কোরান সূরা হিজর আয়াত 50 তাফসীর
﴿وَأَنَّ عَذَابِي هُوَ الْعَذَابُ الْأَلِيمُ﴾
[ الحجر: 50]
এবং ইহাও যে, আমার শাস্তিই যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। [সূরা হিজর: 50]
Surah Al-Hijr in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Hijr ayat 50
আর আমার শাস্তি, -- তা অতি মর্মন্তুদ শাস্তি।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৫০. আপনি তাদেরকে আরো জানিয়ে দিন যে, নিশ্চয়ই আমার শাস্তি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তাই তারা যেন আমার ক্ষমা পাওয়া ও আমার শাস্তি থেকে নিরাপদে থাকার জন্য তাওবা করে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর নিশ্চয় আমার শাস্তিই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি!
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৪৫-৫০ নং আয়াতের তাফসীর
জাহান্নামবাসীদের বর্ণনা দেয়ার পর আল্লাহ তাআলা এখানে জান্নাতবাসীদের বর্ণনা দিচ্ছেন। তিনি বলছেন যে, জান্নাতবাসীরা এমন বাগানে অবস্থান করবে যেখানে প্রস্রবণ ও নদী প্রবাহিত হবে। সেখানে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে বলা হবেঃ “ এখন তোমরা সমস্ত বিপদ আপদ থেকে বেঁচে গেছো । তোমরা সর্বপ্রকারের ভয়ভীতি ও দুশ্চিন্তা থেকে নিরাপত্তা লাভ করেছে। এখানে না আছে নিয়ামত নষ্ট হওয়ার ভয়, না আছে এখান থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার আশংকা এবং না আছে কিছু কমে যাওয়ার ও ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা।”মহান আল্লাহ বলেনঃ “ আমি তাদের হতে ঈর্ষা দূর করবো । তার ভ্রাতৃভাবে পরম্পর মুখোমুখি হয়ে অবস্থান করবে। আবু উমামা ( রাঃ ) বলেন, জান্নাতবাসীরা জান্নাতে প্রবেশ করার পূর্বেই আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তর হতে হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দিবেন।হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ মু'মিনদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দানের পর জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যস্থলে অবস্থিত পুলের উপর আটক করা হবে এবং দুনিয়ায় যে তারা একে অপরের উপর যুলুম করেছিল তার প্রতিশোধ তারা একে অপর হতে গ্রহণ করবে । অতঃপর তারা যখন হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত অন্তরের অধিকারী হয়ে যাবে তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।”ইবনু সীরীন ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, আশতারা ( নামক একটি লোক ) হযরত আলীর ( রাঃ ) নিকট প্রবেশ করার অনুমতি প্রার্থনা করে। এ সময় তাঁর নিকট হযরত তালহার ( রাঃ ) পুত্র বসে ছিলেন। তাই কিছুক্ষণ বিলম্বের পর তাকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেন। তাঁর কাছে প্রবেশের পর সে বলেঃ “ এঁর কারণেই বুঝি আমাকে আপনি আপনার নিকট প্রবেশের অনুমতি দানে বিলম্ব করেছেন ।” উত্তরে তিনি বলেনঃ “ হা ( এ কথা সত্য বটে ) ।” সে পুনরায় বলেঃ “ আমার মনে হয় যদি আপনার কাছে হযরত উসমানের ( রাঃ ) পুত্র থাকতেন । তবে তাঁর কারণেও আমাকে আপনার কাছে প্রবেশের অনুমতি দান করতে অবশ্যই বিলম্ব করতেন?” হযরত আলী ( রাঃ ) জবাবে বলেনঃ “ হাঁ, অবশ্যই । আমি তো আশা রাখি যে, আমি এবং হযরত উসমান ( রাঃ ) ঐ লোকদেরই অন্তর্ভূক্ত হবো যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “ আমি তাদের অন্তর হতে ঈর্ষা দূর করবো । তারা ভ্রাতৃভাবে পরপর মুখোমুখি হয়ে অবস্থান করবে। ( এটা ইমাম ইবনু জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) অন্য আর একটি রিওয়ায়েতে আছে যে, ইমারান ইবনু তালহা ( রাঃ ) উষ্ট্রির যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের থেকে মুক্ত হয়ে হযরত আলীর ( রাঃ ) নিকট আগমন করেন। হযরত আলী ( রাঃ ) তাঁকে সাদর সম্ভাষণ জানান এবং বলেনঃ “ আমি আশা রাখি যে, আমি এবং তোমার আব্বা ঐ লোকদেরই অন্তর্ভূক্ত হবো যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমি তাদের অন্তর হতে ঈর্ষা দূর করবো । তারা ভ্ৰাতৃভাবে পরম্পর মুখোমুখি হয়ে অবস্থান করবে।” অন্য একটি বর্ণনায় আছে যে, তাঁকে বলেনঃ “ আল্লাহ তাআলার ন্যায় বিচার-এর চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে যে, যাকে আপনি কাল হত্যা করলেন তাঁরই আপনি ভাই হয়ে যাবেন ।” হযরত আলী ( রাঃ ) তখন রাগান্বিত হয়ে বলেনঃ “ এই আয়াত দ্বারা যদি আমার ও তালহার ( রাঃ ) মত লোককে বুঝানো হয়ে না থাকে তবে আর কাদেরকে বুঝানো হবে?”অন্য একটি রিওয়ায়েতে আছে যে, হামাদান গোত্রের একটি লোক উপরোক্ত উক্তি করেছিল এবং হযরত আলী ( রাঃ ) তাকে এত জোরে ধমক দিয়েছিলেন যে, প্রাসাদ নড়ে উঠেছিল । আর একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, ঐ উক্তিকারীর নাম ছিল হারিস আওয়ার এবং হযরত আলী ( রাঃ ) তার একথায় ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর হাতে যা ছিল তা দিয়ে তিনি তাকে মাথায় আঘাত করেছিলেন। অতঃপর তিনি তাঁর উপরোক্ত উক্তি করেছিলেন। হযরত সুফিয়ান সাওরী ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত যুবাইর ( রাঃ ) ইবনু জারমুয হযরত আলীর ( রাঃ ) দরবারে উপস্থিত হলে দীর্ঘ ক্ষণ পর তিনি তাকে তার কাছে যাওয়ার অনুমতি দেন। তাঁর কাছে এসে সে হযরত যুবাইর ( রাঃ ) ও তাঁর সাথীদের সম্পর্কে ‘বালওয়াঈ’ বলে কটুক্তি করলে তিনি তাকে। বলেনঃ “ তোমার মুখে মাটি পড়ুক । আমি, তালহা ( রাঃ ) এবং যুবাইর ( রাঃ ) তো ইনশাআল্লাহ ঐ লোকদের অন্তর্ভূক্ত হবো যাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহর উক্তি রয়েছেঃ “ আমি তাদের অন্তর হতে ঈর্ষা দূর করে দেবো । তারা ভ্ৰাতৃভাবে পরম্পর মুখোমুখি হয়ে অবস্থান করবে।”অনুরূপভাবে হযরত হাসান বসরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আলী ( রাঃ ) বলেনঃ “ আল্লাহর শপথ! ( আরবি ) এই আয়াতটি আমাদের বদরী সাহাবীদের ব্যাপারেই অবতীর্ণ হয়েছে ।”কাসীরুন্নাওয়া বলেনঃ “ আমি আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনু আলীর ( রাঃ ) । নিকট গমন করি এবং বলিঃ “ আমার বন্ধু আপনারও বন্ধু, আমার সাথে মেলামেশাকারী আপনার সাথেও মেলামেশাকারী, আমার শত্রু আপনারও শত্রু এবং আমার সাথে যুদ্ধকারী আপনার সাথেই যুদ্ধকারী । আল্লাহর কসম! আমি হযরত আবু বকর ( রাঃ ) এবং হযরত উমার ( রাঃ ) হতে মুক্ত। আমার এ কথা শুনে তিনি বলেনঃ “ যদি আমি এরূপ করি তবে আমার চেয়ে বড় পথভ্রষ্ট অরি কেউই থাকবে না । এ অবস্থায় আমার হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে। হে কাসীর! তুমি এই দুব্যক্তি অর্থাৎ হযরত আবু বকর ( রাঃ ) ও হযরত উমারের ( রাঃ ) প্রতি ভালবাসা রাখবে, এতে যদি পাপ হয় তবে, আমিই তা বহন করবো।” অতঃপর তিনি এই আয়াতের ( আরবি ) এ অংশটুকু পাঠ করলেন এবং বলেনঃ “ এই আয়াতটি নিম্ন লিখিত দশজন লোকের ব্যাপারে অবর্তীণ হয়েছেঃ ১, “হযরত আবু বকর ( রাঃ ), ২.
হযরত উমার ( রাঃ ), ৩.
হযরত উসমান ( রাঃ ), ৪.হযরত আলী ( রাঃ ), ৫.
হযরত তালহা ( রাঃ ), ৬.
হযরত যুবাইর ( রাঃ ), ৭.
হযরত আবদুর রহমান ইবনু আউফ ( রাঃ ), ( ৮, হযরত সা’দ ইবনু আবি ওয়াক্কাস (রাঃ ) , ৯.
হযরত সাঈদ ইবনু যায়েদ ( রাঃ ) এবং ১০.
হযরত আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ ( রাঃ ) ” । এঁরা মুখোমুখি হয়ে বসবেন যাতে কারো দিকে কারো পিঠ না হয়। এ ব্যাপারে মারফু হাদীস রয়েছে। হযরত যায়েদ ইবনু আবি আওফা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ “ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাদের নিকট বের হয়ে এসে ( আরবি ) এই আয়াতটি পাঠ করেন । অর্থাৎ একে অপরের দিকে তাকাতে থাকবে। সেখানে তাদের কোন দুঃখ-কষ্ট হবে না। ( এ হাদীসটি ইবনু আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) যেমন সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আল্লাহ তাআলা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি যেন হযরত খাদীজা’কে ( রাঃ ) বেহেশতের সোনার একটি ঘরের সুসংবাদ প্রদান করি যেখানে কোন শোরগোল থাকবে না এবং কোন দুঃখ-কষ্টও থাকবে না ।” এই জান্নাতীদেরকে জান্নাত থেকে বের করা হবে না। যেমন হাদীসে এসেছে যে, জান্নাতীদেরকে বলা হবেঃ “ হে জান্নাতীগণ! তোমরা চিরকাল সুস্থ থাকবে, কখনো রোগাক্রান্ত হবে না; সর্বদা জীবিত থাকবে, কখনো মৃত্যু বরণ করবে না, সর্বদা যুবকই থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না, চিরকাল এখানেই অবস্থান করবে, কখনো এখান হতে বের হবে না ।” অন্য আয়াতে রয়েছেঃ “ তারা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে, স্থান পরিবর্তনের আকাংখা তারা করবে না ।”মহান আল্লাহ বলেনঃ “ ( হে নবী (সঃ )! আমার বান্দাদেরকে খবর দিয়ে দাওঃ “নিশ্চয় আমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু, আবার আমার শাস্তি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিও বটে ।” এই ধরনের আরো আয়াত ইতিপূর্বে গত হয়েছে। এগুলি দ্বারা উদ্দেশ্য এই যে, মুমিনদেরকে ( জান্নাতের শান্তির ) আশার সাথে সাথে ( জাহান্নামের শাস্তির ) ভয়ও রাখতে হবে। হযরত মুসআব ইবনু সাবিত ( রাঃ ) বলেনঃ “ ( একদা ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁর সাহাবীদের এমন এক দল লোকের পার্শ্ব দিয়ে গমন করেন যারা হাসতে ছিলেন । তখন তিনি তাঁদেরকে বললেনঃ “ তোমরা জান্নাত ও জাহান্নামকে স্মরণ করো ।” ঐ সময় উপরোক্ত আয়াত অর্থাৎ - অবতীর্ণ হয়।” ( এ হাদীসটি ইমাম ইবনু আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং এটা মুরসাল)ইবনু আবি রাবাহ ( রাঃ ) নবীর ( সঃ ) সাহাবীদের এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বানু শায়বার দরজা দিয়ে আমাদের নিকট আত্মপ্রকাশ করেন এবং বলেনঃ “ আমি তো তোমাদেরকে হাসতে দেখছি ।” এ কথা বলেই তিনি ফিরে যান এবং হাতীমের নিকট থেকে পুনরায় আমাদের নিকট আগমন করেন এবং বলেনঃ “ যখন আমি বের হয়েছি তখনই হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) আমার কাছে এসে বলেনঃ “হে মুহাম্মদ ( সঃ )! নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমার বান্দাদেরকে নিরাশ করছো কেন? আমার বান্দাদের সংবাদ দিয়ে দাওঃ নিশ্চয়ই আমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু, আবার আমার শাস্তিও বেদনাদায়ক শাস্তি বটে ।” ( এ হাদীসটি ইমাম ইবনু জারীর বর্ণনা করেছেন )অন্য হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যদি আল্লাহ তাআলার ক্ষমার পরিমাণ অবগত হতো তবে সে হারাম থেকে বেঁচে থাকা পরিত্যাগ করতো । পক্ষান্তরে যদি সে আল্লাহর শাস্তির পরিণাম অবগত হতো তবে সে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলতো।”
সূরা হিজর আয়াত 50 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- আর যত লোকই হোক না কেন, যখন সময় হবে, তোমার প্রভু তাদের সকলেরই আমলের প্রতিদান
- তোমাদেরকে আমার আয়াতসমূহ শোনানো হত, তখন তোমরা উল্টো পায়ে সরে পড়তে।
- আমাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান।
- তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে
- কালোমত ঘন সবুজ।
- যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্দ্র ও সূর্যকে কর্মে
- অতঃপর যখন চন্দ্রকে ঝলমল করতে দেখল, বললঃ এটি আমার প্রতিপালক। অনন্তর যখন তা অদৃশ্য হয়ে
- আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে-হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ
- আর যে স্থান থেকে তুমি বের হও, নিজের মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফেরাও-নিঃসন্দেহে এটাই হলো
- আপনি তাদের কোন অস্তিত্ব দেখতে পান কি?
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা হিজর ডাউনলোড করুন:
সূরা Hijr mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Hijr শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers