কোরান সূরা তাওবা আয়াত 39 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tawbah ayat 39 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তাওবা আয়াত 39 আরবি পাঠে(Tawbah).
  
   

﴿إِلَّا تَنفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا ۗ وَاللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴾
[ التوبة: 39]

যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। [সূরা তাওবা: 39]

Surah At-Tawbah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 39


যদি তোমরা বের না হও তবে তিনি তোমাদের শাস্তি দেবেন মর্মন্তুদ শাস্তিতে, আর তোমাদের পরিবর্তে বদলে নেবেন ভিন্ন এক জাতিকে, আর তোমরা তাঁর কোনোই ক্ষতি করতে পারবে না। বস্তুতঃ আল্লাহ্ সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৯. হে মু’মিনরা! তোমরা যদি আল্লাহর পথে জিহাদ তথা নিজেদের শত্রæর সাথে যুদ্ধ করতে বের না হও তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা ও পদানত করার মাধ্যমে শাস্তি দিবেন এবং তোমাদের পরিবর্তে এমন এক জাতি নিয়ে আসবেন যারা আল্লাহর একান্ত অনুগত হবে। যখন তাদেরকে যুদ্ধের জন্য বের হতে বলা হবে তখন তারা বেরিয়ে পড়বে। বস্তুতঃ তোমরা আল্লাহর আদেশের বিরোধিতা করে তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ, তিনি তোমাদের প্রতি অমুখাপেক্ষী আর তোমরা তাঁর মুখাপেক্ষী। আল্লাহ তা‘আলা সব কিছু করতে সক্ষম। কেউ তাঁকে অক্ষম করতে পারে না। তাই তিনি তোমাদের ছাড়াই তাঁর ধর্ম ও নবীর সহযোগিতা করতে সক্ষম।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যদি তোমরা ( জিহাদে ) বের না হও, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রদান করবেন এবং তোমাদের পরিবর্তে অন্য এক জাতি সৃষ্টি করবেন, আর তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না।[১] আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। [১] রোমের খ্রিষ্টান বাদশাহ হিরাক্লের ব্যাপারে খবর পাওয়া গেল যে, তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-প্রস্ত্ততি নিচ্ছেন। সুতরাং নবী ( সাঃ ) তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্ত্ততি নিতে আদেশ করলেন। এটা ছিল শওয়াল মাসের ৯ হিজরীর ঘটনা। সময়টা ছিল প্রখর গ্রীষ্মের সময় আর সফরও ছিল খুব লম্বা। কোন কোন মুসলিম ও মুনাফিকবদের উপর এটা বড় কষ্টকর মনে হল; যার প্রকাশ এই আয়াতের মধ্যে করা হয়েছে এবং তাদেরকে ভৎর্সনা করা ও ধমক দেওয়া হয়েছে। এটাকে তাবূক যুদ্ধ বলা হয়; যা আসলে ঘটেনি। ২০ দিন মুসলিমরা শাম দেশের নিকটবর্তী তাবূকে থেকে পুনরায় ফিরে এলেন। এ যুদ্ধের সৈন্যদেরকে 'জাইশুল উসরাহ' ( সংকট-সৈন্য ) বলা হয়। কেননা, এই দীর্ঘ সফরে সৈন্যদেরকে দীর্ঘ সময় বড় সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। اثَّاقَلتُم অর্থাৎ, অলস ভারাক্রান্ত হয়ে পিছনে থাকতে চাও। এর বহিঃপ্রকাশ কোন কোন লোকের মধ্যে হয়েছিল। কিন্তু এর সম্বন্ধ সকলের প্রতি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ( ফাতহুল ক্বাদীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যদি তোমরা অভিযানে বের না হও, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রণাদয়ক শাস্তি দেবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের পরিবর্তে আনয়ন করবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ্‌ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান []। [] এ আয়াতে অলস ও নিস্ক্রিয় লোকদের ব্যাধি ও তার প্রতিকার উল্লেখ করে সর্বশেষ ফয়সালা জানিয়ে দেয়া হয় যে, তোমরা জিহাদে বের না হলে আল্লাহ তোমাদের মৰ্মম্ভদ শাস্তি দিবেন এবং তোমাদের স্থলে অন্য জাতির উত্থান ঘটাবেন। আর দ্বীনের আমল থেকে বিরত হয়ে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। কেননা আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। কাতাদা বলেন, এ আয়াতে আল্লাহ তা'আলা মুমিনদেরকে শামের দিকে তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বের হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি জানেন এ যুদ্ধে কত কষ্ট রয়েছে। তারপরও তিনি এ যুদ্ধে বের না হওয়ার ব্যাপারে সাবধান করেছেন। [ তাবারী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩৮-৩৯ নং আয়াতের তাফসীর: ঘটনা এই যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বহু দূরের সফর তাবুকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার জন্যে সাহাবীদেরকে এমন সময়ে নির্দেশ দেন যখন প্রচন্ড গরম পড়েছিল, গাছের ফল পেকে উঠেছিল এবং গাছের ছায়া বেড়ে গিয়েছিল। কিছু লোক রয়ে গিয়েছিল, তাদেরকেই তিরস্কার করে বলা হচ্ছে-যখন তোমাদেরকে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করার জন্যে ডাক দেয়া হচ্ছে তখন তোমরা মাটি আঁকড়ে বসে থাকছে। কেন? তোমরা কি দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী ভোগ্য বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আখিরাতের চিরস্থায়ী নিয়ামতকে ভুলে বসেছো? জেনে রেখো যে, পরকালের তুলনায় দুনিয়ার কোন মূল্যই নেই।রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) স্বীয় তর্জনীর দিকে ইশারা করে বলেনঃ “ এ অঙ্গুলিটি কেউ সমুদ্রে ডুবিয়ে উঠালে তাতে যতটুকু পানি উঠবে, ঐ পানিটুকু সমুদ্রের তুলনায় যেমন, আখিরাতের তুলনায় দুনিয়াও তেমন । ( এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ ) তাঁর সহীহ গ্রন্থে এবং ইমাম আহমাদ ( রঃ ) তার মুসনাদ গ্রন্থে তাখরীজ করেছেন)আবু হুরাইরা ( রাঃ )-কে কেউ জিজ্ঞেস করেন- আমি শুনেছি যে, আপনি নাকি হাদীস বর্ণনা করে থাকেনঃ আল্লাহ তা'আলা একটি পুণ্যের বিনিময়ে এক লাখ সওয়াব দিয়ে থাকেন ।" এটা কি সত্য? তিনি উত্তরে বলেনঃ “ হ্যা, এটা তো সত্যই, তাছাড়া আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে এ কথাও বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা'আলা একটা পুণ্যের বিনিময়ে দু'লাখ সওয়াব দান করবেন ।” অতঃপর তিনি ( আরবী )-এ বাক্যটি পাঠ করে বলেনঃ “ দুনিয়ার যা অতীত হয়েছে এবং যা বাকী আছে সমস্তই আখিরাতের তুলনায় অতি অল্প । আবদুল আযীয ইবনে আবি হাসিম ( রঃ ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, আবদুল আযীয ইবনে মারওয়ান ( রঃ )-এর যখন মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলো তখন তিনি বললেনঃ “ যে কাপড়ে আমাকে কাফন পরানো হবে ওটা আমার কাছে নিয়ে এসো তো, আমি একটু দেখে নিই ।” কাপড়টি তার সামনে রাখা হলে তিনি ওটার দিকে তাকিয়ে বলেনঃ “ দুনিয়ায় তো আমার অংশ এটাই ছিল । এটুকু দুনিয়া নিয়ে আমি যাচ্ছি!” অতঃপর তিনি পিঠ ফিরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেনঃ “ হায় দুনিয়া! তোমার অধিকও অল্প এবং তোমার অল্পতো খুবই ছোট! আফসোস! আমরা ধোকার মধ্যেই পড়ে রয়েছি!”আল্লাহ তা'আলা জিহাদ পরিত্যাগ করার উপর ভীতি প্রদর্শন করে বলছেন-যদি তোমরা ( যুদ্ধের জন্যে ) বের না হও তবে আল্লাহ তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রদান করবেন । একটি গোত্রকে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জিহাদের জন্যে আহ্বান করেন। কিন্তু তারা তাঁর আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তখন আল্লাহ তাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন।আল্লাহ পাক বলেন-“ তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য এক জাতি সৃষ্টি করে দিবেন । অর্থাৎ তোমরা গর্বে ফুলে ওঠো না যে, তোমরাই তো রাসূল ( সঃ )-এর সাহায্যকারী। জেনে রেখো যে, তোমরা যদি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাহায্যকারীরূপে না থাকো তবে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে ধ্বংস করে দিয়ে অন্যদেরকে তাঁর সাথী ও সাহায্যকারী বানিয়ে দেবেন যারা তোমাদের মত হবে না। তোমরা আল্লাহর দ্বীনের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। এটা মনে করো না যে, তোমরা জিহাদ না করলে মুজাহিদরা জিহাদ করতেই পারবে না। আল্লাহ সব কিছুর উপরই পূর্ণ ক্ষমতাবান। তোমাদের ছাড়াই তিনি তাঁর মুজাহিদ বান্দাদেরকে শত্রুদের উপর বিজয় দান করতে পারেন। বলা হয়েছে যে, এই আয়াতটি ও ( আরবী ) ( ৯:৪১ ) এই আয়াতটি এবং ( ৯:১২০ ) এই আয়াতটি ( আরবী ) ( ৯:১২২ ) এ আয়াত দ্বারা মানসূখ বা রহিত হয়ে গেছে। কিন্তু ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) এর প্রতিবাদ করে বলেন যে, এই আয়াতগুলো মানসূখ হয়নি, বরং এগুলোর ভাবার্থ এই যে, যাদেরকে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) জিহাদে বের হওয়ার জন্যে ডাক দেবেন তাদেরকে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে যেতে হবে। যদি তারা তা পরিত্যাগ করে তবে তাদেরকে ঐ কারণে শাস্তি প্রদান করা হবে। এটাই খুব উত্তম ব্যাখ্যা বটে। আল্লাহ তা'আলাই সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।

সূরা তাওবা আয়াত 39 সূরা

إلا تنفروا يعذبكم عذابا أليما ويستبدل قوما غيركم ولا تضروه شيئا والله على كل شيء قدير

سورة: التوبة - آية: ( 39 )  - جزء: ( 10 )  -  صفحة: ( 193 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. কিন্তু শুনবে সালাম আর সালাম।
  2. নিশ্চয় আমার কাছে আছে শিকল ও অগ্নিকুন্ড।
  3. স্মরণ কর, যখন তাকে তার পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম।
  4. সুতরাং তারা সেখানেই পরাজিত হয়ে গেল এবং অতীব লাঞ্ছিত হল।
  5. আমি সেই বৃক্ষকে করেছি স্মরণিকা এবং মরুবাসীদের জন্য সামগ্রী।
  6. মহা ত্রাস তাদেরকে চিন্তান্বিত করবে না এবং ফেরেশতারা তাদেরকে অভ্যর্থনা করবেঃ আজ তোমাদের দিন, যে
  7. হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা
  8. তারা কি তাদের উপরস্থিত আকাশের পানে দৃষ্টিপাত করে না আমি কিভাবে তা নির্মাণ করেছি এবং
  9. যেদিন কপট বিশ্বাসী পুরুষ ও কপট বিশ্বাসিনী নারীরা মুমিনদেরকে বলবেঃ তোমরা আমাদের জন্যে অপেক্ষা কর,
  10. ও প্রচুর ফল-মূলে,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তাওবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তাওবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তাওবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তাওবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তাওবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তাওবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তাওবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তাওবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তাওবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তাওবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তাওবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তাওবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers