কোরান সূরা ফুরকান আয়াত 62 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Furqan ayat 62 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ফুরকান আয়াত 62 আরবি পাঠে(Furqan).
  
   

﴿وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ خِلْفَةً لِّمَنْ أَرَادَ أَن يَذَّكَّرَ أَوْ أَرَادَ شُكُورًا﴾
[ الفرقان: 62]

যারা অনুসন্ধানপ্রিয় অথবা যারা কৃতজ্ঞতাপ্রিয় তাদের জন্যে তিনি রাত্রি ও দিবস সৃষ্টি করেছেন পরিবর্তনশীলরূপে। [সূরা ফুরকান: 62]

Surah Al-Furqan in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Furqan ayat 62


আর তিনিই সেইজন যিনি রাত ও দিনকে বানিয়েছেন বিবর্তনক্রম তার জন্য যে চায় স্মরণ করতে, অথবা যে চায় কৃতজ্ঞতা জানাতে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬২. আল্লাহ তা‘আলাই দিন ও রাতকে পরস্পরের অনুগামী করেছেন। যেগুলোর একটি অন্যটির পেছনেই আসে। এতে তার জন্য চিন্তার খোরাক আছে যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে হিদায়েতপ্রাপ্ত হতে এবং আল্লাহর নিয়ামতরাজির কৃতজ্ঞতা আদায় করতে চায়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এবং যারা উপদেশ গ্রহণ ও কৃতজ্ঞতা করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য রাত এবং দিনকে সৃষ্টি করেছেন পরস্পরের অনুগামীরূপে। [১] [১] অর্থাৎ, রাত্রি যায় দিন আসে, আর দিন যায় রাত্রি আসে। দিবারাত্রি একত্রিত হয় না। দিন-রাত্রির উপকারিতার কথা বিশদ বিবরণের অপেক্ষা রাখে না। কেউ কেউ خِلْفَة এর অর্থ এক অপরের বিপরীত বলেছেন। অর্থাৎ, রাত্রি অন্ধকার এবং দিন উজ্জ্বল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তিনিই করেছেন রাত ও দিনকে পরস্পরের অনুগামীরূপে তার জন্য--- যে উপদেশ গ্রহণ করতে বা কৃতজ্ঞ হতে চায়।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬১-৬২ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা স্বীয় বড়ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব, ব্যাপক ক্ষমতা এবং উচ্চ মর্যাদার কথা বলছেন যে, তিনি আকাশে রাশিচক্র বানিয়েছেন। এর দ্বারা উদ্দেশ্য বড় বড় তারকাও হতে পারে, আবার পাহারা দেয়ার বুরূজও হতে পারে। প্রথম উক্তিটিই বেশী প্রকাশমান। বড় বড় তারকা দ্বারাও এই বুজই উদ্দেশ্য হতে পারে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা দ্বারা ।( ৬৭: ৫ ) ( আরবি ) দ্বারা সূর্যকে বুঝানো হয়েছে যা ঔজ্জ্বল্য প্রকাশ করতে থাকে। এটা প্রদীপের মত। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ আমি উজ্জ্বল প্রদীপ বানিয়েছি ।( ৭৮:১৩ ) এর দ্বারা সূর্যকেই বুঝানো হয়েছে।আল্লাহ পাক বলেনঃ আর আমি সৃষ্টি করেছি জ্যোতির্ময় চন্দ্র। অর্থাৎ উজ্জ্বল ও আলোকময় করেছি সূর্যের আলো ছাড়া অন্যের আলো দ্বারা। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ তিনি এমনই যিনি সূর্যকে উজ্জ্বল বানিয়েছেন এবং চন্দ্রকে বানিয়েছেন জ্যোতির্ময় ।( ১০:৫ ) আল্লাহ তা'আলা হযরত নূহ ( আঃ ) সম্পর্কে খবর দিতে গিয়ে বলেন যে, তিনি স্বীয় কওমকে বলেছিলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ তোমরা কি লক্ষ্য করনি? আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টি করেছেন সপ্তস্তরে বিন্যস্ত আকাশমণ্ডলী? এবং সেখানে চন্দ্রকে স্থাপন করেছেন আলোরূপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদীপরূপে ।( ৭১:১৫-১৬ ) যারা উপদেশ গ্রহণ করতে ও কৃতজ্ঞ হতে চায় তাদের জন্যে তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি এবং দিবসকে পরস্পরের অনুগামীরূপে। এটা আল্লাহ তা'আলার সু ব্যবস্থাপনা যে, দিবস ও রজনী একের পরে এক আসছে ও যাচ্ছে। যেমন তিনি বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ তিনি তোমাদের জন্যে সূর্য ও চন্দ্রকে একে অপরের অনুগামীরূপে বানিয়েছেন ।( ১৪:৩৩ ) আরো বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ রাত দিনকে আচ্ছন্ন করে ফেলে এবং তাড়াতাড়ি ওকে কামনা করে ।( ৭:৫৪ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনীর পক্ষে সম্ভব নয় দিবসকে অতিক্রম করা ।( ৩৬:৪০ )এর মাধ্যমেই আল্লাহর বান্দারা তাঁর ইবাদতের সময় জানতে পারে এবং রাত্রির ছুটে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ দিনে সমাপ্ত করতে ও দিনের অসমাপ্ত কাজ রাত্রে সমাপ্ত করতে পারে। সহীহ হাদীসে আছে যে, আল্লাহ তা'আলা রাত্রে স্বীয় হস্ত সম্প্রসারিত করেন যাতে দিনের পাপীরা তাওবা করতে পারে এবং দিনে তিনি স্বীয় হস্ত সম্প্রসারিত করেন যাতে রাত্রের পাপীরা তাওবা করার সুযোগ পায়। হযরত হাসান ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা হযরত উমার ইবনে খাত্তাব ( রাঃ ) চাশতের নামাযে খুবই বিলম্ব করেন। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেনঃ “ রাত্রের কিছু অযীফা আমার বাকী থেকে গিয়েছিল, ওটাই এখন আদায় করলাম ।” অতঃপর( আরবি ) এ আয়াতটি তিনি পাঠ করেন। ( এটা আবু দাউদ তায়ালেসী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)( আরবি )-এর অর্থ কেউ( আরবি ) ও করেছেন। অর্থাৎ দিন উজ্জ্বল ও রাত্রি অন্ধকার। এতে ঔজ্জ্বল্য এবং ওতে অন্ধকার। এটা আলোকময় এবং ওটা অন্ধকারাচ্ছন্ন।

সূরা ফুরকান আয়াত 62 সূরা

وهو الذي جعل الليل والنهار خلفة لمن أراد أن يذكر أو أراد شكورا

سورة: الفرقان - آية: ( 62 )  - جزء: ( 19 )  -  صفحة: ( 365 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব
  2. আমি তাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি, তারা এদের অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী ছিল এবং দেশে-বিদেশে
  3. ইহকালে ও পরকালে আমরা তোমাদের বন্ধু। সেখানে তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং
  4. বলুন, তোমরা যাদেরকে আল্লাহর সাথে অংশীদাররূপে সংযুক্ত করেছ, তাদেরকে এনে আমাকে দেখাও। বরং তিনিই আল্লাহ,
  5. তোমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়া হবে?
  6. নিশ্চয় এটা এক মহা শপথ-যদি তোমরা জানতে।
  7. লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি।
  8. যারা অনুসন্ধানপ্রিয় অথবা যারা কৃতজ্ঞতাপ্রিয় তাদের জন্যে তিনি রাত্রি ও দিবস সৃষ্টি করেছেন পরিবর্তনশীলরূপে।
  9. আমি তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করেছিলাম, কিন্তু তারা তাদের পালনকর্তার সামনে নত হল না এবং
  10. আহলে-কিতাব ও মুশরিকদের মধ্যে যারা কাফের, তাদের মনঃপুত নয় যে, তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফুরকান ডাউনলোড করুন:

সূরা Furqan mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Furqan শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ফুরকান  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ফুরকান  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ফুরকান  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ফুরকান  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ফুরকান  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ফুরকান  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ফুরকান  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ফুরকান  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ফুরকান  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ফুরকান  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ফুরকান  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ফুরকান  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ফুরকান  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ফুরকান  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ফুরকান  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ফুরকান  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ফুরকান  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ফুরকান  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ফুরকান  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ফুরকান  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ফুরকান  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ফুরকান  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers