কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 46 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 46 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 46 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَاقُو رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُونَ﴾
[ البقرة: 46]

যারা একথা খেয়াল করে যে, তাদেরকে সম্মুখীন হতে হবে স্বীয় পরওয়ারদেগারের এবং তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে। [সূরা বাকারাহ্: 46]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 46


যারা স্মরণ রাখে যে তারা নিশ্চয়ই তাদের প্রভুর সাথে মোলাকাত করতে যাচ্ছে, আর তারা অবশ্যই তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তনকারী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৬. কারণ, তারা এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে যে, তাদেরকে একদা তাদের প্রতিপালকের নিকট যেতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাঁর সামনে উপস্থিত হতে হবে। সেখানে তিনি তাদেরকে তাদের আমলগুলোর প্রতিদান দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


( তারাই বিনীত ), যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে যে, তাদের প্রতিপালকের সাথে তাদের সাক্ষাৎকার ঘটবে এবং তারই দিকে তারা ফিরে যাবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যারা বিশ্বাস করে যে, নিশ্চয় তাদের রবের সাথে তাদের সাক্ষাত ঘটবে এবং নিশ্চয় তারা তাঁরই দিকে ফিরে যাবে []। [] আয়াতে বর্ণিত ( ظَنُّ ) শব্দটির অর্থ, মনে করা বা ধারনা করা। কিন্তু মুজাহিদ বলেন, কুরআনে যেখানে ( ظَنُّ ) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে সেখানেই নিশ্চিত জ্ঞানের অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। [ তাবারী, ইবনে কাসীর ] তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ( ظَنُّ ) শব্দটি ( يَقِيْنٌ ) এর অর্থে ব্যবহৃত হলেও সব স্থানেই যে এই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ব্যাপারটি এমন নয়, যেমন, সূরা আল-জাসিয়াহ ২৪, সূরা আল-বাকারাহ: ৭৮, সূরা আন-নিসা ১৫৭, সূরা আলআন’আম:১১৬ [ আত-তাফসীরুস সহীহ ] তবে এখানে সমস্ত মুফাসসিরের মতেই ( ظَنُّ ) শব্দটি ( يَقِيْنٌ ) বা নিশ্চিত বিশ্বাসের অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। [ আদওয়াউল বায়ান ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪৫-৪৬ নং আয়াতের তাফসীর এ আয়াতে মানুষকে দুনিয়া ও আখেরাতের কাজে ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে।কর্তব্য পালন করতে এবং নামায পড়তে বলা হয়েছে। রোযা রাখাও হচ্ছে ধৈর্য ধারণ করা। এ জন্যেই রমযান মাসকে ধৈর্যের মাস বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ রোযা অর্ধেক ধৈর্য । ধৈর্যের ভাবার্থ পাপের কাজ হতে বিরত থাকাও বটে। এ আয়াতে যদি ধৈর্যের ভাবার্থ এটাই হয়ে থাকে তবে মন্দ কাজ হতে বিরত থাকাও পুণ্যের কাজ করা এ দুটোরই বর্ণনা হয়ে গেছে। পুণ্যের কার্যসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে নামায। হযরত উমার ( রাঃ ) বলেনঃ ধৈর্য দু'প্রকার। ( ১ ) বিপদের সময় ধৈর্য, ( ২ ) পাপের কাজ হতে বিরত থাকার ব্যাপারে ধৈর্য। দ্বিতীয় ধৈর্য প্রথম ধৈর্য হতে উত্তম।' হযরত সাঈদ বিন যুবাইর ( রঃ ) বলেনঃ প্রত্যেক জিনিস আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে মানুষের এটা স্বীকার করা, পুণ্য প্রার্থনা করা এবং বিপদের প্রতিদানের ভাণ্ডার আল্লাহর নিকটে আছে এ মনে করার নাম ধৈর্য।' আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজে ধৈর্যধারণ করলেও আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করা হয়। পুণ্যের কাজে নামায দ্বারা বিশেষ সাহায্য পাওয়া যায়। স্বয়ং কুরআন মাজীদে ঘোষিত হয়েছেঃ “ তোমরা নামায প্রতিষ্ঠিত কর, নিশ্চয় এ নামায সমুদয় নির্লজ্জ ও অশোভনীয় কাজ হতে বিরত রাখে, আর আল্লাহর স্মরণই হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম বস্তু ।' হযরত হুযাইফা ( রাঃ ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) যখনই কোন কঠিন ও চিন্তাযুক্ত কাজের সম্মুখীন হতেন তখনই তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে যেতেন।খন্দকের যুদ্ধে রাতের বেলায় হযরত হুযাইফা ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর খেদমতে হাজির হলে তাকে নামাযে দেখতে পান। হযরত আলী ( রাঃ ) বলেনঃ বদর যুদ্ধের রাত্রে আমরা সবাই শুয়ে গেছি, আর দেখি যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সারা রাত নামাযে রয়েছেন। সকাল পর্যন্ত তিনি নামায ও প্রার্থনায় লেগে রয়েছেন। তাফসীর-ই-ইবনে জারীরে আছে যে, নবী করীম ( সঃ ) হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ )-কে দেখতে পান যে, তিনি ক্ষুধার জ্বালায় পেটের ব্যাথায় ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন। তিনি ফারসী ভাষায় তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ ‘তোমার পেটে কি ব্যথা আছে?' তিনি বলেনঃ হাঁ।' রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ ‘উঠো, নামায আরম্ভ কর, এতে রোগমুক্তি রয়েছে হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস ( রাঃ ) সফরে তার ভাই কাসামের ( রাঃ ) মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ( আরবি ) ( ২:১৫৬ ) পাঠ করতঃ পথের এক ধারে সরে গিয়ে উটকে বসিয়ে দেন এবং নামায শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ নামায পড়ার পর সাওয়ারীর নিকট আসেন এবং এই আয়াত দু’টি পড়তে থাকেন। মোটকথা ধৈর্য ও নামায এ দু'টো দ্বারা আল্লাহর করুণা লাভ করা যায়।( আরবি )-এর ( আরবি ) সর্বনামটি কেউ কেউ ( আরবি )-এর দিকে ফিরিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেন যে, এর ( আরবি ) হচ্ছে ( আরবি ) অর্থাৎ ( আরবি ) শব্দটি। যেমন কারূণের ঘটনায় ( আরবি )-এর ( আরবি ) সর্বনামটি এবং মন্দের বিনিময়ে ভাল করার হুকুমে ( আরবি ) এর ( আরবি ) সর্বনামটি। ভাবার্থ এই যে, ধৈর্য ও নামায এ দু'টি প্রত্যেকের সাধ্যের মধ্যে নয়। এ অংশ হচ্ছে ঐ দলের জন্যে যারা আল্লাহকে ভয় করে থাকে। অর্থাৎ কুরআনকে মান্যকারী সত্য মুমিন, বিনয়ী, আনুগত্য স্বীকারকারী এবং জান্নাতের অঙ্গীকার ও জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শনের উপর বিশ্বাস স্থাপনকারীরগণই এ বিশেষণে বিশেষিত হবে। যেমন হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেনঃ ‘এটা খুব কঠিন কাজ। কিন্তু যার উপরে আল্লাহর অনুগ্রহ হয় তার জন্যে সহজ। ইবনে জারীর ( রঃ ) আয়াতটির অর্থ করতে গিয়ে বলেন যে, এটাও ইয়াহুদীদেরকে লক্ষ্য করেই বলা হয়েছে। কিন্তু স্পষ্ট কথা এই যে, বর্ণনাটি তাদের জন্যে হলেও। আদেশ হিসেবে সাধারণ। আল্লাহই সবচেয়ে বেশী জানেন। বিনয়ীগণ সামনে এগিয়ে ( আরবি )-এর বিশেষণ বর্ণনা করা হয়েছে, এখানে ধারণা অর্থ বিশ্বাস, যদিও এটা সন্দেহের অর্থেও এসে থাকে। যেমন ( আরবি ) শব্দটি অন্ধকারের অর্থেও আসে এবং আলোর অর্থেও আসে। অনুরূপভাবে ( আরবি ) শব্দটি অভিযোগকারী ও অভিযোগের প্রতিকারকারী উভয়ের জন্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এরকম আরও বহু শব্দ আছে যেগুলো দু'টি বিভিন্ন জিনিসের উপর ব্যবহৃত হয়ে থাকে ( আরবি ) শব্দটি ( আরবি ) এ অর্থে ব্যবহার আরব কবিদের কবিতায়ও দেখা যায়। স্বয়ং কুরআন মাজীদেরই অন্য স্থানে আছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ ‘পাপীরা জাহান্নাম দেখে বিশ্বাস করে নেবে যে, নিশ্চয় তারা তার মধ্যে পতিত হয়ে যাবে।' ( ১৮:৫৩ ) এখানেও ( আরবি ) শব্দটি ( আরবি ) অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এমন কি হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, কুরআন মাজীদের মধ্যে এরকম প্রত্যেক জায়গাতে শব্দটি ( আরবি )-এর ( আরবি ) অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।আবুল আলিয়াও ( রঃ ) এখানে ( আরবি )-এর অর্থ ( আরবি ) করে থাকেন। হযরত মুজাহিদ ( রঃ ), সুদ্দী ( রঃ ), রাবী' বিন আনাস ( রঃ ) এবং কাতাদারও ( রঃ ) মত এটাই। ইবনে জুরাইযও ( রঃ ) এ কথাই বলেন। কুরআন মাজীদের অন্য জায়গায় আছেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ আমার বিশ্বাস ছিল যে, আমাকে হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে ( ৬৯:২০ )।একটি সহীহ হাদীসে আছে যে, কিয়ামতের দিন এক পাপীকে আল্লাহ তা'আলা বলবেন-“ আমি কি তোমাকে স্ত্রী ও সন্তানাদি দেইনি? তোমার প্রতি কি নানা প্রকারের অনুগ্রহ করিনি, ঘোড়া ও উটকে কি তোমার অধীনস্থ করিনি? তোমাকে কি শান্তি, আরাম, আহার্য ও পানীয় দেইনি? সে বলবে-হা', হে প্রভু! এ সব কিছুই ছিল, তখন আল্লাহ বলবেন-“তবে তোমার কি এই জ্ঞান ও বিশ্বাস ছিল না যে, তোমাকে আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে? সে বলবে-হাঁ, হে প্রভু! এর প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল । আল্লাহ বলবেন-“ তুমি যেমন আমাকে ভুলে গিয়েছিলে তেমনই আমিও তোমাকে ভুলে গেলাম । এ হাদীসেও ( আরবি ) এ শব্দটি এসেছে এবং ( আরবি )-এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এর আরও বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা ইনশাআল্লাহ ( আরবি ) ( ৫৯:১৯ )-এর তাফসীরে আসবে।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 46 সূরা

الذين يظنون أنهم ملاقو ربهم وأنهم إليه راجعون

سورة: البقرة - آية: ( 46 )  - جزء: ( 1 )  -  صفحة: ( 7 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অপরাধীরা আগুন দেখে বোঝে নেবে যে, তাদেরকে তাতে পতিত হতে হবে এবং তারা তা থেকে
  2. যখন তারা জাহান্নামে পরস্পর বিতর্ক করবে, অতঃপর দূর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, আমরা তোমাদের অনুসারী ছিলাম। তোমরা
  3. এবং অন্তরে যা আছে, তা অর্জন করা হবে?
  4. এর সাতটি দরজা আছে। প্রত্যেক দরজার জন্যে এক একটি পৃথক দল আছে।
  5. অতঃপর আমি তা রেখেছি এক সংরক্ষিত আধারে,
  6. হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি
  7. অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দুঃখিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং
  8. বলেছিঃ আমার দেয়া পবিত্র বস্তুসমূহ খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না, তা হলে তোমাদের উপর
  9. অতঃপর যখন আমাকে রাগাম্বিত করল তখন আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিলাম এবং নিমজ্জত করলাম।
  10. বলুনঃ তাদের কথামত যদি তাঁর সাথে অন্যান্য উপাস্য থাকত; তবে তারা আরশের মালিক পর্যন্ত পৌছার

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, May 17, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب