কোরান সূরা তূর আয়াত 49 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tur ayat 49 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তূর আয়াত 49 আরবি পাঠে(Tur).
  
   

﴿وَمِنَ اللَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَإِدْبَارَ النُّجُومِ﴾
[ الطور: 49]

এবং রাত্রির কিছু অংশে এবং তারকা অস্তমিত হওয়ার সময় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন। [সূরা তূর: 49]

Surah At-Tur in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tur ayat 49


আর রাতের বেলায়ও তবে তাঁর জপতপ করো এবং তারাগুলো ঝিমিয়ে যাবার সময়েও।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪৯. আর রাতের কিছু অংশে আপনি নিজ রবের পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর উদ্দেশ্যে নামায আদায় করুন। আর দিবস আগমনের সময় তারকারাজির অবসানের পর ফজরের নামায পড়ুন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এবং রাত্রিকালে[১] ও তারকারাজির অস্তগমনের পর[২] তার পবিত্রতা ঘোষণা কর। [১] এ থেকে 'কিয়ামুল লাইল' অর্থাৎ, তাহাজ্জুদের নামায বুঝানো হয়েছে। যে নামায নবী করীম ( সাঃ ) সারা জীবন পড়েছেন। [২] أيْ وَقْتَ إِدْبَارِهَا مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ ( রাতের শেষ প্রহরে তারকারাজি অদৃশ্য হওয়ার সময় )। এ থেকে ফজরের দু' রাকআত সুন্নতকে বুঝানো হয়েছে। নফল নামাযের মধ্যে এই দু' রাকআত নামাযের প্রতি নবী করীম ( সাঃ ) সব চাইতে বেশী যত্ন নিতেন। আর একটি বর্ণনায় এসেছে যে, তিনি ( সাঃ ) বলেছেন, " ফজরের দু' রাকআত সুন্নত পৃথিবী ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়েও শ্রেয়। " ( বুখারীঃ তাহাজ্জুদ অধ্যায়, মুসলিমঃ নামায অধ্যায় )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তাঁর পবিত্ৰতা ঘোষণা করুন রাতের বেলা [] ও তারকার অস্ত গমনের পর []। [] অর্থাৎ রাত্রে পবিত্ৰতা ঘোষণা করুন। এর অর্থ মাগরিব, ইশা এবং তাহাজ্জুদের সালাত। সাথে সাথে এর দ্বারা কুরআন তিলাওয়াত, সাধারণ তাসবীহ পাঠ এবং আল্লাহর যিকরও বুঝানো হয়েছে। [ দেখুন, কুরতুবী ] [] অর্থাৎ তারকা অস্তমিত হওয়ার পর। এখানে ফজরের সালাত ও তখনকার তাসবীহ পাঠ বোঝানো হয়েছে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, এখানে ফজরের সালাতের পূর্বের দু' রাকাআত সুন্নাত সালাতকে বুঝানো হয়েছে। এ দু' রাকাআত সালাতের ব্যাপারে হাদীসে বহু তাগীদ দেয়া হয়েছে। [ কুরতুবী ] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন সুন্নাত সালাতের ব্যাপারে ফজরের দু' রাকাআত সুন্নাত সালাতের চেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতেন না। [ বুখারী: ১১৬৯, মুসলিম: ৯৪ ] অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ ফজরের দু' রাকাআত সালাত দুনিয়া ও তাতে যা আছে তার থেকেও উত্তম” । [ মুসলিমঃ ৯৬ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৪৪-৪৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা মুশরিক ও কাফিরদের হঠকারিতার বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তারা তাদের ঔদ্ধত্য, জিদ ও হঠধর্মীতে এতো বেড়ে গেছে যে, আল্লাহর শাস্তি অনুভব করার পরেও তারা ঈমানের তাওফীক লাভ করবে না। তারা যদি দেখতে পায় যে, আকাশের কোন টুকরা শাস্তিরূপে তাদের মাথার উপর পড়ছে তবুও আল্লাহর শাস্তির সত্যতা স্বীকার করবে না। বরং স্পষ্টভাবে তারা বলবে যে, ওটা ঘন মেঘ, যা পানি বর্ষাবার জন্যে আসছে। যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী )অথাৎ “ যদি আমি তাদের জন্যে আকাশের কোন দরযা খুলেও দিই এবং তারা সেখানে আরোহণও করে তবে তখনো তারা অবশ্যই বলবেঃ আমাদের নরবন্দী করা হয়েছে, বরং আমরা যাদুকৃত হয়েছি ।( ১৫:১৪-১৫ ) অর্থাৎ তারা যে মু'জিযা দেখতে চাচ্ছে তা যদি তাদেরকে দেখিয়ে দেয়াও হয়, এমন কি যদি তাদেরকে আকাশে উঠিয়ে নেয়াও হয় তথাপি তারা কোন কথা বানিয়ে নিয়ে ওটাকে অস্বীকার করে বসবে। তাই মহান আল্লাহ স্বীয় নবী ( সাঃ )-কে সান্ত্বনা দিয়ে বলেনঃ হে নবী ( সাঃ )! তুমি তাদেরকে ছেড়ে দাও। কিয়ামতের দিন তারা নিজেরাই জানতে পারবে। সেদিন তাদের ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না। সেদিন তারা চালাক-চাতুরী সব ভুলে যাবে। আজ তারা যাদেরকে আহ্বান করছে এবং নিজেদের সাহায্যকারী মনে করছে, ঐ দিন তারা সবাই মুখ ফিরিয়ে নিবে। এমন কেউ হবে না যে তাদের সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসবে। তারা এদের পক্ষ থেকে কোন ওরও পেশ করতে পারবে না।তাদেরকে যে শুধু কিয়ামতের দিনই শাস্তি দেয়া হবে এবং এখানে তারা আরামে ও শান্তিতে থাকবে তা নয়, বরং এই দুবৃত্তদের জন্যে ওর পূর্বে দুনিয়াতেও শাস্তি অবধারিত রয়েছে। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ গুরু শাস্তির পূর্বে তাদেরকে আমি লঘু শাস্তি আস্বাদন করাববা, যাতে তারা ফিরে আসে ।( ৩২:২১ )প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহ বলেনঃ কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না। অর্থাৎ তারা যে দুনিয়াতেও ধৃত হবে তা তারা জানে না। এই অজ্ঞতাই তাদেরকে এ কাজে উত্তেজিত করে যে, তারা পাপের উপর পাপ এবং যুলুমের উপর যুলুম করতে থাকে, অতঃপর তাদেরকে পাকড়াও করা হয় এবং তারা শিক্ষাগ্রহণ করে। কিন্তু যখনই বিপদ কেটে যায় তখনই আবার তাদের হৃদয় কঠোর হয়ে যায়। কোন কোন হাদীসে আছে যে, মুনাফিকের দৃষ্টান্ত উটের মত। উটকে কেন বাধা হয় এবং খোলা হয় তা যেমন সে জানে না বা বুঝে না, অনুরূপভাবে মুনাফিককে কেন রোগগ্রস্ত করা হয় এবং কেন সুস্থ রাখা হয় তা সে জানে না। আসারে ইলাহীতে রয়েছেঃ “ আমি কতবার তোমার অবাধ্যাচরণ করবে এবং তুমি আমাকে শাস্তি দিবে না?” আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমি কতবার তোমাকে নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য দান করেছি যার তুমি খবরই রাখো না ।”এরপর আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তুমি ধৈর্যধারণ কর, তাদের দুর্ব্যবহারে ও কষ্ট প্রদানে মনক্ষুন্ন হয়ো না। তাদের পক্ষ হতে কোন বিপদে পড়ার তুমি মোটেই ভয় করো না। জেনে রেখো যে, তুমি আমার হিফাযতে রয়েছে। আমি সব সময় তোমাকে দেখছি। তোমার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমার। সমস্ত শক্র হতে তোমাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমারই উপর ন্যস্ত। অতঃপর আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে বলেনঃ “ তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর যখন তুমি শয্যা ত্যাগ কর ।' এর একটি ভাবার্থ এই বর্ণনা করা হয়েছেঃ যখন তুমি নামাযের জন্যে দাঁড়াবে তখন তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করবে। দ্বিতীয় ভাবার্থঃ যখন রাত্রে জাগ্রত হবে তখন তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস মহিমা ঘোষণা করবে। দুটো ভাবার্থই সঠিক। হাদীস শরীফে এসেছে যে, নবী ( সঃ ) নামায শুরু করেই পাঠ করতেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আপনারই প্রাপ্য, আপনার নাম কল্যাণ ও বরকতময়, আপনার মর্যাদা সমুচ্চ এবং আপনি ছাড়া কোন মা’বূদ নেই ।( এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। মুসনাদে আহমাদেও এ হাদীসটি রয়েছে)হযরত উবাদা ইবনে সামিত ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুম হতে জেগে নিম্নের কালেমাটি পাঠ করেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তার কোন অংশীদার নেই, রাজত্ব তারই ও প্রশংসাও তারই এবং তিনি সব কিছুর উপরই ক্ষমতাবান । আল্লাহ্ পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লারই জন্যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আল্লাহ সবচেয়ে বড় ও মহান, পাপকার্য হতে ফিরার ও পুণ্যকার্য সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর তাওফীক ছাড়া সম্ভব নয়।” এটা পাঠ করার পর সে ক্ষমা প্রার্থনাই করুক বা কিছু যাজ্ঞা করুক, আল্লাহ তা'আলা তা কবুল করে থাকেন। তারপর সে যদি দৃঢ় সংকল্প করে এবং অযু করে নামাযও আদায় করে তবে ঐ নামাযও কবুল করা হয়।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। সহীহ বুখারী ও সুনান গ্রন্থসমূহেও এ হাদীসটি বর্ণিত আছে)হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করার হুকুম প্রত্যেক মজলিস হতে উঠে যাওয়ার সময়ই রয়েছে। হযরত আবুল আহওয়াস ( রঃ )-এরও উক্তি এটাই যে, কেউ কোন মজলিস, হতে উঠে যাওয়ার ইচ্ছা করলে তার নিম্নলিখিত কালেমাটি পাঠ করা উচিতঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আমি আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি এবং আপনার প্রশংসা করছি ।”হযরত আবু রাবাহ ( রঃ ) বলেন যে, যদি ঐ মজলিসে ভাল কথা আলোচিত হয় তবে তো পুণ্য আরো বেড়ে যাবে। আর যদি অন্য কিছু আলোচিত হয় তবে এই কালেমা ওর কাফফারা হয়ে যাবে অর্থাৎ পাপ মোচনের কারণ হবে। ( এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু উসমান ফাকীর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছেঃ হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) রাসূলুল্লাহ( সঃ )-কে শিক্ষা দেন যে, যখন তিনি কোন মজলিস হতে উঠে যাবেন তখন যেন পাঠ করেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি । আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও আপনার নিকট তাওবা করছি।” এর বর্ণনাকারী হযরত মা'মার ( রঃ ) বলেনঃ আমি এও শুনেছি যে, এই কালেমা ঐ মজলিসের কাফফারা হয়ে যায়। ( এ হাদীসটি আব্দুর রাযযাক (রঃ ) তাঁর জামে' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এটা মুরসাল হাদীস। কিন্তু মুস্তানাদ বহু হাদীসও এ ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, যার সনদগুলো একে অপরকে সবল করে থাকে)হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি কোন মজলিসে বসে ও বহুকিছু বাক-বিতণ্ডা করে, অতঃপর ঐ মজলিস হতে উঠে যাওয়ার পূর্বে ( আরবী )-এই কালেমাটি পাঠ করে, তাহলে ঐ মজলিসে যা কিছু ( ভুল-ক্রটি ) হয়েছে তার কাফফারা হয়ে যাবে ।( এ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এটাকে হাসান সহীহ বলেছেন। ইমাম হাকিম ( রঃ ) এ হাদীসটিকে স্বীয় মুসতাদরাক গ্রন্থে রিওয়াইয়াত করার পর বলেন যে, এর সনদ ইমাম মুসলিম ( রঃ )-এর শর্তের উপর রয়েছে। তবে ইমাম বুখারী ( রঃ ) এতে ইল্লাত বের করেছেন। আমি বলি যে, ইমাম আহমাদ ( রঃ}, ইমাম মুসলিম (রঃ ), ইমাম আবু হাতিম ( রাঃ ), ইমাম আবূ যারআহ্ ( র ), ইমাম দারকুতনী ( রঃ ) প্রমুখ মনীষীগণও এটাকে মাল বলেছেন এবং অহাম বা সন্দেহের সম্পর্ক ইবনে জুরায়েজ ( রঃ )-এর দিকে করেছেন। কিন্তু এ রিওয়াইয়াতটি সুনানে আবি দাউদে যে সনদে বর্ণিত হয়েছে তাতে ইবনে জুরায়েজ ( রঃ )-এর নামই নেই)অন্য হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁর শেষ বয়সে যে মজলিস হতে উঠে যেতেন সেখানে উপরোক্তে কালেমা পাঠ করতেন। এটা দেখে একটি লোক তাঁকে জিজ্ঞেস করেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আপনি ইতিপূর্বে তো এটা পাঠ করতেন না ( সুতরাং এখন পড়ার কারণ কি )?” উত্তরে তিনি বললেনঃ মজলিসে যা কিছু ( দোষ-ক্রটি ) হয়, এই কালেমা ওর কাফফারা হয়ে যায় ।( এ রিওয়াইয়াতটি মুরসাল সনদেও হযরত আবুল আলিয়া (রাঃ ) হতে বর্ণিত হয়েছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন)ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) বলেনঃ “ এই কালেমা এমনই যে, কেউ যদি এগুলোকে কোন মজলিস হতে উঠার সময় পড়ে নেয় তবে তার জন্যে এটা কাফফারা হয়ে যাবে । ভাল মজলিস ও যিকরের মজলিসে এগুলো পড়লে তা মোহরের মত হয়ে যায়।” ( এটা সুনানে আবি দাউদ প্রভৃতি হাদীস গ্রন্থে রয়েছে )সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যে, আমি একটি পৃথক অংশে এই সমুদয় হাদীসকে, এগুলোর শব্দগুলোকে ও ওগুলোর সনদগুলোকে একত্রিত করেছি, ওর কারণগুলোও বর্ণনা করেছি এবং ওগুলোর সম্পর্কে যা কিছু লিখার ছিল সবই লিখে দিয়েছি। এরপর ইরশাদ হচ্ছেঃ তার পবিত্রতা ঘোষণা কর রাত্রিকালে অর্থাৎ নামাযের মাধ্যমে ও তিলাওয়াতে কুরআনের মাধ্যমে রাত্রিকালে তাঁর ইবাদত ও যিকর করতে থাকো। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ এবং রাত্রের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম করবে, এটা তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য । আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে।” ( ১৭:৭৯ )তারকার অস্তগমনের পর’ দ্বারা ফজরের ফরয নামাযের পূর্বের দুই রাকআত নামাযকে বুঝানো হয়েছে। তরকা যখন অস্তমিত হবার জন্যে ঝুঁকে পড়ে তখন এই দুই রাকআত নামায পড়া হয়ে থাকে। হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে মার’ রূপে বর্ণিত আছেঃ “ তোমরা ঐ দুই রাকআত সুন্নাত নামায ছেড়ে দিয়ো না যদিও ঘোড়া তোমাদেরকে দলিত করে ।( এ হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)এই হাদীসের প্রতি লক্ষ্য রেখেই ইমাম আহমাদ ( রঃ )-এর কতক অনুসারী এই দুই রাকআত সুন্নাত নামাযকে ওয়াজিব বলেছেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। কেননা, প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে নবী ( সঃ ) বলেছিলেনঃ “ দিন ও রাত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ( ফরয করা হয়েছে )” প্রশ্নকারী আবার প্রশ্ন করেনঃ “ এ ছাড়া আমার উপর আর কিছু ( ফরয ) আছে কি?” জবাবে তিনি বলেনঃ “না, তবে তুমি নফল পড়তে পার ।” সহীহ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) ফজরের দুই রাকআত নামাযের চেয়ে অন্য কোন নফল নামাযের বেশী পাবন্দী করতেন না।সহীহ্ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেছেনঃ “ ফজরের ফরয নামাযের পূর্বের দুই রাকআত সুন্নাত নামায সারা দুনিয়া ও ওর মধ্যস্থিত সমস্ত জিনিস অপেক্ষা উত্তম ।

সূরা তূর আয়াত 49 সূরা

ومن الليل فسبحه وإدبار النجوم

سورة: الطور - آية: ( 49 )  - جزء: ( 27 )  -  صفحة: ( 525 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তিনিই তোমাদের জন্য নক্ষত্রপুঞ্জ সৃজন করেছেন যাতে তোমরা স্থল ও জলের অন্ধকারে পথ প্রাপ্ত হও।
  2. তারা সকলেই তোমাদের ধর্মের; একই ধর্মে তো বিশ্বাসী সবাই এবং আমিই তোমাদের পালনকর্তা, অতএব আমার
  3. এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।
  4. এখনও কি এই জনপদের অধিবাসীরা এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত যে, আমার আযাব তাদের উপর রাতের বেলায়
  5. এবং তাদেরকে থামাও, তারা জিজ্ঞাসিত হবে;
  6. যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
  7. হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা
  8. যাতে ঐ নেয়ামত অস্বীকার করে, যা আমি তাদেরকে দিয়েছি। অতএব মজা ভোগ করে নাও-সত্বরই তোমরা
  9. আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন।
  10. তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা তা পান করে মাতালও হবে না।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তূর ডাউনলোড করুন:

সূরা Tur mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tur শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তূর  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তূর  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তূর  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তূর  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তূর  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তূর  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তূর  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তূর  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তূর  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তূর  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তূর  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তূর  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তূর  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তূর  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তূর  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তূর  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তূর  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তূর  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তূর  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তূর  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তূর  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তূর  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তূর  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তূর  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তূর  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers