কোরান সূরা যারিয়াত আয়াত 37 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah zariyat ayat 37 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা যারিয়াত আয়াত 37 আরবি পাঠে(zariyat).
  
   

﴿وَتَرَكْنَا فِيهَا آيَةً لِّلَّذِينَ يَخَافُونَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ﴾
[ الذاريات: 37]

যারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিকে ভয় করে, আমি তাদের জন্যে সেখানে একটি নিদর্শন রেখেছি। [সূরা যারিয়াত: 37]

Surah Adh-Dhariyat in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah zariyat ayat 37


আর আমরা সেখানে রেখে দিয়েছিলাম এক নিদর্শন তাদের জন্য যারা মর্মন্তুদ শাস্তিকে ভয় করে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৭. আমি লুত সম্প্রদায়ের গ্রামে এমন শাস্তির চিহ্ন অবশিষ্ট রেখে দিয়েছি যা তাদের শাস্তির প্রমাণ বহন করে। যা দেখে তাদেরকে আক্রমণকারী কষ্টসাধ্য শাস্তিকে ভয়কারী ব্যক্তি উপদেশ গ্রহণ করবে। ফলে সে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের মত আচরণ করবে না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিকে ভয় করে, আমি তাদের জন্য ওতে একটি নিদর্শন রেখেছি। [১] [১] এ নিদর্শন হল আযাবের সেই চিহ্ন, যা বিধ্বস্ত ঐ জনপদে সুদীর্ঘ কাল পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। আর এ নিদর্শনগুলোও তাদের জন্য, যারা আল্লাহর আযাবকে ভয় করে। কেননা, ওয়ায ও নসীহতের প্রভাবও তাদের উপরে পড়ে এবং নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণাও তারাই করে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যারা মর্মম্ভদ শাস্তিকে ভয় করে আমরা তাদের জন্য ওখানে একটি নিদর্শন রেখেছি।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩১-৩৭ নং আয়াতের তাফসীর: ইতিপূর্বে গত হয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা হযরত ইবরাহীম ( আঃ ) সম্পর্কে সংবাদ দিতে গিয়ে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ অতঃপর যখন ইবরাহীম ( আঃ )-এর ভীতি দূরীভূত হলো এবং তার নিকট সুসংবাদ আসলো তখন সে লূত ( আঃ )-এর সম্প্রদায়ের সম্বন্ধে আমার সাথে বাদানুবাদ করতে লাগলো । ইবরাহীম ( আঃ ) তো অবশ্যই সহনশীল, কোমল হৃদয়, সতত আল্লাহ অভিমুখী। হে ইবরাহীম ( আঃ )! এটা হতে তুমি বিরত হও। তোমার প্রতিপালকের বিধান এসে পড়েছে; তাদের উপর তো শাস্তি আসবে যা অনিবার্য।" ( ১১:৭৪-৭৬ ) আর এখানে আল্লাহ তা'আলা হযরত ইবরাহীম ( আঃ )-এর উক্তি উদ্ধৃত করেন যে, তিনি ফেরেশতাদেরকে সম্বোধন করে বলেনঃ “ হে প্রেরিত দূতগণ! আপনাদের বিশেষ কাজ কি?' অর্থাৎ আপনাদের শুভাগমনের উদ্দেশ্য কি? ফেরেশতাগণ জবাবে বলেনঃ আমাদেরকে এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে । এই সম্প্রদায় দ্বারা তারা হযরত লূত ( আঃ )-এর সম্প্রদায়কে বুঝিয়েছেন। তারা আরো বলেনঃ “ আমরা আদিষ্ট হয়েছি যে, আমরা যেন তাদের উপর মাটির শক্ত ঢেলা নিক্ষেপ করি; যা সীমালংঘনকারীদের জন্যে আপনার প্রতিপালকের নিকট হতে চিহ্নিত ।' অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার নির্দেশক্রমে ঐ পাপীদের নাম ঢেলাগুলোর উপর পূর্ব হতেই লিখিত আছে। প্রত্যেকের জন্যে পৃথক পৃথক ঢেলা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সূরায়ে আনকাবুতে রয়েছেঃ ( আরবী )অর্থাৎ “ সে ( ইবরাহীম আঃ ) বললোঃ এই জনপদে তো লূত ( আঃ ) রয়েছে । তারা বললোঃ সেথায় কারা আছে তা আমরা ভাল জানি, আমরা তো দূত ( আঃ )-কে ও তার পরিজনবর্গকে রক্ষা করবেই, তার স্ত্রী ব্যতীত; সে তো পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।" ( ২৯:৩২ ) অনুরূপভাবে এখানেও আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ‘সেখানে যেসব মুমিন ছিল আমি তাদেরকে উদ্ধার করেছিলাম। এর দ্বারাও হযরত লূত ( আঃ ) এবং তাঁর পরিবার পরিজনকে বুঝানো হয়েছে। তার স্ত্রী ব্যতীত, যে ঈমান আনয়ন করেনি। মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘সেখানে একটি পরিবার ব্যতীত কোন অত্মিসমর্পণকারী আমি পাইনি।' এ আয়াত দু’টি ঐ লোকদের দলীল যারা বলেন যে, ঈমানের নামই ইসলাম। কেননা, এখানে যাদেরকে মুমিন বলা হয়েছে তাদেরকেই মুসলিম বলা হয়েছে। মুতাজিলাদের মাযহাবও এটাই যে, ঈমান ও ইসলাম একই জিনিস। কিন্ত তাদের এ দলীল খুবই দুর্বল। কেননা, এ লোকগুলো মুমিন ছিলেন। আর আমরাও তো এটা স্বীকার করি যে, প্রত্যেক মুমিনই মুসলিম হয়। কিন্তু প্রত্যেক মুসলিম মুমিন হয় না। সুতরাং অবস্থার বিশেষত্বের কারণে তাঁদেরকে মুমিন ও মুসলিম বলা হয়েছে। এর দ্বারা সাধারণভাবে এটা প্রমাণিত হয় না যে, প্রত্যেক মুসলিম মুমিন হয়ে থাকে। হযরত ইমাম বুখারী ( রঃ ) এবং অন্যান্য মুহাদ্দিসদের মাযহাব এই যে, যখন ইসলাম প্রকত ও সঠিক হয় তখন ঈমান ও ইসলাম একই হয়। তবে ইসলাম প্রকৃত ও বাস্তবরূপী না হলে ঈমান ও ইসলামের পার্থক্য অবশ্যই হবে।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এই কাফিরদেরকে ধ্বংস করে দেয়ার মধ্যে ঐ লোকদের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন, শিক্ষা ও উপদেশ রয়েছে যারা আল্লাহর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিকে ভয় করে। তারা ঐ সব লোকের কৃতকর্মের পরিণাম দেখে যথেষ্ট শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

সূরা যারিয়াত আয়াত 37 সূরা

وتركنا فيها آية للذين يخافون العذاب الأليم

سورة: الذاريات - آية: ( 37 )  - جزء: ( 27 )  -  صفحة: ( 522 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বললঃ তোমরা সাত বছর উত্তম রূপে চাষাবাদ করবে। অতঃপর যা কাটবে, তার মধ্যে যে সামান্য
  2. অতঃপর আমি মূসাকে গ্রন্থ দিয়েছি, সৎকর্মীদের প্রতি নেয়ামতপূর্ণ করার জন্যে, প্রত্যেক বস্তুর বিশদ বিবরণের জন্যে,
  3. তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে
  4. যদি তাদের মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার মত পরিস্থিতিরই আশঙ্কা কর, তবে স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং
  5. তোমরা যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত কর, সে সম্পর্কে ভেবে দেখেছ কি?
  6. তারা শীতল ছায়াময় উদ্যানের উত্তরাধিকার লাভ করবে। তারা তাতে চিরকাল থাকবে।
  7. তার কর্ম শীঘ্রই দেখা হবে।
  8. তুমি কখনো সেখানে দাড়াবে না, তবে যে মসজিদের ভিত্তি রাখা হয়েছে তাকওয়ার উপর প্রথম দিন
  9. এটা আপনার পালনকর্তার অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি।
  10. তারা বলেঃ আগুন আমাদিগকে কখনও স্পর্শ করবে না; কিন্তু গণাগনতি কয়েকদিন। বলে দিনঃ তোমরা কি

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা যারিয়াত ডাউনলোড করুন:

সূরা zariyat mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি zariyat শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত যারিয়াত  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত যারিয়াত  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত যারিয়াত  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত যারিয়াত  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত যারিয়াত  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত যারিয়াত  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত যারিয়াত  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত যারিয়াত  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত যারিয়াত  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত যারিয়াত  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত যারিয়াত  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত যারিয়াত  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত যারিয়াত  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত যারিয়াত  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত যারিয়াত  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত যারিয়াত  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, January 22, 2025

Please remember us in your sincere prayers