কোরান সূরা আহ্যাব আয়াত 62 তাফসীর
﴿سُنَّةَ اللَّهِ فِي الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلُ ۖ وَلَن تَجِدَ لِسُنَّةِ اللَّهِ تَبْدِيلًا﴾
[ الأحزاب: 62]
যারা পূর্বে অতীত হয়ে গেছে, তাদের ব্যাপারে এটাই ছিল আল্লাহর রীতি। আপনি আল্লাহর রীতিতে কখনও পরিবর্তন পাবেন না। [সূরা আহ্যাব: 62]
Surah Al-Ahzab in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ahzab ayat 62
আল্লাহ্র নিয়ম-নীতি এর আগে যারা গত হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে। আর তুমি কখনো আল্লাহ্র বিধানে পরিবর্তন পাবে না।
Tafsir Mokhtasar Bangla
৬২. মুনাফিকরা মুনাফিকী করলে তাদের জন্য আল্লাহর এই চিরন্তন নিয়ম। বস্তুতঃ অল্লাহর চিরাচরিত নিয়মের কোন ব্যতিক্রম নেই।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
পূর্বে যারা অতীত হয়ে গেছে তাদের ব্যাপারে এটিই ছিল আল্লাহর বিধান। তুমি কখনও আল্লাহর বিধানে কোন পরিবর্তন পাবে না।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আগে যারা অতীত হয়ে গেছে তাদের ব্যাপারে এটাই ছিল আল্লাহর রীতি। আর আপনি কখনো আল্লাহর রীতিতে কোন পরিবর্তন পাবেন না।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৫৯-৬২ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ তুমি মুমিন নারীদেরকে বলে দাও, বিশেষ করে তোমার পত্নীদেরকে ও তোমার কন্যাদেরকে, কারণ তারা সারা দুনিয়ার স্ত্রীলোকদের জন্যে আদর্শ স্থানীয়া, উত্তম মর্যাদার অধিকারিণী, যে তারা যেন চাদর দিয়ে নিজেদের সারা দেহ আচ্ছাদিত করে নেয়। যাতে মুমিন স্ত্রীলোক এবং অমুসলিম স্ত্রীলোকদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়ে যায়। এভাবেই যেন আযাদ মহিলা ও দাসীদের মধ্যে পার্থক্য করতে কোন অসুবিধা না হয়। ‘জালবাব’ ঐ চাদরকে বলা হয় যা স্ত্রীলোকেরা তাদের দো-পাট্টার উপর পরে থাকে। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তাআলা মুসলিম নারীদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ তারা যখন কোন কাজে বাড়ীর বাইরে যাবে তখন যেন তারা তাদের দো-পাট্টা মুখের নীচে টেনে দিয়ে মুখ ঢেকে নেয়। শুধুমাত্র চোখ দুটি ভোলা রাখবে।ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন ( রঃ )-এর প্রশ্নের উত্তরে হযরত উবাইদাহ সালমানী ( রঃ ) স্বীয় চেহারা এবং মাথা ঢেকে ও চক্ষু খুলে রেখে বলেন যে, মহামহিমান্বিত আল্লাহর ( আরবি ) উক্তির ভাবার্থ এটাই।” হযরত ইকরামা ( রঃ ) বলেন যে, নিজের চাদর দিয়ে গলা ঢেকে নিবে। হযরত উম্মে সালমা ( রাঃ ) বলেনঃ “ এই আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পর আনসারদের মহিলারা যখন বাইরে বের হতেন তখন এতো গোপনীয়ভাবে চলতেন যে, যেন তাদের মাথার উপর পাখী বসে আছে । নিজেদের দেহের উপর তারা কালো চাদর ফেলে দিতেন। ( এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) ইউনুস ইবনে ইয়াযীদ ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত যুহরী ( রঃ )-কে জিজ্ঞেস করা হলো: “ দাসীরা বিবাহিতা বা অবিবাহিতা হালে, তাদেরকেও কি চাদর গায়ে দিতে হবে?” উত্তরে তিনি বললেনঃ “দো-পাট্টা তারা অবশ্যই পরবে, তবে তারা চাদর পরবে না, যাতে তাদের মধ্যে ও স্বাধীন মহিলাদের মধ্যে স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকে । ( এটাও ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত সুফিয়ান সাওরী ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, যিম্মী নারীদের সৌন্দর্য দর্শন করা শুধু ব্যভিচারের ভয়ে নিষিদ্ধ, তাদের সম্মান ও মর্যাদার কারণে নয়। কেননা আয়াতে মুমিনা নারীদের বর্ণনা রয়েছে। চাদর লটকানো হচ্ছে আযাদ সতী-সাধ্বী মহিলাদের লক্ষণ, কাজেই চাদর লটকানো দ্বারা এটা জানা যাবে যে, এরা বাজে স্ত্রী লোকও নয় এবং নাবালিকা মেয়েও নয়। সুদ্দী ( রঃ ) বলেন যে, ফাসেক লোকেরা অন্ধকার মদীনার পথে বের হতো এবং নারীদেরকে অনুসন্ধান করতো। মদীনাবাসী ছিলেন দরিদ্র শ্রেণীর লোক। কাজেই রাত্রে যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসতো তখন মহিলারা প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরো করার উদ্দেশ্যে পথে বের হতেন। আর দুষ্ট শ্রেণীর লোকেরা এই সুযোগের সন্ধানেই থাকতো। অতঃপর যখন তারা চাদর পরিধানকারিণী মহিলাদেরকে দেখতো তখন বলতো যে, এঁরা আযাদ মহিলা। সুতরাং তারা দুষ্কর্ম থেকে বিরত থাকতো। আর যখন ঐ সব মহিলাকে দেখতে যাদের দেহে চাদর থাকতো না তখন তারা বলতো যে, এরা দাসী। তখন তারা তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়তো।মহান আল্লাহ বলেনঃ অজ্ঞতার যুগে বেপর্দাভাবে চলার যে প্রচলন ছিল, যখন তোমরা আল্লাহ তা'আলার এই নির্দেশের উপর আমলকারী হয়ে যাবে তখন আল্লাহ তা'আলা তোমাদের পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। যেহেতু তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ যদি মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে ও যারা নগরে গুজব রটনা করে বেড়ায়, তারা বিরত না হয় তবে আমি নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে তোমাকে প্রবল করবো এবং তাদের উপর তোমার আধিপত্য বিস্তার করবো। এরপর তারা খুব কম সময়ই মদীনায় অবস্থান করতে পারবে। অতি সত্বরই তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যে কয়েক দিন তারা মদীনায় অবস্থান করবে সে কয়েকদিনও তারা কাটাবে অভিশপ্ত অবস্থায়। চারদিক থেকে তাদেরকে ধিক্কার দেয়া হবে। তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই ধরা হবে এবং নির্দয়ভাবে হত্যা করা হবে।আল্লাহ তা'আলা এরপর বলেনঃ পূর্বে যারা গত হয়ে গেছে তাদের ব্যাপারে এটাই ছিল আল্লাহর বিধান। হে নবী ( সঃ )! তুমি কখনো আল্লাহর বিধানে কোন পরিবর্তন পাবে না।
সূরা আহ্যাব আয়াত 62 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং
- যা সৎপথ প্রদর্শন করে। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের পালনকর্তার সাথে
- এবং বোঝাতে থাকুন; কেননা, বোঝানো মুমিনদের উপকারে আসবে।
- তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে, অপমান সহ্য
- যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক
- আমি প্রত্যেক বস্তুকে পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছি।
- বলুন, আমার পালনকর্তা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং সীমিত পরিমাণে দেন।
- যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে তখন সেটি রক্তবর্ণে রঞ্জিত চামড়ার মত হয়ে যাবে।
- আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্ব দ্রষ্টা!
- এদেরই জন্য অংশ রয়েছে নিজেদের উপার্জিত সম্পদের। আর আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আহ্যাব ডাউনলোড করুন:
সূরা Ahzab mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ahzab শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers