কোরান সূরা ফাতির আয়াত 35 তাফসীর
﴿الَّذِي أَحَلَّنَا دَارَ الْمُقَامَةِ مِن فَضْلِهِ لَا يَمَسُّنَا فِيهَا نَصَبٌ وَلَا يَمَسُّنَا فِيهَا لُغُوبٌ﴾
[ فاطر: 35]
যিনি স্বীয় অনুগ্রহে আমাদেরকে বসবাসের গৃহে স্থান দিয়েছেন, তথায় কষ্ট আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং স্পর্শ করে না ক্লান্তি। [সূরা ফাতির: 35]
Surah Fatir in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Fatir ayat 35
''যিনি তাঁর অনুগ্রহপ্রাচুর্য বশতঃ আমাদের বসবাস করিয়েছেন স্থায়ী বাসস্থানে, সেখানে পরিশ্রম আমাদের স্পর্শ করবে না, আর সেখানে আমাদের স্পর্শ করবে না পরিশ্রান্তি।’’
Tafsir Mokhtasar Bangla
৩৫. যিনি আমাদেরকে আমাদের সাধ্য ও ক্ষমতা ব্যতিরেকে তাঁর নিজ অনুগ্রহে আবাস-বাড়ীতে স্থান দিয়েছেন। সেখান থেকে আমাদের প্রস্থান করতে হবে না। আর যেখানে আমাদেরকে কোন ক্লান্তি ও ভোগান্তি স্পর্শ করবে না।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
যিনি নিজ অনুগ্রহে, আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দান করেছেন; যেখানে আমাদেরকে কোন প্রকার ক্লেশ স্পর্শ করে না এবং স্পর্শ করে না কোন প্রকার ক্লান্তি।’
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
'যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাসে প্রবেশ করিয়েছেন সেখানে কোন ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং কোন ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।'
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৩৩-৩৫ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা খবর দিচ্ছেনঃ সৌভাগ্যবান লোকদেরকে আমি আমার কিতাবের ওয়ারিশ করেছি, আর কিয়ামতের দিন তাদেরকে আমি চিরস্থায়ী নিয়ামত বিশিষ্ট জান্নাতে প্রবিষ্ট করবো। সেখানে আমি তাদেরকে স্বর্ণ ও মুক্তা নির্মিত কংকন পরাবো। যেমন সহীহ হাদীসে হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ মুমিনের অলংকার ঐ পর্যন্ত হবে যে পর্যন্ত অযুর পানি পৌছে থাকে ।” সেখানে তাদের পোশাক হবে খাঁটী রেশমের, দুনিয়ায় তাদেরকে যা পরিধান করতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ দুনিয়ায় যে ব্যক্তি রেশম পরিধান করবে, আখিরাতে সে তা পরিধান করতে পাবে না ।” তিনি আরো বলেছেনঃ “ এটা ( রেশম ) তাদের ( কাফিরদের ) জন্যে দুনিয়ায় এবং তোমাদের ( মুসলমানদের ) জন্যে আখিরাতে ।” হযরত আবু উমামা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জান্নাতবাসীদের অলংকারের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেনঃ “ তাদেরকে স্বর্ণ ও রৌপ্যের অলংকার পরানো হবে । সেগুলো মণি-মুক্তা দ্বারা জড়ানো হবে। তাদের ( মাথার ) উপর রাজা-বাদশাহৃদের মুকুটের মত মুকুট থাকবে যা মণি-মুক্তা দ্বারা নির্মিত হবে। তারা হবে নব্য যুবক। তাদের দাড়ি-গোঁফ গজাবে না। তাদের চোখে সুরমা দেয়া থাকবে।” ( এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)তারা বলবেঃ প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন। যিনি আমাদের থেকে দুনিয়া ও আখিরাতের চিন্তা, উদ্বেগ, লজ্জা ও অনুতাপ দূর করে দিয়েছেন।হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যারা লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ ( আরবী ) পাঠ করে তাদের কবরে ও হাশরের ময়দানে কোন ভয়-ভীতি থাকবে না । আমি যেন দেখতে পাচ্ছি যে, তারা তাদের মাথা হতে মাটি ঝেড়ে ফেলছে এবং বলছেঃ প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের ভয়-ভীতি ও দুঃখ দুর্দশা দূর করে দিয়েছেন।” ( এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠকারীদের মৃত্যুর সময়, কবরে এবং কবর হতে উঠবার সময় কোনই ভয়-ভীতি থাকবে না । আমি যেন দেখতে পাচ্ছি যে, পুনরুত্থানের সময় তারা তাদের মাথা হতে মাটি ঝেড়ে ফেলছে এবং বলছেঃ প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের দুঃখ-দুর্দশা দূরীভূত করেছেন। আমাদের প্রতিপালক তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী'।” ( এ হাদীসটি তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, তাদের বড় বড় পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে এবং ছোট ছোট নেকীগুলো মর্যাদার সাথে কবুল করা হয়েছে।তারা আরো বলবেঃ ‘শোকর আল্লাহর যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে স্থায়ী আবাস দিয়েছেন। আমাদের আমল তো এর যোগ্যই ছিল না। যেমন সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ তোমাদের কাউকেও তার আমল কখনো জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে না ।” সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আপনাকেও না?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “হ্যা, আমাকেও , তবে এ অবস্থায় যে, আমার প্রতি আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ হবে ।”তারা বলবেঃ এখানে তো ক্লেশ আমাদেরকে স্পর্শ করে না এবং ক্লান্তিও স্পর্শ করে না।' রূহ্-এ আলাদা খুশী এবং দেহেও আলাদা শান্তি। দুনিয়ায় তাদেরকে আল্লাহর পথে যে কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল এটা তারই প্রতিদান। আজ শুধু শান্তি আর শান্তি। তাদেরকে বলে দেয়া হবেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তোমরা পানাহার কর তৃপ্তি সহকারে, তোমরা অতীত দিনে যা করেছিলে তার বিনিময়ে ।” ( ৬৯:২৪ )
সূরা ফাতির আয়াত 35 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশবানী এসেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত
- পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার
- তোমরা যা দেখ, আমি তার শপথ করছি।
- আমি তাদেরকে দান করলাম আমার অনুগ্রহ এবং তাদেরকে দিলাম সমুচ্চ সুখ্যাতি।
- অতঃপর আমি বাঁচিয়ে নেই নিজের রসূলগণকে এবং তাদেরকে যারা ঈমান এনেছে এমনিভাবে। ঈমানদারদের বাঁচিয়ে নেয়া
- তোমরা যে কিছু কিছু খর্জুর বৃক্ষ কেটে দিয়েছ এবং কতক না কেটে ছেড়ে দিয়েছ, তা
- ইব্রাহীম ইহুদী ছিলেন না এবং নাসারাও ছিলেন না, কিক্তু তিনি ছিলেন ‘হানীফ’ অর্থাৎ, সব মিথ্যা
- যাদেরকে তোমরা আল্লাহর সাথে শরীক করে রেখেছ, তাদেরকে কিরূপে ভয় কর, অথচ তোমরা ভয় কর
- এবং তার উপর যাকিছু রয়েছে, অবশ্যই তা আমি উদ্ভিদশূন্য মাটিতে পরিণত করে দেব।
- আর যখন তারা আপনার কাছে আসবে যারা আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করে, তখন আপনি বলে দিনঃ
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফাতির ডাউনলোড করুন:
সূরা Fatir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Fatir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers