কোরান সূরা ইউসুফ আয়াত 57 তাফসীর
﴿وَلَأَجْرُ الْآخِرَةِ خَيْرٌ لِّلَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ﴾
[ يوسف: 57]
এবং ঐ লোকদের জন্য পরকালে প্রতিদান উত্তম যারা ঈমান এনেছে ও সতর্কতা অবলম্বন করে। [সূরা ইউসুফ: 57]
Surah Yusuf in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yusuf ayat 57
আর অবশ্যই পরকালের পুরস্কার আরো ভালো তাদের জন্য যারা বিশ্বাস করে এবং ভয়-ভক্তি অবলন্বন করে।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৫৭. বস্তুতঃ যে আল্লাহতে বিশ্বাসী এবং যে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে একমাত্র তাঁকেই ভয় করে তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা পরকালে যে প্রতিদান তৈরি করে রেখেছেন তা দুনিয়ার প্রতিদানের চেয়ে অনেক উত্তম।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
অবশ্যই যারা বিশ্বাসী ও সাবধানী তাদের জন্য পরকালের পুরস্কারই উত্তম।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর যারা ঈমান এনেছে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের পুরস্কারই উত্তম [ ১ ]। [ ১ ] অর্থাৎ আখেরাতের প্রতিদান ও সওয়াব তাদের জন্য দুনিয়ার নেয়ামতের চাইতে বহুগুণে শ্রেষ্ঠ, যারা ঈমানদার এবং যারা তাকওয়া অবলম্বন করে। এখানে এ মর্মে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্ তাঁর বান্দার জন্য আখেরাতে যা সঞ্চিত রেখেছেন তা পার্থিব রাষ্ট্রক্ষমতা ও কর্তৃত্ব লাভ করা থেকে উত্তম। [ ইবন কাসীর ] কেননা, দুনিয়ার যাবতীয় সম্পদ ধ্বংসশীল, আর আখেরাতের সম্পদ চিরস্থায়ী। [ কুরতুবী ] সুতরাং জেনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ্ আখেরাতে যে পুরষ্কার দেবেন সেটিই সর্বোত্তম প্রতিদান এবং সেই প্রতিদানটিই মুমিনের কাংখিত হওয়া উচিত।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৫৬-৫৭ নং আয়াতের তাফসীর মিসরে হযরত ইউসুফ ( আঃ ) এতো উন্নতি লাভ করেন যে, সুদ্দী ( রঃ ) এবং আবদুর রহমান ইবনু যায়েদ ইবনু আসলামের ( রঃ ) মতে নিজের ইচ্ছামত যে কোন কাজ করার তিনি অধিকার ও স্বাধীনতা লাভ করেছিলেন। ইচ্ছামত তিনি সরকারী অর্থ ব্যয় করতে পারতেন এবং যেখানে ইচ্ছা সেখানেই ঘর নির্মাণ করতে পারতেন। আল্লাহর কি মহিমা! যে ইউসুফ ( আঃ ) এতো দিন জেলের নির্জন কক্ষে বসবাস করছিলেন তিনি আজ রাষ্ট্রের অধিনায়ক। আজ তাঁর যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার রয়েছে। সত্যিই আল্লাহ তাআ’লা যাকে চান তাকে ইচ্ছামত করুণার অংশ দান করে থাকেন। ধৈর্যশীলরা অবশ্যই ধৈর্যের ফল পেয়ে থাকেন। তিনি ভাইদের দেয়া কষ্ট সহ্য করেছেন, আল্লাহর নাফরমানি থেকে বাঁচার জন্যে মিসরের আযীযের স্ত্রীর অপ্রীতিভাজন হয়েছেন এবং জেলখানার কষ্ট সহ্য করেছেন। ফলে আল্লাহর করুণা উথলিয়ে উঠেছে এবং তিনি ধৈর্যের ফল প্রাপ্ত হয়েছেন। সৎকর্মশীলদের সৎকর্ম কখনো বিফলে যায় না। অতঃপর এইরূপ ঈমানদার ও খোদাভীরু ব্যক্তিবর্গ আখেরাতে উচ্চ মর্যাদা ও অধিক পূণ্যের অধিকারী হবেন। এখানে তারা যা পেলেন পরকালে এর চেয়ে বহুগুণে বেশী পাবেন। হযরত সুলাইমান ( আঃ ) সম্পর্কে মহান আল্লাহ স্বীয় পবিত্র কিতাবে বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ এ সব আমার অনুগ্রহ, এটা হতে তুমি অন্যকে দিতে অথবা নিজে রাখতে পার, এর জন্যে তোমাকে হিসাব দিতে হবে না । আর আমার কাছে রয়েছে তার জন্যে উচ্চ মর্যাদা ও শুভ পরিণাম।” ( ৩৮: ৩৯-৪০ )মোটকথা, মিসরের বাদশাহ্ রাইয়ান ইবনু ওয়ালীদ মিসর সাম্রাজ্যের মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব হযরত ইউসুফকে ( আঃ ) অর্পণ করেন। ইতিপূর্বে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ঐ মহিলাটির স্বামী যে তাকে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট করতে চেয়েছিল। তিনিই তাঁকে ক্রয় করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত মিসরের বাদশাহ তাঁর হাতে ঈমান আনয়ন করেন।মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক ( রঃ ) বলেন যে, যে লোকটি হযরত ইউসুফকে ( আঃ ) ক্রয় করেছিলেন তাঁর নাম ছিল ইতফীর। তিনি তৎকালীন সময়েই ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর মিসরের বাদশাহ তার স্ত্রী রাঈলের সাথে হযরত ইউসুফের ( আঃ ) বিয়ে দিয়ে দেন। যখন তিনি তাঁর সাথে মিলিত হন তখন তাকে বলেনঃ “ আচ্ছা বলতো তুমি যে ইচ্ছা পোষণ করেছিলে তার চেয়ে এটা উত্তম নয় কি?” সে উত্তরে বলেছিলঃ “হে সত্যবাদী ও সত্যের সাধক! আমাকে আর ভৎসনা করবেন না । আপনি জানেন যে, আমি ছিলাম সৌন্দর্য ও প্রচুর ধন দৌলতের অধিকারিণী মহিলা। আমার স্বামী ছিলেন পুরুষত্বহীন। তিনি আমার সাথে সহবাস করতেই সক্ষম ছিলেন না। এদিকে আল্লাহ তাআ’লা যে আপনাকে দৈহিক সৌন্দর্য সম্পদে সম্পদশালী করেছেন এটা তো বলাই বাহুল্য। সুতরাং এখন আপনি আমাকে তিরস্কার করবেন না। সুতরাং এটা ধারণা করা হয় যে, হযরত ইউসুফ ( আঃ ) মহিলাটিকে কুমারী অবস্থাতেই পেয়েছিলেন। তার গর্ভে তার দু’টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের নাম ছিল আফরাসীম ও মীশা। আফরাসীমের ঔরষে নূন জন্ম গ্রহণ করেছিল। তিনি ছিলেন হযরত ইউশার ( আঃ ) পিতা। আর রহমত নাম্নী এক কন্যা জন্ম গ্রহণ করেন এবং তিনি ছিলেন হযরত আইয়ুবের ( আঃ ) স্ত্রী। হযরত ফযল ইবনু আইয়াহ্ ( রঃ ) বলেন যে, আযীযের স্ত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল, এমতাবস্থায় হযরত ইউসুফ ( আঃ ) সেখান দিয়ে গমন করেন। ঐ সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসেঃ “ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যে, যিনি তাঁর প্রতি আনুগত্যের কারণে দাসদের বাদশাহীর আসনে সমাসীন করিয়েছেন এবং তার নাফরমানীর কারণে বাদশাহদের দাসে পরিণত করেছেন ।”
সূরা ইউসুফ আয়াত 57 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- মূসা বলল, হে আমার পরওয়ারদেগার, তুমি ফেরাউনকে এবং তার সর্দারদেরকে পার্থব জীবনের আড়ম্বর দান করেছ,
- এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে, তারাই এমন হবে, যারা নিজেদের ক্ষতি করেছে। কেননা, তারা আমার
- যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ,
- অবশ্যই আমি কেটে দেব তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে। তারপর তোমাদের সবাইকে শূলীতে
- এবং গোছা গোছার সাথে জড়িত হয়ে যাবে।
- আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রসূল আগমন করেছিলেন।
- পৃথিবীতে ঔদ্ধত্যের কারণে এবং কুচক্রের কারণে। কুচক্র কুচক্রীদেরকেই ঘিরে ধরে। তারা কেবল পূর্ববর্তীদের দশারই অপেক্ষা
- জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ
- এ হল তারই প্রতিফল যা তোমরা ইতিপূর্বে নিজের হাতে পাঠিয়েছ। বস্তুতঃ আল্লাহ বান্দাদের প্রতি অত্যাচার
- যারা দৃঢ়পদ রয়েছে এবং তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করেছে।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউসুফ ডাউনলোড করুন:
সূরা Yusuf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yusuf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب