কোরান সূরা আনফাল আয়াত 44 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Anfal ayat 44 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আনফাল আয়াত 44 আরবি পাঠে(Anfal).
  
   

﴿وَإِذْ يُرِيكُمُوهُمْ إِذِ الْتَقَيْتُمْ فِي أَعْيُنِكُمْ قَلِيلًا وَيُقَلِّلُكُمْ فِي أَعْيُنِهِمْ لِيَقْضِيَ اللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا ۗ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ﴾
[ الأنفال: 44]

আর যখন তোমাদেরকে দেখালেন সে সৈন্যদল মোকাবেলার সময় তোমাদের চোখে অল্প এবং তোমাদেরকে দেখালেন তাদের চোখে বেশী, যাতে আল্লাহ সে কাজ করে নিতে পারেন যা ছিল নির্ধারিত। আর সব কাজই আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌছায়। [সূরা আনফাল: 44]

Surah Al-Anfal in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anfal ayat 44


আর স্মরণ করো! তিনি তোমাদের কাছে তাদের দেখিয়ে-ছিলেন, যখন তোমরা মুখোমুখি হয়েছিলে, তোমাদের চোখে অল্পসংখ্যক, আর তিনি তোমাদের করেছিলেন স্বল্পসংখ্যক তাদের চোখে, এইজন্য যেন আল্লাহ্ ব্যাপার একটা ঘটাতে পারেন যা ঘটেই গেছে। আর আল্লাহ্‌র কাছেই সব ব্যাপার ফিরিয়ে আনা হয়।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৪. হে মু’মিনগণ! তোমরা স্মরণ করো সে সময়ের কথা যখন আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যুদ্ধের সময় মুশরিকদের সংখ্যা কম দেখিয়েছেন। তাই তোমরা যুদ্ধে অংশগ্রহণে সাহসী হয়েছো। তেমনিভাবে তিনি তোমাদেরকেও তাদের চোখে কম দেখিয়েছেন যাতে তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধে অগ্রসর হয় এবং ফিরে যাওয়ার চিন্তা না করে। যাতে আল্লাহ তা‘আলা এমন একটি ব্যাপারে ফায়সালা করে ফেলেন যা অবধারিত ছিলো। তা হলো হত্যা ও বন্দী করার মাধ্যমে মুশরিকদের থেকে প্রতিশোধ নেয়া এবং শত্রæর উপর বিজয় ও সাহায্যের মাধ্যমে মু’মিনদেরকে নিয়ামত দেয়া। বস্তুতঃ এক আল্লাহর দিকেই সব কিছুর প্রত্যাবর্তন হবে। তিনি তখন সকল অপকর্মকারীকে তার অপকর্মের এবং সৎকর্মশীলকে তার সৎকর্মের প্রতিদান দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


)স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিলে, তখন তিনি তাদেরকে তোমাদের দৃষ্টিতে স্বল্প-সংখ্যক দেখিয়েছিলেন এবং তোমাদেরকেও তাদের দৃষ্টিতে স্বল্প-সংখ্যক দেখিয়েছিলেন; [১] যাতে যা ঘটার ছিল তা তিনি সম্পন্ন করেন। [২] আর সব বিষয় আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়ে থাকে। [১] যাতে সেই কাফেররাও তোমাদের ভয়ে পিছু হটে না যায়। প্রথম ঘটনাটি ছিল স্বপ্নের। আর এটা ঠিক লড়াইয়ের সময় দেখানো হয়েছিল, যেমন কুরআনের শব্দাবলী হতে এ কথা স্পষ্ট হয়। পরন্তু এই ব্যাপারটি শুরুর দিকে ছিল। কিন্তু যখন পূর্ণভাবে লড়াই আরম্ভ হয়ে গেল তখন কাফেররা মুসলিমদেরকে নিজেদের দ্বিগুণ দেখতে পেল; যেমন সূরা আলে ইমরানের ৩:১৩নং আয়াত থেকে সে কথা জানা যায়। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে সংখ্যা বেশী দেখাবার হিকমত এই ছিল যে, যাতে অধিক সংখ্যা দেখে তাদের অন্তরে মুসলিমদের ত্রাস ও ভীতি সঞ্চার হয় এবং তার ফলে কাফেরদের মধ্যে কাপুরুষতা, ভীরুতা ও নিরুদ্যমতা এসে যায়। আর এর বিপরীত প্রথমে কম সংখ্যা দেখানোতে হিকমত এটাই ছিল যে, তারা যেন যুদ্ধ থেকে দূরে সরে না পড়ে।[২] এসবের উদ্দেশ্য ছিল যে, আল্লাহ তাআলা যে ফায়সালা করে রেখেছিলেন তা পূরণ হয়ে যায়। এই জন্য তিনি তার কারণ ও উপকরণ সৃষ্টি করে দিলেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিলে তখন তিনি তাদেরকে তোমাদের দৃষ্টিতে স্বল্প সংখ্যক দেখিয়েছিলেন [] এবং তোমাদেরকে তাদের দৃষ্টিতে স্বল্প সংখ্যক দেখিয়েছিলেন, যাতে আল্লাহ্‌ সম্পন্ন করেন এমন কাজ যা ঘটারই ছিল। আর আল্লাহ্‌র দিকেই সব বিষয় প্রত্যাবর্তন করা হয়। [] আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ বলেন, বদরের দিন কাফেরদেরকে আমাদের দৃষ্টিতে কম করে দেখানো হয়েছিল। এমনকি আমার পাশের লোককে বলছিলাম যে, তুমি তাদের সংখ্যা সত্তর দেখতে পাও? সে বললঃ আমি একশত দেখতে পাচ্ছি। আব্দুল্লাহ বলেনঃ শেষে আমরা তাদের একজনকে বন্দী করে জিজ্ঞাসা করলে সে তাদের সংখ্যা এক হাজার বলে জানায়। [ তাবারী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪৩-৪৪ নং আয়াতের তাফসীর: মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে স্বপ্নে মুশরিকদের সংখ্যা খুবই কম দেখান। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সাহাবীবর্গের নিকট তা বর্ণনা করেন। এটা যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের পাগুলো অটল থাকার কারণ হয়ে যায়। কোন কোন বুযুর্গ ব্যক্তি বলেন যে, মুশরিকদের সংখ্যা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর ঐ চোখে কম দেখানো হয় যে চোখে তিনি দ্রিা যেতেন। কিন্তু এটা গারীব বা দুর্বল কথা। কেননা, কুরআন কারীমে যখন ( আরবী ) শব্দ রয়েছে তখন বিনা দলীলে ওর এরূপ ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন কি? সম্ভাবনা ছিল যে, মুশরিকদের সংখ্যাধিক্য মুসলমানদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করতো এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করবেন কি করবেন না এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হতো। আল্লাহ তা'আলা এটা থেকে তাদেরকে বাঁচিয়ে দিলেন এবং মুশরিকদের সংখ্যা কম দেখালেন। আল্লাহ পাক অন্তরের গুপ্ত কথা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত। তিনি চক্ষুর খিয়ানত ও অন্তরের গুপ্ত রহস্য জানেন। তিনি এই দয়াও দেখালেন যে, মুসলমানদের দৃষ্টিতে যুদ্ধের সময়েও মুশরিকদের সংখ্যা কম দেখালেন, যাতে তারা বীরবিক্রমে যুদ্ধ করেন। এবং তাদেরকে খুবই নগণ্য মনে করেন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) বলেন, আমি আমার সঙ্গীকে মুশরিকদের আনুমানিক সংখ্যা বললাম যে, তারা প্রায় ৭০ ( সত্তর ) জন হবে। আমার সাথী তখন পূর্ণভাবে অনুমান করে বললেনঃ “ না, তারা প্রায় ১০০ ( একশ' ) জন হবে ।” অতঃপর তাদের একজন লোক আমাদের হাতে বন্দী হয়। তাকে আমরা জিজ্ঞেস করলাম, তোমরা কতজন রয়েছে? সে উত্তরে বললোঃ “ আমাদের সৈন্যসংখ্যা এক হাজার ।( এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) ও ইবনে জারীর ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)

সূরা আনফাল আয়াত 44 সূরা

وإذ يريكموهم إذ التقيتم في أعينكم قليلا ويقللكم في أعينهم ليقضي الله أمرا كان مفعولا وإلى الله ترجع الأمور

سورة: الأنفال - آية: ( 44 )  - جزء: ( 10 )  -  صفحة: ( 182 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যেদিন মানুষ দাঁড়াবে বিশ্ব পালনকর্তার সামনে।
  2. ছোয়াদ। শপথ উপদেশপূর্ণ কোরআনের,
  3. আর আপনি তাদের অনেককে দেখবেন যে, দৌড়ে দৌড়ে পাপে, সীমালঙ্ঘনে এবং হারাম ভক্ষনে পতিত হয়।
  4. সজোরে প্রবাহিত ঝটিকার শপথ,
  5. চতুস্পদ জন্তুসমূহের মধ্যে তোমাদের জন্যে নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত উপকার রয়েছে। অতঃপর এগুলোকে পৌছাতে হবে মুক্ত গৃহ
  6. কেবল একটি মহানাদের অপেক্ষা করছে, যাতে দম ফেলার অবকাশ থাকবে না।
  7. তাদের মন্দ কর্ম গুলো তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং যে আযাব নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ
  8. তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ
  9. আর যখন কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এ সূরা তোমাদের মধ্যেকার
  10. অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, কোথায় গেল যাদেরকে তোমরা শরীক করতে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনফাল ডাউনলোড করুন:

সূরা Anfal mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anfal শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আনফাল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আনফাল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আনফাল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আনফাল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আনফাল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আনফাল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আনফাল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আনফাল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আনফাল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আনফাল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আনফাল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আনফাল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আনফাল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আনফাল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আনফাল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আনফাল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আনফাল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আনফাল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আনফাল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আনফাল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আনফাল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আনফাল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আনফাল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আনফাল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আনফাল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, July 16, 2024

Please remember us in your sincere prayers