কোরান সূরা নাহল আয়াত 32 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nahl ayat 32 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নাহল আয়াত 32 আরবি পাঠে(Nahl).
  
   

﴿الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ طَيِّبِينَ ۙ يَقُولُونَ سَلَامٌ عَلَيْكُمُ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ﴾
[ النحل: 32]

ফেরেশতা যাদের জান কবজ করেন তাদের পবিত্র থাকা অবস্থায়। ফেরেশতারা বলেঃ তোমাদের প্রতি শাস্তি বর্ষিত হোক। তোমরা যা করতে, তার প্রতিদানে জান্নাতে প্রবেশ কর। [সূরা নাহল: 32]

Surah An-Nahl in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nahl ayat 32


এরা তারা যাদের প্রাণহরণ করবে ফিরিশ্‌তারা উত্তমভাবে, তারা বলবে -- ''তোমাদের প্রতি সালাম! তোমরা যা করতে সেজন্য স্বর্গোদ্যানে প্রবেশ করো।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩২. মৃত্যুর ফিরিশতা ও তাঁর সহযোগী ফিরিশতারা যাদের রূহ এমতাবস্থায় কবজ করে যে, তাদের অন্তরাত্মা কুফরি থেকে পবিত্র রয়েছে, তাদেরকে ফিরিশতারা এ বলে সম্বোধন করে যে, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমরা সকল বিপদ থেকে মুক্ত। তোমরা দুনিয়াতে যে বিশুদ্ধ আকীদা পোষণ ও নেক আমল করতে সেগুলোর বিনিময়ে জান্নাতে প্রবেশ করো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যাদের পবিত্র থাকা অবস্থায় ফিরিশতাগণ প্রাণ হরণ করে; ফিরিশতাগণ ( তাদেরকে ) বলে, ‘তোমাদের প্রতি শান্তি![১] তোমরা যা করতে তার ফলে জান্নাতে প্রবেশ কর।’ [২] [১] এই আয়াতগুলিতে যালেম মুশরিকদের বিপরীতে ঈমানদার ও মুত্তাকীদের চরিত্র এবং তাদের উত্তম পরিণতির কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁদের দলভুক্ত করুন। আমীন।[২] সূরা আ'রাফের ৭:৪৩ নং আয়াতের টীকায় এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি নিজ আমলের জোরে জান্নাতে যেতে পারবে না, যতক্ষণ তার প্রতি আল্লাহর দয়া না হবে। কিন্তু এখানে বলা হচ্ছে যে, তোমরা নিজ আমলের বিনিময়ে বা ফলে জান্নাতে প্রবেশ কর। আসলে এর মধ্যে কোন পরস্পর-বিরোধিতা নেই। কারণ আল্লাহর রহমত ও দয়া পেতে হলে সৎকর্ম একান্ত জরুরী। সৎকর্ম আল্লাহর রহমত পাওয়ার একমাত্র উপায়। অতএব আমলের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। আমল ছাড়া পরকালে আল্লাহর রহমত কোনক্রমেই সম্ভব নয়। সুতরাং উক্ত হাদীসের অর্থ নিজ জায়গায় সঠিক এবং আমলের প্রয়োজনীয়তাও স্বস্থানে বহাল। সেই কারণে অন্য এক হাদীসে বলেছেন, " নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের আকার-আকৃতি ও ধন-সম্পদ দেখবেন না, বরং তিনি দেখবেন তোমাদের হৃদয় ও কর্ম। " ( মুসলিমঃ কিতাবুল বির্র )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


ফিরিশতাগণ [] যাদের মৃত্যু ঘটায় উত্তমভাবে। ফিরিশতাগণ বলবেন, তোমাদের উপর সালাম! তোমরা যা করতে তার ফলে জান্নাতে প্রবেশ কর []। [] এ আয়াত এবং এর পরবর্তী যে আয়াতে মৃত্যুর পর মুত্তাকী ও ফেরেশতাদের আলাপ আলোচনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এগুলো কুরআন মজীদের এমন ধরনের আয়াতের অন্যতম যেগুলো সুস্পষ্ট ভাবে কবরের আযাব ও সওয়াবের প্রমাণ পেশ করে। সূরা আল-মুমিনের ৪৫-৪৬ আয়াতে এসবের চাইতে বেশী সুস্পষ্ট ভাষায় বর্যখের আযাবের কথা বলা হয়েছে। সেখানে আল্লাহ ফিরআউন ও ফিরআউনের পরিবারবর্গ সম্পর্কে বলেছেন, একটি কঠিন আযাব তাদেরকে ঘিরে রেখেছে। সকালসাঁঝে তাদেরকে আগুনের সামনে নিয়ে আসা হয়। তারপর যখন কিয়ামতের সময় এসে যাবে তখন হুকুম দেয়া হবে- ফিরআউনের পরিবারবর্গকে কঠিনতম আযাবের মধ্যে ফেলে দাও।" এখানে এটা বিশ্বাস করা জরুরী যে, কবরের শাস্তি শুধু রূহের উপর হবে না। বরং রূহ এবং দেহ উভয়টির উপরই হবে। কিয়ামতের মাঠে এবং এর পরবর্তী জীবন হবে সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের যার সাথে দুনিয়ার জীবনের কোন তুলনাই চলে না। সেখানে সবকিছুর গতি প্রকৃতি ভিন্ন হবে। [] এখানে আল্লাহ্ তা'আলা মৃত্যুর সময় ঈমানদারগণের যে অবস্থা হয় এবং ফিরিশতাগণ তাদেরকে কিভাবে সাদর সম্ভাষণ জানায় তা বর্ণনা করছেন। অনুরূপ আয়াত কুরআনের অন্যান্য স্থানেও এসেছে। [ দেখুনঃ সূরা ফুসসিলাতঃ ৩০-৩২ ] তবে একথা জানা আবশ্যক যে, সৎকাজ করা জান্নাতে যাওয়ার কারণ। কিন্তু শুধুমাত্র সৎকাজই মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে না, যতক্ষন তার সাথে আল্লাহর রহমত না থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “ তোমাদের মধ্যে কেউ তার কাজের বিনিময়ে নাজাত পাবে না । লোকেরা বললঃ আপনিও পাবেন না? তিনি বললেনঃ না, আমিও না। তবে আল্লাহ যদি তার রহমত দিয়ে আমাকে ঢেকে রাখেন। সুতরাং সঠিক এবং কর্তব্যনিষ্ঠভাবে কাজ করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করো, সকাল বিকাল এবং রাতের শেষাংশে আল্লাহর ইবাদত করো। এসব কাজে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করো। মধ্যম পন্থাই তোমাদেরকে লক্ষ্যে পৌঁছাবে। [ বুখারীঃ ৬৪৬৩ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩০-৩২ নং আয়াতের তাফসীর মন্দ লোকদের অবস্থা বর্ণনা করার পর এখন তাদের বিপরীত ভাল লোকদের অবস্থা বর্ণনা করা হচ্ছে। মন্দলোকদের উত্তর ছিলঃ “ এই কিতাবে অর্থাৎ কুরআনে শুধুমাত্র পূর্ববর্তী লোকদের কাহিনীর বর্ণনা করা হয়েছে । কিন্তু ভাল লোকদের উত্তর হবেঃ ‘এই কিতাব হচ্ছে সরাসরি বরকত ও রহমত। যে কেউ এটাকে মানবে ও এর উপর আমল করবে, সে পরিপূর্ণভাবে করুণা ও কল্যাণ লাভ করবে।'এরপর মহান আল্লাহ খবর দিচ্ছেনঃ “ আমি রাসূলদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, সৎ লোকেরা উভয় জগতেই খুশী থাকবে । যেমন তিনি বলেনঃ “ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেই ভাল কাজ করবে এবং মুমিন হবে, আমি তাকে অতি পবিত্র জীবন দান করবো এবং তার আমলের বিনিময়ও অবশ্যই প্রদান করবো । উভয় জগতে সে প্রতিদান প্রাপ্তহবে।” এটা স্মরণ রাখা দরকার যে, আখেরাতের ঘর দুনিয়ার ঘর অপেক্ষা অনেক বেশী সুন্দর ও উত্তম। তথাকার পুরস্কার অতি উন্নতমানের ও চিরস্থায়ী; যেমন-কারূণের ধন-মালের আকাংখাকারীদের আলেমগণ বলেছিলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ ধিক তোমাদের! যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠ এবং ধৈর্যশীল ব্যতীত এটা কেউ পাবে না ।( ২৮:৮০ ) অন্য জায়গায় রয়েছে ( আরবি ) অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার নিকট যা রয়েছে তা সৎ লোকদের জন্যে খুবই উত্তম ও উন্নতমানের ।( ৩:১৯৮ ) আল্লাহপাক আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ আখেরাতই উৎকৃষ্টতর ও স্থায়ী ।” মহান আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে ( সঃ ) বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তোমার জন্যে পরবর্তী সময়তো পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা শ্রেয় ।”মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘পরকালের আবাসস্থল মুত্তাকীদের জন্যে কত উত্তম। শব্দদ্বয় হতে বদল হয়েছে। অর্থাৎ মুত্তাকীদের জন্যে আখেরাতের জান্নাতে আন বা স্থায়ী জান্নাত রয়েছে। সেখানে তারা অবস্থান করবে। ওর বৃক্ষরাজি ও প্রাসাদসমূহের নিম্নদেশে সদা প্রস্রবণ প্রবাহিত রয়েছে। তারা তথায় যা চাবে তাই পাবে। সেখানে নয়ন প্রীতিকর জিনিস বিদ্যমান থাকবে। আর সেখানে তারা অবস্থান করবে চিরদিনের জন্যে।হাদীসে রয়েছে যে, জান্নাতবাসী জান্নাতে উপবিষ্ট থাকবে, আর তাদের মাথার উপরে থাকবে মেঘমালা। তারা যা ইচ্ছা করবে, মেঘমালা তাদের উপর তাই বর্ষণ করবে। এমন কি কেউ যদি সমবয়স্কা কুমারীদেরকে বর্ষাতে বলে তবে তাও তা বর্ষাবে।মহান আল্লাহ বলেনঃ “ খোদাভীরুদেরকে এভাবেই আল্লাহ পুরস্কৃত করে থাকেন । তাদের মৃত্যুর সময় তারা কলুষতা থেকে পবিত্র থাকে। ফেরেশতা এসে তাদেরকে সালাম করেন এবং সুসংবাদ শুনিয়ে দেন। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “ নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অতঃপর অবিচলিত থাকে, তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় ফেরেশতা এবং বলে, তোমরা ভীত হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না এবং তোমাদের যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তার জন্যে আনন্দিত হও ।”আমরাই তোমাদের বন্ধু দুনিয়ার জীবনে ও আখেরাতে, সেথায় তোমাদের জন্যে রয়েছে যা কিছু তোমাদের মন চায় এবং সেথায় তোমাদের জন্যে রয়েছে যা তোমরা ফরমায়েশ কর।এটা হবে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ হতে আপ্যায়ন।” এই বিষয়ের হাদীসগুলি আমরা( ১৪:২৭ ) ( আরবি ) এই আয়াতের তাফসীরে বর্ণনা করেছি।

সূরা নাহল আয়াত 32 সূরা

الذين تتوفاهم الملائكة طيبين يقولون سلام عليكم ادخلوا الجنة بما كنتم تعملون

سورة: النحل - آية: ( 32 )  - جزء: ( 14 )  -  صفحة: ( 270 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. শপথ পূর্বাহ্নের,
  2. তাদের কাছে পার্থিব জীবনের উপমা বর্ণনা করুন। তা পানির ন্যায়, যা আমি আকাশ থেকে নাযিল
  3. হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন
  4. আর অবশ্যই আমার প্রেরিত ফেরেশতারা ইব্রাহীমেরে কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল তারা বলল সালাম, তিনিও বললেন-সালাম।
  5. আর যেদিন তাদেরকে সমবেত করা হবে, যেন তারা অবস্থান করেনি, তবে দিনের একদন্ড একজন অপরজনকে
  6. পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম
  7. তাঁর সাথে কারাগারে দুজন যুবক প্রবেশ করল। তাদের একজন বললঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি
  8. এমনিভাবে আমি সুস্পষ্ট আয়াত রূপে কোরআন নাযিল করেছি এবং আল্লাহ-ই যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন।
  9. এ জন্যে যে, কখনও তোমরা বলতে শুরু করঃ গ্রন্থ তো কেবল আমাদের পূর্ববর্তী দু'সম্প্রদায়ের প্রতিই
  10. হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নাহল ডাউনলোড করুন:

সূরা Nahl mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nahl শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নাহল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নাহল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নাহল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নাহল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নাহল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নাহল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নাহল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নাহল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নাহল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নাহল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নাহল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নাহল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নাহল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নাহল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নাহল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নাহল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নাহল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নাহল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নাহল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب