কোরান সূরা নিসা আয়াত 55 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nisa ayat 55 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নিসা আয়াত 55 আরবি পাঠে(Nisa).
  
   

﴿فَمِنْهُم مَّنْ آمَنَ بِهِ وَمِنْهُم مَّن صَدَّ عَنْهُ ۚ وَكَفَىٰ بِجَهَنَّمَ سَعِيرًا﴾
[ النساء: 55]

অতঃপর তাদের কেউ তাকে মান্য করেছে আবার কেউ তার কাছ থেকে দূরে সরে রয়েছে। বস্তুতঃ (তাদের জন্য) দোযখের শিখায়িত আগুনই যথেষ্ট। [সূরা নিসা: 55]

Surah An-Nisa in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nisa ayat 55


অতএব তাদের মধ্যে আছে সে যে তাঁর প্রতি ঈমান এনেছে, আবার তাদের মধ্যে সেও আছে যে তাঁর থেকে ফিরে যায়। আর জ্বলন্ত আগুনরূপে জাহান্নামই যথেষ্ট।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫৫. আহলে কিতাবের কেউ কেউ ইব্রাহীম ( আলাইহিস-সালাম ) ও তাঁর সন্তনদের মধ্যকার অন্যান্য নবীদের উপর আল্লাহ তা‘আলা যা নাযিল করেছেন তার উপর ঈমান এনেছে। আবার তাদের কেউ কেউ এগুলোর উপর ঈমান আনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটিই নবী মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর উপর নাযিলকৃত কিতাবের প্রতি তাদের অবস্থান। বস্তুতঃ আগুনই তাদের মধ্যকার কাফিরের উপযুক্ত শাস্তি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অতঃপর তাদের কিছু লোক তাতে বিশ্বাস করেছে এবং কিছু তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।[১] বস্তুতঃ দগ্ধ করার জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট। [১] অর্থাৎ, ইবরাহীম ( আঃ )-এর বংশধর বানী-ইস্রাঈলদেরকে আমি নবুঅত এবং বিশাল রাজত্ব ও বাদশাহীও দিয়েছি। তা সত্ত্বেও ইয়াহুদীদের সমস্ত লোক তাঁদের উপর ঈমান আনেনি। কিছু লোক ঈমান এনেছিল এবং কিছু লোক ঈমান আনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। অর্থাৎ, হে মুহাম্মাদ! এদের আপনার নবুঅতের উপর ঈমান না আনা কোন নতুন কথা নয়। ওদের ইতিহাস তো নবীদেরকে মিথ্যাজ্ঞান করায় পরিপূর্ণ; এমন কি নিজেদের বংশোদ্ভূত নবীদের উপরও ঈমান আনেনি। কেউ কেউ آمَنَ بِهِ তে 'হি' সর্বনাম থেকে নবী করীম ( সাঃ )-কে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ, এই ইয়াহুদীদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক মানুষ নবী করীম ( সাঃ )-এর উপর ঈমান এনেছে এবং কিছু সংখ্যক মানুষ অস্বীকার করেছে। নবুঅতের এই অস্বীকারকারীদের পরিণাম হল জাহান্নাম।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অতঃপর তাদের কিছু সংখ্যক তাতে ঈমান এনেছিল এবং কিছু সংখ্যক তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল []; আর দগ্ধ করার জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট। [] মুজাহিদ বলেন, অর্থাৎ তাদের মধ্যে কেউ কেউ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ঈমান এনেছিল। আর কেউ কেউ রাসূলের পথ থেকে মানুষকে বিরত রাখছিল। [ আত-তাফসীরুস সহীহ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৫৩-৫৫ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে অস্বীকৃতি সূচক ভাষায় আল্লাহ পাক প্রশ্ন করেছেনঃ তারা কি রাজত্বের কোন অংশের মালিক?' অর্থাৎ তারা মালিক নয়। অতঃপর তাদের কার্পণ্যের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, যদি এরূপ হতো তবে তারা কারো কোন উপকার করতো না। বিশেষ করে তারা আল্লাহ তা'আলার শেষ নবী ( সঃ )-কে এতটুকুও দিত না যতটুকু খেজুরের আঁটির মধ্যস্থলে পর্দা থাকে। যেমন অন্য আয়াতে আছে ( আরবী ) অর্থাৎ ‘তুমি বল-যদি তোমরা আমার প্রভুর করুণা ভাণ্ডারের অধিকারী হতে তবে তোমরা খরচ হয়ে যাবার ভয়ে ( খরচ করা হতে )সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে।' ( ১৭:১০০ ) এটা স্পষ্ট কথা যে, এতে সম্পদ কমে যেতে পারে না, তথাপি কৃপণতা তোমাদেরকে ভয় দেখিয়ে থাকে। এজন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, মানুষ বড়ই কৃপণ। তাদের কার্পণ্যের বর্ণনা দেয়ার পর তাদের হিংসার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে- আল্লাহ স্বীয় নবী ( সঃ )-কে যে বড় নবুওয়াত দান করেছেন এবং তিনি যেহেতু আরবের অন্তর্ভুক্ত, বানী ইসরাঈলের অন্তর্ভুক্ত নন সেহেতু তারা হিংসায় জ্বলে যাচ্ছে ও জনগণকে তার সত্যতা স্বীকার করা হতে বিরত রাখছে।হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেনঃ এখানে ( আরবী )-এর ভাবার্থ হচ্ছে আমরা, অন্য কেউ নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-“ আমি ইবরাহীমের বংশধরকে নবুওয়াত দিয়েছিলাম যারা ছিল বানী ইসরাঈল গোত্র এবং হযরত ইবরাহীমের সন্তানদেরই অন্তর্ভুক্ত । আমি তাদের উপর গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি, রীতি-নীতি শিক্ষা দিয়েছি এবং রাজত্বও দান করেছি। তথাপি তাদের মধ্যে অনেক মুমিন থাকলেও অনেক কাফিরও ছিল। তারা নবী ও কিতাবকে মেনে নেয়নি। নিজেরা ততা স্বীকার করেইনি, এমনকি অন্যদেরকেও বিরত রেখেছিল। অথচ ঐ সব নবী ( আঃ ) বানী ইসরাঈল ছিল। কাজেই তারা যখন নিজেদের নবীদেরকেই অস্বীকার করেছে তখন হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! তারা তোমাকে যে অস্বীকার করবে এতে আর বিস্ময়ের কি আছে? কারণ তুমি তো তাদের মধ্য হতে নও।'আবার ভাবার্থ এও হতে পারে যে, তাদের মধ্যে কতক লোক শেষ নবী ( সঃ )-এর উপর ঈমান এনেছিল এবং কতক লোক ঈমান আনেনি। সুতরাং এ কাফিরেরা তাদের কুফরীর উপর খুবই দৃঢ় রয়েছে এবং সুপথ হতে বহু দূরে সরে পড়েছে।অতঃপর তাদেরকে তাদের শাস্তির কথা শোনানো হচ্ছে যে, জাহান্নামের আগুনে দগ্ধীভূত হওয়াই তাদের জন্য যথেষ্ট। তাদের অস্বীকৃতি, অবাধ্যতা, মিথ্যা প্রতিপাদন ও বিরোধিতার এ শাস্তিই যথেষ্ট।

সূরা নিসা আয়াত 55 সূরা

فمنهم من آمن به ومنهم من صد عنه وكفى بجهنم سعيرا

سورة: النساء - آية: ( 55 )  - جزء: ( 5 )  -  صفحة: ( 87 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার,
  2. এবং কাঁদি কাঁদি কলায়,
  3. উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে।
  4. এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্যে, যার অনুধাবন করার মত অন্তর রয়েছে। অথবা সে নিবিষ্ট মনে
  5. লূত (আঃ) বললেন-হায়, তোমাদের বিরুদ্ধে যদি আমার শক্তি থাকত অথবা আমি কোন সূদৃঢ় আশ্রয় গ্রহণ
  6. তারা কি এতটুকুও জানে না যে, আল্লাহ সেসব বিষয়ও পরিজ্ঞাত যা তারা গোপন করে এবং
  7. যারা কুফরী অবলম্বন করেছে এবং সত্য চাপা দিয়ে রেখেছে, আল্লাহ কখনও তাদের ক্ষমা করবেন না
  8. কিরূপে? তারা তোমাদের উপর জয়ী হলে তোমাদের আত্নীয়তার ও অঙ্গীকারের কোন মর্যাদা দেবে না। তারা
  9. আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব
  10. তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? করলে দেখত তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। অথচ তারা

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নিসা ডাউনলোড করুন:

সূরা Nisa mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nisa শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নিসা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নিসা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নিসা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নিসা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নিসা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নিসা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নিসা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নিসা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নিসা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নিসা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নিসা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নিসা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নিসা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নিসা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নিসা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নিসা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নিসা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নিসা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নিসা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নিসা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নিসা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers