কোরান সূরা হুদ আয়াত 40 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Hud ayat 40 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা হুদ আয়াত 40 আরবি পাঠে(Hud).
  
   

﴿حَتَّىٰ إِذَا جَاءَ أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ قُلْنَا احْمِلْ فِيهَا مِن كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلَّا مَن سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ وَمَنْ آمَنَ ۚ وَمَا آمَنَ مَعَهُ إِلَّا قَلِيلٌ﴾
[ هود: 40]

অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছাল এবং ভুপৃষ্ঠ উচ্ছসিত হয়ে উঠল, আমি বললামঃ সর্বপ্রকার জোড়ার দুটি করে এবং যাদের উপরে পূর্বহেߦ#2439; হুকুম হয়ে গেছে তাদের বাদি দিয়ে, আপনার পরিজনবর্গ ও সকল ঈমানদারগণকে নৌকায় তুলে নিন। বলাবাহুল্য অতি অল্পসংখ্যক লোকই তাঁর সাথে ঈমান এনেছিল। [সূরা হুদ: 40]

Surah Hud in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hud ayat 40


যে পর্যন্ত না আমাদের আদেশ এল এবং মাটঘাট প্লাবিত হল, আমরা বললাম -- ''এতে বোঝাই কর প্রত্যেক জাতের দুটি -- এক জোড়া, এবং তোমার পরিবার -- তাকে ছাড়া যার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত বর্তিত হয়েছে, আর যারা বিশ্বাস করেছে তাদের।’’ আর যারা তাঁর সঙ্গে বিশ্বাস করেছিল তারা তো স্বল্পসংখ্যক।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪০. নূহ ( আলাইহিস-সালাম ) আল্লাহর হুকুম করা সেই নৌকা তৈরির কাজ শেষ করলেন। এমনকি যখন তাদের কে ধ্বংস করার ব্যাপারে আমার আদেশ এসে গেল এবং তুফান শুরু হয়ে যাওয়ার ঘোষণা স্বরূপ সেই রুটি পাকানোর চুলায় পানি উথলে উঠল তখন আমি নূহ ( আলাইহিস-সালাম ) কে বললাম: পৃথিবীর বুকে যত ধরনের প্রাণী রয়েছে তা থেকে একজোড়া করে নর-নারী নৌকাতে উঠান, আরো উঠান আপনার পরিবারকে সে ব্যতীত যার ব্যাপারে ডুবে মরার হুকুম এসে গেছে, কেননা সে ঈমান আনেনি এবং উঠান তাদেরকেও যারা আপনার জাতির মধ্য থেকে ঈমান এনেছে। তবে অল্প সংখ্যক ব্যতীত সেই দীর্ঘ মেয়াদে যাতে তিনি তাদেরকে আল্লাহর প্রতি ঈমানের দাওয়াত দিয়েছেলেন তাঁর সাথে ঈমান আনে নি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অবশেষে যখন আমার নির্দেশ এসে পৌঁছল এবং ভূ-পৃষ্ঠ ( চুলা ) হতে পানি উথলিয়ে উঠতে লাগল[১] তখন আমি বললাম, ‘প্রত্যেক যুগল ( প্রাণীর ) জোড়া জোড়া তাতে ( নৌকাতে ) উঠিয়ে নাও[২] এবং নিজ পরিবারবর্গকেও; তবে তাকে নয় যার সম্বন্ধে পূর্ব-সিদ্ধান্ত হয়ে আছে।[৩] আর যে বিশ্বাস করেছে তাকেও ( উঠিয়ে নাও )।’[৪] বস্তুতঃ অল্প কয়েকজন ছাড়া কেউই তার প্রতি বিশ্বাস করেনি। [৫] [১] تنور এর অর্থ অনেকে রুটি পাকানোর তন্দুর চুলো, অনেকে 'আইনুল অরদাহ' নামক বিশেষ স্থান এবং কেউ কেউ ভূ-পৃষ্ঠ করেছেন। হাফেয ইবনে কাসীর ( রঃ ) এই শেষের অর্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। অর্থাৎ, ভূপৃষ্ঠের সকল স্থান হতেই ঝরনার মত পানি উঠেছিল, তুফান আনার অবশিষ্ট কমতি উপর থেকে আকাশের মুষলধারা বৃষ্টি পূরণ করেছিল। [২]( অর্থাৎ, নর ও মাদী। এরূপ সকল সৃষ্ট জীবের জোড়া জোড়া কিশতীতে রেখে নেওয়া হয়েছিল। আর অনেকে বলেন, যে গাছপালাও রাখা হয়েছিল। আর আল্লাহই ভালো জানেন। (যুগল জীবের এক এক জোড়া বলতে যেসব প্রাণী স্ত্রী-পুরুষের মিলনে বংশ বিস্তার করে এবং পানির মধ্যে বেঁচে থাকতে পারে না কেবল তাদেরকেই জাহাজে উঠানো হয়েছিল। -সম্পাদক) [৩] অর্থাৎ, যাদের ডুবে মরা আল্লাহর তকদীরে নির্ধারিত আছে। উদ্দেশ্য সমস্ত কাফের, অথবা এই استثناء ( বিয়োজন ) 'পরিবারবর্গ' শব্দ থেকে করা হয়েছে। অর্থাৎ, নিজ পরিবারবর্গকে কিশতীতে আরোহণ করিয়ে নাও, সে ব্যতীত যার সম্বন্ধে পূর্ব-সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। অর্থাৎ, একঃ পুত্র কিন্আন বা য়্যাম এবং দুইঃ নূহ ( আঃ )-এর স্ত্রী ওয়াইলা, এরা উভয়ে কাফের ছিল, তাদেরকে কিশ্তীতে আরোহণকারীদের জামাআত থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। [৪] অর্থাৎ সমস্ত ঈমানদারগণকে কিশতীতে তুলে নাও। [৫] কেউ কেউ ( কিশতীতে আরোহীদের ) সর্বমোট ( নারী ও পুরুষ মিলে ) সংখ্যা ৮০ জন এবং কেউ কেউ তার থেকেও কম বলেছেন। যাদের মধ্যে নূহ ( আঃ )-এর তিন পুত্র সাম, হাম, ইয়াফেস ও তাঁদের স্ত্রীগণও ছিলেন, কারণ তাঁরা মুসলমান ছিলেন। এদের মধ্যে য়্যামের স্ত্রীও ছিলেন। য়্যাম ছিল কাফের; কিন্তু তার স্ত্রী মুসলমান হওয়ার কারণে তাঁকে কিশতীতে উঠানো হয়েছিল। ( ইবনে কাসীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অবশেষে যখন আমাদের আদেশ আসল এবং উনান উথলে উঠল []; আমরা বললাম, এতে উঠিয়ে নিন প্রত্যেক শ্রেণীর যুগলের দুটি [], যাদের বিরুদ্ধে পূর্ব-সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা ছাড়া আপনার পরিবার-পরিজনকে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে। আর তার সাথে ঈমান এনেছিল কেবল অল্প কয়েকজন []। [] এ সম্পর্কে মুফাসসিরগণের বিভিন্ন উক্তি পাওয়া যায়। কুরআনের সুস্পষ্ট বক্তব্য থেকে বুঝা যায়, প্লাবনের সূচনা হয় একটি বিশেষ চুলা থেকে। তার তলা থেকে পানির স্রোত বের হয়ে আসে। তারপর একদিকে আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে এবং অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় মাটি ফুঁড়ে পানির ফোয়ারা বেরিয়ে আসতে থাকে। এখানে কেবল চুলা থেকে পানি উথলে ওঠার কথা বলা হয়েছে এবং সামনের দিকে গিয়ে বৃষ্টির দিকে ইংগিত করা হয়েছে। কিন্তু সূরা ‘আল-কামার ১১-১৩’ এর বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছেঃ “ আমি আকাশের দরজা খুলে দিলাম । এর ফলে অনবরত বৃষ্টি পড়তে লাগলো। মাটিতে ফাটল সৃষ্টি করলাম। ফলে চারদিকে পানির ফোয়ারা বের হতে লাগলো। আর যে কাজটি নির্ধারিত করা হয়েছিল এ দু'ধরনের পানি তা পূর্ণ করার জন্য পাওয়া গেলো।" তাছাড়া এ আয়াতে “ তান্নুর” ( চুলা ) শব্দটির ওপর আলিফ-লাম বসানোর মাধ্যমে একথা প্রকাশ করা হয় যে, একটি বিশেষ চুলাকে আল্লাহ এ কাজ শুরু করার জন্য নির্দিষ্ট করেছিলেন । ইশারা পাওয়ার সাথে সাথেই চুলাটির তলা ঠিক সময়মতো ফেটে পানি উথলে ওঠে। পরে এ চুলাটিই প্লাবনের চুলা হিসেবে পরিচিত হয়। সূরা মুমিনূনের ২৭ আয়াতে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে যে, এ চুলাটির কথা নূহ আলাইহিসসালামকে বলে দেয়া হয়েছিল। তবে আয়াতে বর্ণিত ‘তান্নুর’ শব্দটির অর্থ ইবন আব্বাস ও ইকরিমা