষা করুন!” হযরত কাব ( রাঃ ) জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! নির্বোধদের নেতৃত্ব কি?" উত্তরে তিনি বললেনঃ “তারা ঐ সব নেতা যারা আমার পরে নেতৃত্ব লাভ করবে । তারা না আমার সুন্নাতের উপর আমল করবে, না আমার তরীকার উপর চলবে। যারা তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে বিশ্বাস করবে এবং উৎপীড়নমূলক কার্যে সাহায্য করবে তারা আমার অন্তর্ভুক্ত নয় এবং আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত নই। জেনে রেখো যে, তারা আমার হাউযে কাওসারের উপরও আসতে পারবে না। পক্ষান্তরে, যারা তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে বিশ্বাস করবে না এবং তাদের অত্যাচারমূলক কাজে সাহায্য সহযোগিতা করবে না তারা আমার এবং আমি তাদের। তারা আমার হাউযে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হবে। হে কা'ব ( রাঃ )! রোযা ঢাল স্বরূপ, সাদকা বা দান-খয়রাত পাপরাশিকে মিটিয়ে দেয় এবং নামায আল্লাহর নৈকট্য লাভের কারণ অথবা বলেছেনঃ মুক্তির দলীল। হে কাব ( রাঃ )! ( দেহের ) ঐ গোশত জান্নাতে প্রবেশ করবে না যা হারাম দ্বারা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছে। ওটা জাহান্নামেরই যোগ্য। হে কা'ব ( রাঃ )! মানুষ সকাল বেলায় নিজের নফসকে বিক্রী করে থাকে। কেউ ওকে আযাদকারী হয় এবং কেউ হয় ওকে ধ্বংসকারী।” সূরা রূমের ( আরবি ) আল্লাহর প্রকৃতির অনুসরণ কর, যে প্রকৃতি অনুযায়ী তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। ( ৩০:৩০ ) এ আয়াতের তাফসীরে হযরত জাবির ( রাঃ )-এর রিওয়াইয়াতে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিম্নের উক্তিটি গত হয়েছেঃ “ প্রত্যেক সন্তান ইসলামের ফিতরাত বা প্রকৃতির উপর সৃষ্ট হয়ে থাকে, শেষ পর্যন্ত তার জিহ্বা চলতে থাকে, হয় সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী হয়, না হয় অকৃতজ্ঞ হয় ।”মুসনাদে আহমাদে হযরত আবূ হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তিই ( বাড়ী হতে ) বের হয় তারই দরজার উপর দু’টি পতাকা থাকে, একটি থাকে ফেরেশতার হাতে এবং অপরটি থাকে শয়তানের হাতে । যদি সে এমন কাজের জন্যে বের হয়ে থাকে যাতে আল্লাহ সন্তুষ্ট, তবে ফেরেশতা তাঁর পতাকা নিয়ে তার সাথী হয়ে যান এবং তার প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত সে ফেরেশতার পতাকার নীচেই থাকে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর অসন্তুষ্টির কাজে বের হয়, শয়তান তার পতাকা নিয়ে তার সাথে হয়ে যায় এবং তার প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত সে শয়তানের পতাকা তলেই থাকে।”

সূরা দাহর ইনসান আয়াত 3 সূরা

إنا هديناه السبيل إما شاكرا وإما كفورا

سورة: الإنسان - آية: ( 3 )  - جزء: ( 29 )  -  صفحة: ( 578 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারা বলল, আমরা কি তোমাকে মেনে নেব যখন তোমার অনুসরণ করছে ইতরজনেরা?
  2. সে আমার স্থলাভিষিক্ত হবে ইয়াকুব বংশের এবং হে আমার পালনকর্তা, তাকে করুন সন্তোষজনক।
  3. এবং নামাযীদের সাথে উঠাবসা করেন।
  4. মুমিন তো তারাই; যারা আল্লাহর ও রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং রসূলের সাথে কোন
  5. তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন এই যে, তিনি মৃত্তিকা থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছেন। এখন তোমরা
  6. এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না,
  7. তোমরা অবশ্যই বেদনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করবে।
  8. তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে
  9. নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
  10. মুসলমানরা বলবেঃ এরাই কি সেসব লোক, যারা আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করত যে, আমরা তোমাদের সাথে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা দাহর ইনসান ডাউনলোড করুন:

সূরা Insan mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Insan শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত দাহর ইনসান  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب