কোরান সূরা মু'মিনুন আয়াত 51 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Muminun ayat 51 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মু'মিনুন আয়াত 51 আরবি পাঠে(Muminun).
  
   

﴿يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا ۖ إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ﴾
[ المؤمنون: 51]

হে রসূলগণ, পবিত্র বস্তু আহার করুন এবং সৎকাজ করুন। আপনারা যা করেন সে বিষয়ে আমি পরিজ্ঞাত। [সূরা মু'মিনুন: 51]

Surah Al-Muminun in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Muminun ayat 51


হে প্রিয় রসূলগণ! পবিত্র বস্তু থেকে তোমরা খাওয়া-দাওয়া করো আর ভাল কাজ করো। তোমরা যা করছ সে সন্বন্ধে আমি নিশ্চয়ই সর্বজ্ঞাতা।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫১. হে রাসূলগণ! আপনারা আমার হালালকৃত পবিত্র খাদ্য থেকে খান এবং শরীয়ত মাফিক নেক আমল করুন। আপনারা যে আমলগুলো করছেন তা আমি সবই জানি। আপনাদের কোন আমলই আমার নিকট গোপন নয়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর এবং সৎকর্ম কর;[১] তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবগত। [১] طَيِّبَات বলতে পবিত্র, উপাদেয় ও সুস্বাদু খাদ্যসামগ্রী। আবার কেউ কেউ এর অনুবাদ করেছেন, হালাল খাদ্যসমূহ। উভয় অনুবাদই সঠিক। কারণ, প্রত্যেক পবিত্র জিনিসকেই আল্লাহ তাআলা হালাল করেছেন। আর প্রতিটি হালাল জিনিসই পবিত্র ও সুসবাদু। আল্লাহ তাআলা অপবিত্র বস্তুকে এই জন্য হারাম করেছেন, যেহেতু প্রভাব ও পরিণামের দিক দিয়ে তা অপবিত্র; যদিও অপবিত্র ভক্ষণকারীদেরকে নিজেদের পরিবেশ ও অভ্যাসের কারণে তা সুস্বাদু বলে মনে হয়। আর সৎকর্ম হল সেই সব কর্ম যা শরীয়ত তথা কুরআন ও ( সহীহ ) হাদীস সম্মত হয়। প্রত্যেক সেই কাজই সৎ বা ভালো নয়, যা পরিবেশের লোকজন সৎ বা ভাল মনে করে। কারণ, বিদআতী লোকদের কাছে বিদআতও বড় ভালো কাজ মনে হয়। বরং তাদের নিকট বিদআতের যে গুরুত্ব মর্যাদা আছে, শরীয়তের ফরয, সুন্নত ও মুস্তাহাবের সে গুরুত্ব ও মর্যাদা নেই। পবিত্র বস্তু পানাহার করার সাথে সাথে সৎকর্মের তাকীদ থেকে জানা যায় যে, একটির অপরটির সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং একটি অপরটির সহযোগী। যেহেতু হালাল খেয়ে নেক আমল সহজ হয়। আর নেক আমল মানুষকে হালাল খেতে উৎসাহিত করে এবং তাই খেয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা শিক্ষা দেয়। এই জন্যই মহান আল্লাহ প্রত্যেক নবী-রসূলকে উক্ত দুটি কর্মের আদেশ করেছেন। সুতরাং প্রত্যেক নবী-রসূল পরিশ্রম করে হালাল রুযী উপার্জন ও ভক্ষণ করতে যত্নবান হতেন। যেমন, দাউদ ( আঃ )-এর ব্যাপারে এসেছে যে, তিনি নিজ হাতে পরিশ্রমের উপার্জন ভক্ষণ করতেন। ( সহীহ বুখারী ক্রয়-বিক্রয় অধ্যায় ) আর মহানবী ( সাঃ ) বলেছেন, "প্রত্যেক নবী ছাগল চরিয়েছেন। আমিও সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল চরিয়েছি। ( সহীহ বুখারী ইজারা অধ্যায় ) বর্তমানে কালোবাজারী, চোরাই চালান, পণ্য পাচার, ঘুসখোরী, সূদখোরী ছাড়াও অন্যান্য অবৈধ উপায়ে হারাম ভক্ষণকারীরা পরিশ্রম করে হালাল ভক্ষণকারীদেরকে নীচ ও নিমনশ্রেণীভুক্ত গণ্য করে রেখেছে; যদিও বাস্তব অবস্থা তার পূর্ণ বিপরীত। মুসলিম সমাজে একজন হারামখোরের কোন সম্মান ও স্থান নেই; যদিও সে কারূনের সমতুল্য ধনশালী ব্যক্তি হোক না কেন। সম্মান ও ইজ্জতের অধিকারী একমাত্র তারাই, যারা পরিশ্রম করে হালাল উপার্জন খায়; যদিও তা লবণ-ভাত হোক না কেন। কারণ নবী ( সাঃ ) এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন ও বলেছেন যে, মহান আল্লাহ হারাম উপার্জনকারীর না তো সাদকাহ কবুল করেন, আর না দু'আ। ( সহীহ মুসলিম যাকাত অধ্যায় )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


হে রাসূলগণ []! আপনারা পবিত্র বস্তু থেকে খাদ্য গ্রহণ করুন এবং সৎকাজ করুন []; নিশ্চয় আপনারা যা করেন সে সম্পর্কে আমি সবিশেষ অবগত। [] এ থেকে একথা বলাই উদ্দেশ্য যে, প্রতি যুগে বিভিন্ন দেশে ও জাতির মধ্যে আগমনকারী নবীদেরকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং স্থান-কালের বিভিন্নতা সত্ত্বেও তাদের সবাইকে একই হুকুম দেয়া হয়েছিল। তাদের সবাইকে হালাল খাওয়ার এবং সৎকাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। [ ইবন কাসীর ] [] طيبات শব্দের আভিধানিক অর্থ, পবিত্র ও উত্তম বস্তু। [ ফাতহুল কাদীর ]। এখানে এর দ্বারা এমন জিনিস বুঝানো হয়েছে যা নিজেও পাক-পবিত্র এবং হালাল পথে অর্জিতও হয়। তাই طيبات দ্বারা শুধু বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ দিক দিয়ে পবিত্র ও হালাল বস্তুসমূহই বুঝতে হবে। [ দেখুন, ফাতহুল কাদীর ] পবিত্র জিনিস খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে নাসারাদের বৈরাগ্যবাদ ও অন্যদের ভোগবাদের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ মধ্যপন্থার দিকে ইংগিত করা হয়েছে। [ দেখুন, আত-তাহরীর ওয়াত তানওয়ীর ] এখানে আরো প্রণিধানযোগ্য বিষয় হলো এই যে, নবী-রাসূলগণকে তাদের সময়ে দুই বিষয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক, হালাল ও পবিত্ৰ বস্তু আহার কর। দুই, সৎকর্মকর। আর এটা সৰ্বজনবিদিত সত্য যে, আল্লাহ্‌ তা‘আলা নবী-রাসূলগণকে নিষ্পাপ রেখেছিলেন, তাদেরকেই যখন একথা বলা হয়েছে, তখন উম্মতের জন্যে এই আদেশ আরও বেশী পালনীয়। বস্তুতঃ আসল উদ্দেশ্য উম্মতকে এই আদেশের অনুগামী করা। আলেমগণ বলেনঃ এই দু’টি আদেশকে একসাথে বর্ণনা করার মধ্যে ইঙ্গিত এই যে, সৎকর্ম সম্পাদনে হালাল খাদ্যের প্রভাব অপরিসীম। খাদ্য হালাল হলে সৎকর্মের তাওফীক হতে থাকে। [ দেখুন, ইবন কাসীর ] পক্ষান্তরে খাদ্য হারাম হলে সৎকর্মের ইচ্ছা করা সত্ত্বেও তাতে নানা আপত্তি প্রতিবন্ধক হয়ে যায়। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “ হে লোকেরা! আল্লাহ্‌ নিজে পবিত্র, তাই তিনি পবিত্র জিনিসই পছন্দ করেন ।” তারপর তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন এবং বলেনঃ “ এক ব্যক্তি আসে সুদীর্ঘ পথ সফর করে । দেহ ধূলি ধূসরিত। মাথার চুল এলোমেলো। আকাশের দিকে হাত তুলে প্রার্থনা করেঃ হে প্ৰভু! হে প্ৰভু! কিন্তু অবস্থা হচ্ছে এই যে, তার খাবার হারাম, পানীয় হারাম, কাপড় চোপড় হারাম এবং হারাম খাদ্যে তার দেহ প্রতিপালিত হয়েছে। এখন কিভাবে এমন ব্যক্তির দোয়া কবুল হবে?” [ মুসলিমঃ ১০১৫ ] এ থেকে বোঝা গেল যে, ইবাদতে ও দো‘আ কবুল হওয়ার ব্যাপারে হালাল খাদ্যের অনেক প্রভাব আছে। খাদ্য হালাল না হলে ইবাদত ও দো‘আ কুবল হওয়ার যোগ্য হয় না

সূরা মু'মিনুন আয়াত 51 সূরা

ياأيها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا إني بما تعملون عليم

سورة: المؤمنون - آية: ( 51 )  - جزء: ( 18 )  -  صفحة: ( 345 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত
  2. কিন্তু আমার দাওয়াত তাদের পলায়নকেই বৃদ্ধি করেছে।
  3. এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।
  4. যেদিন তাদেরকে মুখ হিঁচড়ে টেনে নেয়া হবে জাহান্নামে, বলা হবেঃ অগ্নির খাদ্য আস্বাদন কর।
  5. তাদের সবার নির্ধারিত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম।
  6. তা মানুষকে উৎখাত করছিল, যেন তারা উৎপাটিত খর্জুর বৃক্ষের কান্ড।
  7. এবং সারি সারি গালিচা
  8. নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে
  9. এমনিভাবেই আমি এ কোরআনকে আরবী ভাষায় নির্দেশরূপে অবতীর্ণ করেছি। যদি আপনি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন
  10. অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মু'মিনুন ডাউনলোড করুন:

সূরা Muminun mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Muminun শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, November 3, 2024

Please remember us in your sincere prayers