কোরান সূরা ফাতির আয়াত 32 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Fatir ayat 32 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ফাতির আয়াত 32 আরবি পাঠে(Fatir).
  
   

﴿ثُمَّ أَوْرَثْنَا الْكِتَابَ الَّذِينَ اصْطَفَيْنَا مِنْ عِبَادِنَا ۖ فَمِنْهُمْ ظَالِمٌ لِّنَفْسِهِ وَمِنْهُم مُّقْتَصِدٌ وَمِنْهُمْ سَابِقٌ بِالْخَيْرَاتِ بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَضْلُ الْكَبِيرُ﴾
[ فاطر: 32]

অতঃপর আমি কিতাবের অধিকারী করেছি তাদেরকে যাদেরকে আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে মনোনীত করেছি। তাদের কেউ কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেউ মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর নির্দেশক্রমে কল্যাণের পথে এগিয়ে গেছে। এটাই মহা অনুগ্রহ। [সূরা ফাতির: 32]

Surah Fatir in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fatir ayat 32


তারপর আমরা গ্রন্থখানা উত্তরাধিকার করতে দিয়েছি তাদের যাদের আমরা নির্বাচন করেছি আমাদের দাসদের মধ্য থেকে, তবে তাদের মধ্যে কেউ নিজেদের অন্তরা‌ত্মার প্রতি অন্যায়কারী, আর তাদের মধ্যে কেউ হচ্ছে মধ্যমপন্থী, আর তাদের মধ্যে রয়েছে আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে ভালোকাজে অগ্রগামী। এইটিই হচ্ছে মহান অনুগ্রহ প্রাচুর্য্য।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩২. অতঃপর আমি অন্যান্য উম্মতের উপর যাদেরকে প্রাধান্য দিয়েছি সেই উম্মতে মুহাম্মদীকে কুরআন উপহার দিয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ হারাম কাজ করা ও ফরয থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে তার নাফসের উপর জুলুমকারী। আবার তাদের মধ্যে ফরয কাজ করা ও হারাম থেকে বিরত থাকা, সেই সাথে কিছু মুস্তাহাব পরিহার করা ও মাকরূহ কাজে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে মধ্যমপন্থী। আবার তাদের মধ্যে কেউ নেক আমলে অগ্রণী। এই উম্মতের জন্য উপরোল্লেখিত এই প্রাধান্য ও কুরআন উপহার প্রদান এমন বড় এক অনুগ্রহ যার সাথে কোন অনুগ্রহের তুলনা হয় না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অতঃপর আমি আমার দাসদের মধ্যে তাদেরকে গ্রন্থের অধিকারী করলাম যাদেরকে আমি মনোনীত করেছি;[১] তবে তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, [২] কেউ মিতাচারী[৩] এবং কেউ আল্লাহর নির্দেশে কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী। [৪] এটিই মহা অনুগ্রহ। [৫] [১] গ্রন্থ বলতে কুরআন এবং মনোনীত বান্দা বা দাস বলতে উম্মতে মুহাম্মাদীকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আমি উম্মতে মুহাম্মাদীকে এই কুরআনের অধিকারী বানিয়েছি এবং তাদেরকে আমি অন্যান্য উম্মতসমূহ ব্যতিরেকে মনোনীত করেছি এবং তাদেরকে মর্যাদা ও অনুগ্রহ প্রদান করেছি। এ আয়াতটি ( وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ ) البقرة-১৪৩) এর যে বক্তব্য তার নিকটবর্তী বক্তব্য। [২] এখানে উম্মতে মুহাম্মাদীর তিনটি শ্রেণী উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমঃ এমন লোক, যারা কিছু ফরয পালনে শৈথিল্য করে এবং কিছু হারাম কর্মেও লিপ্ত হয়ে পড়ে অথবা অনেকের নিকট ঐ সকল ব্যক্তি যারা সাগীরা গুনাহ করে ফেলে। তাদেরকে নিজের প্রতি অত্যাচারী এই জন্য বলা হয়েছে যে, তারা সামান্য শৈথিল্যের কারণে নিজেদেরকে সেই উচ্চস্থান থেকে বঞ্চিত করে নেবে, যা বাকি অন্য দুই প্রকারের মুসলিমরা অর্জন করতে সক্ষম হবে। [৩] এটি দ্বিতীয় শ্রেণীর উম্মতঃ অর্থাৎ, মধ্যমপন্থী; যারা ভালো-মন্দের মিশ্র আমল করে। অনেকের নিকট এরা হল তারা, যারা ফরয কাজ যথাযথভাবে পালন এবং হারাম কাজ ত্যাগ তো করে; কিন্তু কখনো কখনো মুস্তাহাব কাজ ত্যাগ করে এবং হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অথবা ঐ সকল ব্যক্তি তারা, যারা সৎলোক তো বটে; কিন্তু অগ্রণী নয়। [৪] এরা ঐ সকল ব্যক্তি যারা দ্বীনের ব্যাপারে ইতিপূর্বে উল্লিখিত দুই দল থেকে অগ্রগামী। [৫] অর্থাৎ, কিতাবের অধিকারী বানানো এবং মর্যাদা ও অনুগ্রহ দানে মনোনীত করাটাই মহা অনুগ্রহ।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারপর আমরা কিতাবের অধিকারী করলাম তাদেরকে, যাদেরকে আমাদের বান্দাদের মধ্য থেকে আমরা মনোনিত করেছি []; তবে তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেউ মধ্যমপন্থী এবং কেউ আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী []। এটাই তো মহাঅনুগ্রহ--- [] [] অর্থাৎ আমার বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে আমি মনোনীত করেছি। অধিকাংশ তফসীরবিদ এর অর্থ নিয়েছেন উম্মতে মুহাম্মদী। [ ইবন কাসীর ] আলেমগণ প্রত্যক্ষভাবে এবং অন্যান্য মুসলিমগণ আলেমগণের মধ্যস্থতায় এর অন্তর্ভুক্ত। [] অর্থাৎ যাদেরকে মনোনীত করে কুরআনের অধিকারী করেছি, তারা তিন প্রকার। [ ইবন কাসীর ] এক.
যুলুমকারী মুসলিম। এরা হচ্ছে এমনসব লোক যারা আন্তরিকতা সহকারে কুরআনকে আল্লাহর কিতাব এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ্‌র রাসূল বলে মানে কিন্তু কার্যত আল্লাহ্‌র কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতের অনুসরণের হক আদায় করে না। এরা মুমিন কিন্তু গোনাহগার। অপরাধী কিন্তু বিদ্রোহী নয়। দূর্বল ঈমানদার, তবে মুনাফিক নয় এবং চিন্তা ও মননের দিক দিয়ে কাফেরও নয়। তাই এদেরকে আত্মনিপীড়ক হওয়া সত্ত্বেও কিতাবের ওয়ারিসদের অন্তর্ভুক্ত এবং আল্লাহর নির্বাচিত বান্দাদের মধ্যে শামিল করা হয়েছে। নয়তো একথা সুস্পষ্ট, বিদ্রোহী, মুনাফিক এবং চিন্তা ও মননের দিক দিয়ে কাফেরদের প্রতি এ গুণাবলী আরোপিত হতে পারে না। তিন শ্রেণীর মধ্য থেকে এ শ্রেনীর ঈমানদারদের কথা সবার আগে বলার কারণ হচ্ছে এই যে, উম্মাতের মধ্যে এদের সংখ্যাই বেশী। দুইঃ মাঝামাঝি অবস্থানকারী। এরা হচ্ছে এমন লোক যারা এ উত্তরাধিকারের হক কমবেশী আদায় করে কিন্তু পুরোপুরি করে না। হুকুম পালন করে এবং অমান্যও করে। নিজেদের প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি লাগামহীন করে ছেড়ে দেয়নি। বরং তাকে আল্লাহর অনুগত করার জন্য নিজেদের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালায় কিন্তু মাঝে মাঝে কোন কোন মোস্তাহাব কাজ ছেড়ে দেয় এবং কোন কোন মাকরূহ কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। কখনো কখনো গোনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এভাবে এদের জীবনে ভালো ও মন্দ উভয় ধরনের কাজের সমাবেশ ঘটে। এরা সংখ্যায় প্রথম দলের চেয়ে কম এবং তৃতীয় দলের চেয়ে বেশী হয়। তাই এদেরকে দু’নম্বরে রাখা হয়েছে। তিনঃ ভালো কাজে যারা অগ্রবতী। এরা যাবতীয় ফরয, ওয়াজিব ও মোস্তাহাব কর্ম সম্পাদন করে এবং যাবতীয় হারাম ও মাকরূহ কর্ম থেকে বেঁচে থাকে; কিন্তু কোন কোন মোবাহ বিষয়, ইবাদতে ব্যাপৃত থাকার কারণে অথবা হারাম সন্দেহে ছেড়ে দেয়। এরা কিতাবের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে প্রথম সারির লোক। এরাই আসলে এ উত্তরাধিকারের হক আদায়কারী। কুরআন ও সুন্নাতের অনুসরণের ক্ষেত্রেও এরা অগ্রগামী। [ বিস্তারিত বর্ণনা দেখুন, কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর ] আবুদ্দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ একটি তাফসীর বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, “ তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী” অর্থাৎ অত্যাচারীকে হাশরের মাঠে চিন্তা ও পেরেশানীর মাধ্যমে পাকড়াও করা হবে । আর ‘কেউ মধ্যমপন্থী’ যার হিসেব হবে সহজ এবং ‘কেউ আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী’ তারা বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে। [ মুসনাদে আহমাদ: ৫/১৯৪ ] সে হিসেবে আমাদের নিকট স্পষ্ট যে, এ তিন প্রকার লোকই উম্মতে মুহাম্মদীর অন্তর্ভুক্ত এবং اصطفى বা ‘মনোনয়ন’ গুণের বাইরে নয়। এটি হল উম্মতে মুহাম্মদীর মুমিন বান্দাদের একান্ত বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্ব। তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কার্যত: ক্ৰটিযুক্ত, সেও এই মর্যাদার অন্তর্ভুক্ত। উপরোক্ত তাফসীর ছাড়াও এ আয়াতের আরও একটি তাফসীর রয়েছে। কোন কোন মুফাসসির এ আয়াতের তিন শ্ৰেণীকে সূরা আল-ওয়াকি’আর তিন শ্রেণী অর্থাৎ মুকাররাবীন, আসহাবুল ইয়ামীন এবং আসহাবুশ শিমাল বলে মত প্ৰকাশ করেছেন। সে অনুসারে আয়াতে ‘তাদের কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী’ বলে কাফের, মুনাফিকদের বোঝানো হয়েছে। আর ‘কেউ মধ্যমপন্থী’ বলে ডানপন্থী সাধারণ ঈমানদার এবং ‘কেউ আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী’ বলে আল্লাহর নৈকট্যপ্ৰাপ্ত লোকদের বোঝানো হয়েছে। এ তাফসীরটিও সহীহ সনদে কাতাদা, হাসান ও মুজাহিদ থেকে বর্ণিত হয়েছে। [ ইবন কাসীর ] কিন্তু প্রথম তাফসীরটিই এখানে অগ্রগণ্য। কারণ তা সহীহ হাদীস দ্বারা সমর্থিত। তাছাড়া পরবর্তী আয়াতসমূহ থেকেও তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। [] “ এটাই মহা অনুগ্রহ" বাক্যটির সম্পর্ক যদি নিকটতম বাক্যের সাথে ধরে নেয়া হয় তাহলে এর অর্থ হবে, ভালো কাজে অগ্রগামী হওয়াই হচ্ছে বড় অনুগ্রহ এবং যারা এমনটি করে মুসলিম উম্মাতের মধ্যে তারাই সবার সেরা । আর এ বাক্যটির সম্পর্ক পূর্ববর্তী বাক্যের সাথে করা হলে এর অর্থ হবে, আল্লাহর কিতাবের উত্তরাধিকারী হওয়া এবং এ উত্তরাধিকারের জন্য নির্বাচিত হওয়াই বড় অনুগ্রহ এবং আল্লাহর সকল বান্দাদের মধ্যে সেই বান্দাই সর্বশ্রেষ্ঠ যে কুরআন ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমান এনে এ নির্বাচনে সফলকাম হয়েছে। [ দেখুন, ফাতহুল কাদীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমি এই সম্মানিত কিতাব অর্থাৎ কুরআন কারীম আমার মনোনীত বান্দাদের হাতে প্রদান করেছি অর্থাৎ এই উম্মতে মুহাম্মাদীর ( সঃ ) হাতে। অতঃপর তাদের মধ্যে তিন প্রকারের লোক হয়ে যায়। কেউ কেউ তো কিছু আগে-পিছে হয়ে যায়, তাদেরকে নিজের প্রতি অত্যাচারী বলা হয়েছে। তাদের দ্বারা কিছু হারাম কাজও হয়ে যায়। আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ মধ্যপন্থী রয়েছে, যারা হারাম থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে এবং ওয়াজিবগুলো পালন করেছে, কিন্তু মাঝে মাঝে মুস্তাহাব কাজগুলো তাদের ছুটেও গিয়েছে এবং কখনো কখনো সামান্য অপরাধও তাদের হয়ে গেছে। আর কতকগুলো লোক আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী রয়েছে। ওয়াজিব কাজগুলো তো তারা পালন করেছেই, এমনকি মুস্তাহাব কাজগুলোকেও তারা কখনো ছাড়েনি। আর হারাম কাজগুলো হতে তো দূরে থেকেছেই, এমনকি মাকরূহ কাজগুলোকেও ছেড়ে দিয়েছে। তাছাড়া কোন কোন সময় মুবাহ কাজগুলোকেও ভয়ে পরিত্যাগ করেছে। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, মনোনীত বান্দা দ্বারা উম্মতে মুহাম্মাদিয়াকে ( সঃ ) বুঝানো হয়েছে, যাদেরকে আল্লাহর সব কিতাবেরই ওয়ারিস বানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে। তাদের মধ্যে যারা মধ্যপন্থী তাদের সহজভাবে হিসাব নেয়া হবে। আর যারা কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী তাদেরকে বিনা হিসাবে জান্নাতে পৌঁছিয়ে দেয়া হবে।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ বলেনঃ “ আমার উম্মতের কাবীরা গুনাহকারীদের জন্যেই আমার শাফা'আত ।( এ হাদীসটি আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী লোকেরা তো বিনা হিসাবেই জান্নাতে চলে যাবে। আর নিজেদের উপর অত্যাচারকারী ও আরাফবাসীরা হযরত মুহাম্মাদ ( সঃ )-এর শাফা'আতের বলে জান্নাতে যাবে। মোটকথা, এই উম্মতের হালকা পাপকারীরাও আল্লাহ তাআলার মনোনীত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। পূর্বযুগীয় অধিকাংশ গুরুজনের উক্তি এটাই বটে। কিন্তু পূর্বযুগীয় কোন কোন মনীষী এটাও বলেছেন যে, এ লোকগুলো না এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত, না তারা আল্লাহর মনোনীত বান্দা এবং না তারা আল্লাহর কিতাবের ওয়ারিশ। বরং এর দ্বারা কাফির, মুনাফিক ও বাম হাতে আমলনামা প্রাপকদেরকে বুঝানো হয়েছে। সুতরাং এই তিন প্রকারের লোক তারাই যাদের বর্ণনা সূরায়ে ওয়াকিয়ার প্রথমে ও শেষে রয়েছে। অর্থাৎ এই তিন প্রকার যে গণনা করা হয়েছে তারা মনোনীত বান্দা নয়, বরং তারা সেই বান্দা যারা ( আরবী ) বলে উল্লিখিত হয়েছে। কিন্তু সঠিক উক্তি এটাই যে, তারা এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত। ইবনে জারীরও ( রঃ ) এটাকে গ্রহণ করেছেন এবং আয়াতের বাহ্যিক শব্দগুলোও এটাই প্রমাণ করে। হাদীসসমূহ দ্বারাও এটাই প্রমাণিত হয়। প্রথম হাদীসঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে ( আরবী ) -এই আয়াতের ব্যাপারে নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ এরা ( এই তিন প্রকারের ) সবাই একই মর্যাদা সম্পন্ন এবং তারা সবাই জান্নাতী ।( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি গারীব এবং এতে এমন একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন যার নাম উল্লেখ করা হয়নি। হাদীসটির ভাবার্থ এই যে, এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দিক দিয়ে এবং জান্নাতী হওয়ার দিক দিয়ে তিন প্রকারের লোকই যেন একই। হ্যাঁ, তবে মর্যাদার দিক দিয়ে তাদের মধ্যে পার্থক্য অবশ্যই রয়েছে) দ্বিতীয় হাদীসঃ হযরত আবু দারদা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করার পর বলেনঃ “ কল্যাণের কাজে যারা অগ্রগামী তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে, মধ্যপন্থী লোকদের সহজভাবে হিসাব নেয়া হবে এবং যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছে তাদেরকে ময়দানে মাশারে আটক রাখা হবে । অতঃপর আল্লাহর রহমতে তারা মাফ পেয়ে যাবে। তারা বলবেঃ ঐ আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন, আমাদের প্রতিপালক তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী। যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দিয়েছেন যেখানে ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।” ( এ হাদীসটিও ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমেও হাদীসটি সামান্য রদবদলসহ বর্ণিত আছে। তাফসীরে ইবনে জারীরেও হাদীসটি উল্লিখিত হয়েছে। তাতে আছে। যে, হযরত আবূ সাবিত ( রাঃ ) মসজিদে এসে হযরত আবু দারদা ( রাঃ )-এর পাশে বসে পড়েন এবং বলেনঃ “ হে আল্লাহ! আমার ভীতি দূর করে দিন, আমার অসহায়তার উপর দয়া করুন এবং আমাকে একজন উত্তম সাথী ও বন্ধু মিলিয়ে দিন ।” তাঁর এই প্রার্থনা শুনে হযরত আবু দারদা ( রাঃ ) তাঁকে বললেন, তুমি যদি তোমার এ কথায় সত্যবাদী হও তবে আমি তোমার বন্ধু ও সাথী। তোমাকে আমি একটি হাদীস শুনাচ্ছি যা আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর কাছে শুনেছি এবং আজ পর্যন্ত ঐ হাদীসটি আমি কাউকেও শুনাইনি। তিনি ( নবী সঃ ) ( আরবী )-এই আয়াতটি পাঠ করে বলেছেনঃ “ কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী লোকেরা বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবে । আর মধ্যপন্থী লোকদের সহজ হিসাব নেয়া হবে এবং নিজেদের উপর অত্যাচারীকে ঐ স্থানে দুঃখ-কষ্ট পৌঁছানো হবে। আল্লাহর রহমতে তাদের দুঃখ-কষ্ট ও চিন্তা-ভাবনা দূর হলে তারা বলবেঃ প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন।” তৃতীয় হাদীসঃ হযরত উসামা ইবনে যায়েদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ( আরবী ) এ আয়াত সম্পর্কে বলেনঃ “ এদের সবাই এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত ।( এ হাদীসটি হাফিয আবুল কাসিম তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) চতুর্থ হাদীস ও হযরত আউফ ইবনে মালিক ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমার উম্মতের তিনটি অংশ হবে । একটি অংশ বিনা হিসাবে ও বিনা আযাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। দ্বিতীয় অংশের অতি সহজ করে হিসাব নেয়া হবে। অতঃপর তারা জান্নাতে চলে যাবে। তীয় দলকে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং তাদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হবে। কিন্তু ফেরেশতারা হাযির হয়ে বলবেনঃ “ আমরা তাদেরকে এমন অবস্থায় পেয়েছি যে, তারা ( আরবী ) লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ বলতে রয়েছে ।” তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “ তারা । সত্য বলেছে। আমি ছাড়া কেউ মাবুদ নেই। তাদের ( আরবী ) লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ বলার কারণে তাদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট কর এবং তাদের পাপগুলো জাহান্নামীদের উপর চাপিয়ে দাও।" এরই বর্ণনা ( আরবী ) এই আয়াতে রয়েছে। অর্থাৎ তারা নিজেদের ( পাপের ) বোঝাসহ তাদের বোঝা বহন করবে।'( ২৯:১৩ ) এর সত্যতা তাতেই রয়েছে যাতে ফেরেশতাদের উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে কিতাবের ওয়ারিশ বানিয়েছেন তাদের বর্ণনা দিয়ে তাদের তিনটি শ্রেণীর কথা বলেছেন। তাদের মধ্যে যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে তাদের পুরোপুরিভাবে হিসাব নেয়া হবে।” ( এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাদীসটি খুবই গারীব বা দুর্বল)হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) বলেন যে, কিয়ামতের দিন এই উম্মতের তিনটি দল হবে। একটি দল বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবে, একটি দলের সহজভাবে হিসাব নেয়া হবে এবং একটি দল পাপী হবে যাদেরকে আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, অথচ তিনি দলটিকে ভালরূপেই জানেন। ফেরেশতারা বলবেনঃ “ হে আল্লাহ! এদের বড় বড় পাপ রয়েছে, কিন্তু তারা আপনার সাথে কাউকেও শরীক করেনি ।” তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “ তাদেরকে আমার রহমতের মধ্যে দাখিল করে দাও ।" অতঃপর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) এ আয়াতটিই পাঠ করেন। ( এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হ্যরত সানুল হানাঈ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত আয়েশা ( রাঃ )-কে ( আরবী ) -এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “ হে বৎস! এরা সব জান্নাতী লোক । ( আরবী ) ( কল্যাণকর কাজে অগ্রগামী ) লোক তারাই যারা রাসূলুল্লাহ( সাঃ )-এর যুগে ছিল। যাদেরকে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ( সাঃ ) জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। ( আরবী ) ( মধ্যপন্থী ) লোক তারাই যারা রাসূলুল্লাহ ( সাঃ )-এর পদাংক অনুসরণ করতো এবং শেষ পর্যন্ত তারা তাঁর সাথে মিলে যায়। আর ( আরবী ) হলো আমার তোমার মত লোক।” ( এটা আবূ দাউদ তায়ালেসী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)এটা আমাদের খেয়াল করা উচিত যে, হযরত আয়েশা সিদ্দীকা ( রাঃ ) তো ( আরবী ) অর্থাৎ কল্যাণকর কাজে অগ্রগামীদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, এমন কি তাদের চেয়েও উত্তম ছিলেন। অথচ তিনি শুধু বিনয় প্রকাশার্থে নিজেকে কত নীচে নামিয়ে দিয়েছেন! হাদীসে এসেছে যে, সমস্ত স্ত্রী লোকের উপর হযরত আয়েশা ( রাঃ )-এর এমন ফযীলত রয়েছে যেমন ‘সারীদ’ নামক খাদ্যের ফযীলত রয়েছে সমস্ত খাদ্যের উপর।হযরত উসমান ইবনে আফফান ( রাঃ ) বলেন যে, ( আরবী ) হলো আমাদের গ্রাম্য লোকেরা, ( আরবী ) হলো আমাদের শহরের লোকেরা এবং ( আরবী ) হলো আমাদের মুজাহিদরা। ( এটা ইবনে আবি হাতিম (রাঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত কা'ব আহবার ( রঃ ) বলেন যে, এই তিন প্রকারের লোকই এই উম্মতের অন্তর্ভুক্ত এবং এরা সবাই জান্নাতী। কেননা, আল্লাহ তা'আলা এই তিন প্রকার লোকের বর্ণনা দেয়ার পর জান্নাতের উল্লেখ করেছেন অতঃপর বলেছেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ যারা কুফরী করেছে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন। সুতরাং এ লোকগুলো জাহান্নামী। ( এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হযরত কা'ব ( রাঃ )-কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “ কা'ব ( রাঃ )-এর প্রতিপালকের শপথ! এরা সব একই দলের লোক । হাঁ, তবে আমল অনুপাতে তাদের মর্যাদা কম ও বেশী হবে।” আবু ইসহাক ( রঃ ) এ আয়াতের ব্যাপারে বলেন যে, এই তিন দলই মুক্তিপ্রাপ্ত। মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ ( রঃ ) বলেন যে, এটা দয়া ও অনুগ্রহ প্রাপ্ত উম্মত। এ উম্মতের পাপীদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হবে, এর মধ্যপন্থীরা আল্লাহর নিকট জান্নাতে থাকবে এবং এর কল্যাণকর কার্যে অগ্রগামী দল উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে। মুহাম্মাদ ইবনে আলী বাকির ( রাঃ ) বলেন যে, এখানে যে লোকদেরকে ( আরবী ) বলা হয়েছে তারা হলো ঐ সব লোক যারা পাপও করেছে, পুণ্যও করেছে। এসব হাদীস ও আসার দ্বারা এটা পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, এ আয়াতটি এই উম্মতের এ তিন প্রকার লোকের ব্যাপারে সাধারণ। সুতরাং আলেমগণ এই নিয়ামতের উপর লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ঈর্ষার পাত্র এবং এই নিয়ামতের তাঁরাই সবচেয়ে বেশী হকদার। যেমন কায়েস ইবনে কাসীর ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, মদীনাবাসী একজন লোক দামেস্কে হযরত আবু দারদা ( রাঃ )-এর নিকট গমন করে। তখন হযরত আবূ দারদা ( রাঃ ) লোকটিকে জিজ্ঞেস করেনঃ “ ভাই! তোমার এখানে আগমনের কারণ কি? উত্তরে লোকটি বলেঃ “একটি হাদীস শুনবার জন্যে যা আপনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) থেকে বর্ণনা করে থাকেন ।” তিনি বললেনঃ “ কোন ব্যবসার উদ্দেশ্যে আসনি তো?" জবাবে সে বললোঃ “না ।” তিনি আবার প্রশ্ন করলেনঃ “ অন্য কোন প্রয়োজনে এসেছো কি?" সে উত্তর দিলোঃ “না ।” তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ “ তাহলে তুমি কি শুধু এই হাদীসের সন্ধানেই এসেছো?” সে জবাব দিলোঃ “জ্বি, হ্যাঁ ।” তখন তিনি বললেনঃ “ নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বলতে শুনেছি- “যে ব্যক্তি ইলমের সন্ধানে সফরে বের হয়, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথে চালিত করেন এবং ( রহমতের ) ফেরেশতারা ইলম অনুসন্ধানকারীর উপর সন্তুষ্ট হয়ে তাদের উপর তাঁদের ডানা বিছিয়ে দেন । আসমান ও যমীনে অবস্থানকারী সবাই বিদ্যানুসন্ধানীর জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানির মধ্যে মাছগুলোও ( ক্ষমা প্রার্থনা করে )( মূখ ) আবেদের উপর আলেমের ফযীলত এমনই যেমন চন্দ্রের ফযীলত সমস্ত তারকার উপর। নিশ্চয়ই আলেমরা নবীদের ওয়ারিশ। আর নবীরা দ্বীনার ( স্বর্ণমুদ্রা ) ও দিরহাম ( রৌপ্যমুদ্রা )-এর ওয়ারিশ করেন না, বরং তারা ওয়ারিশ করেন ইলমের। যে তা গ্রহণ করে সে খুব বড় সম্পদ লাভ করে।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম আবু দাউদ ( রঃ ), ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) ও ইবনে মাজাহ্ ( রঃ ) এটা তাখরীজ করেছেন) আমি এ হাদীসের সমস্ত ধাৱা, শব্দ এবং ব্যাখ্যা সহীহ বুখারীর কিতাবুল ইলম-এর শরাতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি। সুতরাং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্যে। সূরায়ে তোয়া-হার শুরুতে ঐ হাদীসটি গত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন আলেমদেরকে বলবেনঃ “ আমি তোমাদেরকে ইলম ও হিকমত শুধু এ জন্যেই দান করেছি যে, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চাই, তোমাদের দ্বারা যা-ই কিছু হয়ে থাক না কেন আমি তার কোন পরোয়া করি না ।

সূরা ফাতির আয়াত 32 সূরা

ثم أورثنا الكتاب الذين اصطفينا من عبادنا فمنهم ظالم لنفسه ومنهم مقتصد ومنهم سابق بالخيرات بإذن الله ذلك هو الفضل الكبير

سورة: فاطر - آية: ( 32 )  - جزء: ( 22 )  -  صفحة: ( 438 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
  2. তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের
  3. তিনিই তোমাদের কে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অনন্তর একটি হচ্ছে তোমাদের স্থায়ী ঠিকানা ও
  4. সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।
  5. যখন আমি পয়গম্বরগণের কাছ থেকে, আপনার কাছ থেকে এবং নূহ, ইব্রাহীম, মূসা ও মরিয়ম তনয়
  6. তাদের পর তোমাদেরকে দেশে আবাদ করব। এটা ঐ ব্যক্তি পায়, যে আমার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে
  7. এটা কিছুতেই উচিত নয়, নিশ্চয় পাপাচারীদের আমলনামা সিজ্জীনে আছে।
  8. অতঃপর আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন।
  9. তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর।
  10. অতএব তারা তো মিথ্যারোপ করেছেই; সুতরাং যে বিষয় নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তার যথার্থ স্বরূপ

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফাতির ডাউনলোড করুন:

সূরা Fatir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fatir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ফাতির  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ফাতির  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ফাতির  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ফাতির  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ফাতির  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ফাতির  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ফাতির  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ফাতির  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ফাতির  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ফাতির  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ফাতির  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ফাতির  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ফাতির  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ফাতির  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ফাতির  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ফাতির  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ফাতির  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ফাতির  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ফাতির  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ফাতির  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ফাতির  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ফাতির  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ফাতির  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ফাতির  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ফাতির  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, August 15, 2024

Please remember us in your sincere prayers