এর মতে, ভূপৃষ্ঠ। [ তাবারী; বাগভী; ইবন কাসীর ] তখন অর্থ হবে, পুরো যমীনটাই ঝর্ণাধারার মতো হয়ে গেল যে, তা থেকে পানি উঠতে থাকল। এমনকি যে আগুনের চুলা থেকে আগুন বের হওয়ার কথা তা থেকে আগুন না বের হয়ে পানি নির্গত হতে আরম্ভ করল। [ ইবন কাসীর ] [] অর্থাৎ জোড় বিশিষ্ট প্রত্যেক প্রাণী এক এক জোড়া করে নৌকায় তুলে নিন। [ ইবন কাসীর ] [] তারপর নূহ আলাইহিসসালামকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, বেঈমান কাফেরদের বাদ দিয়ে আপনার পরিজনবর্গকে এবং সমস্ত ঈমানদারগণকে কিশ্‌তিতে তুলে নিন। তবে তখন ঈমানদারদের সংখ্যা অতি নগণ্য ছিল। জাহাজে আরোহনকারীদের সঠিক সংখ্যা কুরআনে ও হাদীসে নির্দিষ্ট করে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। তাই এ ব্যাপারে কোন সংখ্যা নির্ধারণ করা ঠিক হবে না। [ তাবারী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তাআ’লা হযরত নূহের ( রাঃ ) সাথে যে ওয়াদা করেছিলেন সেই ওয়াদা অনুযায়ী আকাশ থেকে অনবরত মুষলধারে বৃষ্টি হতে শুরু করে এবং যমীনের মধ্য থেকেও পানি উথলিয়ে উঠে। যেমন মহান আল্লাহ এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ অতঃপর আমি অধিক বর্ষণশীল পানি দ্বারা আকাশের দ্বারসমূহ খুলে দিলাম । আর যমীন হতে ফোয়ারাসমূহ জারী করে দিলাম, অতঃপর ( উভয় ) পানি অবধারিত কাজের জন্যে সম্মিলিত হলো আর আমি তাকে ( নূহ আঃ কে ) তক্তা ও পেরেকযুক্ত নৌকাতে আরোহণ করালাম। যা আমার তত্ত্বাবধানে চলছিল, এ সব কিছু তার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্যে করেছিলাম; যার অমর্যাদা করা হয়েছিল।” ( ৫৪: ১১-১৪ ) যমীন হতে পানি উথলিয়ে উঠা সম্পর্কে হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে যমীন হতে ঝরণা প্রবাহিত হয়, এমনকি চুল্লী হতেও পানি উথলিয়ে উঠে। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী জমহূরেরও উক্তি এটাই। হযরত আলী ইবনু আবি তালিব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, ( আরবি ) এর অর্থ হচ্ছে সকাল হওয়া ও ফজরের আলোকিত হওয়া অর্থাৎ সকালের আলো এবং ফজরের ঔজ্জ্বল্য। কিন্তু স্পষ্টতর উক্তি প্রথমটিই।মুজাহিদ ( রঃ ) ও শা’বী ( রঃ ) বলেন যে, এই চুল্লীটি কুফায় ছিল। হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, এটা ভারতে অবস্থিত একটি ঝরণা বা প্রস্রবণ। কাতাদা’ ( রঃ ) বলেন যে, এটা জাযীরায় অবস্থিত একটি নদী যাকে ‘আইনুল অরদাহ’ বলা হয়। কিন্তু এসব উক্তি গারীব বা দুর্বল। মোট কথা, এ সব নিদর্শন প্রকাশিত হওয়া মাত্রই হযরত নূহকে আল্লাহ তাআ’লা নির্দেশ দেন যে, তিনি যেন তাঁর সাথে নৌকায় প্রত্যেক প্রকারের এক জোড়া করে প্রাণী উঠিয়ে নেন। একটি করে নর এবং একটি করে মাদী। বলা হয়েছে যে, প্রাণহীন মাখলুকের জন্যেও এই নির্দেশ ছিল। যেমন গাছপালা ও লতাপাতা। কথিত আছে যে, হযরত নূহ ( আঃ ) সর্বপ্রথম যে পাখিটিকে নৌকায় উঠান তা ছিল ‘দাররা’ নামক পাখি। আর জন্তুগুলির মধ্যে সর্বশেষে যে জন্তুটিকে উঠান তা ছিল গাধা। শয়তান গাধাটির লেজ ধরে লটকে যায়। সে নৌকায় উঠার ইচ্ছা করে, কিন্তু শয়তান ওর লেজ ধরেছিল বলে তার কাছে খুবই ভারী বোধহয় এবং উঠতে সক্ষম হয় না। হযরত নূহ ( আঃ ) তাকে বলেনঃ “ তুমি উঠে যাও যদিও শয়তান তোমার সাথে রয়েছে ।” সুতরাং তারা উভয়েই নৌকায় আরোহণ করে।কোন কোন গুরুজন বলেন যে, হযরত নূহ ( আঃ ) এবং তাঁর সঙ্গীয় মু'মিনরা সিংহকে তাঁদের সাথে নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে যেতে অক্ষম হচ্ছিলেন। অবশেষে তার জ্বর হয়ে যায়। তখন তাঁরা তাকে নৌকায় উঠিয়ে নেন।হযরত যায়েদ ইবনু আসলাম ( রঃ ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ নূহ ( আঃ ) যখন সমস্ত জন্তু এক জোড়া করে নৌকায় উঠিয়ে নেন তখন তাঁর সঙ্গীগণ তাঁকে বলেনঃ “পশুগুলি কিরূপে নিশ্চিন্ত ও নিরাপদ থাকতে পারে, অথচ তাদের সাথে সিংহ রয়েছে?” তখন আল্লাহ তাআ’লা সিংহের উপর জ্বর চাপিয়ে দেন । যমীনে অবতারিত প্রথম জ্বর ছিল এটাই। অতঃপর জনগণ ইঁদুরের অভিযোগ আনয়ন করে বলেনঃ “ এই দুষ্ট প্রাণী আমাদের খাদ্য ও অন্যান্য জিনিষ নষ্ট করে দিচ্ছে!” তখন আল্লাহ তাআ’লার নির্দেশক্রমে সিংহ হাঁচি ফেললো এবং সেই হাঁচির সাথে বিড়াল বেরিয়ে আসলো । ফলে ইদুর এক প্রান্তে লুকিয়ে গেল।” ( এ হাদীসটি ইবনু আবি হা’তিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)আল্লাহ পাকের উক্তিঃ ( আরবি ) অর্থাৎ হে নূহ ( আঃ )! তুমি নৌকায় তোমার পরিবারবর্গকে উঠিয়ে নাও। তারা হচ্ছে তাঁর পরিবারের লোক ও তাঁর আত্মীয় স্বজন। কিন্তু তাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে নাই তাদেরকে নৌকায় উঠানো চলবে না। ইয়াম নামক তাঁর এক পুত্রও ঐ কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সুতরাং সেও পৃথক হয়ে যায়। তাঁর স্ত্রীও ছিল তাদের অন্তর্ভুক্ত। সেও আল্লাহর রাসূলকে ( অর্থাৎ তার স্বামী নূহকে আঃ ) অস্বীকার করেছিল।( আরবি ) অর্থাৎ হে নূহ ( আঃ )! তোমার কওমের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকেও তোমার সাথে নৌকায় উঠিয়ে নাও। কিন্তু এই মু'মিনদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। সাড়ে নয় শ’ বছর অবস্থানের সুদীর্ঘ সময়ের মধ্যে অতি অল্প সংখ্যক লোকই হযরত নূহ ( আঃ )-এর উপর ঈমান এনেছিল। হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তারা ছিল মোট আশি জন লোক। তাদের মধ্যে স্ত্রী লোকও ছিল। হযরত কা'ব ( রাঃ ) বলেন যে, তারা ছিল বাহাত্তর জন। একটি উক্তি আছে যে, তারা ছিল মাত্র দশজন। একটি উক্তি এও রয়েছে যে, তাঁরা ছিলেন হযরত নূহ ( আঃ ) স্বয়ং এবং তার তিন পুত্র। তারা হচ্ছেন- সাম, হাম ও ইয়াফাস। আর ছিলেন চার জন স্ত্রী লোক। তিন জন তো ছিলেন এই তিন পুত্রের স্ত্রী এবং অন্য একজন ছিলেন ( তার কাফির পুত্র ) ইয়ামের স্ত্রী। এ কথাও বলা হয়েছে, চতুর্থ স্ত্রী লোকটি ছিল স্বয়ং হযরত নূহের ( আঃ )-এর স্ত্রী। কিন্তু এতে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ রয়েছে। বরং প্রকাশ্য কথা এটাই যে, হযরত নূহের ( আঃ ) স্ত্রী ধ্বংসপ্রাপ্ত লোকদের সাথে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কেননা, সে তার কওমের দ্বীনের উপরই ছিল। তাই, যেমনভাবে হযরত লূতের ( আঃ ) স্ত্রী ধ্বংস হয়েছিল, তেমনিভাবে হযরত নূহের ( আঃ ) স্ত্রীও ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআ’লাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।

সূরা হুদ আয়াত 40 সূরা

حتى إذا جاء أمرنا وفار التنور قلنا احمل فيها من كل زوجين اثنين وأهلك إلا من سبق عليه القول ومن آمن وما آمن معه إلا قليل

سورة: هود - آية: ( 40 )  - جزء: ( 12 )  -  صفحة: ( 226 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর তাদের এ ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করল। আল্লাহর
  2. এমন লোকদের ঠিকানা হল আগুন সেসবের বদলা হিসাবে যা তারা অর্জন করছিল।
  3. তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে বিলুপ্ত করে এক নতুন সৃষ্টির উদ্ভব করবেন।
  4. আল্লাহর নির্দেশ এসে গেছে। অতএব এর জন্যে তাড়াহুড়া করো না। ওরা যেসব শরীক সাব্যস্ত করছে
  5. অতএব, আজ তোমাদের কাছ থেকে কোন মুক্তিপন গ্রহণ করা হবে না। এবং কাফেরদের কাছ থেকেও
  6. ফেরাউন বললঃ আমার অনুমতি দানের পূর্বেই? তোমরা কি তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে; দেখছি সেই
  7. উপদেশ ফলপ্রসূ হলে উপদেশ দান করুন,
  8. মূসা বললঃ তোমাদের ওয়াদার দিন উৎসবের দিন এবং পূর্বাহেߠলোকজন সমবেত হবে।
  9. আর যখন কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এ সূরা তোমাদের মধ্যেকার
  10. শুনে রাখ, যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে ও যমীনে সবই আল্লাহর। শুনে রাখ, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হুদ ডাউনলোড করুন:

সূরা Hud mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hud শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত হুদ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত হুদ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত হুদ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত হুদ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত হুদ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত হুদ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত হুদ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত হুদ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত হুদ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত হুদ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত হুদ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত হুদ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত হুদ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত হুদ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত হুদ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত হুদ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত হুদ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত হুদ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত হুদ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত হুদ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত হুদ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers