কোরান সূরা মুয্যাম্মিল আয়াত 4 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Muzammil ayat 4 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মুয্যাম্মিল আয়াত 4 আরবি পাঠে(Muzammil).
  
   

﴿أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا﴾
[ المزمل: 4]

অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবে ও স্পষ্টভাবে। [সূরা মুয্যাম্মিল: 4]

Surah Al-Muzzammil in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Muzammil ayat 4


অথবা এর উপরে বাড়িয়ে নাও, আর কুরআন আবৃত্তি করো ধীরস্থিরভাবে শান্ত-সুন্দর আবৃত্তিতে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪. কিংবা আরো একটু বাড়িয়ে দিন। যাতে আপনি দুই তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন। আর আপনি যখন কুরআন পড়েন তখন তা সুস্পষ্টভাবে পাঠ করুন এবং তা পাঠে ধীরতা অবলম্বন করুন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অথবা তার চাইতে বেশী।[১] আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে। [২] [১] এটা قَلِيْلاَ এর পরিবর্ত স্বরূপ ( বদল )। অর্থাৎ, এই কিয়াম যদি অর্ধরাত থেকে কিছু কম ( এক-তৃতীয়াংশ ) হয় অথবা কিছু বেশী ( দুই-তৃতীয়াংশ ) হয়, তাতে কোন দোষ নেই। [২] সুতরাং বহু হাদীসে এসেছে যে, নবী ( সাঃ ) কুরআন পড়তেন ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে এবং তিনি তাঁর উম্মতকেও ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে থেমে থেমে কুরআন পড়া শিক্ষা দিতেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অথবা তার চেয়েও একটু বাড়ান। আর কুরআন তিলাওয়াত করুন ধীরে ধীরে সুস্পষ্টভাবে []; [] এখানে বলা হয়েছে যে, তারতীল সহকারে পড়তে হবে। ترتيل বলে উদ্দেশ্য হলো ধীরে ধীরে সঠিকভাবে বাক্য উচ্চারণ করা। অর্থাৎ কুরআনের শব্দগুলো ধীরে ধীরে মুখে উচ্চারণ করার সাথে সাথে তা উপলব্ধি করার জন্য গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনাও করতে হবে। [ ইবন কাসীর ] আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কুরআন পাঠের নিয়ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, “ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, শব্দগুলোকে টেনে টেনে পড়তেন উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ পড়ে বললেন যে, তিনি আল্লাহ, রাহমান এবং রাহীম শব্দকে মদ্দ করে বা টেনে পড়তেন।’ [ বুখারী: ৫০৪৬ ] উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে একই প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক একটি আয়াত আলাদা আলাদা করে পড়তেন এবং প্রতিটি আয়াত পড়ে থামতেন। তিনি ‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ বলে থামতেন। তারপর ‘আর-রাহমানির রাহীম’ বলে থামতেন। তারপর ‘মালিকি ইয়াওমিদ্দীন’ বলে থামতেন। [ মুসনাদে আহমাদ: ৬/৩০২.
আবু দাউদ: ১৪৬৬, তিরমিযী: ২৯২৭
] হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণনা করেন, একদিন রাতে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সালাত পড়তে দাঁড়ালাম। আমি দেখলাম, তিনি এমনভাবে কুরআন তেলাওয়াত করছেন যে, যেখানে তাসবীহের বিষয় আসছে সেখানে তিনি তাসবীহ পড়ছেন, যেখানে দো‘আর বিষয় আসছে সেখানে দো‘আ করছেন এবং যেখানে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় প্রার্থনার বিষয় আসছে সেখানে তিনি আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। [ মুসলিম:৭৭২ ] আবু যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণনা করেন, একবার রাতের সালাতে কুরআন তেলাওয়াত করতে করতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন এ আয়াতটির কাছে পৌঁছলেন “ আপনি যদি তাদের শাস্তি দেন, তবে তারা আপনারই বান্দা আর যদি আপনি তাদের ক্ষমা করে দেন, তাহলে আপনি পরাক্রমশালী ও বিজ্ঞ” তখন তিনি বার বার এ আয়াতটিই পড়তে থাকলেন এবং এভাবে ভোর হয়ে গেল। [ মুসনাদে আহমাদ: ৫/১৪৯ ] সাহাবী ও তাবেয়ীগণেরও এই অভ্যাস ছিল। তাছাড়া, যথাসম্ভব সুললিত স্বরে তিলাওয়াত করাও তারতীলের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে নবী সশব্দে সুললিত স্বরে তেলাওয়াত করেন, তার কেরাআতের মত অন্য কারও কেরাআত আল্লাহ্ তা‘আলা শুনেন না। [ বুখারী: ৫০২৩, ৫০২৪ ] তবে পরিস্কার ও বিশুদ্ধ উচ্চারণসহ শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থ চিন্তা করে তদ্বারা প্রভাবান্বিত হওয়াই আসল তারতীল। অনুরূপভাবে সুন্দর করে পড়াও এর অংশ। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “ যে কুরআনকে সুন্দর স্বরে পড়ে না সে আমার দলভুক্ত নয় ।’ [ বুখারী: ৭৫২৭ ] অন্য হাদীসে এসেছে, “ তোমরা কুরআনকে তোমাদের সুর দিয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত কর” [ ইবনে মাজাহঃ ১৩৪২ ] আবু মুসা আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সুমিষ্ট স্বরে কুরআন পাঠ করতেন বিধায় রাসূল তার প্রশংসা করে বলেছিলেন, “তোমাকে দাউদ পরিবারের সুর দেয়া হয়েছে" ৷ [ বুখারী: ৫০৪৮, মুসলিম: ৭৯৩ ] তাছাড়া হাদীসে আরও এসেছে, “কিয়ামতের দিন কুরআনের অধিকারীকে বলা হবে, তুমি পড় এবং আরোহন করতে থাক সেখানেই তোমার স্থান হবে যেখানে তোমার কুরআন পড়ার আয়াতটি শেষ হবে।” [ আবুদাউদ: ১৪৬৪, তিরমিয়ী: ২৯১৪ ]

সূরা মুয্যাম্মিল আয়াত 4 সূরা

أو زد عليه ورتل القرآن ترتيلا

سورة: المزمل - آية: ( 4 )  - جزء: ( 29 )  -  صفحة: ( 574 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের অবস্থা
  2. সেই নবীগণ আল্লাহর পয়গাম প্রচার করতেন ও তাঁকে ভয় করতেন। তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যকাউকে ভয়
  3. তারপরও এরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। সুতরাং তাকে এবং তার সাথে নৌকায় যারা ছিল তাদের কে
  4. রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করত,
  5. কিংবা ভীতি প্রদর্শনের পর তাদেরকে পাকড়াও করবেন? তোমাদের পালনকর্তা তো অত্যন্ত নম্র, দয়ালু।
  6. এই তো তাদের বাড়ীঘর-তাদের অবিশ্বাসের কারণে জনশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। নিশ্চয় এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে
  7. তাদের কেউ কেউ কান রাখে তোমাদের প্রতি; তুমি বধিরদেরকে কি শোনাবে যদি তাদের বিবেক-বুদ্ধি না
  8. যখন আহার কর, পান কর এবং চক্ষু শীতল কর। যদি মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ,
  9. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
  10. অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মুয্যাম্মিল ডাউনলোড করুন:

সূরা Muzammil mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Muzammil শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, January 18, 2025

Please remember us in your sincere prayers