কোরান সূরা কাহ্ফ আয়াত 54 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Kahf ayat 54 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাহ্ফ আয়াত 54 আরবি পাঠে(Kahf).
  
   

﴿وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَٰذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ ۚ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا﴾
[ الكهف: 54]

নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়। [সূরা কাহ্ফ: 54]

Surah Al-Kahf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Kahf ayat 54


আর আমরা আলবৎ এই কুরআনে লোকেদের জন্য সব রকমের দৃষ্টান্ত বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছি। আর মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিতর্কপ্রিয়।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫৪. আমি মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর উপর নাযিলকৃত এ কুর‘আনে মানুষের জন্য রকমারি দৃষ্টান্ত সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি যাতে তারা শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। তবে মানুষ বিশেষ করে কাফিররা বেশির ভাগই অহেতুক ঝগড়া ও বিবাদে লিপ্ত।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আমি অবশ্যই মানুষের জন্য এই কুরআনে সর্বপ্রকার উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করেছি, কিন্তু মানুষ সর্বাধিক বিতর্ক-প্রিয়। [১] [১] অর্থাৎ, মানুষদেরকে সত্য পথ বুঝানোর জন্য কুরআনে আমি সব রকমের পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। ওয়ায-নসীহত করেছি। দৃষ্টান্ত, ঘটনাবলী এবং দলীলাদি পেশ করেছি। আর এগুলো বারংবার বিভিন্ন আকারে বর্ণনা করেছি। কিন্তু যেহেতু মানুষ কঠিন বিতর্ক-প্রিয়, তাই না ওয়ায-নসীহতের তার উপর কোন প্রভাব পড়ে, আর না দলীল-প্রমাণ তার জন্য ফলপ্রসূ হয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর অবশ্যই আমরা মানুষের জন্য এ কুরআনের সব ধরনের উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করেছি []। আর মানুষ সবচেয়ে বেশি বিতর্কপ্রিয় []। অষ্টম রুকু [] অর্থাৎ আল্লাহ বলছেন, আমরা কুরআনে প্রতিটি বিষয় স্পষ্ট ও বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। কোন ফাঁক রাখিনি। যাতে তারা সৎপথ থেকে হারিয়ে না যায়; হেদায়াতের পথ থেকে বের না হয়ে যায়। [ ইবন কাসীর ] এত সুন্দরভাবে বর্ণনা করার পরও এখন সত্যকে মেনে নেবার পথে তাদের জন্য কি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? শুধুমাত্র এটিই যে তারা আযাবের অপেক্ষা করছে। [] সমগ্র সৃষ্টজীবের মধ্যে মানুষ সর্বাধিক তর্কপ্রিয়। এর সমর্থনে আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে একটি হাদীস বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “ কেয়ামতের দিন কাফেরদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তিকে পেশ করা হবে তাকে প্রশ্ন করা হবেঃ আমার প্রেরিত রাসূল সম্পর্কে তোমার কর্মপন্থা কেমন ছিল? সে বলবেঃ হে আমার রব! আমি তো আপনার প্রতি, আপনার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলাম এবং তাদের আনুগত্য করেছিলাম। আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ তোমার আমলনামা সামনে রাখা রয়েছে। এতে তো এমন কিছু নেই। লোকটি বলবেঃ আমি এই আমলনামা মানি না। আমি এ আমলনামার লেখকদেরকে চিনি না এবং আমল করার সময় তাদেরকে দেখিনি। আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ সামনে লওহে-মাহফুয রয়েছে। এতেও তোমার অবস্থা এরূপই লিখিত রয়েছে। সে বলবেঃ হে আমার রব! আপনি আমাকে যুলুম থেকে আশ্রয় দিয়েছেন কি না? আল্লাহ বলবেনঃ নিশ্চয় যুলুম থেকে তুমি আমার আশ্রয়ে রয়েছ। সে বলবেঃ হে আমার রব! যেসব সাক্ষ্য আমি দেখিনি সেগুলো কিরূপে আমি মানতে পারি? আমার নিজের পক্ষ হতে যে সাক্ষ্য হবে, আমি তাই মানতে পারি। তখন তার মুখ সীল করে দেয়া হবে এবং তার হাত-পা তার কুফর এবং শির্ক সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। ' [ দেখুন মুসলিমঃ ৫২৭১ ] অন্য এক হাদীসে এসেছে, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন আলী ও ফাতেমাকে দেখতে গিয়েছিলেন, তাদেরকে তিনি বললেনঃ তোমরা রাতে সালাত আদায় কর না? তারা বললেনঃ আমরা ঘুমোলে আল্লাহ আমাদের প্রাণ হরণ করে তার হাতে নিয়ে নেন। সুতরাং আমরা কিভাবে সালাত আদায় করব? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিরে গেলেন, তারপর তাকে শুনলাম। তিনি ফেরা অবস্থায় নিজের রানে আঘাত করছেন। আর বলছেন, মানুষ ভীষণ ঝগড়াটে।' [ বুখারীঃ ১১২৭, ৪৭২৪, মুসলিমঃ ৭৭৫ ] এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী ও ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহুমার পক্ষ থেকে এ ধরনের বিতণ্ডা অপছন্দ করলেন। কারণ, এটা বাতিল তর্ক। মহান আল্লাহর আনুগত্য না করার জন্য তাকদীরের দোহাই দেয়া জায়েয নেই।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তাআলা বলেনঃ মানুষের জন্যে আমি আমার কিতাবে সমস্ত কথা খুলে খুলে বর্ণনা করে দিয়েছি, যাতে মানুষ সঠিক পথ থেকে বিভ্রান্ত হয়ে না পড়ে এবং হিদায়াতের পথ হতে সরে না যায়। কিন্তু এতদসত্ত্বেও মুষ্টিমেয় কিছুলোক ছাড়া সবাই মুক্তির পথ থেকে সরে পড়ে। মুসনাদে আহমাদ বর্ণিত আছে যে, একদা রাত্রে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত ফাতেমা ( রাঃ ) হযরত আলীর ( রাঃ ) বাড়ীতে আগমন করেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞেস করেনঃ “ তোমরা যে শুয়ে রয়েছে, নামায পড়ছো না কেন?" উত্তরে হযরত আলী ( রাঃ ) বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমাদের প্রাণ আল্লাহ তাআলার হাতে রয়েছে । যখন তিনি ইচ্ছা করেন তখনই আমাদের উঠিয়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত আলীর ( রাঃ ) মুখে একথা শুনে আর কিছু না বলে ফিরে যেতে উদ্যত হন। ফিরবার পথে তিনি হাঁটুর উপর হাত মেরে বলতে বলতে যাচ্ছিলেনঃ “ মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই সবচেয়ে বেশী বিতর্ক প্রিয় ।"

সূরা কাহ্ফ আয়াত 54 সূরা

ولقد صرفنا في هذا القرآن للناس من كل مثل وكان الإنسان أكثر شيء جدلا

سورة: الكهف - آية: ( 54 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 300 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বলুন, আমি কি তোমাদেরকে এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান বলবো?-যারা পরহেযগার, আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে
  2. এটা বিচার দিবস, আমি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে একত্রিত করেছি।
  3. মনে রেখো, তারাই হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করে না।
  4. যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো
  5. হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন
  6. জাহান্নাম-এটাই তাদের প্রতিফল; কারণ, তারা কাফের হয়েছে এবং আমার নিদর্শনাবলী ও রসূলগণকে বিদ্রূপের বিষয় রূপে
  7. আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও
  8. তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না,
  9. গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে
  10. তোমরা খোলাখুলি কিছু বল অথবা গোপন রাখ, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বজ্ঞ।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাহ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Kahf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Kahf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, May 19, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب