কোরান সূরা ইবরাহীম আয়াত 51 তাফসীর
﴿لِيَجْزِيَ اللَّهُ كُلَّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ﴾
[ إبراهيم: 51]
যাতে আল্লাহ প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের প্রতিদান দেন। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। [সূরা ইবরাহীম: 51]
Surah Ibrahim in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ibrahim ayat 51
যেন আল্লাহ্ প্রত্যেক সত্ত্বাকে প্রতিদান দিতে পারেন যা সে অর্জন করেছে, নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ হিসেব-নিকেশে তৎপর।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৫১. যাতে আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেককে তার কৃত ভালো-মন্দের প্রতিদান দিতে পারেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আমলসমূহের দ্রæত হিসাবকারী।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
যাতে আল্লাহ প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের প্রতিফল দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে তৎপর।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
যাতে আল্লাহ্ প্রতিদান দেন প্রত্যেক নাফসকে যা সে অর্জন করেছে। নিশ্চয় আল্লাহ্ হিসেব গ্রহনে তৎপর [ ১ ]।
[ ১ ] এর দু'টি অর্থ হতে পারে।
এক.
তিনি বান্দাদের হিসেব গ্রহণে দ্রুত তা সম্পন্ন করবেন। কেননা, তিনি সবকিছু জানেন। কোন কিছুই তাঁর কাছে গোপন নেই। সমস্ত মানুষ তাঁর শক্তির কাছে একজনের মতই। যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, “ তোমাদের সবার সৃষ্টি ও পুনরুত্থান একটি প্রাণীর সৃষ্টি ও পুনরুত্থানেরই অনুরূপ ।" [ সূরা লুকমান: ২৮ ]
দুই.
আয়াতের দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, অচিরেই তিনি তাদের হিসেব গ্রহণ করবেন। কারণ কিয়ামত অতি সন্নিকটে। যেমন অন্য আয়াতে বলেছেন, “মানুষের হিসেব-নিকেশের সময় আসন্ন, কিন্তু তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে" [ সূরা আল-আম্বিয়া: ১ ][ ইবন কাসীর ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৪৯-৫১ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তাআলা বলছেনঃ “ কিয়ামতের দিন যমীন ও আসমান তো পরিবর্তিত হয়ে যাবে এবং সমস্ত মাখলূক আল্লাহ তাআলার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে । হে নবী ( সঃ )! ঐ দিন তুমি পাপী ও অপরাধীদেরকে শৃংখলিত অবস্থায় দেখতে পাবে। সর্বপ্রকারের গুনাহগার পরস্পরের সাথে মিলিতভাবে থাকবে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন ( আরবি ) অর্থাৎ “ একত্রিত কর যালিম ও ওদের সহচরদেরকে ।” ( ৩৭:২২ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ দেহে যখন আত্মা পুনঃসংযোজিত হবে ।” ( ৮১:৭ ) অন্য এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ আর যখন তাদেরকে শৃংখলিত অবস্থায় ওর কোন সংকীর্ণ স্থানে । নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা তথায় ধ্বংস কামনা করবে।” ( ২৫:১৩ ) আরো বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ এবং শয়তানদেরকে যারা সবাই ছিল প্রাসাদ নির্মাণকারী ও ডুবুরী। আর শৃংখলে আবদ্ধ আরো অনেক কে।” ( ৩৮:৩৭-৩৮ ) ( আরবি ) বলা হয়। বন্দীত্বের শৃংখলকে। ইবনু কুলসুমের কবিতায় ( আরবি ) এর অর্থ করা হয়েছে শৃংখলে আবদ্ধ বন্দী তাদেরকে যে কাপড় পরিধান করানো হবে তাহবে গন্ধক বা আলকাতরা দ্বারা তৈরী, যা উঁটকে লাগানো হয়। তাতে তাড়াতাড়ি আগুন ধরে যায়। এ শব্দটি ( আরবি ) ও ( আরবি ) আছে এবং ও আছে। হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) বলেন, গলিত তামাকে ‘কাতরান’ বলে। ঐ কঠিন গরম আগুনের মত তামা জাহান্নামীদের পোষাক হবে। আগুন তাদের মুখমণ্ডলকে আচ্ছন্ন করবে। মাথা থেকে অগ্নিশিখা উপরের দিকে উঠতে থাকবে। চেহারা বিকৃত হয়ে যাবে। হযরত আবু মালিক আশআরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমার উম্মতের মধ্যে এমন চারটি কাজ রয়েছে যা তারা পরিত্যাগ করবে না । ১, আভিজাত্যের গৌরব করা, ২, অন্যের বংশকে বিদ্রুপ করা, ৩.
নক্ষত্রের মাধ্যমে পানি চাওয়া, ৪.
মৃতের উপর বিলাপ করা। জেনে রেখো যে, মৃতের উপর বিলাপকারিণী মহিলা যদি তার মৃত্যুর পূর্বে তাওবা না করে তবে কিয়ামতের দিন তাকে আলকাতরার জামা ও খোস পাচড়ার দোপাট্টা ( উত্তরীয় ) পরানো হবে।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ ) স্বীয় মুসনাদে এবং ইমাম মুসলিম ( রঃ ) স্বীয় সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ বিলাপকারিণী যদি তাওবা না করেন তবে তাকে জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যস্থলে দাঁড় করানো হবে, আর তাকে পরানো হবে আলকাতরার জামা এবং অগ্নি তার মুখমণ্ডলকে আচ্ছন্ন করবে ।”মহান আল্লাহর উক্তিঃ “ এটা এই জন্যে যে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন) প্রত্যেকের কৃতকর্মের প্রতিফল দিবেন । মন্দ লোকদের মন্দ কর্ম তাদের সামনে এসে যাবে। আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দাদের হিসাব গ্রহণে খুবই তৎপর সত্বরই তিনি তাদের হিসাব গ্রহণ পর্ব শেষ করবেন।” সম্ভবতঃ এটা আল্লাহ তাআলার নিম্নের উক্তির মতইঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ মানুষের হিসাব নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে ।” ( ২১:১ ) আবার এরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, এটা বান্দার হিসাব গ্রহণের সময়ের বর্ণনা অর্থাৎ তাড়াতাড়ি হিসাব গ্রহণ পর্ব শেষ হয়ে যাবে। কেন না, তিনি সব কিছুই জানেন এবং তাঁর কাছে কোন কিছুই গোপন নেই। সারা মাখলুককে সৃষ্টি করা ও তাদের মৃত্যু ঘটিয়ে পুনরুত্থান করা তাঁর কাছে একজনের মতই। যেমন তিনি বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তোমাদের সকলের সৃষ্টি ও মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান আমার কাছে এমনই ( সহজ ) যেমন তোমাদের একজনকে মারা ও জীবিত করা ।” ( ৩১:২৮ ) হযরত মুজাহিদের ( রঃ ) উক্তির অর্থ এটাই যে, হিসাব গ্রহণে আল্লাহ তাআ’লা খুবই তাড়াতাড়িকারী। আবার অর্থ দু'টোই হতে পারে। অর্থাৎ হিসাবের সময়ও নিকটবর্তী এবং হিসাবে আল্লাহ তাআলার বিলম্বও নেই। এদিকে শুরু হলো এবং ওদিকে শেষ হয়ে গেল। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।
সূরা ইবরাহীম আয়াত 51 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন! কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি
- আল্লাহ ‘বহিরা’ ‘সায়েবা’ ওসীলা’ এবং ‘হামী’ কে শরীয়তসিদ্ধ করেননি। কিন্তু যারা কাফের, তারা আল্লাহর উপর
- তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
- আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি
- তোমাদের প্রদত্ত ওয়াদা অবশ্যই সত্য।
- যারা ঈমানদার এবং যাদের সন্তানরা ঈমানে তাদের অনুগামী, আমি তাদেরকে তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে মিলিত করে
- এখন তুমি আরও এক সম্প্রদায়কে পাবে। তারা তোমাদের কাছেও স্বজাতির কাছেও এবং নির্বিঘ্ন হয়ে থাকতে
- অতএব, আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন এবং বলুন, ‘সালাম’। তারা শীঘ্রই জানতে পারবে।
- তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম,
- এ থেকে দূরে রাখা হবে খোদাভীরু ব্যক্তিকে,
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইবরাহীম ডাউনলোড করুন:
সূরা Ibrahim mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ibrahim শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers