কোরান সূরা ফুরকান আয়াত 54 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Furqan ayat 54 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ফুরকান আয়াত 54 আরবি পাঠে(Furqan).
  
   

﴿وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ مِنَ الْمَاءِ بَشَرًا فَجَعَلَهُ نَسَبًا وَصِهْرًا ۗ وَكَانَ رَبُّكَ قَدِيرًا﴾
[ الفرقان: 54]

তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম। [সূরা ফুরকান: 54]

Surah Al-Furqan in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Furqan ayat 54


আর তিনিই সেইজন যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে, তারপর তার জন্য স্থাপন করেছেন রক্ত-সম্পর্ক ও বৈবাহিক সম্পর্ক। আর তোমার প্রভু অত্যন্ত ক্ষমতাশালী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫৪. তিনি পুরুষ ও মহিলার বীর্য থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আর যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন তিনি আবার তাদের মাঝে বংশীয় বন্ধন এবং বিবাহ বন্ধনও সৃষ্টি করেছেন। হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক সত্যিই ক্ষমতাশীল। কোন কিছুই তাঁকে অক্ষম করতে পারে না। আর তাঁর কুদরতের একটি নমুনা হলো তিনি পুরুষ ও মহিলার বীর্য থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তিনিই মানুষকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন; অতঃপর তিনি মানবজাতির মধ্যে রক্তগত ও বৈবাহিক সন্ধি স্থাপন করেছেন। [১] তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান। [১] نسب বলতে ( রক্তগত ) আত্মীয়তা যা মা-বাপের সঙ্গে সম্পর্কিত। আর صِهر বলতে ( বৈবাহিক ) আত্মীয়তা যা বিবাহের পর স্ত্রীর পক্ষ থেকে হয়, যাকে আমরা বৈবাহিক সম্বন্ধ বলে থাকি। এই দুই ধরনের আত্মীয়দের বিস্তারিত আলোচনা সূরা নিসার ৪:২২-২৩ নং আয়াতে করা হয়েছে। দুধ-সম্পর্কিত আত্মীয়তা হাদীসানুসারে বংশগত আত্মীয়তারই শামিল। যেমন, নবী ( সাঃ ) বলেছেন, يحرم من الرضاع ما يحرم من النسب ( বুখারী ২৬৪৫ নং, মুসলিম ১০৭০ নং )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি হতে; তারপর তিনি তাকে বংশগত ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন []। আর আপনার রব হলেন প্রভূত ক্ষমতাবান। [] পিতামাতার দিক থেকে যে সম্পর্ক ও আত্মীয়তা হয়, তাকে نسب বলা হয় এবং স্ত্রীর পক্ষ হতে যে আত্মীয়তা হয়, তাকে صهر বলা হয় । [ আদওয়াউল বায়ান, বাগভী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৫১-৫৪ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমি যদি ইচ্ছা করতাম তবে প্রতিটি জনপদে একজন ভয়-প্রদর্শক প্রেরণ করতে পারতাম যে জনগণকে মহামহিমান্বিত আল্লাহর দিকে আহ্বান করতো। কিন্তু হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! আমি তোমাকে সারা যমীনবাসীর নিকট প্রেরণের সাথে বিশিষ্ট করেছি এবং তোমাকে আমি আদেশ করেছি যে, তুমি তাদের কাছে এই কুরআনের বাণী পৌছিয়ে দেবে। যেমন নবী ( সঃ )-কে বলতে বলা হয়েছেঃ “ যাতে আমি তোমাদেরকে এর দ্বারা ভয় প্রদর্শন করি ।” আর এক জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ দলসমূহের মধ্যে যে এটাকে প্রত্যাখ্যান করবে তার প্রতিশ্রুত জায়গা হলো জাহান্নাম ।( ১১:১৭ ) অন্য এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তুমি বলে দাও- হে লোক সকল! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সকলের নিকট আল্লাহর রাসূলরূপে প্রেরিত হয়েছি ।( ৭:১৫৮ ) সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমি রক্তিম ( বর্ণের লোক ) এবং কৃষ্ণ ( বর্ণের লোক )-এর নিকট প্রেরিত হয়েছি ।” সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আরো বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ অন্য নবীকে তার কওমের নিকট বিশিষ্টভাবে প্রেরণ করা হতো, কিন্তু আমি সাধারণভাবে সমস্ত মানুষের নিকট নবীরূপে প্রেরিত হয়েছি ।” এজন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ সুতরাং তুমি কাফিরদের আনুগত্য করো না এবং তুমি ওর সাহায্যে অর্থাৎ কুরআনের সাহায্যে তাদের সাথে প্রবল সগ্রাম চালিয়ে যাও। যেমন তিনি বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ হে নবী ( সঃ )! তুমি কাফির ও মুনাফিকদের সাথে সংগ্রাম চালিয়ে যাও ।( ৬৬:৯ )।মহান আল্লাহ বলেনঃ তিনিই দুই সমুদ্রকে মিলিতভাবে প্রবাহিত করেছেন, একটি মিষ্ট, সুপেয় এবং অপরটি লবণাক্ত, খর। অর্থাৎ তিনি পানি দুই প্রকারের করে দিয়েছেন। একটি মিষ্ট ও অপরটি লবণাক্ত। নদী, প্রস্রবণ ও কূপের পানি সাধারণতঃ মিষ্ট, স্বচ্ছ এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। কতকগুলো স্থির সমুদ্রের পানি লবণাক্ত ও বিস্বাদ হয়ে থাকে। আল্লাহ তা'আলার এই নিয়ামতের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত যে, তিনি মিষ্ট পানি চতুর্দিকে প্রবাহিত করে দিয়েছেন যাতে লোকদের গোসল করা, সবকিছু ধৌত করা এবং ক্ষেতে ও বাগানে পৌঁছিয়ে দেয়া সহজসাধ্য হয়। পূর্বে ও পশ্চিমে তিনি লবণাক্ত পানিবিশিষ্ট প্রশান্ত মহাসাগর প্রবাহিত করেছেন যা স্থির রয়েছে এবং এদিক ওদিকে প্রবাহিত হয় না। কিন্তু ওটা তরঙ্গায়িত হচ্ছে। কোন কোন সমুদ্রে জোয়ার ভাটা হয়ে থাকে। প্রতি মাসের প্রাথমিক দিনগুলোতে তাতে বর্ধন ও প্রবাহ থাকে। অতঃপর চন্দ্রের হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে ওটাও হ্রাস পায়। শেষ পর্যন্ত ওটা স্বীয় অবস্থায় এসে পড়ে। তারপর আবার চন্দ্র বৃদ্ধি পেতে থাকে, তখন ওটাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং চৌদ্দ তারিখ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চাঁদের সাথে বাড়তেই থাকে। তারপর আবার কমতে শুরু করে। এই সমুদয় সমুদ্র আল্লাহ তা'আলাই সৃষ্টি করেছেন। তিনি পূর্ণ ও ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী। লবণাক্ত ও গরম পানি পান কার্যে ব্যবহৃত হয় না বটে, কিন্তু ঐ পানি বায়ুকে নির্মল করে যার ফলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয় না। তাতে যে জন্তু মরে যায় ওর দুর্গন্ধে মানুষ কষ্ট পায় না। লবণাক্ত পানির কারণে ওর বাতাস স্বাস্থ্যের অনুকূল হয় এবং ওর স্বাদ পবিত্র ও উত্তম হয়। এজন্যেই যখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “ আমরা সমুদ্রের পানিতে অযু করতে পারি কি?” তখন তিনি উত্তর দেনঃ “সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং ওর মৃত হালাল ।( ইমাম মালিক (রঃ ), ইমাম শাফেয়ী ( রঃ ) এবং আহলে সুনান এটা রিওয়াইয়াত করেছেন এবং এর ইসনাদও সঠিক ও উত্তম)আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তিনি উভয়ের মধ্যে অর্থাৎ মিষ্ট ও লবণাক্ত পানির মধ্যে রেখে দিয়েছেন এক অন্তরায়, এক অনতিক্রম্য ব্যবধান। অর্থাৎ আল্লাহ পাকের অসীম ক্ষমতা যে, তিনি স্বীয় ক্ষমতাবলে মিষ্ট ও লবণাক্ত পানিকে পৃথক পৃথক রেখেছেন। না লবণাক্ত পানি মিষ্ট পানির সাথে মিশ্রিত হতে পারে, না মিষ্ট পানি লবণাক্ত পানির সাথে মিলিত হতে পারে। যেমন তিনি বলেছেনঃ( আরবি ) অর্থাৎ “ তিনি প্রবাহিত করেন দুই সমুদ্র যারা পরস্পর মিলিত হয় । কিন্তু তাদের মধ্যে রয়েছে এক অন্তরায় যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?” ( ৫৫: ১৯-২১ ) আর এক আয়াতে রয়েছেঃ কে তিনি যিনি যমীনকে নিরাপদ স্থল বানিয়েছেন এবং তাতে স্থানে স্থানে সমুদ্র প্রবাহিত করে দিয়েছেন, পাহাড়-পর্বত স্থাপন করেছেন, আর দুই সমুদ্রের মাঝে রেখে দিয়েছেন এক অন্তরায়? আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য রয়েছে কি? প্রকৃত ব্যাপার এই যে, ঐ মুশরিকদের অধিকাংশ লোকই জ্ঞান রাখে না।”মহান আল্লাহর উক্তিঃ তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি হতে, অতঃপর তিনি তার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন। অর্থাৎ তিনি মানুষকে দুর্বল শুক্র হতে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তাকে ঠিকঠাক করেছেন এবং তাকে সুন্দরভাবে সৃষ্টি করে নর ও নারী বানিয়েছেন। কিছুদিন পরে বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন। এ জন্যেই তিনি বলেনঃ তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান।

সূরা ফুরকান আয়াত 54 সূরা

وهو الذي خلق من الماء بشرا فجعله نسبا وصهرا وكان ربك قديرا

سورة: الفرقان - آية: ( 54 )  - جزء: ( 19 )  -  صفحة: ( 364 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এবং তিনি পিতা-মাতাকে সিংহাসনের উপর বসালেন এবং তারা সবাই তাঁর সামনে সেজদাবনত হল। তিনি বললেনঃ
  2. আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয
  3. যাদের জন্যে শাস্তির আদেশ অবধারিত হয়েছে, তারা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা। এদেরকেই আমরা পথভ্রষ্ট করেছিলাম।
  4. সুতরাং এভাবে প্রকাশ হয়ে গেল সত্য বিষয় এবং ভুল প্রতিপন্ন হয়ে গেল যা কিছু তারা
  5. সুতরাং তাদের ব্যাপারে আপনি তাড়াহুড়া করবেন না। আমি তো তাদের গণনা পূর্ণ করছি মাত্র।
  6. তিনি পরিণামে যারা মুমিন ও সৎকর্ম পরায়ণ, তাদেরকে প্রতিদান দেবেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও
  7. বললেনঃ তোমরা সেখানেই জীবিত থাকবে, সেখানেই মৃত্যুবরন করবে এবং সেখান থেকেই পুনরুঙ্খিত হবে।
  8. যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক
  9. সুতরাং এখন আর এমন কিছু নেই, যার অপেক্ষা করবে, কিন্তু সেসব দিনের মতই দিন, যা
  10. সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফুরকান ডাউনলোড করুন:

সূরা Furqan mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Furqan শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ফুরকান  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ফুরকান  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ফুরকান  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ফুরকান  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ফুরকান  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ফুরকান  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ফুরকান  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ফুরকান  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ফুরকান  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ফুরকান  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ফুরকান  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ফুরকান  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ফুরকান  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ফুরকান  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ফুরকান  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ফুরকান  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ফুরকান  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ফুরকান  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ফুরকান  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ফুরকান  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ফুরকান  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers