কোরান সূরা শূরা আয়াত 47 তাফসীর
﴿اسْتَجِيبُوا لِرَبِّكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ يَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهُ مِنَ اللَّهِ ۚ مَا لَكُم مِّن مَّلْجَإٍ يَوْمَئِذٍ وَمَا لَكُم مِّن نَّكِيرٍ﴾
[ الشورى: 47]
আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে অবশ্যম্ভাবী দিবস আসার পূর্বে তোমরা তোমাদের পালনকর্তার আদেশ মান্য কর। সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তা নিরোধকারী কেউ থাকবে না। [সূরা শূরা: 47]
Surah Ash_shuraa in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah shura ayat 47
তোমাদের প্রভুর প্রতি সাড়া দাও সেইদিন আসার আগে যাকে আল্লাহ্র কাছ থেকে ফেরানো যাবে না। তোমাদের জন্য সেইদিন কোনো আশ্রয়স্থল থাকবে না, আর তোমাদের জন্য রইবে না কোনো ধরনের অস্বীকারকরণ।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৪৭. হে লোক সকল! তোমরা গড়িমসি না করে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্য করতে অপ্রতিরুদ্ধ কিয়ামত দিবস আসার পূর্বেই তোমাদের রবের ডাকে জলদি সাড়া দাও। তোমাদের এমন কোন আশ্রয়স্থল নেই যেখানে তোমরা আশ্রয় গ্রহণ করবে। আর না তোমাদের এমন কোন সুযোগ রয়েছে যার ফাঁকে তোমরা দুনিয়াতে তোমাদের কৃত পাপের কথা অস্বীকার করবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
আল্লাহর নির্ধারিত সেই দিন আসার পূর্বে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের আহবানে সাড়া দাও, যা রদ্দ হবার নয়।[১] সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং লুকিয়ে নিখোঁজ হওয়ার স্থানও না। [২] [১] অর্থাৎ, যাকে রোধ করার এবং রদ্দ করার শক্তি কারো নেই।[২] অর্থাৎ, তোমাদের জন্য কোন এমন স্থান হবে না, যেখানে তোমরা লুকিয়ে নিখোঁজ ও পরিচয়হীন হয়ে যাবে অথবা দৃষ্টিগোচর হবে না। যেমন অন্যত্র বলেন, {يَقُوْلُ الْإِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ اَيْنَ الْمَفَرُّ، كَلاَّ لاَ وَزَرَ، إِلَى رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمُسْتَقَرّ}ُ অর্থাৎ, সেদিন মানুষ বলবে, পলায়নের জায়গা কোথায়? না, কোন আশ্রয়স্থল নেই। তোমার পালনকর্তার কাছেই সেদিন ঠাঁই হবে। ( সূরা ক্বিয়ামাহ ৭৫:১০-১২ ) অথবা نَكِير অর্থ, ইনকার ( অস্বীকার ) করা। অর্থাৎ, তোমরা নিজেদের পাপসমূহকে অস্বীকার করতে পারবে না। কারণ, প্রথমতঃ সবকিছুই লিখিত থাকবে। দ্বিতীয়তঃ স্বয়ং মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও সাক্ষ্য দেবে। কিংবা যে আযাব তোমাদেরকে তোমাদের পাপের কারণে দেওয়া হবে, তোমরা সেই আযাবকে অস্বীকার করতে পারবে না। কেননা, পাপ স্বীকার করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
তোমরা তোমাদের রবের ডাকে সাড়া দাও আল্লাহর পক্ষ থেকে সে দিন আসার আগে, যা অপ্রতিরোধ্য; যেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তোমাদের কোন অস্বীকার থাকবে না [ ১ ]।
[ ১ ] আয়াতের শেষে مِّنْ نَّكِيْرٍ বলে কি বোঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কয়েকটি অভিমত বর্ণিত হয়েছে। এক.
সেদিন কেউ তার অপরাধ অস্বীকার করতে পারবে না। [ জালালাইন ] দুই.
সে দিন কেউ কোনভাবেই আত্মগোপন করতে পারবে না। [ ইবন কাসীর; মুয়াসসার ] তিন.
সেদিন তার জন্য কোন সাহায্যকারী থাকবে না। [ তাবারী; সা’দী ]
সূরা শূরা আয়াত 47 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- এ সবের মধ্যে যেগুলো মন্দকাজ, সেগুলো তোমার পালনকর্তার কাছে অপছন্দনীয়।
- এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কতৃত্ব ছিল না, বরং তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।
- তাদের হিসাব নেয়া আমার পালনকর্তারই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে!
- আমি কি তাকে দেইনি চক্ষুদ্বয়,
- এই পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক বৈ তো কিছুই নয়। পরকালের গৃহই প্রকৃত জীবন; যদি তারা জানত।
- তারা পাহাড়ে নিশ্চিন্তে ঘর খোদাই করত।
- আমি মাদইয়ানবাসীদের প্রতি তাদের ভাই শোআয়বকে প্রেরণ করেছি। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা আল্লাহর
- যে ব্যাক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা
- আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি।
- আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা শূরা ডাউনলোড করুন:
সূরা shura mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি shura শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers