কোরান সূরা আলে-ইমরান আয়াত 44 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Imran ayat 44 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আলে-ইমরান আয়াত 44 আরবি পাঠে(Al Imran).
  
   

﴿ذَٰلِكَ مِنْ أَنبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ ۚ وَمَا كُنتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلَامَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ﴾
[ آل عمران: 44]

এ হলো গায়েবী সংবাদ, যা আমি আপনাকে পাঠিয়ে থাকি। আর আপনি তো তাদের কাছে ছিলেন না, যখন প্রতিযোগিতা করছিল যে, কে প্রতিপালন করবে মারইয়ামকে এবং আপনি তাদের কাছে ছিলেন না, যখন তারা ঝগড়া করছিলো। [সূরা আলে-ইমরান: 44]

Surah Al Imran in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Imran ayat 44


এ হচ্ছে অদৃশ্য বার্তাসমূহের থেকে যে-সব তোমার কাছে আমরা প্রত্যাদিষ্ট করছি। আর তুমি তাদের কাছে ছিলে না যখন তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল তাদের মধ্যে কে মরিয়মের ভার নেবে সে সম্পর্কে, আর তুমি তাদের নিকটে ছিলে না যখন তারা পরস্পর বচসা করছিল।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৪. হে রাসূল! যাকারিয়া ( আলাইহিস-সালাম ) ও মারইয়াম সংক্রান্ত এ সংবাদটি একটি গাইবী সংবাদ যা আমি আপনাকে দিচ্ছি। আপনি তখন সেই আলিম ও নেককারদের কাছেই ছিলেন না যখন তারা মারইয়ামের প্রতিপালনে কে সর্বাধিক উপযুক্ত সে ব্যাপারে তর্ক করছিলো। পরিশেষে তারা কলম নিক্ষেপের মাধ্যমে এক বিশেষ লটারির ব্যবস্থা করলো। তখন যাকারিয়া ( আলাইহিস-সালাম ) এর কলমই জয়যুক্ত হলো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এ অদৃশ্যলোকের সংবাদ যা তোমাকে অহী ( ঐশীবাণী ) দ্বারা অবহিত করছি। তুমি তাদের নিকট ছিলে না, যখন মারয়্যামের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব তাদের মধ্যে কে নেবে ( তা দেখার জন্য ) তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল এবং যখন তারা ( এ ব্যাপারে ) বাদানুবাদ করছিল, তখনও তুমি তাদের নিকট ছিলে না। [১] [১] বর্তমানের বিদআতীরা নবী করীম ( সাঃ )-এর ব্যাপারে অতিরঞ্জন করে তাঁকে মহান আল্লাহর মত আলেমুল গায়েব ( অদৃশ্য জগতের জ্ঞানের অধিকারী ) বলে মনে করে এবং বিশ্বাস করে যে, তিনি সব জায়গায় হাযির ( উপস্থিত ) এবং নাযির ( তদারককারী )। এই আয়াত দ্বারা তাদের উভয় আকীদার পরিষ্কারভাবে খন্ডন করা হয়েছে। যদি তিনি 'আলেমুল গায়ব' হতেন, তাহলে আল্লাহ তাআলা এ কথা বলতেন না যে, " এ অদৃশ্যলোকের সংবাদ, যা তোমাকে অহী ( ঐশীবাণী ) দ্বারা অবহিত করছি। " কেননা, যিনি আগে থেকেই জানেন, তাঁকে এরূপ বলা হয় না। অনুরূপ যিনি হাযির ( উপস্থিত ) এবং নাযির ( তদারককারী ) তাঁকে এ কথা বলা যায় না যে, তুমি সেখানে উপস্থিত ছিলে না, যখন তারা লটারীর জন্য কলম নিক্ষেপ করছিল। লটারী করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল, কারণ মারয়্যামের লালন-পালন করার দাবীদার আরো কয়েকজন ছিল। [ذَلِكَ مِنْ اَنْبَآءِ الْغَيْبِ نُوِحِيْهِ إِلَيْكَ] আয়াতে নবী কারীম ( সাঃ )-এর রিসালাত এবং তাঁর সত্যতার প্রমাণও রয়েছে, যে ব্যাপারে ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানগণ সন্দেহ পোষণ করত। কেননা, শরীয়তের অহী কেবল পয়গম্বরের উপরেই আসে, অন্যের উপরে আসে না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


এটা গায়েবের সংবাদের অন্তর্ভুক্ত, যা আমরা আপনাকে ওহী দ্বারা অবহিত করছি। আর মার্‌ইমের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব তাদের মধ্যে কে গ্রহণ করবে এর জন্য যখন তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল [] আপনি তখন তাদের নিকট ছিলেন না এবং তারা যখন বাদানুবাদ করছিল তখনো আপনি তাদের নিকট ছিলেন না। [] অর্থাৎ তারা কলম ফেলে লটারী করে মারইয়াম আলাইহাস সালাম কার তত্ত্বাবধানে থাকবেন সেটা নির্ধারণ করছিলেন। ইসলামী শরীয়তে লটারী সম্পর্কিত বিধান এই যে, যেসব হকের কারণ শরীয়তানুযায়ী নির্দিষ্ট ও জানা আছে, সেসব হকের মীমাংসা লটারীযোগে করা নাজায়েয এবং তা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। উদাহরণতঃ শরীকানাধীন বস্তুর মীমাংসা লটারীযোগে করা এবং লটারীতে যার নাম বের হয় তাকে সম্পূর্ণ বস্তুটি দিয়ে দেয়া অথবা কোন শিশুর পিতৃত্বে মতবিরোধ দেখা দিলে লটারীযোগে একজনকে পিতা মনে করে নেয়া। পক্ষান্তরে যেসব হকের কারণ জনগণের রায়ের ওপর ন্যস্ত, সেসব হকের মীমাংসা লটারীযোগে করা জায়েয। যথা- কোন্‌ শরীককে কোন্‌ অংশ দেয়া হবে, সেটা লটারীর মাধ্যমে মীমাংসা করা। এক্ষেত্রে লটারীর মাধ্যমে একজনকে পূর্বের অংশ অন্যজনকে পশ্চিমের অংশ দেয়া জায়েয। এর কারণ এই যে, লটারী ছাড়াই উভয়পক্ষ একমত হয়ে যদি এভাবে অংশ নিত অথবা বিচারকের রায়ের ভিত্তিতে এভাবে নিত, তবুও তা জায়েয হত। অর্থাৎ যে ক্ষেত্রে সব শরীকের অংশ সমান হয়, সেখানে কোন এক দিককে এক শরীকের জন্যে নির্দিষ্ট করার উদ্দেশ্যে লটারী জায়েয। [ দেখুন, কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪২-৪৪ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলার নির্দেশক্রমে ফেরেশতাগণ হযরত মারইয়াম ( আঃ )-কে তার অত্যাধিক ইবাদত, দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য ভাব, ভদ্রতা এবং শয়তানী কুধারণা হতে দূরে থাকার কারণে স্বীয় নৈকট্য লাভের যে মর্যদা দান করেছেন এবং সারা জগতের নারীদের উপর যে মনোনীত করেছেন তারই সুসংবাদ দিচ্ছেন। সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত আবূ হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যতগুলো নারী উষ্ট্রে আরোহণ করেছে তাদের মধ্যে উত্তম হচ্ছে কুরাইশদের ঐ স্ত্রীলোকগুলো যারা নিজেদের শিশুদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহ প্রদর্শন করে এবং স্বামীদের দ্রব্যাদির পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ করে । হযরত মারইয়াম বিনতে ইমরান ( আঃ ) কখনও উষ্ট্রে আরোহণ করেননি। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের একটি হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ ‘স্ত্রীলোকদের মধ্যে উত্তম হচ্ছে হযরত মারইয়াম বিনতে ইমরান এবং স্ত্রীলোকদের মধ্যে উত্তম হচ্ছে হযরত খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদ ( রাঃ )। জামেউত তিরমিযীর বিশুদ্ধ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ ‘সারা জগতের নারীদের মধ্যে মারইয়াম বিনতে ইমরান ( আঃ ), খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদ ( রাঃ ), ফাতিমা ( রাঃ ) বিনতে মুহাম্মাদ ( সঃ ) এবং ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া ( রাঃ ) তোমার জন্য যথেষ্ট। অন্য হাদীসে রয়েছে যে, এ চারজন নারী সারা বিশ্বের নারীদের মধ্যে উত্তম। আর একটি হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ ‘পুরুষদের মধ্যে বহু পূর্ণাঙ্গ পুরুষ রয়েছে, কিন্তু নারীদের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রাপ্তা নারী মাত্র তিনজন। তারা হচ্ছেন- হযরত ইমরানের কন্যা হযরত মারইয়াম ( আঃ ), ফিরাউনের স্ত্রী হযরত আসিয়া ( আঃ ) এবং খুয়াইলিদের কন্যা হযরত খাদীজা ( রাঃ )। আর হযরত আয়েশা ( রাঃ )-এর ফযীলত নারীদের উপর এরূপ যেরূপ সারীদের ( গোশতের ঝোলে ভিজান রুটির ) ফযীলত সমস্ত আহার্যের উপর।' এ হাদীসটি সুনান-ই-আবু দাউদ ছাড়া অন্যান্য সব হাদীসেই রয়েছে। সহীহ বুখারী শরীফের এ হাদীসে হযরত খাদীজা ( রাঃ )-এর উল্লেখ নেই। আমি এ হাদীসের সমস্ত সনদ এবং প্রত্যেক সনদের শব্দগুলো স্বীয় কিতাবুল বিদায়া ওয়ান্নিহায়াহ’-এর মধ্যে হযরত ঈসা ( আঃ )-এর বর্ণনায় জমা করেছি।ফেরেশতাগণ বলেন, “ হে মারইয়াম! আপনি আপনার সময় বিনয় প্রকাশ এবং রুকু ও সিজদায় কাটিয়ে দিন । আল্লাহ তা'আলা আপনাকে স্বীয় ক্ষমতার এক বিরাট নিদর্শন বানাতে চান। সুতরাং মহান আল্লাহর দিকে আপনার পূর্ণ মনঃসংযোগ করা উচিত। ( আরবী ) শব্দের অর্থ হচ্ছে আন্তরিকতা ও বিনয়ের সাথে আনুগত্য প্রকাশ করা। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছে ( আরবী ) অর্থাৎ ‘আকাশ ও পৃথিবীর সমুদয় বস্তু তাঁরই অধিকারে রয়েছে এবং প্রত্যেকেই তাঁর অনুগত।' ( ৩০:২৬ ) মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিমের একটি মারফু হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কুরআন কারীমের মধ্যে যেখানেই ( আরবী ) শব্দটি রয়েছে তারই ভাবার্থ হচ্ছে আনুগত্য স্বীকার ।' ইবনে জারীরও ( রঃ ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন কিন্তু ওর সনদে দুর্বলতা রয়েছে। হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন, হযরত মারইয়াম ( আঃ ) নামাযে এত অধিকক্ষণ দাড়িয়ে থাকতেন যে, তাঁর জানুদ্বয় ফোলে যেতো। ( আরবী ) শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে নামাযে এভাবেই লম্বা লম্বা রুকূ' করা।' হযরত হাসান বসরী ( রঃ )-এর মতে এর ভাবার্থ হচ্ছে- “ তোমার প্রভুর ইবাদতে লিপ্ত থাক এবং যারা রুকু ও সিজদা করে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও ।' হযরত আওযায়ী ( রঃ ) বলেন, হযরত মারইয়াম ( আঃ ) স্বীয় ইবাদত কক্ষে এত বেশী পরিমাণে ও এত বিনয়ের সাথে সুদীর্ঘ সময় ধরে নামায পড়তেন যে, তাঁর পদদ্বয়ে হলদে পানি নেতে আসতো।এ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী বর্ণনা করতঃ আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ হে নবী ( সঃ )! এসব ঘটনা তুমি জানতে না । আমি তোমাকে অহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলাম। আমি তোমাকে না জানালে তুমি জনগণের নিকট এসব ঘটনা কি করে পৌছাতে? কারণ, যখন এসব ঘটনা সংঘটিত হয় তখন তুমি তো তথায় উপস্থিত ছিলে না। কিন্তু আমি ঐগুলো তোমাকে এমনভাবে জানিয়ে দিলাম যে, যেন তুমি স্বয়ং তথায় ছিলে’। যখন হযরত মারইয়ামের লালন-পালনের ব্যাপার নিয়ে একে অপরের উপর অগ্রাধিকার লাভের চেষ্টা করছিল, সবাই ঐ পুণ্য লাভের আকাংখী ছিল, সে সময় তার মা তাঁকে নিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর মসজিদে উপস্থিত হন। সে সময় তথাকার সেবক ছিলেন হযরত মূসা ( আঃ )-এর ভাই হযরত হারূনের ( আঃ ) বংশের লোকগণ। হ্যরত মারইয়াম ( আঃ )-এর মা তাদেরকে বলেনঃ “ আমি আমার প্রতিজ্ঞানুসারে আমার এ কন্যাকে আল্লাহ তা'আলার নামে আযাদ করে দিয়েছি । সুতরাং আপনারা তার রক্ষণাবেক্ষণের ভার গ্রহণ করুন। এটা তো স্পষ্ট যে, সে একটি মেয়ে এবং ঋতুবর্তী মেয়েদের মসজিদে প্রবেশ যে নিষিদ্ধ এটাও কারও অজানা নেই। সুতরাং এর যা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় তা আপনারাই করুন। আমি কিন্তু একে বাড়ী ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারি না।' হযরত ইমরান ( আঃ ) তথাকার নামাযের ইমাম ও কুরবানীর পরিচালক ছিলেন। আর হযরত মারইয়াম ( আঃ ) ছিলেন তারই কন্যা। কাজেই সবাই তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণের জন্যে আগ্রহী ছিলেন। এ দিকে হযরত যাকারিয়া ( আঃ ) তাঁর অগ্রাধিকার প্রমাণ করতে গিয়ে বলেন‘এর সাথে আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। কেননা, আমি তার খালু। সুতরাং মেয়েটিকে আমারই পাওয়া উচিত। কিন্তু অন্যেরা তাতে সম্মত না হওয়ায় অবশেষে নির্বাচনের গুটিকা নিক্ষেপ করা হয় এবং তাতে তাঁরা ঐসব লেখনী নিক্ষেপ করেন যেগুলো দিয়ে তাওরাত লিখতেন। এতে হযরত যাকারিয়ারই ( আঃ ) নাম উঠে। কাজেই তিনি ঐ সৌভাগ্যের অধিকারী হন। অন্য বিস্তারিত বর্ণনায় এও রয়েছে যে, তারা জর্দান নদীতে গিয়ে তাদের কলমগুলো পানিতে নিক্ষেপ করেন। কথা হয় যে, স্রোতের মুখে যাদের কলম চলতে থাকবে তারা নয় বরং যার কলম স্থির থাকবে সেই তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণ করবে। অতঃপর তারা কলমগুলো পানিতে নিক্ষেপ করলে সবারই কলম চলতে থাকে, শুধুমাত্র হযরত যাকারিয়া ( আঃ )-এর কলম স্থির থাকে। বরং ওটা স্রোতের বিপরীত দিকে চলতে থাকে। কাজেই একে তো গুটিকায় তার নাম উঠেছিল, দ্বিতীয়তঃ তিনি তাঁর আত্মীয় ছিলেন। তাছাড়া তিনি সবারই নেতা, ইমাম, আলেম এবং সর্বোপরি নবী ছিলেন। অতএব তাঁরই উপরে হযরত মারইয়াম ( আঃ )-এর দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়।

সূরা আলে-ইমরান আয়াত 44 সূরা

ذلك من أنباء الغيب نوحيه إليك وما كنت لديهم إذ يلقون أقلامهم أيهم يكفل مريم وما كنت لديهم إذ يختصمون

سورة: آل عمران - آية: ( 44 )  - جزء: ( 3 )  -  صفحة: ( 55 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে; অথচ জাহান্নাম কাফেরদেরকে ঘেরাও করছে।
  2. আমি আপনার প্রতি যে কিতাব প্রত্যাদেশ করেছি, তা সত্য-পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়ন কারী নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর
  3. ইতিপূর্বে মূসা (আঃ) যেমন জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন, (মুসলমানগন, ) তোমরাও কি তোমাদের রসূলকে তেমনি প্রশ্ন করতে
  4. তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়, সে যদি কিছু ধন-সম্পদ ত্যাগ করে যায়, তবে
  5. তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরগণ। আপনি তাদেরকে দেখে মনে করবেন যেন বিক্ষিপ্ত মনি-মুক্তা।
  6. আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না, যে তাদেরকে সাহায্য করবে। আল্লাহ তা’আলা যাকে
  7. অতঃপর আমি তাদেরকে পুনরত্থিত করি, একথা জানার জন্যে যে, দুই দলের মধ্যে কোন দল তাদের
  8. কেবল তারাই আমার আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান আনে, যারা আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশপ্রাপ্ত হয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে
  9. আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনেনা।
  10. এমনিভাবে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ আপনার প্রতি ও আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আলে-ইমরান ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Imran mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Imran শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers