কোরান সূরা আনকাবূত আয়াত 55 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ankabut ayat 55 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আনকাবূত আয়াত 55 আরবি পাঠে(Ankabut).
  
   

﴿يَوْمَ يَغْشَاهُمُ الْعَذَابُ مِن فَوْقِهِمْ وَمِن تَحْتِ أَرْجُلِهِمْ وَيَقُولُ ذُوقُوا مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ﴾
[ العنكبوت: 55]

যেদিন আযাব তাদেরকে ঘেরাও করবে মাথার উপর থেকে এবং পায়ের নীচ থেকে। আল্লাহ বললেন, তোমরা যা করতে, তার স্বাদ গ্রহণ কর। [সূরা আনকাবূত: 55]

Surah Al-Ankabut in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ankabut ayat 55


সেইদিন শাস্তি তাদের লেপটে ফেলবে তাদের উপর থেকে ও তাদের পায়ের নিচে থেকে, তখন তিনি বলবেন -- ''তোমরা যা করে যাচ্ছিলে তা আস্বাদন করো।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫৫. সে শাস্তি তাদেরকে উপর থেকে ঘিরে রাখবে এবং নিচ থেকে বিছানা হয়ে থাকবে এবং আল্লাহ পাক তাদেরকে ধমকের স্বরে বলবেন, তোমারা যে শিরক ও অপরাধ করতে তার স্বাদ আস্বাদন করো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সেদিন শাস্তি ওদেরকে গ্রাস করবে ওদের উপর দিক ও নিচের দিক হতে এবং তিনি বলবেন,[১] ‘তোমরা যা করতে তার স্বাদ গ্রহণ কর।’ [১] 'তিনি বলবেন' ক্রিয়াটির কর্তা আল্লাহ অথবা ফিরিশতা। অর্থাৎ, যখন সর্বদিক থেকে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে, তখন তাদেরকে বলা হবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


সেদিন শাস্তি তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে তাদের উপর থেকে ও নীচ থেকে। আর তিনি বলবেন, ‘তোমরা যা করতে তা আস্বাদন কর’

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৫৩-৫৫ নং আয়াতের তাফসীর মুশরিকরা যে অজ্ঞতার কারণে আল্লাহর আযাব চাচ্ছিল তারই বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, এই মুশরিকরা নবী ( সঃ )-কে আল্লাহর শাস্তি আনয়নের কথা বলেছিল এবং স্বয়ং আল্লাহর নিকটও প্রার্থনা করেছিল। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ ( স্মরণ কর ) যখন তারা বলেছিল- হে আল্লাহ! এটা যদি তোমার নিকট হতে সত্য হয় তবে আকাশ হতে আমাদের উপর প্রস্তর বর্ষণ কর অথবা আমাদের কাছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আনয়ন কর ।( ৮:৩২ ) এখানে তাদেরকে জবাব দেয়া হচ্ছে- যদি বিশ্বপ্রতিপালকের পক্ষ হতে এটা নির্ধারিত না থাকতো যে, এই কাফিরদেরকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে তবে তাদের শাস্তি চাওয়া মাত্রই তাদের উপর অবশ্যই শাস্তি নেমে আসতো। এখন তাদের এর প্রতিও বিশ্বাস রাখা উচিত যে, তাদের অজ্ঞাতসারে তাদের উপর শাস্তি আকস্মিকভাবে এসে পড়বে। তারা শাস্তি ত্বরান্বিত করতে বলছে, তাদের জেনে রাখা উচিত যে, জাহান্নাম তো তাদেরকে পরিবেষ্টন করবেই। অর্থাৎ এটা নিশ্চিত কথা যে, শাস্তি তাদের উপর আসবেই। হযরত শা'বী ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-কে বলতে শুনেছেনঃ “ এই বাহূরে আখ্যরই ( সবুজ সাগর ) সবুজ সাগর বলতে আরবগণ আরব উপকূল হতে ভারতের মধ্যবর্তী জলরাশিকে বুঝে । হবে ঐ জাহান্নাম যাতে তারকারাজি ঝরে পড়বে এবং সূর্য ও চন্দ্র আলোশূন্য হয়ে এতে নিক্ষিপ্ত হবে। এটা জ্বলে উঠবে এবং জাহান্নামে পরিণত হবে।” ( এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)সাফওয়ান ইবনে ইয়া’লা ( রাঃ ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ সমুদ্রই জাহান্নাম । তখন হাদীসের বর্ণনাকারী হযরত ইয়ালা ( রাঃ )-কে জনগণ জিজ্ঞেস করে- আপনারা দেখেন না যে, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ অগ্নি, যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে থাকবে ।( ১৮:২৯ ) উত্তরে ইয়া’লা ( রাঃ ) বলেনঃ “ যার হাতে ইয়া’লার প্রাণ রয়েছে তার শপথ! আমি তাতে কখনো প্রবেশ করবো না যে পর্যন্ত না আমাকে আল্লাহর সামনে পেশ করা । হবে এবং এর এক ফোটাও আমার কাছে পৌঁছবে না যে পর্যন্ত না আমাকে আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হাযির করা হবে।” এটা মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে। এ তাফসীরও খুবই গরীব এবং এ হাদীসও অত্যন্ত গারীব বা দুর্বল। এসব ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।মহান আল্লাহ বলেনঃ সেই দিন শাস্তি তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে ঊর্ধ্ব ও অধঃদেশ হতে। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ তাদের জন্যে জাহান্নামের ( অগ্নির ) বিছানা হবে এবং তাদের উপরে ( আগুনেরই ) ওড়না হবে।” ( ৭:৪১ আর একটি আয়াতে আছেঃ(আরবি )অর্থাৎ “ তাদের উপরে হবে আগুনের সামিয়ানা এবং নীচে হবে আগুনেরই বিছানা ।( ৩৯:১৬ ) অন্য এক আয়াতে রয়েছেঃ অর্থাৎ “ যদি কাফিররা ঐ সময়ের কথা জানতো যখন তারা তাদের সামনে হতে ও পিছন হতে আগুন সরাতে পারবে না ।( ২১:৩৯ ) এসব আয়াত দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, এই কাফিরদেরকে চতুর্দিক হতে আগুন পরিবেষ্টন করবে। তাদের সামনে হতে, পিছন হতে, উপর হতে, নীচ হতে, ডান দিক হতে এবং বাম দিক হতে আগুন তাদেরকে ঘিরে ফেলবে। একদিক হতে তো তাদের উপর মহাপ্রতাপান্বিত আল্লাহর শাসন, গর্জন ও ধমক আসতে থাকবে, অপরদিক হতে সদা তাদেরকে বলা হবেঃ তোমরা যা করতে তার স্বাদ গ্রহণ কর। সুতরাং এক তো এই বাহ্যিক ও দৈহিক শাস্তি, দ্বিতীয়তঃ এই মানসিক শাস্তি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যেদিন তাদেরকে উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে, সেই দিন বলা হবে- জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর । আমি প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে।” ( ৫৪:৪৮-৪৯ ) অন্য এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যেদিন তাদেরকে ধাক্কা মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের অগ্নির দিকে, ( বলা হবে ) এই সেই আগুন যাকে তোমরা মিথ্যা মনে করতে । এটা কি যাদু? না কি তোমরা দেখছো না? তোমরা এতে প্রবেশ কর, অতঃপর তোমরা ধৈর্যধারণ কর অথবা না কর উভয়ই তোমাদের জন্যে সমান। তোমরা যা করতে তোমাদেরকে তারই প্রতিফল দেয়া হচ্ছে।” ( ৫২:১৩-১৬ )

সূরা আনকাবূত আয়াত 55 সূরা

يوم يغشاهم العذاب من فوقهم ومن تحت أرجلهم ويقول ذوقوا ما كنتم تعملون

سورة: العنكبوت - آية: ( 55 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 403 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।
  2. তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ইহকাল ও পরকালে তাঁরই প্রশংসা। বিধান তাঁরই ক্ষমতাধীন
  3. নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।
  4. তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
  5. নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের পালনকর্তার কসম, তোমাদের কথাবার্তার মতই এটা সত্য।
  6. তোমরা যখন একথা শুনলে, তখন ঈমানদার পুরুষ ও নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা
  7. এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,
  8. যখন মূসা স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ কর, যখন
  9. পরহেযগারদেরকে বলা হয়ঃ তোমাদের পালনকর্তা কি নাযিল করেছেন? তারা বলেঃ মহাকল্যাণ। যারা এ জগতে সৎকাজ
  10. তারপর তাদের পেছনে এসেছে কিছু অপদার্থ, যারা উত্তরাধিকারী হয়েছে কিতাবের; তারা নিকৃষ্ট পার্থিব উপকরণ আহরণ

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনকাবূত ডাউনলোড করুন:

সূরা Ankabut mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ankabut শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আনকাবূত  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আনকাবূত  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আনকাবূত  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আনকাবূত  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আনকাবূত  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আনকাবূত  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আনকাবূত  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আনকাবূত  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers