কোরান সূরা রূম আয়াত 37 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Rum ayat 37 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা রূম আয়াত 37 আরবি পাঠে(Rum).
  
   

﴿أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّ اللَّهَ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاءُ وَيَقْدِرُ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ﴾
[ الروم: 37]

তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা রিযিক বর্ধিত করেন এবং হ্রাস করেন। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। [সূরা রূম: 37]

Surah Ar-Rum in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Rum ayat 37


তারা কি তবে দেখে না যে আল্লাহ্ রিযেক প্রসারিত করেন যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন এবং সঙ্কুচিতও করেন। নিঃসন্দেহ এতে তো নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই লোকদের জন্য যারা বিশ্বাস করে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৭. তারা কি দেখে না যে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার জন্য জীবিকা প্রশস্ত করেন। যেন পরীক্ষা করতে পারেন সে শুকরিয়া আদায় করে, না কি করে না। আবার কারো উপর তা সংকীর্ণ করেন যাতে পরীক্ষা করতে পারেন যে, সে সন্তুষ্ট থাকে নাকি অসন্তুষ্ট হয়। অবশ্যই জীবিকা প্রশস্ত করা ও সংকীর্ণ করার মধ্যে মুমিনদের জন্য আল্লাহর দয়া ও করুণার প্রমাণ রয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


ওরা কি লক্ষ্য করে না যে, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা তার রুযী বর্ধিত করেন অথবা তা হ্রাস করেন। [১] এতে অবশ্যই বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে । [১] অর্থাৎ, আল্লাহ নিজ হিকমত ও সুকৌশল অনুযায়ী ধন-সম্পদ কাউকে বেশি এবং কাউকে কম দিয়ে থাকেন। এমনকি অনেক সময় জ্ঞান-বুদ্ধি ও বাহ্যিক উপায়-উপকরণে দুই ব্যক্তিকে একই রকম মনে হয়, একই ধরণের ব্যবসা-বাণিজ্য আরম্ভ করে। কিন্তু একজন ব্যবসায় বড় উন্নতি লাভ করে এবং অনেক ধন-সম্পদের মালিক হয়। আর দ্বিতীয়জনের ব্যবসা-বাণিজ্য সীমাবদ্ধ অবস্থাতেই থেকে যায় এবং তার আয়-উন্নতি বেশী হয় না। তাহলে এমন কোন সত্তা আছে, যার হাতে সকল এখতিয়ার রয়েছে এবং যিনি এই রকম পৃথক পৃথক ব্যবস্থা করে থাকেন? এ ছাড়া তিনি কখনো অনেক ধন-সম্পদের মালিককে ভিখারী, আর ভিখারীকে ধনী করেন। এ সব সেই মহান আল্লাহর হাতে আছে, যাঁর কোন অংশীদার নেই।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আল্লাহ্ যার জন্য ইচ্ছে রিযিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন? এতে তো অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা ঈমান আনে []। [] অনুরূপ আয়াত আরও এসেছে, সূরা আর-রা’দ: ২৬; সূরা আল-ইসরা: ৩০।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩৩-৩৭ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা মানুষের স্বভাব ও অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন যে, যখন তাদের। উপর দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ আপতিত হয় তখন অংশীবিহীন আল্লাহর কাছে তারা অত্যন্ত বিনয়ের সাথে কষ্ট ও বিপদ হতে মুক্তিলাভের জন্যে প্রার্থনা করে। তারপর যখন আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নিয়ামত তাদের উপর বর্ষণ করেন তখন তারা তার সাথে শিরক করতে শুরু করে দেয়।( আরবি )-এর ( আরবি )-কে কেউ কেউ ( আরবি ) বলেন, আবার কেউ কেউ। ( আরবি ) বলেন। এখানে ( আরবি ) ই এ বাক্যের জন্যে উত্তম বলে মনে হচ্ছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা এটা তাদের জন্যে নির্ধারণ করেছেন, অতঃপর তাদেরকে ধমক দিচ্ছেন যে, শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।কোন কোন বুযুর্গ ব্যক্তি বলেনঃ “ যদি পুলিশ কাউকে ভয় দেখায় ও ধমক দেয় তবে সে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে । তাহলে এটা বড়ই বিস্ময়কর ব্যাপার যে, ঐ সত্তার ধমকে আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত হই না যার অধিকারে সব কিছুই রয়েছে এবং কোন কিছু করার জন্যে হও’ বলাই যার জন্যে যথেষ্ট।”অতঃপর মুশরিকদের নিকট কোন দলীল প্রমাণ না থাকার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। আল্লাহ পাক বলেনঃ আমি তাদের শিরকের কোন দলীল অবতীর্ণ করিনি। এরপর অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী মানুষের একটি বদ-স্বভাবের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। অতি অল্প সংখ্যক লোক ছাড়া সব মানুষই সুখের সময় আল্লাহকে ভুলে যায়।আর বিপদে পড়লে একেবারে নিরাশ হয়ে পড়ে এবং বলেঃ হায়! আমার সর্বনাশ হয়ে গেল। আমার সুখ-শান্তির আর কোন আশা নেই। কিন্তু মুমিনরা বিপদে পড়লে ধৈর্যধারণ করে এবং সুখের সময় ভাল কাজ করে থাকে। যেমন সহীহ হাদীসে রয়েছেঃ “ মুমিনের জন্যে বিস্ময় যে, আল্লাহ তার জন্যে যা ফায়সালা করেন তা তার জন্যে মঙ্গল ও কল্যাণকরই হয় । যদি তার উপর সুখ-শান্তি আপতিত হয় এবং এজন্যে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তবে সেটাও হয় তার জন্যে কল্যাণকর। আর যদি তাকে বিপদ ও দুঃখ দৈন্য স্পর্শ করে এবং সে ধৈর্যধারণ করে তবে সেটাও হয় তার জন্যে মঙ্গলজনক।”এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা তার রিযক প্রশস্ত করেন অথবা সীমিত করেন? তিনিই মালিক মুখতার। তিনি স্বীয় কৌশল অনুযায়ী দুনিয়াকে সাজিয়েছেন। তিনি কাউকে প্রচুর রিযক দান করেন এবং কাউকে অভাব-অনটনে রাখেন। কেউ অভাবের জীবন বয়ে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, আবার কেউ প্রাচুর্যের মধ্যে নিমজ্জিত হচ্ছে। এসবের মধ্যে অবশ্যই মুমিনদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।

সূরা রূম আয়াত 37 সূরা

أولم يروا أن الله يبسط الرزق لمن يشاء ويقدر إن في ذلك لآيات لقوم يؤمنون

سورة: الروم - آية: ( 37 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 408 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তোমরা ঐ মহিলার মত হয়ো না, যে পরিশ্রমের পর কাটা সূতা টুকরো টুকরো করে ছিড়ে
  2. বলুন, তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং দিয়েছেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
  3. এমনিভাবে আমি তাদের খবর প্রকাশ করে দিলাম, যাতে তারা জ্ঞাত হয় যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য
  4. বরং তোমরা তো তাঁকেই ডাকবে। অতঃপর যে বিপদের জন্যে তাঁকে ডাকবে, তিনি ইচ্ছা করলে তা
  5. আর যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে বল, আমার জন্য আমার কর্ম, আর তোমাদের জন্য
  6. যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
  7. বলুন, আমি কি তোমাদেরকে এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান বলবো?-যারা পরহেযগার, আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে
  8. বলে দাও-হে মানবকুল, তোমরা যদি আমার দ্বীনের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে থাক, তবে (জেনো) আমি তাদের
  9. তবে যারা তওবা করে এবং বর্ণিত তথ্যাদির সংশোধন করে মানুষের কাছে তা বর্ণনা করে দেয়,
  10. নিশ্চয় তোমরা তো এক অদ্ভুত কান্ড করেছ।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রূম ডাউনলোড করুন:

সূরা Rum mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Rum শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত রূম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত রূম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত রূম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত রূম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত রূম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত রূম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত রূম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত রূম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত রূম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত রূম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত রূম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত রূম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত রূম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত রূম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত রূম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত রূম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত রূম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত রূম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত রূম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers