কোরান সূরা ক্বামার আয়াত 46 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Qamar ayat 46 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ক্বামার আয়াত 46 আরবি পাঠে(Al Qamar).
  
   

﴿بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهَىٰ وَأَمَرُّ﴾
[ القمر: 46]

বরং কেয়ামত তাদের প্রতিশ্রুত সময় এবং কেয়ামত ঘোরতর বিপদ ও তিক্ততর। [সূরা ক্বামার: 46]

Surah Al-Qamar in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Qamar ayat 46


বস্তুত ঘড়িঘন্টাই তাদের নির্ধারিত স্থানকাল, আর সেই ঘড়িঘন্টা হবে অতি কঠোর ও বড় তিক্ত।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৬. বরং তাদের আসল শাস্তির জায়গা ওই কিয়ামত দিবস যা তারা অস্বীকার করে। আর কিয়ামত দিবস বদর যুদ্ধে তাদের পাওয়া শাস্তি অপেক্ষা সমধিক ভয়াবহ ও কঠিন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


বরং কিয়ামত তাদের শাস্তির নির্ধারিতকাল। আর কিয়ামত হবে কঠিনতর ও তিক্ততর। [১] [১] أَدْهَى শব্দটি دَهَاءٌ থেকে গঠিত। কঠিন অপমানকারী। أَمَرُّ শব্দটি مَرَارَةٌ থেকে গঠিত, অতি তিক্ত। অর্থাৎ, দুনিয়াতে এদেরকে যে হত্যা এবং বন্দী ইত্যাদি করা হয়েছে, এটাই এদের শেষ শাস্তি নয়, বরং এর থেকেও আরো অনেক কঠিন শাস্তি তাদেরকে কিয়ামতের দিন দেওয়া হবে, যার প্রতিশ্রুতি এদের সাথে করা হয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


বরং কিয়ামত তাদের শাস্তির নির্ধারিত সময়। আর কিয়ামত হবে কঠিনতর ও তিক্তকর [] ; [] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর এ আয়াত নাযিল হয়েছিল তখন আমি এত ছোট ছিলাম যে, খেলা-ধুলা করতাম। [ বুখারী: ৪৮৭৬ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪১-৪৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা ফিরাউন ও তার সম্প্রদায়ের ঘটনা এখানে বর্ণনা করছেন। তাদের কাছে আল্লাহর রাসূল হযরত মূসা ( আঃ ) হযরত হারূন ( আঃ ) এই খবর শুনাতে আসলেন যে, তারা ঈমান আনলে তাদের জন্যে ( জান্নাতের ) সুসংবাদ রয়েছে এবং কুফরী করলে ( জাহান্নামের ) ভয় রয়েছে। তাদেরকে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে বড় বড় মু'জিযা ও নিদর্শন প্রদান করা হয়। ওগুলো ছিল তাদের নবুওয়াতের সত্যতার পুরোপুরি দলীল। কিন্তু তারা সবকিছুই অবিশ্বাস করে। ফলে তাদের উপর আল্লাহর শাস্তি নেমে আসে এবং তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দেয়া হয়।এরপর বলা হচ্ছেঃ হে কুরায়েশ মুশরিকের দল! তোমরা কি ঐ ফিরাউন ও তার সম্প্রদায় অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ? না, বরং তারাই তোমাদের অপেক্ষা বহুগুণে শক্তিশালী ছিল। তাদের দলবলও ছিল তোমাদের চেয়ে বহুগুণে বেশী। তারাও যখন আল্লাহর আযাব হতে পরিত্রাণ পায়নি, তখন তোমরা আবার কি? তোমাদেরকে ধ্বংস করা তাঁর কাছে অতি সহজ। তোমরা কি ধারণা করছে যে, আল্লাহর কিতাবসমূহে তোমাদের মুক্তিদানের কথা লিখিত রয়েছে? কিতাবে কি এটা লিখা আছে যে, তাদের কুফরীর কারণে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে এবং তোমরা কুফরী করতে থাকবে, আর তোমাদেরকে কোনই শাস্তি দেয়া হবে না? তোমরা কি মনে করছে যে, তোমরা দলের দল রয়েছে, সুতরাং তোমাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে তোমাদের কোনই ক্ষতি হবে না?মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ এই দল তো শীঘ্রই পরাজিত হবে প্রদর্শন করবে।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, বদরের যুদ্ধের দিন নবী ( সঃ ) দু'আ করছিলেনঃ “ হে আল্লাহ! আমি আপনাকে আপনার প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি! হে আল্লাহ! যদি আপনার ইচ্ছা এটাই থাকে যে, আজকের দিনের পর ভূ-পৃষ্ঠে আপনার ইবাদত আর কখনো করা হবে না ।” তিনি এটুকুই বলেছিলেন এমতাবস্থায় হযরত আবু বকর ( রাঃ ) তাঁর হাতখানা ধরে ফেলেন এবং বলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! যথেষ্ট হয়েছে । আপনি আপনার প্রতিপালকের কাছে খুবই অনুনয় বিনয় করেছেন।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁবু হতে বেরিয়ে আসলেন এবং তাঁর মুখে ( আরবী ) -এ দু’টি আয়াত উচ্চারিত হচ্ছিল। হযরত উমার ( রাঃ ) বলেনঃ “ এ আয়াত অবতীর্ণ হবার সময় এর দ্বারা কোন্ জামাআতকে বুঝানো হয়েছে তা আমি চিন্তা করছিলাম । বদরের যুদ্ধের দিন যখন আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বর্ম পরিহিত হয়ে স্বীয় শিবির হতে বের হতে দেখলাম তখন ঐ আয়াতের তাফসীর আমার বোধগম্য হয়।” ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ যে সময় আমি অতি অল্প কসের বালিকা ছিলাম এবং আমার সঙ্গীনিদের সাথে খেলা করতাম ঐ সময় ( আরবী )-এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় ।" ( ইমাম বুখারী (রঃ ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এটা সহীহ বুখারীতে ফাযায়েলুল কুরআনের অধ্যায়ে দীর্ঘভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম মুসলিম ( রঃ ) এটা তাখরীজ করেননি)

সূরা ক্বামার আয়াত 46 সূরা

بل الساعة موعدهم والساعة أدهى وأمر

سورة: القمر - آية: ( 46 )  - جزء: ( 27 )  -  صفحة: ( 530 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তাদের জন্যে উপর দিক থেকে এবং নীচের দিক থেকে আগুনের মেঘমালা থাকবে। এ শাস্তি দ্বারা
  2. যখন তিনি কামরার ভেতরে নামাযে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন ফেরেশতারা তাঁকে ডেকে বললেন যে, আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ
  3. পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে।
  4. তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।
  5. তারা ওদের দিকে মুখ করে বললঃ তোমাদের কি হারিয়েছে?
  6. এবং তারা ইতি পূর্বে যা গোপন করত, তা তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়েছে। যদি তারা
  7. সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে আশ্বাস দেয়। শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সব
  8. অতঃপর মূসা যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে পৌছল, তখন তারা বলল, এতো অলীক
  9. যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ প্রাসাদে স্থান দেব,
  10. আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ক্বামার ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Qamar mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Qamar শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ক্বামার  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ক্বামার  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ক্বামার  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ক্বামার  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ক্বামার  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ক্বামার  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ক্বামার  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ক্বামার  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ক্বামার  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ক্বামার  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ক্বামার  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ক্বামার  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ক্বামার  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ক্বামার  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ক্বামার  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ক্বামার  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ক্বামার  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ক্বামার  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ক্বামার  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ক্বামার  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ক্বামার  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ক্বামার  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ক্বামার  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ক্বামার  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ক্বামার  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers